ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
আজকে আমরা জানব হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি হজ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা একটু কমই আছে কারণ সকলে তো আমরা হজ করি নাই তবে যদি হজ করতে যান তাহলে কিছু তথ্য এবং ফরজ ওয়াজিব এগুলো জেনে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান হতে চলেছে কারণ আমরা হজের এটুজেট তথ্য নিয়ে আর্টিকেলটি তৈরি করলাম তো আপনি যদি হাত সম্পর্কে জানতে চান এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানতে চলেছি হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি আরো জানবো ওমরাহজের ফরজ কয়টি হজের সুন্নত কয়টি হজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় হজ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো তাই আপনি যদি হাত সম্পর্কে
জানতে চান এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাঠকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি তাই আমি সাজেস্ট করবো আপনি যদি হজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার চেষ্টা করবেন বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
ওমরা হজের ফরজ এবং ওয়াজিব কি কি
উমরা শব্দের অর্থ হলো জিয়ারত করা অথবা সাক্ষাৎ করা আল্লাহর সম্মানিত ঘর বাইতুল্লাহ মসজিদুল হারাম জিয়ারতী মূলত ওমরা বলে গণ্য করা হয় এবং বছরের যেকোনো সময়ে পবিত্র কাবা ঘরের তাওয়াফ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকেই ওমরা বলে এবং আল্লাহ তায়ালা নিজে বলেছেন পবিত্র কুরআনে
প্রত্যেক সমর্থ্যবান মানুষের জন্য বাইতুল্লাহর হজ ফরজ করে তুলেছে এবং হাদিসে এসেছে হজ ও ওমরা আদায়কারীদের বিভিন্ন প্রতিদানের কথা।
হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি এটা অনেকেরই জানা নেই তাই আজকে আমরা হজের ফরজ ও ওয়াজিব সম্পর্কে জানব যেমন আমরা জানি হজ দুই প্রকার একটি হলো হজ এবং দ্বিতীয়টি হল ওমরাহজ কিন্তু হজের ফরজ রয়েছে আলাদা এবং ওমরা হজের ফরজ রয়েছে আলাদা সেগুলোই বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।
হজের ফরজ কয়টি ও কি কি
হজের ফরজ মূলত তিনটি কি কি সেটা অনেকের জানা নেই তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক মূল্যবান যেমন হজের ফরজ তিনটি যথা
- ইহরাম বাধা
- আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা
- তাওয়াফে জিয়ারত করা
এই তিনটি হল হজের ফরজ বলে গণ্য করা হয়
হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
হাজার ওয়াজিব কয়টি অনেকেই জানিনা চলুন জেনে নেয়া যাক হজের ওয়াজিব মূলত ছয়টি যথা নিচে উল্লেখ করা হলো দেখে নিন।
- জিলহজের ১০ তারিখে শুভ সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মুজদালিফায় অবস্থান করতে হবে
- এবং দৌড় শুরু হবে শাফা থেকে আর শেষ হবে মারওয়া পর্যন্ত
- শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা
- এবং হজ কারীদের করা বা হজের কোরবানি করা
- এবং কোরবানির দিনগুলোতে মাথ মন্ডল করা বা চুল ছোট করা
- এবং শেষ বিদায় তাওয়াফ করা
হজের ছয়টি ওয়াজিব এখানে উল্লেখ করা হলো যেগুলো অনেকেরই জানা নেই এখানে জেনে নিতে পারবেন।
ওমরা হজের ফরজ কয়টি
ওমরা হজের ফরজ হলো দুইটি যথা ইহরাম পরিধান করা এবং পবিত্র কাবা গৃহ তাওয়াফ করা এই দুইটি মাধ্যমকেই হজের ফরজ বলে গণ্য করা যায়।
ওমরা হজের ওয়াজিব কয়টি
ওমরা হজের ওয়াজিব হলো দুইটি একটি হলো সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী সবুজ বাতি স্থানে সাতবার
আরো পড়ুন: শবে বরাতের ফজিলত এবং আমল সম্পর্কে জানতে
সাঈ করা এবং দ্বিতীয়ত হল মাথার চুল মুন্ডু না করা বা ছোট করে ফেলা এই দুইটিকেই ওমরা হজের ওয়াজিব বলে গণ্য করা হয়।
হজের সুন্নত কয়টি ও কি কি
আজ সুন্নত অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কয়েকটি সুন্নত এখানে উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত নিচে দেখুন
- প্রথমত তাওয়াফ করা
- তাওয়াফের সময় রমন করা প্রথম তিন চক্কর সৈনিক এর মত চলা
- তিন দিন তিন স্থানে খুতবা প্রদান করা ভাষণ দেওয়া
- জিলহাজ মক্কা শরীফ থেকে মিনাতে গিয়ে জোহর আসর মাগরিব এশা ও ফজর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
- সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা দেওয়া
- আকুফে আরাফা বা আরাফাতে অবস্থান করা এবং দুপুরের পূর্বে গোসল করা
- এবং আরাফাতে অবস্থান করে সূর্যাস্তের পর মুজদালিফার দিকে রওনা করা
- এবং মিনাতে রাত যাপন করা এবং মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তনের এর সময় মহাচ্ছার নামের জায়গায় কিছু সময় অবস্থান করা
এখানে হজের কিছু সুন্নাত উল্লেখ করা হলো অনেকগুলো সুন্নাত রয়েছে তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য সুন্নতগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো যদি কখনো হজে যান তাহলে এই সুন্নাত গুলো জেনে রাখা আপনার জন্য অনেক মূল্যবান।
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত
হজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে যেমন যে ব্যক্তি হজ করার সমর্থন রাখে তবুও হজ করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করল কিংবা খ্রিস্টান হয়ে আল্লাহ কোন পরোয়া করে না তাহলে এখান থেকে বুঝতে পারছেন হজের গুরুত্ব কতখানি সে কাফের হোক বা খ্রিস্টান হোক কোন পরোয়া থাকবে না যদি সমর্থ্য থাকার পরেও সে হজ না করে।
হজের ফজিলত
ইতিমধ্যে আমরা হজের গুরুত্ব সম্পর্কে জেনেছি এখন জানবো হজের কিছু ফজিলত সম্পর্কে হজ হলো একটি আর্থিক এবং শারীরিক এবাদত এই জন্যই আল্লাহর কাছে এটি অতি ফজিলতপূর্ণ একটি ইবাদত হজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে হাদীস শরীফে হজের বহু ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে ।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি ও কি কি হজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আরো জেনেছি হজের সুন্নত কয়টি ও কি কি এক কথায় বলা যায় হজ্জ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেছি আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন কারণ আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করে থাকি এবং কোন ভুল ত্রুটি পেলে ক্ষমার চোখে দেখবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url