বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন - ছাত্রদের ৯ দফা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হল একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন এবং বাংলাদেশের প্রতিটা শিক্ষার্থীর কোটা আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কিত তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
এ আন্দোলনে অনেকে আহত হন এবং নিহত হন কেউ শহীদ হয়ে যান শুধুমাত্র কোটা আন্দোলনের কারণে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেতৃত্বে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এটাই হল স্টুডেন্ট পাওয়ার।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানতে চলেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং আরো জানতে চলেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কত তারিখে গঠিত হয় এবং ছাত্রদের নয় দফা গুলো কি কি সে সম্পর্কে আরো জানব ছাত্রদের ১১ দফা গুলো কি কি সে সম্পর্কেও আপনি যদি ছাত্র আন্দোলন কিসের জন্য এবং কিভাবে
সাক্সেস হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করুন তাহলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানতে পারবেন বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ছাত্র আন্দোলন কত কত সালে হয়েছিল
ছাত্র আন্দোলন মূলত কত সাল থেকে শুরু হয়েছিল এটা অনেকের জানা নেই তাদের জন্য এই আর্টিকেল তৈরি করলাম চলুন জেনে নেয়া যাক ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য বিস্তারিত দেখে নিন যেমন ৯০ এর দশক থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়ে আসছে যেমন ১৯৮৩ এবং 84
সালের দিকে অনেক ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে নিহত হয়েছে সেই থেকে এই পর্যন্ত আন্দোলন থেমেছিল এবং ২০২৪ সালে এসে আবার শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন এবং এ আন্দোলনটি ছিল কোটা বাতিলের পক্ষে কিন্তু সরকার তা মেনে নেয় না এর ফলে আন্দোলনটি আরো ভয়াবহ রূপ নেয়
এবং এই আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থীরা নিহত হন এবং শেষ পর্যন্ত তারা জয় লাভ করে সাত পাঁচ দু হাজার চব্বিশ সরকার পদত্যাগ করে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
আসলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এটা কি তা এখনো যারা না জানেন তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি কারন আমরা সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক যেমন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হল বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের
একটি সংগঠন বা কোটা আন্দোলন বলে দাবি করা হয় সর্বপ্রথম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল কোটা আন্দোলন নিয়ে এরপরে আস্তে আস্তে যখন গোটা আন্দোলন মেনে না নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষন করা হয় তখন শিক্ষার্থীদেরআন্দোলনটি আরো বেশি শুরু হয়ে যায় এবং কোটা আন্দোলনের পরে
নয় দফা দাবি করে শিক্ষার্থীরা এর মধ্য তাও মেনে নেয়া হয় না এবং চার দফা এরপরে শিক্ষার্থীরা দাবি করে এক দফা যে দাবিটি ছিল সরকারের পদত্যাগ এবং এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জয় লাভ করে এটাকেই মূলত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলে গণ্য করা যায় আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির তালিকা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির তালিকা সম্পর্কে জানতে হলে ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করব তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন ৬০ থেকে ৬৫ ছাত্র আন্দোলন কমিটির তালিকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৬৫ সদস্যের একটি সমন্বয়ক
কমিটি গঠন করা হয় এবং তালিকা উল্লেখ করা হয় তবে পরবর্তীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কমিটির তালিকা আরও বড় হয়ে যায় কারণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তারা জয় লাভ করতে সক্ষমতা লাভ করে এবং এই দিনটিকে তারা বিজয়ের দিন বলে ঘোষণা করে
এবং তারা অনেক উল্লাস করে এবং অনেকেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়ে যায় এবং অনেকেই আহত হয়ে যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে আরো জানতে ওপরে এবং নিচে সম্পন্ন পুষ্টি পড়ার চেষ্টা করুন তাহলে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন।
ছাত্রদের ৯ দফা
ছাত্রদের নয় দফা দাবিতে নানা ধরনের সমস্যা ক্রিয়েট করে তুলেছিল সরকার যেমন পুলিশ র্যাব বিজিবি এবং সেনাবাহিনী নিযুক্ত করেছিল ছাত্রদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের গণহত্যা চালিয়েছিল জনগণের উপরে এবং শিক্ষার্থীদের উপরে এই কোটাবিরোধী আন্দোলনে
কিছু শিশুদেরও জান গেছে এবং শত শত শিক্ষার্থীরা নিহত হয়েছে এবং এই নয় দফা বাতিলের জন্য এতগুলো নিরীহ জান নিয়েছে সরকার এবং বিভিন্ন ধরনের হয়রানি নির্বিচার গ্রেফতার এগুলো প্রতিনিয়ত হয়ে এসেছে এবং এর কিছুদিন পরে যেমন ১৬ থেকে ১৭ দিনের মাথায় সরকার পদত্যাগ
করে শিক্ষার্থীদের কাছে হার মেনে নিয়ে এবং সবকিছু তারপরেই দেশের ক্ষমতা যায় সেনাপ্রধানের কাছে এবং এর পরেই মোহাম্মদ ডক্টর ইউনুস কে সরকার পদ দেওয়া হয় এবং সারাদেশের দায়িত্ব তুলে নেয় ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্রদের ১১ দফা গুলো কি কি
ছাত্রদের ১১ দফা গুলো কি কি ছিল যদি আপনার জানা না থাকে চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন 11 দফার মধ্যে ১১ টি দফা কি কি ছিল চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- যত কারাগারে আটক ছাত্র শ্রমিক কৃষক রাজনৈতিক কর্মী সকলের মুক্তির আবেদন
- এবং বিভিন্ন রকমের ঋণ মওকুফ এবং যেকোনো পণ্যের দাম কমানো
- পাক মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিল করুন
- শ্রমিকদের ন্যায্যমজুরি তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া
- সিন্ধু প্রদেশ শহর সব প্রদেশে স্বায়ত্তশাসন প্রদান যুক্তরাষ্ট্র গঠন করা
- নিরাপত্তা আইন এবং বিবর্তন মূলক আইন প্রত্যাহার করা
- প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা
- ব্যাংক বীমা ইন্সুরেন্স পাঠ ব্যবসা সহ সব বিরোধী শিল্পের জাতীয়করণ করা
- শিক্ষা এবং শিল্প সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করা
- স্বায়ত্তশাসন এর দাবি মেনে নেওয়া
- এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রদত্ত কাঠামো তৈরি করা
এখানে ১১ টি দফা উল্লেখ করা হলো এগুলো ১৯৬৮ সালের শেষ দিকে একটি ১১ দফা বলে গণ্য করা হয় তখনকার ১১ দফা দিয়েই শুরু হয়েছিল ছাত্র আন্দোলন।
৪ দফা দাবি গুলো কি কি
চার দফা দাবি গুলো কি কি যাদের জানা নাই তাদের জন্য খুব সহজেই জানানো হবে এই পোষ্টের মাধ্যমে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক সেই চার দফা গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত হচ্ছে দেখুন।
- বিভিন্ন সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া
- নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা
- সামরিক আইন গুলো প্রত্যাহার করা
- এবং যে গণহত্যাগুলা হয়েছিল তার তদন্ত করা
এখানে চারটি দফা উল্লেখ করা হলো যে কথাগুলো শিক্ষার্থীরা করেছিল চার দফা বলে গণ্য করা হয় কিন্তু এই চার দফা ও মেনে নেওয়া হয়েছিল না।
৭ই মার্চের ভাষণ কি ছিল
৭ই মার্চের ভাষণ ছিল ৪ দফা দাবি যাও ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তা উপরে উল্লেখিত চ্যাপ্টারটি পড়ে নিতে পারেন ওখানে স্পষ্ট চারটি দফা উল্লেখ করা হয়েছে তাই এক্সট্রা ভাবে আর উল্লেখ করলাম না দয়া করে উপরে চ্যাপ্টারটি পড়ে নিবেন।
এক দফা দাবি কি কি ছিল
অনেকের জানা নেই যে এক দফা দাবিটি কি ছিল তো চলুন জেনে নেয়া যাক এক দফা দাবিতে আসলে কি ছিল যখন শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন করে কিন্তু সরকার তা মেনে নেয় না তার কিছুদিন পরেই অনেক স্টুডেন্ট নিহত হয় এবং ছাত্ররা আরো আন্দোলন শুরু করে কিন্তু তাও সরকার মেনে নেয় না
এর পরেই এক দফা দাবি রাখে ছাত্রছাত্রীরা এবং সেই এক দফা দাবিটি ছিল সরকারের পদত্যাগ এবং আন্দোলন শুরু থেকে ১৬ থেকে ১৭ দিনের মাথায় সরকার পাওয়া যায় ত্যাগ করে এটাই মূলত এক দফা দাবি বলে গণ্য করা যায় এবং এই এক দফা দাবি বাস্তবায়িত হয় সরকার পদত্যাগের মাধ্যমে।
ছাত্র আন্দোলন
ছাত্র আন্দোলনের বাংলাদেশের অনেকেই নিহত হন এবং আহত হন এবং সর্বশেষে সরকার পদত্যাগের মাধ্যমে এ গণহত্যা থেমে থাকে এবং দেশে প্রশাসন না থাকায় প্রতিটা শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাজ করে যাচ্ছে যেমন কোথাও গন্ডগোল হলে তারা মীমাংস করছে রাস্তাঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখছে বিভিন্ন
বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছে এবং বাংলাদেশের আন্দোলন শুরু হয়েছে পাকিস্তান ছাত্র আন্দোলন এবং ইন্ডিয়াতেও শুরু হয়েছে আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলনে বাংলাদেশ একটি দীর্ঘশ্বাস পেয়েছি।
সর্বশেষ কথা
আজকে আমরা জেনেছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে আরো জেনেছি ছাত্রদের ৯ দখাগুলো কি কি ছিল সেই সম্পর্কেও ছাত্রদের সাথে মার্চের ভাষণ কি ছিল এবং চার দফা কি ছিল এবং ১১ দফা কি ছিল এক কথায় বলা যায় ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছি তাই আপনি যদি না
জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি করার জন্য তাহলে ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন যদি কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকে আমাদেরকে ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং এতক্ষণ থাকার জন্য আমাদের সাথে আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url