গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় - অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়

আজকে আমরা জানতে চলেছি গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আরো জানবো গ্যাস্টিকের খাদ্য কি কি গ্যাস্ট্রিক হলে কোন কিছু ভালো লাগে না পেট সবসময় ভরা ভরা লাগে এবং নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাই কিছু ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে হলে আমাদের সাথে থাকুন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়
এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করুন তাহলে গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন গ্যাস্ট্রিকস খাবারের মাধ্যমেও হয়ে থাকে আবার খাবারের মাধ্যমেই ভালো হয়ে থাকে তাই চলুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গুলো।

ভূমিকা

আছে আমরা জানতে চলেছি গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যেমন গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় গ্যাস্ট্রিকস এর খাদ্য সম্পর্কে আরো জানব চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় আরো জানবো গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো কি কি এবং গ্যাস্ট্রিকের কারণে কি কি সমস্যা দেখা দেয় সে সম্পর্কেও আমরা জানব এই পোস্টটির মাধ্যমে তাই আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের


সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য গ্যাস্ট্রিক কে গ্যাস্ট্রিক কত প্রকার এবং গ্যাস্টিকের কারণ এবং এর থেকে প্রতিকার এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন বিস্তারিত নিচে দেখুন।

গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ

গ্যাস্টিকের লক্ষণ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরাই সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে তো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অনেক সময় নাও বোঝা যেতে পারে বা এর কোন আবির্ভাব নাও বোঝা যেতে পারে তবে যদি অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে থাকে


তবে কয়েকটি লক্ষণ বুঝতে পারবেন যেমন পেট ফুলে যাবে অটোমেটিকলি এবং খিদে কমে যাবে অল্প খাদ্যতেই পেট ভরা ভরা মনে হবে পেট জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিবে বদহজমের সমস্যা দেখা দিবে ঘন ঘন হেঁচকি উঠবে এবং ঘনঘন পেট খারাপ হবে পেটে এবং পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিবে

এগুলোই মূলত গ্যাস্টিকের লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা যায় তাই যদি আপনার এই সকল সমস্যা দেখা দেয় তাহলে মনে করবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে এবং এর থেকে প্রতিকার পেতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়

আপনি এই পোস্টটি দেখছেন মানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন নিশ্চয়ই তাই আজকে আমরা জানাতে চলেছি চিরতরে গ্যাস দূর করার কিছু উপায় এবং টেকনিক সম্পর্কে যে টেকনিকগুলো অবলম্বন করে আপনি চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো যদি আপনার মাঝে

এই লক্ষণগুলো থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আপনার গ্যাস হয়েছে এবং এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আমরা কিছু টেকনিক অবলম্বন করব যা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল সেই উপায়গুলো অবলম্বন করে চিরতরে গ্যাস দূর করতে পারবেন বিস্তারিত নিচে দেখুন।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়

এখন কার যুগে প্রায় মানুষেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে থাকে কেননা তারা ভাল মন্দ খাওয়ার খাওয়া বাদে তারা বেশিরভাগ খেয়ে থাকে মসলা জাতীয় খাবার আর মসলা জাতীয় খাবার খেলে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অত্যন্ত বাড়তি হয়ে যায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সারতে আপনারা বেছে নেন বেশিরভাগ ওষুধ।


তো আমরা জানতে চলেছি কিভাবে ওষুধ বাদ দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারেন এবং এবং এসিডিটি থেকে বাঁচতে আপনার কি কি করণীয় করা লাগবে তা জেনে নিন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় একটি অস্বস্তিকর সমস্যা যার হয় সেই জানে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।

শসা: শসার উপকারিতা সম্পর্কে আমি নিজে প্রমাণস্বরূপ কারণ আমার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিল অনেক বেশি নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে এখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেবারে পালিয়ে গিয়েছে শসা খেলে পেটের ভিতর ঠান্ডা থাকে আর পেট ঠান্ডা থাকা মানে গ্যাসের সঙ্গে যুদ্ধ করা পেটের গ্যাস হল গরম জাতীয় দ্রব্য শসা খাওয়ার ফলে তা ঠান্ডা হয়ে যায়।

কলাও কমলা: কলা ও কমলার উপকারিতা না বললেই নয় কলা ও কমলা খাওয়ার ফলে পাকস্থলী অতিরিক্ত সোডিয়াম গুলোকে ধুয়ে মুছে একেবারে ফ্রেশ করে দেয় হলে গ্যাস বলে আমি বাড়ি গেলাম মানে গ্যাস পালানোর দেশে পায় না কলা ও কমলা খাবার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ থেকে বাঁচা যায় রোজ বাসে পেটে দুটি করে কলা খান আর তার ফল নিজেই দেখুন।

আদা: আদা একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য তবু এটার উপকারিতা অনেক বেশি এটিতে অত্যান্ত বেশি পরিমাণের এন্টি ইনফ্লেমেটরি থেকে থাকে তাই যেকোনো ধরনের পেট ফাঁপা বা পেটের গ্যাস ঠিক সমসাকে দূর করে দেয় আদা কুচি কুচি করে লবণ দিয়ে খেতে পারেন আদা বা মধুর সাথে আদার রস মিশ্রণ করে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে।

ডাবের পানি: হজম শক্তির উৎস বলা হয় ডাবকে কারণ ডাবের পানি খেলে যে কোন খাদ্য খাবার পরে তা হজম করতে সাহায্য করে এবং বেশি বেশি ডাবের পানি খাওয়ার ফলে যে কোন গ্যাসের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয় ডাব এবং আরো যে সকল সমস্যার কারণে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে সে সকল খাবার বা নিয়মগুলো ত্যাগ করে ফেলুন।


কারণ গ্যাস থেকে বাঁচার উপায় অতটা কঠিন নয় এবং গ্যাস থেকে যে বাঁচতে পারবেন না এমনটাও না তাই আপনার নিজের চেষ্টায় পারে আপনার গ্যাস থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে এবং চেষ্টা করবেন মসলা জাতীয় খাবার খেয়ে পরিহার করতে এবং আসছি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খান এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে বাই বাই বলে টাকাগুলো সাশ্রয় করুন করুন আপনার কষ্টের উপার্জিত ইনকামের টাকা।

অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সেই ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনি গ্যাস দূর করতে পারবেন খুব সহজেই তবে এর পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে পারেন যেমন অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করবেন চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন অতিরিক্ত গ্যাস হলে পেটেজ্বালাপোড়া করে সেজন্য

হালকা ভাবে পেট মাসাজ করতে পারেন এতে জ্বালাপোড়া একটুটা কমবে এবং অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনি একটু শান্তি পাবেন মাসাজের মাধ্যমে এরপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন না পানি একটু গরম করে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করুন তাহলে অতিরিক্ত গ্যাস হলে তা কমাতে সহায়তা করবে বেশি বেশি হাঁটাচলা

এবং ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন যদিও সমস্যা হবে তবে অতিরিক্ত গ্যাস হলে তা কন্ট্রোলে আনবে এবং বেশি বেশি ফাইবারযুক্ত খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং ওপরে কিছু খাদ্যর কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেমন ডাবের পানি কলা শশা এগুলো খাওয়ার মাধ্যমেও দ্রুত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই গ্যাসের সমস্যায় বুকে থাকে কেউ কেউ গ্যাসের কারণে ট্যাবলেট ক্যাপসুল খেয়ে থাকে এভাবে করতে করতে তাদের এমন অভ্যাস হয়ে গেছে ওষুধ না খেলে গ্যাস ভালোই হয় না গ্যাস ওষুধের কারণে ভালো হয়ে গেলেও তা কিছুক্ষণের জন্য চিরস্থায়ী না তো চলুন জানা যাক সকালে কি খেলে গ্যাস থেকে বাঁচা যায়।


এবং খাদ্য তালিকায় কি কি খাদ্য রাখলে তা আমাদের শরীরে পুষ্টি যোগাবে এবং গ্যাস থেকে চিরতরে মুক্তি দেবে আমরা বেশিরভাগ যখন খাওয়ার পর বিশ্রাম নিতে যায় তখন পাকস্থলীতে সেই সকল খাদ্য জমা হয়ে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে তৈরি হয়ে থাকে গ্যাস জাতীয় দ্রব্য গ্যাস থেকে বাঁচতে হলে কিছু খাদ্য তালিকা।
  • রসুন
  • বেশি বেশি পানি
  • শসা
  • কলা ও
  • কমলা
  • এবং ডাবের পানি
রসুন: প্রতিদিন সকালে এক কোয়া করে রসুন খেতে পারলে আপনার শুধু পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যায় না অনেক লোক আছে তাদের ব্রণের সমস্যা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় এগুলো ভালো করতে রসুন অনেক কার্যকরী একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য খেয়াল রাখবেন বেশি খাওয়া যাবেনা বেশি খেলে লাভ এর চাইতে ক্ষতি হয়ে যাবে বেশি চেষ্টা করবেন এক কোয়া করে খেতে।

পানি: পানি খাওয়াই লাগবে কারণ পানি না খেলে তো বাঁচতে পারবেন না তবে পরিমাণ মতো আর টাইম মতো পানি খেতে পারলে তা পেটের গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে যেমন প্রতিদিন সকালবেলায় বাসে ফেটে একগ্লাস করে পানি খেতে পারলে তা চিরতরে গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে কারণ পানিতে পেট ঠান্ডা করে রাখে।

শসা: শসার উপকারিতা সম্পর্কে আমি নিজে প্রমাণস্বরূপ কারণ আমার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিল অনেক বেশি সকাল বেলায় নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে এখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেবারে পালিয়ে গিয়েছে শসা খেলে পেটের ভিতর ঠান্ডা থাকে আর পেট ঠান্ডা থাকা মানে গ্যাসের সঙ্গে যুদ্ধ করা পেটের গ্যাস হল গরম জাতীয় দ্রব্য শসা খাওয়ার ফলে তা ঠান্ডা হয়ে যায়।

কলাও কমলা: কলা ও কমলার উপকারিতা না বললেই নয় সকালবেলায় কলা ও কমলা খাওয়ার ফলে পাকস্থলী অতিরিক্ত সোডিয়াম গুলোকে ধুয়ে মুছে একেবারে ফ্রেশ করে দেয় হলে গ্যাস মানে গ্যাস পালানোর দিশে পায় না সকাল বেলায় কলা ও কমলা খাবার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ থেকে বাঁচা যায় রোজ বাসি পেটে দুটি করে কলা খান আর তার ফল নিজেই দেখুন।

ডাবের পানি: হজম শক্তির উৎস বলা হয় ডাবকে কারণ ডাবের পানি খেলে যে কোন খাদ্য খাবার পরে তা হজম করতে সাহায্য করে এবং বেশি বেশি ডাবের পানি খাওয়ার ফলে যে কোন গ্যাসের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয় ডাব এবং আরো যে সকল সমস্যার কারণে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে সে সকল খাবার বা নিয়মগুলো ত্যাগ করে ফেলুন।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়

গ্যাস্টিক হলে যে সকল সমস্যা দেখা দেয় এবং তার লেগেই থাকে তাহলো বমি বমি ভাব হওয়া হালকা মাথা ব্যথা করা বদহজম হজম শক্তি কমে যায় মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে এবং বুক জ্বালাপোড়া করে এবং খিদে পেলে খাওয়ার সময় বুক জ্বালাপোড়া করে গলায় মনে হয় কিছু আটকে আছে এবং গা-হাত-পায়ে প্রচুর ব্যথা এবং এর পাশাপাশি

নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এ সকল সমস্যা দেখা গেলে সতর্ক হয়ে যেতে হবে নয়তো এর থেকে বড় কিছু হতে পারে তাই গ্যাস্ট্রিক কে কখনোই অবহেলা করা যাবে না তৎক্ষণিকভাবে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে এবং যদি অল্প সল্প হয় তাহলে উপরে উল্লেখ করা আছে সেই নিয়ম মেনে চললেই গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে পারবেন।

গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে ফলের উপকারিতা

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার একটি উৎস হল ভাজাপোড়া আর এটি নিরাময় করতে ফলের উপকারিতা অনেক অবদান রাখে যেমন কাঁচা ফল খেলে দেহে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তেমনি গ্যাসের সমস্যাও দূর করে প্রতিদিন কাচা ফল খেতে পারলে চিরতরে গ্যাস পালিয়ে যাবে যাইতে মধ্যে কয়েকটি

ফল উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যেমন কলা ডাব শসা আরও ইত্যাদি ইত্যাদি পুষ্টিকর ফল আছে সেই ফলগুলো খাওয়ার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে পারবেন।

গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে লেবুর রসের উপকারিতা

লেবুর কথায় যদি আসা যায় তাহলে এটি অতুলনীয় একটি পুষ্টিগুণ মাত্রার চিকিৎসার একটি ফল বলা যায় কারণ লেবুর রস খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় পেট ফাঁপা থাকলে তা সেরে যায় অতি দ্রুত প্রতিটি ডাক্তারের পরামর্শ নিলে তারা আগেই যে পরামর্শটি দিবে সেটি হল লেবু খাওয়া কারণ লেবুর

উপকারিতা অনেক বেশি এটা মূলত গ্যাস্ট্রিক দূর করতে অতুলনীয় কাজ করে থাকে লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিতে ভরপুর এবং বদহজমের সমস্যা থেকে সবচাইতে ভালো কার্যকরী এই হিসেবে কাজ করে থাকে লেবুর রস তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে লেবুর রস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয়

অনেকে আছে গ্যাস হলে পেট ফেপে যায় তাদেরকে মোটা না হলেও মোটা দেখায় এবং কারো কারো অনেক মেদ ভরে থাকে তাদের পেট আরো ফেপে যায় গ্যাসের কারণে এবং অতিরিক্ত গ্যাস হলে বুকে জ্বালাপোড়া করে প্রচুর এবং মনে হয় গলায় কিছু আটকে আছে এবং খেতে গেলে অরুচি লাগে এবং বুক এবং পিঠ ব্যথা করে বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়

আরো ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত গ্যাস হলে তাই উপরে উল্লেখিত নিয়ম-কানুন মেনে যদি আপনার অতিরিক্ত গ্যাস না কমে তাহলে তৎক্ষণিকভাবে ডক্টরের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন নয়তো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে তবেই ঔষধ সেবন করবেন।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার

গ্যাস্টিক সমস্যা দূর করতে হলে আপনাকে যে সকল খাদ্যগুলো আগে পরিত্যাগ করতে হবে তাহলে যে কোন মসলা জাতীয় খাদ্য ত্যাগ করতে হবে এবং তরকারিতে মসলা বেশি খাওয়া যাবেনা এবং খাবার লিস্টে ভাজা জাতীয় খাদ্য কমিয়ে দিতে হবে তাহলে গ্যাস দূর করতে পারবেন খুব সহজে চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্টিক দূর করার খাবারের লিস্ট তালিকা সমূহ।

দই: দই খেলে খাবার হজমের শক্তি যোগায় নিয়মিত দই খেতে পারলে আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে দুপুরে খাবার সময় যে কোন খাদ্য খাওয়ার পর অল্প একটু টক দই খেয়ে নিতে পারেন তবে টক দই খাওয়ার সময় চিনির বদলেও একটু বিট লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার অনেক উপকার হবে তাড়াতাড়ি গ্যাস্ট্রিক দূর হবে।

রসুন: প্রতিদিন সকালে এক কোয়া করে রসুন খেতে পারলে আপনার শুধু পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যায় না অনেক লোক আছে তাদের ব্রণের সমস্যা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় এগুলো ভালো করতে রসুন অনেক কার্যকরী একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য খেয়াল রাখবেন বেশি খাওয়া যাবেনা বেশি খেলে লাভ এর চাইতে ক্ষতি হয়ে যাবে বেশি চেষ্টা করবেন এক কোয়া করে খেতে।

আদা: আদা একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য তবু এটার উপকারিতা অনেক বেশি এটিতে অত্যান্ত বেশি পরিমাণের এন্টি ইনফ্লেমেটরি থেকে থাকে তাই যেকোনো ধরনের পেট ফাঁপা বা পেটের গ্যাস ঠিক সমসাকে দূর করে দেয় আদা কুচি কুচি করে লবণ দিয়ে খেতে পারেন আদা বা মধুর সাথে আদার রস মিশ্রণ করে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার হবে।

লেবু: লেবুর কথায় যদি আসা যায় তাহলে এটি অতুলনীয় একটি পুষ্টিগুণ মাত্রার চিকিৎসার একটি ফল বলা যায় কারণ লেবুর রস খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় পেট ফাঁপা থাকলে তা সেরে যায় অতি দ্রুত প্রতিটি ডাক্তারের পরামর্শ নিলে তারা আগেই যে পরামর্শটি দিবে সেটি হল কারণ লেবুর উপকারিতা অনেক বেশি।

শসা: শসার উপকারিতা সম্পর্কে আমি নিজে প্রমাণস্বরূপ কারণ আমার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ছিল অনেক বেশি নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে এখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেবারে পালিয়ে গিয়েছে শসা খেলে পেটের ভিতর ঠান্ডা থাকে আর পেট ঠান্ডা থাকা মানে গ্যাসের সঙ্গে যুদ্ধ করা পেটের গ্যাস হল গরম জাতীয় দ্রব্য শসা খাওয়ার ফলে তা ঠান্ডা হয়ে যায়।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আরো জেনেছি অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে আরো জেনেছি গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার সম্পর্কে অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয় সে সম্পর্কে গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে ফলের উপকারিতা এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে লেবুর রসের উপকারিতা সম্পর্কে সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সে সম্পর্কেও জানিয়েছে এক কথায় বলা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছি আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য তাহলে গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারবেন তখন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url