সাওম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি - রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি
আজকে আমরা জানবো রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কে আরো জানব সাওম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি আমরা অনেকেই জানি রমজান মাসে ৩০ টি রোজা ফরজ কিন্তু কি কি তা জানে না।
তাই যারা না জানে রোজার ফরজ সম্পর্কে এবং শাওন সম্পর্কে তাদেরকে আমি সাজেস্ট করবো সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকে বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানবো রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু তথ্য যা প্রতিটা মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলা বা কিছু তথ্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরলাম যা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এ টু জেড তথ্য যেমন সাওম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
আর জানতে পারবেন রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি রমজান মাসে আমাদের করণীয় কি কি এবং বর্জনীয় কি কি এক কথায় বলা যায় রমজান সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিয়ে মূলত আর্টিকেলটি তৈরি করা হলো আরো জানতে বিস্তারিত নিচে চোখ রাখুন বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।
রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয়
রমজান মাস সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা সঠিক উপায়ে জানার চেষ্টা করব রমজান মাসে কি কি করা উচিত এবং কি কি করা উচিত নয় কি কি করনীয় এবং কি কি বর্জনীয় সে সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য নিয়ে রমজান সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হলো বিস্তারিত নিচে দেখুন।
রমজান মাসে আমাদের করণীয়
হলো বেশি বেশি ইবাদত করা সালাত আদায় করা ইবাদতের রাতগুলিতে রাত জেগে সালাত আদায় করা আল কোরআন পাঠ করা এবং মাসের ৩০ টি রোজা সঠিকভাবে পালন করা কারণ রমজান মাসে মুসলমানদের জন্য একটি ফজিলতের মাস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে অন্যান্য মাসের চাইতে।
রমজান মাসের ইবাদতের সবচাইতে মূল্য বেশি যেমন অন্যান্য মাসের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সোয়াব এই রমজান মাসে এক ওয়াক্ত নামাজের সমান কারণ রমজান মাস থেকে আল্লাহ তাআলা নিজে মুসলমানদের জন্য একটি উপহারকৃত মাস হিসেবে গণ্য করেছে তাই এ মাসে যত এবাদত করা যাবে আর অন্যান্য মাসের চাইতে অনেক মূল্যবান।
এই মাসে এবাদত করা আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সহি শুদ্ধ ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা এবং এবাদতের রাতগুলিতে বেশি বেশি সালাত আদায় করা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এগুলি হল রমজান মাসের করণীয় এবাদত সমূহ।
রমজান মাসের বর্জনীয় কাজ
রমজান মাসের বর্জনীয় কাজ বলতে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি যে সকল কাজগুলো আমাদের করা উচিত নয় সে সকল কাজকে বলা হয় বর্জনীয় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বর্জনীয় কাজ গুলো কি কি রমজান মাসকে মুসলমানদের জন্য একটা ফজিলতের মাস হিসেবে তৈরি করেছে
আরো পরুন: তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে
আর এই মাসে যদি আমরা খারাপ কাজ করে বেড়ায় তাহলে আল্লাহ তাআলা নিজে নারাজ হয়ে যাবে আর আল্লাহকে নারাজ করলে কেউ কখনো সুখী হতে পারবেনা তার সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকবে যে কোন খারাপ কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে যেমন মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে
এবং আশেপাশে যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে তাদেরকেও এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিতে হবে এবং অশ্লীল জাতীয় ভিডিও দেখাদেখি এগুলো পরিহার করতে হবে নাপাক হয়ে যাওয়ার মত কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে পলকে বর্জন করতে পারলে আমরা মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে এবং আল্লাহর চোখে ভালো হওয়া যাবে।
সাওম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
সাওম কাকে বলে সাওম মূলত বলা হয় রোজাকে এক কথায় রোজার আরবি প্রতিশব্দ হলো সাওম যা বাংলাতে আমরা রোজা বলে থাকি এটা মূলত সূর্যোদয়ের পূর্বে সাদা আলোর যে রেখা দেখা দেয় তাকে সুখে সাদেক বলে এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তিনটি কাজ করা থেকে বিরত থাকাকে মূলত সাওয়াম বলে কোন কিছু থেকে পানাহার না করা আহার না করা
এবং যৌন বিষয়ক কাছ থেকে বিরত থাকা এখানে যেগুলো উল্লেখ করা হলো এই তিনটি কাজ থেকে যদি আপনি বিরত থাকতে পারেন অথবা এই তিনটি থেকে বিরত থাকতে পারলেই আপনার রোজা সম্পূর্ণ হবে এবং সাওয়াম পালন করা হবে সালাম মূলত এই তিন প্রকারের হয়ে থাকে যা এই তিনটি
কাজ থেকে পরিহার করাকে বা বিরত থাকাকেই সাওয়াব অথবা রোজা রাখা বলা হয়ে থাকে তাই নিশ্চয় চেষ্টা করবেন এ সকল কাছ থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর কাছে আপনি যদি ভালো বান্দা অথবা ভালো মানুষ হতে চান তবে রমজান মাসে বেশি বেশি এবাদাত করতে হবে।
রোজা কাকে বলে
রোজা হলো একটি ফারসি ভাষা যার আরবি ভাষা হল সিয়াম অথবা সাওম যার অর্থ হল বিরত থাকা অথবা উপবাস যা শরীয়তের পরিভাষায় রোজা বলে গণ্য করা হয় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো কিছু খাওয়া বা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে যা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি পবিত্র বিধান এবং আল্লাহকে খুশি করার
সবচাইতে উত্তম উপায় হল এর রোজা এবং কুরআন মজিদের বলা হয়েছে ঈমানদারগণ তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যাতে তোমরা এই রমজানের রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে পারো।
রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি
রোজার ফরজ মূলত তিনটি সেই তিনটি ফরজ কি কি চলুন জেনে নেওয়া যায় যেমন রোজার তিনটি ফরজ হলো শুভ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই সময়ে সকল ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকা এবং সঠিক পদ্ধতিতে নিয়ত করা এই তিনটি ফরজ মেনে চলতে পারলেই রোজা সম্পূর্ণ করতে পারবেন তাই
সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখার জন্য এবং নিয়ত আপনার জেনে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন তবেই আপনি একজন রোজাদার হতে পারবেন এবং আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পারবেন আল্লাহতালা নিজে বলেছেন এই রোজার পুরস্কার নিজের হাতে দেবে তার বান্দাদের তাই আল্লাহর কাছ থেকে পরিষ্কার পেতে সঠিকভাবে রোজা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি সাওম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি আরো জেনেছে রোজা কাকে বলে রমজান মাসের করণীয় এবং বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় রমজান সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি তাই আমি সাজেস্ট
করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ দেখা হচ্ছে পরবর্তী আর্টিকেল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url