দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায় - দাদ এর লক্ষণ

দাদ এবং এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে হলে সঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা সঠিক উপায় এ জানানোর চেষ্টা করব দাদ দূর করার তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং দাদ এর লক্ষণ সম্পর্কেও জানতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে।
দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাদ থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া টেকনিক অবলম্বন করতে হবে যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং যে সকল দ্রব্যগুলো দাদ এর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

ভূমিকা

আজকে আমরা জানবো দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং আরো জানবো দাদ এর লক্ষণ কি কি সে সম্পর্কে আরো জানবো পুরাতন এর চিকিৎসা শরীরের বিভিন্ন জায়গার দাদ দূর করার এ টু জেড তথ্য নিয়ে মূলত আমরা এই আর্টিকেলটি তৈরি করলাম তাই আপনি যদি দাউদের আক্রমণে অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য


অনেক মূল্যবান তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক দাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং এর লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ রোগ না ধরতে পারলে তার যতই ঔষধ খান কোন কাজে দেবে না তাই আমাদেরকে এই টেকনিকগুলো কাজে লাগানো উচিত।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ

দাদ হলে কি কি খাবার গুলো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে চলুন জেনে নেয়া যাক কারণ দাউদ হল শরীরের এমন একটি ফাংগাল প্রবলেম যা চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে এবং নানা ধরনের সমস্যা ক্রিয়েট করতে পারে তাই দাদ হলে যে খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে সে খাবারগুলো হল বেগুন

কচু মাংস শুকনো মাছ এবং ফুলকপি এই খাদ্যগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে যদি আপনার দাদ হয়ে থাকে বা চুলকানি তাহলে এই খাদ্যগুলো থেকে আপনাকে বিরত থাকতেই হবে নয়তো বড় ধরনের সমস্যা ক্রিয়েট করতে পারে এই খাদ্যগুলো।

দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায়

কিছু ঘরোয়া টেকনিকে আপনি দূর করতে পারবেন দাদ তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া টেকনিক এবং ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি যেমন বিশেষজ্ঞদের মতে ছত্রাকের কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে তাই আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে এর থেকে মুক্তি পেতে পারি যেমন কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত নিচে দেখুন।


হলুদ: ক্ষতস্থানে হলুদ গুড়ার সাথে পানি মিশিয়ে ফ্যাট তৈরি করে সেই ক্ষতস্থানে দিলে এন্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে এবং সেই ক্ষতস্থানটি দ্রুত ভালো করতে সহায়তা করে।

লবণ পানি: প্রতিদিন লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে আলতোভাবে মুছতে হবে এভাবে কয়েকদিন করলে দ্রুত ক্ষতস্থান টি ভালো হয়ে যাবে

অ্যালোভেরা: এলোভেরাতে রয়েছে প্রচুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ফাক গার্ল যা দাদের চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে এবং ভালো ফল পেতে কয়েক দিন অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন এর থেকে মুক্তি পাবেন।

নারকেল তেল: নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে ক্ষতস্থানটিতে দিলে দ্রুত শোষণ করে এবং ক্ষতস্থান টি শুকাতে সহায়তা করে

আপেল সাইডার ভিনেগার: এই ভিনেগারটি তুলাই নিয়ে ক্ষতস্থানটিতে দিনে কয়েকবার দিলে দ্রুত ভালো করতে সহায়তা করে ক্ষতস্থানটি

এবং আরো কিছু উপাদান: যেমন রসুন ঘৃতকুমারী রস লবণ জাল এবং পেঁপে এগুলো অনেক কার্যকরী দাউদের ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করতে কাজ করে থাকে এই সকল উপাদানগুলো।

দাদ কেন হয়

দাউদ কেন হয় এর মূল ব্যাখ্যা হলো সাধারণত যেকোনো ছত্রাকের কারণে এই দাদ হয়ে থাকে যে স্থানে আলো বাতাস পাই না ভেজা এবং স্যাতসেতে হয়ে থাকে সেই সব জায়গাতে এই ছত্রাক জন্ম নেয় এই দিক দিয়ে বোঝা গেল যেকোনো নোংরা জামা কাপড় অথবা কারো ব্যবহার করা অপরিচ্ছন্ন জামা কাপড়ের মাধ্যমে দাউদ হয়ে থাকে।

দাদ এর লক্ষণ

দাদ এর লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন চলুন তা জেনে নেওয়া যাক অনেকগুলা মাধ্যম রয়েছে এর লক্ষণ বোঝার জন্য কয়েকটি লক্ষণ এখানে উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত জেনে নিন যেমন দাদ হলে সর্বপ্রথম যে লক্ষণটি দেখা যায় চামড়ার উপর গোলাকার ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে চাকার মতো সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং খুশখুসে হয় এবং কখনো দানা ভর্তি


এবং চুলকানি সৃষ্টি করে মাথায় হলে আক্রান্ত স্থানের চুল পড়ে যায় শরীরে হলে সাদা ও গোল চাকার মত হয় নখে হলে অসহ্য ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং সে ক্ষতস্থানটি চুলকালে কসের মতো কিছু করতে থাকে এগুলো যদি আপনার ভেতরে দেখা যায় তাহলে মনে করবেন এটা দাদ হয়েছে এগুলো লক্ষণসমূহ বলে গণ্য করা যায়।

দাদ কিভাবে ছড়ায়

কয়েকটি মাধ্যমে এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে যেমন কারো শরীরে এই রোগ হয়ে থাকলে সেই ক্ষতস্থান যদি কারো গায়ে ঘেসে যায় তবে সেই ক্ষতস্থান থেকে রস যদি কারো গায়ে যায় তবে তারা এই রোগ হবে এবং সাধারণত কিছু কারণ হলো ঘামে ভেজা শরীর অপরিষ্কার থাকার কারণে এবং রোগের কোন কিছু

ব্যবহার করার মাধ্যমে যেমন জামা কাপড় বা অন্যান্য কিছু এবং সবচাইতে বেশি ছড়িয়ে থাকে রোগাক্রান্ত পোষা বিড়ালের মাধ্যমে তাই এই সকল পশুপাখি থেকেও বিরত থাকবেন নয়তো এই সমস্যা গুলো আপনারও হতে পারে।

দাদ হলে কি খাওয়া উচিত

দাদ হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায় ওই চ্যাপ্টারটি পড়ে নিতে পারেন কারণ ওখানে যেগুলো ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সেগুলো দাদ ভালো করতে খেতে পারেন এবং বেশি পুষ্টিকর খাবার গুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন


এবং যেগুলোতে আপনার অ্যালার্জি অথবা দাদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সে খাদ্যগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ভালো কিছু খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন তবেই দ্রুত এর থেকে মুক্তি পাবেন।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

বাজারে বিভিন্ন রকমের কোম্পানির বিভিন্ন রকম মলম পাওয়া যায় এই এন্টিফাঙ্গাল মলম গুলোর ভিতর কয়েকটি মলম আছে সবচাইতে উপকারী এবং যে মলমগুলো দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে বলে থাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সেই মলমগুলো হলো ই কোন জাল ফ্লুকোনাজাল এগুলো সব বাদ দিয়ে সবচাইতে উপকারী মলম হলো।
  1. পেভিসন ক্রিম
  2. এবং ফাঙ্গিসন ক্রিম
এই দুইটি ক্রিম এবং মলম দাউদের জন্য সবচাইতে উপকারী মলম বলে গণ্য করা যায় যে কোন স্থানে ব্যবহার করার মাধ্যমে কয়েক দিনে আপনার দাউদের ক্ষত দূর করে দেবে তাই এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যাবে কখনোই না আক্রান্ত স্থানে কখনোই সাবান অথবা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না এতে জটিল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে তাই সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসা নিয়ে তারপরে ভালো হলে ব্যবহার করতে পারবেন তার আগে যদি ক্ষত অবস্থায় থাকে তাহলে কখনোই এগুলো ব্যবহার করবেন না

নয়তো বড় ধরনের সমস্যা ক্রিয়েট হতে পারে কারণ দাদ হল একটি ছত্রাক জনিত রোগ এটি মূলত অপরিষ্কার হওয়ার কারণে হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন কারণে হতে পারে তাই এর থেকে মুক্তি পেতে উপরের চ্যাপ্টারগুলো করুন নয়তো বড় ধরনের সমস্যা ক্রিয়েট হতে পারে এখানে ভালো করার এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা

দাউদের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা কি কি চলুন জেনে নেয়া যায় এখন মূলত সবচাইতে ভালো ঔষধ সেবনের মাধ্যমেও দাদ ভালো হয় না এটা মূলত ভালো হয়ে থাকে সবচাইতে ভালো কার্যকরী মাধ্যম হলো ক্রিম অথবা লোশন সেই ক্রিম গুলো কি কি চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন লিওলে জল ক্রিম ফাঙ্গি

ডাল ক্রিম ফাঙ্গি ট্যাক ক্রিম এবার কোনা জল ক্রিম এবং অক্সিফান লোশন এই ক্রিম এবং লোশন এর মাধ্যমে মূলত এখন দাদ ভালো হয়ে থাকে কোন ঔষধ কাজ করে না তাই এই লোশন এবং ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন দ্রুত ভালো হতে সহায়তা করবে।

দাদ হলে আমাদের করণীয় কি

আমাদেরকে যেটা করা লাগবে সেটা হল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে নয়তো বড়সড় ধরনের কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে সেজন্য সংক্রমিত স্থানগুলো স্পর্শ করা থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে এবং যদি স্পর্শ করেন কোন ক্ষেত্রে তবে সাবান দিয়ে সুন্দর করে হাত ধরে নিতে হবে এবং ক্ষতস্থানটি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে

পরিষ্কার এবং শুষ্ক কাপড় দিয়ে সব সময় পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন এবং যার এই রোগ হবে তার কোন ব্যবহার করার জিনিস কেউ যেন ব্যবহার না করে এ সকল নিয়মগুলো মেনে চললেই দ্রুত এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তাই এগুলোকে অবহেলা না করে নিয়ম মেনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করুন।

সর্বশেষ কথা

আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেছি দাদ দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং দাদ এর লক্ষণ কি আরো জেনেছি দাদ হলে আমাদের করনীয় কি এবং আরো জেনেছি দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় দাউদ সম্পর্কিত বা দাদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আমরা জানতে পেরেছি এই পোস্টের মাধ্যমে

তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করার জন্য তাহলে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবে এবং আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে যদি কোন ভুল ত্রুটি পেয়ে থাকেন বা ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url