নামাজের সময় নামাজ না পরলে করনীয় কি

আজকে আমরা জানবো নামাজের সময় নামাজ না পড়লে করণীয় কি এবং নামাজ কাজা হলে কাজা নামাজ তুলবো কিভাবে সেই সম্পর্কে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো।
নামাজের সময় নামাজ না পরলে করনীয় কি
তাই আপনি যদি নামাজ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের সহায়তা করার চেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

নামাজের সময় নামাজ না পড়লে কি কি ভূমিকা রয়েছে এবং কি কি করণীয় রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পোস্টের মাধ্যমে আরও জানতে পারবেন কাজা নামাজের সময় কোনটি এবং কাজা নামাজের নিষিদ্ধ সময় কোনটি কাজা নামাজের নিয়ত নিয়ম দোয়া সময় এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এই পোস্টের মাধ্যমে এর জন্য আমি


সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে যেন আমার পোস্টটি পড়ে পাঠকরা উপকৃত হয় সেই কাজে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করে থাকি আরও তথ্য জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

কাজা নামাজের নিয়ত কিভাবে করব

কাজা নামাজের নিয়ত যেভাবে করা উচিত বা কাজা নামাজ আদায় করার সময় কিছু নিয়ত করতে হয় তাহলে এভাবে নিয়ত বাধতে হবে আমি সেই দিনের অথবা আজকের সেই রক্তের বা এই ওয়াক্তের নামাজ কাজা আদায় করছি দিন তারিখ মনে থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে এবং এভাবে নিয়ত করতে

হবে যে আমি আমার জীবনের সর্বপ্রথম জোহরের অথবা মাগরিবের অথবা আসরের যে রক্তের নামাজ হবে সেই রক্তের নামাজ আদায় করছি এভাবেই প্রত্যেক ওয়াক্তে নিয়ত বাঁধতে হবে এবং প্রতিটি কাজা নামাজের নিয়তে এভাবেই বাধা হয় মূলত।

নামাজের সময় নামাজ না পড়লে করনীয় কি

আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য নামাজের সঠিক সময় নির্ধারিত করেছেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঠিক সময় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ করেছেন তাই সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে পারলে অনেক সওয়াব আছে আর যদি না আদায় করতে পারেন তাহলে কাজা নামাজ আদায় করতে হবে কারণ প্রতিটা মুমিনের জন্য


নামাজের নির্ধারিত ওয়াক্ত এবং সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে যদি সে সময় অথবা ওয়াক্ত মিসটেক হয় তাহলে তা পরবর্তীতে কাজা নামাজ আদায় করা যাবে তবে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন ঈমানদারের জন্য বা মুমিনদের জন্য নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা অবশ্যক বা কর্তব্য এ হাদীসে বলা হয়েছে প্রতিটা মানুষকে বা

মুমিনকে রক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করল সে সবচাইতে ফজিলতময় সময় আল্লাহর রাস্তায় অতিবাহিত করলো এবং কিছু কিছু হাদিসে এসেছে যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্ধারিত ওয়াক্ত নামাজ

ছেড়ে দেয় তাহলে সেই ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে কুফারি বা কবিরা গুনাহ বলা হয় যেমন ফরজ নামাজের কাজা আদায় করা ফরজ তাই ফরজ নামাজ যদি কাজা হয়ে যায় তবে কাজা আদায় করতেই হবে ওয়াজিব নামাজের কাজা আদায় করা ওয়াজিব তাই যে কোন নামাজের কাজা আদায়

করতে পারবেন তবে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি নামাজ কাজা করেন তবে সেই নামাজ আর কাজা তোলা হবে না যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে নামাজ মিসটেক হয় তবে তা কাজা তোলা ফরজ।

কাজা নামাজের সময়

কাজা নামাজের নির্ধারিত কোন সময় নেই নামাজের ওয়াক্ত চলে গেলে কাজা নামাজের জন্য যখনই আপনার মনে পড়বে তখনই আপনি কাজা নামাজ তুলে নিতে পারবেন যেমন ফজরের নামাজ কোন কারনে যদি ঘুমিয়ে থেকে কাজা হয়ে যায় তাহলে সেই নামাজ পরবর্তীতে কাযা পড়ে নিতে পারবেন অথবা কোন কাজের কারণে যোহর

এবং আসর যদি মিস হয়ে যায় তাহলে তার পরিবর্তে যে কোন সময়ে কাজা আদায় করা যাবে তবে কিছু নিষিদ্ধ সময় গুলোতে একটু ওয়েট করতে হবে এবং যখন মনে পড়বে আবার সেই নামাজগুলো কাজা তুলে নিতে হবে কাজা নামাজের সময় হল যে কোন সময়ে মনে পরলেই তা আদায় করে নিতে পারবেন।

কাজা নামাজের নিষিদ্ধ সময়

কাজা নামাজের নিষিদ্ধ সময় কোনটি অনেকেরই হয়তোবা জানা নেই কাজা নামাজের নিষিদ্ধ সময় আছে কিনা কাজা নামাজের কোন নিষিদ্ধ সময় নেই যখনই মনে পড়বে তখনই কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাজা করে সঠিক সময়ে নামাজ না পড়ে সেই ক্ষেত্রে তার কাজা নামাজ কখনোই


তোলা যাবে না সঠিক সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং সেই নামাজের কোন কাজে থাকবে না এক কথায় বলা যায় কাজা নামাজের কোন নিষিদ্ধ সময় অসময় নেই দিন অথবা রাত্রে যেকোনো সময়ে কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন এর কোন নিষিদ্ধ সময় নেই।

ফজরের কাজ নামাজ পড়ার নিয়ম এবং সময়

ফজরের নামাজ যদি কোন মতে ঘুমের কারণে পড়া না হয় সঠিক সময়ে তবে সেটা কাজা তুলতে পারবেন ফজরের নামাজ যদি মিস হয়ে যায় তাহলে তো সূর্য উঠে যাবে যোহরের আগ পর্যন্ত ফজরের ফরজ নামাজ কাজা তুলতে পারবেন এর সঙ্গে শূন্য নফল সব আদায় করতে পারবেন এবং যদি যোহর পার হয়ে যায় তাহলে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে।

যোহরের কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম এবং সময়

জোহরের নামাজ কোনমতে যদি সঠিক সময়ে পড়তে না পারেন তাহলে সেটা কাজা হয়ে যাবে কাজা নামাজ তোলার নিয়ম হলো আসরের আগ পর্যন্ত আপনি কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন জোহরের নামাজ আসরের আগ পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম এবং সময়

আসরের সময় যদি কোন মতে কোন কারনে আসরের নামাজ মিস হয়ে যায় তাহলে মাগরিবের আগ পর্যন্ত আসরের নামাজ কাজা তোলা যায় তাই আপনার যদি কোন কারনে আসরের নামাজ মিস হয়ে যায় তাহলে মাগরিবের আগ পর্যন্ত সময় পাবেন তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ আদায় সঠিক সময়ে না করলে সেই নামাজের আর কাজা থাকে না।

মাগরিবের কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম এবং সময়

আসরের নামাজ কাজা হলে মাগরিব পর্যন্ত করতে পারবেন এবং মাগরিবের নামাজ যদি কাজা হয়ে যায় এমন সময় এশার সময় আপনি মসজিদে ঢুকলেন যদি দেখেন জামাতের সঙ্গে নামাজ শুরু হয়ে গিয়েছে তাহলে আপনি মাগরিবের কাজা নামাজ তুলে নিতে পারবেন এর মানে দাঁড়ালো এশা পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ কাজা আদায় করতে পারবেন।

এশার কাজা নামাজ পড়িার নিয়ম এবং সময়

ইতিমধ্যে আমরা চার ওয়াক্তের যেইভাবে নামাজ পড়ার সঠিক সময় অতিবাহিত হলে কাজা নামাজ তুলতে হয় জেনে এসেছি ঠিক তেমনভাবেই এখন জানব এশার কাজা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম এবং সঠিক সময় এশার নামাজ সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত মানে ফজরের আগ পর্যন্ত পরতে পারবেন তবে যদি কোন কারণে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ

কাজা হয়ে যায় এবং কাজা নামাজ তুলতেও ভুলে যায় তবে যে কোন সময় যদি মনে পড়ে তবে সেই সময়ে আপনি কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ না পড়েন তবে সেই নামাজের কোন কাজা থাকে না তাই সঠিক সময়ে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন।

সারা জীবনের কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম

জীবনের না পরা নামাজের জন্য কোন তওবা এবং সমাধান নয় তাই কাজা নামাজ আদায় করাটা হলো বাধ্যতামূলক বা ফরজ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামাজ কাজা হলে কাজা নামাজ আদায় করে নিতেন এবং অন্যকে কাজা নামাজ আদায় করতে বলতেন কোরআনে একবার নয় দুইবার নয় ৮২ বার নামাজের কথা বলা হয়েছে

যদি কোন কারণে সঠিক সময়ে নামাজ না পড়া হয় তাহলে সেটা কাজা নামাজ তোলার বিধান রয়েছে তবে যদি জোহরের নামাজ কাজা হয় তাহলে আসরের আগেই তা তুলতে হবে আসরের নামাজ কাজা হলে মাগরিবের আগেই তা তুলতাম এক কথায় বলা যায় এক ওয়াক্ত নামাজ থেকে আরেক ওয়াক্ত

নামাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাজা নামাজ আদায় করা যাবে কোন কারণে ভুলে গেলে পরবর্তীতে তা আদায় করে নিতে পারবেন।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি নামাজের সময় নামাজ না পড়লে করণীয় কি সারা জীবনে কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের যেকোনো এক ওয়াক্ত ছুটে গেলে কি করনীয় সে সম্পর্কেও জেনেছি এক কথায় বলা যায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কাজা তোলার এ টু জেড তথ্য আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনেছি তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন

আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন পোস্টটি করার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার জন্য দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভুল ত্রুটি পেলে ক্ষমার চোখে দেখবেন এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url