শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস - শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

আজকে আমরা জানবো শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিস আরো জানবো শবেবরাতের নামাজের নিয়ত ও দোয়া সম্পর্কে আপনি যদি শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার মাধ্যমে জানতে পারবেন শবে বরাত সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য।
শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
শবে বরাতের এমন একটি ফজিলত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাঃ বলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এই রাতে কবরিস্থান জান্নাতুল বাকিতে এসে মৃতদের জন্য দোয়া করতেন এবং আরো বলেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেছেন তাকে একটি ভেড়া বা বকরীর পশমের সমান গুনাগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।

ভূমিকা

আমরা জানবো শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস এবং আরো জানবো শবে বরাত নামাজের নিয়ত ও দোয়া এবং আরো জানব শবে বরাতের আমল ও ফজিলত এক কথায় বলা যায় শবে বরাত সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানবো আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি শবে বরাতের গুরুত্ব বোঝেন এবং জানতে চান


তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করার মাধ্যমে জানতে পারবেন শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।

শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়

শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় শবে বরাতের এই ছয় রাকাত নামাজ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপরে যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় দুই রাকাত নামাজ আদায়ের পর সুরা ইয়াসিন সূরা সূরা ইখলাস ২১ বার তেলাওয়াত করতে হয়।

শবে বরাতের নফল নামাজ

দুই রাকাত ওযুর নামাজ আদায় করতে হয় যেমন সূরা ফাতিহা একবার আয়াতুল কুরসি এবং তিনবার সূরা ইখলাস এর অনেক ফজিলত রয়েছে যেমন প্রতিটা ফোটা পানির বদলে 700 নেকি লেখা হয়ে থাকে এই নামাজের নিয়ম হল প্রতি নামাজে সুরা ফাতেহার সঙ্গে একবার আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে হবে


এবং পুনরাবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করতে হবে সালাম ফেরানোর পর বারবার শরীফ পাঠ করতে হবে এটাই মূলত শবে বরাতের নফল নামাজ পড়ার নিয়ম।

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস উল্লেখ করা আছে নবীজি সাঃ বলেন শবে বরাত হল অর্থ সাবানের রাত এই রাতে আল্লাহতালা নিজে বান্দাদের প্রতি মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে থাকো এবং যে যা চায় তা দেওয়ার জন্যই আল্লাহতালা মনোযোগ পোষণ করে বান্দাদের প্রতি কেউ যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে ক্ষমা করে দেয় অনুগ্রহ প্রার্থীদের

অনুগ্রহ করেন এবং বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন কত সাবানের রাতে আল্লাহতালা তার মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেয় এই অর্ধ সাবানের রাতে।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

শবে বরাতের রাতে রাত জেগে নামাজ পড়তে হয় এই নামাজগুলো সম্পূর্ণ হলো নফল নামাজ এ কথা বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেছেন এই নফল নামাজী যে যত পারব তত পড়ার চেষ্টা করব অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয় এই


নামাজও সেভাবে পড়লেই হবে আলাদা কোন নিয়মও নেই এবং কোন নিয়ত নেই যেভাবে মূলত নফল নামাজ পড়া হয় সেভাবে পাঠ করলেই হবে এবং পড়লেই হবে নামাজ শবে বরাতের দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

শবে বরাতের দোয়া

এর রাত্রি প্রতিটা মুসলমানের জন্য অত্যন্ত উপকারী রাত এ রাতে নফল ইবাদত করলে আল্লাহ তা'আলা তার জীবনের গুনাহ খাতা মাফ করে দেয় এবং এই রজনীতে ইবাদত করলে অনেক সোওয়াব পাওয়া যায় এবং এই রাতে যে দোয়াটি পাঠ করা হয় তা বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলো।

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফু ওয়ান তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি

এর অর্থ: হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল ক্ষমা পছন্দ কর অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও

এছাড়াও কোরআন তেলোয়াত জিকির তসবি পাঠ রোজা রাখা অন্যান্য ফজিলত রয়েছে

শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত

শবে বরাতের কয় রাকাত নামাজ পড়তে হয় এটা কোন নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা নাই তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল নামাজ পড়বে এবং দিনে রোজা রাখার চেষ্টা করবে এবং ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হল নামাজ এবং


ইবাদতের মধ্য সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামাজ পড়তে হবে এটা কোন নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা নাই তাই দুই রাকাত করে যত খুশি ততবার নামাজ পড়তে পারেন কারণ এর কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই যত ইচ্ছা দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করতে পারেন।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

শবে বরাতের নামাজের বাংলা নিয়ত হল আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর নামে আল্লাহ আকবার এই বলেই নামাজ শুরু করবেন নামাজ হয়ে যাবে তবে এই নামাজের নিয়ম হলো সূরা ফাতিহা একবার এবং এর সঙ্গে যেকোনো সুরা মিলিয়ে পড়লেই নামাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

শবে বরাতে রোজা কয়টি রাখতে হয়

শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখতে হয় এবং কিভাবে রাখতে হয় যাদের জানা নেই তাদের জন্য মোস্ট ইম্পোর্টেন্ট এই আর্টিকেলটি কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন ১৫ই সাবান থেকে রাতে তোমরা জেগে জেগে ইবাদত করো এবং পরের দিনে রোজা রাখো এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে

শবে বরাতের একটি নফল রোজা করতে হবে এবং ১৩-১৪ এবং ১৫ তারিখে এই তিন দিন নফল রোজা রাখতে পারেন এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অধিকাংশ রোজা রাখতেন শাবান মাসে সেই জন্যই শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অনেক নেকির কাজ বলে গণ্য করা যায়।

শবে বরাতে আমাদের করণীয়

আরবি শাবান মাসের ১৫ তারিখে অর্থাৎ 14 তারিখ দিবাগত রাত আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান কারণ এ রাতটি বছরে ১ বার আসে তাই এ রাতে আমরা বেশি বেশি ইস্তেগফার করব কেননা এ রাতে আল্লাহ তাআলা নিজে বান্দাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বসে থাকে যেন তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং আল্লাহতালা নিজেই তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়

তাই বেশি বেশি নফল ইবাদত করার চেষ্টা করব এবং ফরজ তো মিস করা যাবে না কেননা ফরজ মিস করলে নফল যা করেছি তাও আমাদের হবে না তাই বেশি বেশি ইস্তেগফার করবো নফল নামাজ পড়বো এবং ফরজ নামাজ পড়বো। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব নিশ্চয়ই আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করবে আমীন।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস এবং আলোচনাটি শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত সম্পর্কে শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত হয় এবং শবে বরাতে আমাদের করণীয় কি এক কথায় বলা যায় শবে বরাত সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিয়েই মূলত আর্টিকেলটি তৈরি তাই আপনি যদি

শবে বরাত সম্পর্কে জানতে চান প্রথম থেকে সম্পূর্ণ পোস্টটি করার চেষ্টা করুন নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন এবং কোন ভুল ত্রুটি পেলে আমাদেরকে জানাতে পারেন নিচে যোগাযোগ করার মাধ্যম রয়েছে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url