গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় - গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক মূল্যবান কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় এবং গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া যাবেনা।
গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায়
এবং আরো জানতে পারবেন কি কি খাবার বেশি খেতে হয় এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা হয় এক কথায় বলা যায় গর্ভাবস্থায় আমাদের কি কি করনীয় সে সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

আমরা অনেকেই জানিনা গর্ভাবস্থায় কিভাবে ডে বাই ডে সুস্থ থাকা যায় এবং কি কি খাবার আমাদের জন্য উত্তম অনেকেরই জানা নেই তাই আছি আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে জানতে পারবো গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় কি খাওয়া যাবে এবং কি খাওয়া যাবেনা গর্ভাবস্থায় খাবার তালিকা এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো


কি কি সেই সম্পর্কেও জানব এক কথা বলা যায় গর্ভাবস্থায় ডে বাই ডে কিভাবে সুস্থ থাকতে হবে এবং কোন খাদ্যগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে এই সকল এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পরার চেষ্টা করুন।

গর্ভাবস্থায় বেশি টক খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি টক খেলে কি হয় এমনটা অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু সর্বপ্রথম বলে দিই টপ জাতীয় খাবারের সঙ্গে গর্ভপাতের কোন যোগাযোগ নেই তবে টক জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং খনিজ আরো থাকে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন এবং মুখরোচক একটি খাবার এ

কারণে খেতে পারেন তবে অতিমাত্রায় খাওয়া যাবেনা কারণ এতে রয়েছে হাইপার এসিডিটির সমস্যা অতিরিক্ত খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তাই যে কোন জিনিসই উপকার বলে অতিমাত্রায় খাওয়া যাবেনা নিয়ম বিধি মেনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায়

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান এই পোস্ট আপনার জন্য অনেক মূল্যবান কারণ সুস্থ থাকার এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন যেমন প্রতিনিয়ত গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্রেকফাস্ট করতে হবে এবং ডায়েটে ফাইবারযুক্ত খাবারগুলো বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করবেন যেমন


শাক সবজি এবং ফলমূল বেশি বেশি খারাপ চেষ্টা করবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এর কারণ পানি হল শরীর সুস্থ রাখার একটি মহা ঔষধ বলে গণ্য করা যায় এবং মধ্যপ্রাণ ও ধূমপান এটা যদি কারো নেশা হয়ে থাকে তবে এটা পরিত্যাগ করতে হবে নয়তো সমস্যা ক্রিয়েট হতে পারে এবং

অলসতা ত্যাগ করতে হবে প্রতিদিন একটু একটু ব্যায়াম করতে হবে নয়তো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং কোন সমস্যা হলে দ্রুত ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে এগুলো করার মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারবেন প্রতিনিয়ত।

গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ চলুন জেনে নেওয়া যায় গর্ভাবস্থায় প্রথম সপ্তাহের দিকে শারীরিক প্রভাবিত হয়ে থাকে তবে সব সময় একই রকম হয়ে থাকে না তবে কিছু কিছু লক্ষণ অনুভব করা যায় সে সকল লক্ষণ অনুযায়ী চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া
  • বমি বমি ভাব বা অস্বস্তি তা ভাব
  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া
  • পায়েখিল ধরা
  • বুক জ্বালাপোড়া করা
  • অনেক ক্লান্ত ক্লান্তি ভাব হওয়া
  • ওজন বেড়ে যাওয়া
  • যেকোনো খাবার খেতে ভালো না লাগা
  • মাঝেমধ্যে কষ্ট কাঠিন্যের মত রোগ হওয়া
  • এবং কিছু কিছু খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া
  • এবং পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হওয়া
এতক্ষণ যেগুলো উল্লেখ করা হলো এগুলো সবগুলো গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ বলে গণ্য করা যায় এ সকল সমস্যা দেখা দিলেই বোঝা যায় সে আসলে গর্ভবতী হয়েছে বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা যায় এসব ফল উপায় গুলোকে

গর্ভাবস্থায় কিছু সংস্কার

অনেকে বলে থাকে যমজ কলা খেলে জমজ বাচ্চা হয়ে থাকে এখনো কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি এর সাপেক্ষে অনেকে বলে থাকে গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা যাবে না কিন্তু এর সাপেক্ষে বলা যায় যে যত ব্যায়াম করা যায় তত শরীরের পক্ষে উপকার কোন যানবাহনে বা প্লেনে ওঠা যাবে না এগুলো সম্পূর্ণ


ভুল যত রকমের কুসংস্কার আছে এগুলো একেবারে ভুল বলে প্রমাণিত কারণ এর কোন এ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাই এগুলো কুসংস্কার বলেই গণ্য করা যায়।

গর্ভাবস্থায় কি খাওয়া যাবে না

চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাদ্যগুলো আমাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং যে সকল খাবার আমাদেরকে খাওয়া যাবে না সে সকল খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেমন প্রথমত খাওয়া যাবে না চা কফি এগুলো খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে তারপরে পানির জাতীয় বা চিজ জাতীয় খাদ্য


থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে চিজ জাতীয় খাদ্য বলতে বোঝানো হয় বার্গারের মধ্য যে চিজ দেওয়া থাকে তা খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পানির বলতে বোঝানো হয় পুরোপুরি কাঁচা দুধ থেকে যে চিজ বের হয় তাকেই পনির বলা হয় তারপরে যেটা থেকে বিরত থাকতে হবে তা হলো কলিজা কলিজাতে

প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ অবস্থায় বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাই ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খেতে হলেও ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাওয়া উচিত অপস্তরিত দুধ অনেকেই কাঁচা দুধ খাওয়ার জন্য সাজেস্ট করে থাকবে কিন্তু এটা কখনোই গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে না তাই প্রস্তুত করে তারপরে দুধ পান করা উচিত কারণ উপস্থিত দুধ পান করার

কারণে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া থাকে তা দেহে আক্রমণ করতে পারে তাই ফুটিয়ে খেতে হবে সর্বশেষ কাচা ডিম অনেকেই সাজেস্ট করে থাকবে কাচা ডিম খাওয়ার জন্য কিন্তু এটা থেকে বিরত থাকতে হবে তাই গর্ভাবস্থায় এই সকল খাদ্য এড়িয়ে চলায় বুদ্ধিমানের কাজ নয়তো দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা।

গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করি এবং চেষ্টা করব কিভাবে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাবার তালিকা সংগ্রহ করবেন এবং নিয়মকানুন মেনে তা পালন করবেন সেই সম্পর্কেই জানাবো তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক তো


নিচে উল্লেখ করা হবে এখন কি কি খাবার এবং কোন কোন মাসে খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এ সকল তথ্য জেনে রাখা অনেক উপকার কারণ এগুলো কাজে দেবে গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য এবং সন্তানের পুষ্টি বাড়ানোর জন্য তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমত দুগ্ধজাত খাবার
  • ফলেট সমৃদ্ধ খাবার
  • গোটা শস্য জাতীয় খাবার
  • ডিম মাছ মুরগি
  • জাতীয় খাবার
  • শাকসবজি এবং বিভিন্ন রকমের ফলমূল খাবার
  • ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার
  • আয়রন জাতীয় খাবার
  • প্রোটিন জাতীয় খাবার
  • আয়োডিনযুক্ত লবণ
  • জিংক এবং ফাইবার জাতীয় খাবার
  • ভিটামিন b6 জাতীয় খাবার
  • ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার
  • কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
  • এবং লাস্ট ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
এখানে যে কয়টি খাদ্য তালিকা উল্লেখ করা হলো এই খাদ্যগুলো খাবারের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের পেটের শিশু সুস্থ থাকবে এবং পুষ্টিহীনতা থাকলে তা পুষ্টি পূরণ হয়ে যাবে তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন উল্লেখিত খাদ্যগুলা।

গর্ভবতী ভাতার অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

আমাদের এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে প্রতিটা গ্রামে দরিদ্র গর্ভবতীদের জন্য এই গর্ভবতী ভাতার বা মাতৃত্বকালীন ভাতা কর্মসূচির অধিনে ভাতা দিয়ে থাকে যে কোন গর্ভবতী মহিলায় ভাতা গ্রহণ করতে পারবে তবে এই ভাতা নেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মাত্র কালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায়

সে সম্পর্কে এভা তা গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মাকে ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে হবে এবং মাতৃকালীন ভাতা প্রকল্পের গর্ভবতী মায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং আপনাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চূড়ান্তভাবে মাতৃকালীন ভাতার জন্য নির্বাচন করা হবে এবং এটার জন্য প্রতি মাসের 1 থেকে 20 তারিখের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে

আবেদন করে আসতে হবে এবং এখন আগের তুলনায় অনেক উপকৃত হয়েছে যেমন অনলাইনে আবেদন করা হয়ে থাকে এর জন্য আপনাকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসে একটি ফর্ম নিয়ে সেটি পূরণ করতে হবে আপনি যদি সঠিকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার চূড়ান্তভাবে মাতৃকালীন ভাতার জন্য নির্বাচন করা হবে।

মাতৃকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত বা তথ্য জানার দরকার

মাতৃকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত আপনাকে পালন করতে হবে এবং কিছু তথ্য জানা থাকা অনেক উপকার যেমন প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার যে সন্তান গর্ভে থাকবে এবং জন্মের দুই বছর পর যদি ওই সন্তান মারা যায় তাহলে তৃতীয়বার গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য মাতৃকালীন ভাতা পাওয়া যাবে এবং দুই

সন্তানের ক্ষেত্রে টোটাল তিন বছর এককালীন মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে পারেন তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মাত্রকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত সমূহ সেই সত্য সমূহ কি কি চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।

১) যে ব্যাক্তি আবেদন করবে তাকে অবশ্যই দরিদ্র হতে হবে

২) এবং গর্ভধারণ হতে হবে প্রথমবার নয়তো সর্বোচ্চ দ্বিতীয়বার

৩) এবং বয়স হতে হবে ২০ বছর

৪) এবং মাসিক ইনকাম হতে হবে ১৫ হাজার টাকার ভেতরে

৫) এবং পরিবারের কারো জমি নেই এবং কারো মাছ চাষের মত পুকুর নেই তাদের জন্য হতে হবে

৬) এবং শেষ কথা আবেদন করার সময় অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে নয়তো হবেনা।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র থাকা লাগবে

  1. গর্ভকালীন সনদ নাগরিক সনদ
  2. পাসপোর্ট সাইজ ছবি দুই কপি
  3. সরকারি ভূমিকা কর্তৃক সনদ
  4. ভোটার আইডি কার্ড
  5. ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড
  6. এবং লাস্ট যদি লাগে স্টিকার কার্ড তাহলে সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে
মূলত এ সকল তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হবে বা সংগ্রহ করে আপনার কাছে রাখতে হবে গর্ভবতী ভাজা পাওয়ার জন্য এই সকল কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে এগুলো না থাকলে কখনোই গর্ভবতী ভাতা পাওয়া সম্ভব হবে না তাই সর্বপ্রথমে কাগজগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে এবং তারপরে আবেদন করতে হবে।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে নিজে গর্ব অবস্থায় সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে এবং আরো জেনেছি ভালোবাসা কি খবর যাবে এবং কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের করনীয় কি কি সে সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছি আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য এতে আপনি এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এবং কোন ভুল ত্রুটি পেলে আমাদের ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন যোগাযোগের ঠিকানা নিচে উল্লেখ করা আছে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url