পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
আজকে আমরা জানবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলা আমরা অনেকেই জানি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জন্য গোটা মুসলিম জাতির জন্য ফরজ করে দিয়েছেন তাই নামাজ মাস্ট বি পড়ায় লাগবে এর কোন অজুহাত চলবে না।
আমরা অনেকেই আছি যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানিনা তাদের জন্যই মূলত এই পোস্টটি কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানতে চলেছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে আরো জানবো প্রতিটা মুসলিম জাতির জন্য নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ যেমন ফজরের নামাজের ফজিলত জোহরের নামাজের ফজিলত আসরের নামাজের ফজিলত মাগরিবের নামাজের ফজিলত এবং এশার নামাজের
ফজিলত এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার চেষ্টা করুন তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আমরা জানবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ স্রষ্টার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা ছোট থেকে বড় এবং যেকোনো মাধ্যমেই বাধ্যতামূলক মুসলিমদের জন্য এবং অনেক ফজিলত রয়েছে তাই আমরা জানবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব কতখানি এটা যতদিন না জানবেন ততদিন নামাজের প্রতি ভক্তি আসবে না তাই গুরুত্ব আগে জানা দরকার যেমন সাঈদ ইবনে মুসাইব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তিনি 40 বছর পর্যন্ত তার ফজরের নামাজ একদিন ও জামাত ছুটেনি নামাজের কথাখানি গুরুত্ব দেখছেন আলী ইবনে হুসাইন বিন আবেদিন যখন সালাতে দাঁড়াতেন
তখন তার শরীর কম্পন শুরু হয়ে যেত এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তুমি কি জানো না আমি কার সামনে দাঁড়িয়ে কথোপকথন করছি এর মাধ্যমেই বোঝা যায় নামাজের গুরুত্ব নবী রাসূলগণরা নামাজের গুরুত্ব সবচাইতে বেশি দিয়ে থাকেন যেমন একবার ইয়াকুব ইবনে ইয়াজিদ বাসরির গায়ে থেকে চাদর চুরি হয়ে গেছিল
তিনি নামাজে এত মগ্ন ছিল গভীরভাবে সে নিজেরও পায় নাই আবার তার চাদর ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এর মাধ্যমে বলা যায় তারা নামাজের কথাখানি গুরুত্ব দিতেন তাই আমাদেরও উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব বোঝা এবং গুরুত্ব দেওয়া।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে যেমন নামাজীরা যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে জামাতের সঙ্গে তাদের জন্য জান্নাতে সম্মানজনক আসন তৈরি করা হবে এবং মর্যাদা সম্পন্ন জান্নাতে অবস্থান করবে নিয়মিত সালাত আদায় করার কারণে আল্লাহ তাআলা নিজেই তাদেরকে হেফাজতে
রাখেন যারা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা নিজেই সফলতা লাভ করার সুযোগ দেয় এবং নামাজের মাধ্যমে আত্মার প্রশান্তি ঘটে এবং পরকালের কাজ কর্মের সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে সালাত রোজের রোজগারের প্রশস্ততা রয়েছে নামাজের মাধ্যমে এবং হাদিস শরীফে
উল্লেখ আছে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করলে যেমন শরীরে কোন ময়লা থাকে না তেমনভাবেই প্রতিনিয়ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে বান্দার সমস্ত গুনাহ আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দেয় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের যতবার চেষ্টা করা হয় প্রতিটা সেজদার কারণে আল্লাহতালা নিজেই
জান্নাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষায় থাকে মসজিদের সাথে তার কলব ঝুলে থাকে এবং সালাত হলো নয়ন ও চক্ষু জড়ানো শীতলকারী এবাদত নামাজের মাধ্যমে ইহকালীন এবং পরকালের জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা দানকারী এবাদত তাই প্রতিদিন সালাত আদায় করতে হবে জামাতের সঙ্গে তবে এই ফজিলত গুলো পাওয়া যাবে।
নামাজ পড়ার নিয়ম
সর্বপ্রথম জায়নামাজে দাঁড়িয়ে একামতের পর পাঠ করতে হয় জায়নামাজে দাঁড়ানোর দোয়া এর পরে নিয়ত করতে হয় এরপরে সোনা পাঠ করতে হয় সানার পরে পাঠ করতে হয় তাআ উজ এরপরে তাসমিয়া পাঠ করতে হয় এরপরে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হয় এবং কুরআনের যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় নামাজ এর পরে রুকুতে যেতে হয়
আরো পড়ুন: কুরআনের বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে জানতে।
এবং রুকুর তাসবীহ পাঠ করতে হয় রুকু থেকে উঠে তাসমি পাঠ করতে হয় এবং তাহমিদ পাঠ করতে হয় এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ পাঠ করতে হয় এবং দুই সেজদার মাঝখানে পাঠ করতে হয় আল্লাহ মাগফিরলে ওয়ারহামনে ওয়ার যুক্কুনি এভাবে এক রাকাত নামাজ হয়ে গেল দ্বিতীয় রাকাতে গিয়ে বৈঠকে পাঠ করতে হয়
তাশাহুদ দরুদ শরীফ এবং দোয়ায়ে মাসুরা যদি ফরজ নামাজ দুই রাকাত হয় তবে এটা প্রযোজ্য আর যদি তিন রাকাত অথবা চার রাকাত হয় তাহলে দুই রাকাতে শুধু তাশাহুদ অথবা আত্তাহিয়াতু পাঠ করে উঠে যেতে হবে এবং শেষের রাকাতে এগুলো পাঠ করতে হবে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও দোয়া
নামাজ হলো ইসলাম ধর্মের একটি প্রধানী ইবাদত নামাজকে এক কথায় বলা হয় বেহেস্তের চাবি কারণ জান্নাতে যেতে হলে নামাজ সর্বপ্রথমে উচ্চ স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এই নামাজকে পাঁচ ওয়াক্তে বিভক্ত করেছে পাঁচটি ওয়াক্ত জামাতের সঙ্গে যে মরার আগ পর্যন্ত কন্টিনিউ করে যেতে পারবে। তার
জন্য জান্নাত নসিব হবে একেবারে সহজে শুধু নামাজ পড়লেই হবে না নামাজের কিছু নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে এবং সুদ ঘুষ খাওয়া যাবে না শুধু ঘুষ খেলে নামাজ হবে না তো চলুন জেনে নেওয়া যাক নামাজের নিয়ত ও দোয়া সমূহ বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
ফজরের নামাজের নিয়ত: দুই রাকাত ফজরের নামাজের নিয়ত গুলা {নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি ফারজুল্লাহ-হি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
জোহর নামাজের নিয়ত: যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের {নিয়তনাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিজ জোহরি ফারজুল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
আসর নামাজের নিয়ত: আসরের চার রাকাত নামাজের নিয়ত সমূহ দেওয়া হল {নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল আছরি ফারজুল্লাহ-হি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
মাগরিব নামাজের নিয়ত: মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত সমূহ{নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল মাগরিব ফারজুল্লাহ-হি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
এশার নামাজের নিয়ত: এশার ফরজ চার রাকাত নামাজের নিয়ত সমূহ {নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল এশা ফারজুল্লাহ-হি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিস শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জেনেছি আরো জেনেছি নামাজ পড়ার নিয়ম এবং সূরা সমূহ এক কথায় বলা যায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিয়ে মূলত আর্টিকেলটি তৈরি করলাম তাই আপনি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে জানতে চান ফজিলত
সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পোস্টটি আপনার জন্যই নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url