বৃষ্টির পানির উপকারিতা ও অপকারিতা - বৃষ্টির পানির গুনাগুন

বৃষ্টির পানিতে প্রচুর পরিমাণে মানব দেহের জন্য উপকার লুকিয়ে আছে আমরা বৃষ্টির পানি সম্পর্কে হয়তো বা অনেকেই জানেনা তাই বৃষ্টির পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যদি জানতে চান এবং বৃষ্টির পানির গুনাগুন সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

কারণ এখানে বৃষ্টির পানি সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরব তাই আপনি যদি বৃষ্টির পানি সম্পর্কে জানতে চান কি কি উপকার আছে মানবদেহে তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে পানি সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন।

আজকে আমরা জানতে চলেছি বৃষ্টির পানির উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আরও জানব বৃষ্টির পানির গুনাগুন সম্পর্কে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি বৃষ্টির পানি কি বিশুদ্ধ সেই সম্পর্কেও জানব বৃষ্টির পানি কি খাওয়া যায় এবং বৃষ্টির পানি কতদিন সংরক্ষিত করে রাখা যায় সে সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় পানির উপকারিতা থেকে অপকারিতা পর্যন্ত

এ টু জেড তথ্য আমরা জানবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তাই আপনি যদি পানি সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে বৃষ্টির পানি সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।

বৃষ্টির পানি সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় বৃষ্টির পানি কি খাওয়া যায় সে সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে তাহলে আর্টিকেলটি দেখে নিন এক নজর বৃষ্টির পানি খাওয়া যায় কারণ বৃষ্টির পানি 99% বিশুদ্ধ বলে গণ্য করা যায় বৃষ্টির পানি খেতে পারবেন এতে অনেক উপকার রয়েছে তবে এই পানি টি ফিল্টার করে

তারপরে খেতে হবে কারণ বৃষ্টি যখন জমিনে পড়ে তখন বাতাসে ভেসে থাকা কিছু জীবাণুর কারণে বা ধুলাবালুর কারণে সেই পানিটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই ফিল্টার করে খাওয়ার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টি পাবেন এবং উপকার পাবেন তবে যদি এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে না খাওয়াটাই উত্তম নয়তো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমরা জানবো বৃষ্টির পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যে কোন জিনিসেরই উপকার যেমন রয়েছে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন ক্ষতিকর দিক তাই যে কোন কাজ বা যে কোন জিনিস খাওয়ার দিক দিয়ে বা যে কোন কাজ করার দিক দিয়ে আমাদেরকে মাথায় রাখা উচিত যেন যেকোনো জিনিসই অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়ে যায় নয়তো

এর উপকারের চাইতে অপকার হবে বেশি বৃষ্টির পানির প্রচুর উপকারিতা রয়েছে যা আপনার মানব দেহের জন্য অত্যন্ত কার্য করি তেমনভাবেই এটা অতিমাত্রায় হয়ে গেলে এক কথায় বৃষ্টির পানি অতিমাত্রায় ব্যবহার করলে এর ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই সবকিছু মাথায় রেখে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করা উচিত বিস্তারিত নিচে দেখুন।

বৃষ্টির পানি অনেকগুলো উপকার রয়েছে যেমন ভেজার দিক দিয়ে বৃষ্টির পানি খাওয়ার দিক দিয়ে বিভিন্ন রকম ভাবে বৃষ্টির পানির উপকারিতা রয়েছে অনেকেই বলে থাকে ভেজার মাধ্যমে সর্দি কাশি হতে পারে কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ভিজলেও এর উপকার রয়েছে বৃষ্টির পানির উপকারিতা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এ আঁটিকেলটি আপনার জন্য বিস্তারিত নিচে দেখুন।

এখানে কিছু বৃষ্টির পানির উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো আপনি যদি বৃষ্টির পানি সেবন করেন অথবা বৃষ্টিতে ভেজেন তাহলে এই সকল উপকার গুলো মিলবে এ সকল সমস্যা থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে বৃষ্টির পানির ব্যবহার করুন এই সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার জন্য এবং এতগুলি উপকারের জন্য।

বৃষ্টির পানির অপকারিতা এতক্ষণ আমরা জেনেছি বৃষ্টির পানির উপকারিতা সম্পর্কে এবার জানব বৃষ্টির পানির অপকারিতা সম্পর্কে যে কোন জিনিসই অতিমাত্রায় করলে তা ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে যেমন ১৪ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা বৃষ্টির পানিতে এটা উপকার এবং তার বেশি হয়ে গেলে জ্বর সর্দির কাশি হতে পারে এবং বিশুদ্ধ বলে

গণ্য করা গেলেও কিছু কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখেছে বৃষ্টির পানিতে পি এফ এএস এরকম একটি রাসায়নিক পাওয়া যাচ্ছে যা একটি ভয়ানক এবং ক্ষতিকর যা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রভাব ফেলতে পারে এতে শিশুদেরকে যে টিকা দেয়া হয়ে থাকে সে টিকা কাজ করে না শিশুদের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে

কারণ এখন চারিদিকে শহরগুলো দূষিত হয়ে থাকে সেই দূষিত হওয়ার কারণে আকাশ থেকে যখন বৃষ্টি পড়ে তখন সে বৃষ্টির পানি তে সেই রাসায়নিক দ্রব্য মিশে যায় এক্ষেত্রে কিছু গবেষকরা বৃষ্টির পানি খেতে মানা করেছে রাসায়নিক টি এফ এ এস এর রাসায়নিক একবার যদি শরীরের ভেতর প্রবেশ করে তবে তা আর বের হয় না সেজন্যই গবেষক রা

মানা করেছে বৃষ্টির পানি খাওয়া এখন আর নিরাপদ নয় তাই সতর্কতা মেনে চলা কেই বলে বুদ্ধিমানের কাজ এবং গোসল করলে উপকার আছে কিন্তু অতিরিক্ত করলে তার ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে যেমন সর্দি কাশি জ্বর ইত্যাদি।

বৃষ্টির পানির উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি তেমনভাবেই জানবো বৃষ্টির পানির কিছু গুনাগুন সম্পর্কে গুণাগুণ এবং উপকারিতা মূলত একই বললেই ধরা যায় যেমন বৃষ্টির পানিতে আমরা অনেকেই ভিজতে পছন্দ করি তবে অনেকেই জানিনা যে বৃষ্টির পানি খাওয়া যায় কিনা তা ওর উপরে উল্লেখ করা আছে দেখে নিতে পারেন

বৃষ্টির পানির অনেকগুলো গুনাগুন রয়েছে যেমন অজম শক্তি বাড়ায় এবং এসিডিটির সমস্যা থাকলে তা দূর করে শরীরে কোন ঘামাচি থাকলে তা দূর করতে সহায়তা করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে কারণ বৃষ্টির পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যালকালাইন উপাদান তবে এই গুনাগুন পেতে বৃষ্টির পানি ফিল্টার করতে হবে।

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে যদি জানতে চান এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান চলুন জেনে নেয়া যাক যেমন বৃষ্টি শুরু হলেই অনেকে পানি সংগ্রহ করেন এটা মোটেও ঠিক নয় কারণ দূষিত পানি অজান্তেই আপনি সংরক্ষণ করছেন এর সঠিক নিয়ম হলো পানি শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পর সে পানি সংগ্রহ করা যেমন কোন একটি ট্যাংকে

অথবা যে কোন মাধ্যমে মাটির নিচে একটি ট্যাংক তৈরি করে সেখানে সংরক্ষণ পদ্ধতি চালু করতে পারেন এবং এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে যেন পানিটি বিশুদ্ধ থাকে এই ট্যাংকের সঙ্গে বিশুদ্ধ করার জন্য ফিল্টার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন এটা সবচাইতে উত্তম হবে তাই এরকমভাবে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে সব থেকে বিশুদ্ধ পানি পাবেন।

বৃষ্টির পানি কত দিন সংরক্ষিত করে রাখা যায় এটা আপনার সংরক্ষিত করে রাখার ওপর নির্ভর করে যেমন মাটির নিচে ট্যাংকের মাধ্যমে যদি রাখেন তাহলে দুই দিনের বেশি না রাখাটাই উত্তম হবে কারণ মশাতে বাসা বাঁধতে পারে কারণ দূষিত পানিতে মশা দ্রুত বাসা বাঁধে এবং আপনার বৃষ্টির পানি সংরক্ষিত ব্যবস্থা যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে ৬ থেকে ৭ দিন

রাখতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন শৈবাল অথবা মশার উপদ্রব না থাকে এগুলো দেখা দিলে সেই পানি ফেলে দিতে হবে আর এগুলো থেকে যদি নিরাপদে রাখতে পারেন তাহলে 6 থেকে সাত দিন রাখতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই তবে বৃষ্টির পানি ফিল্টার না করে ব্যবহার করা ঠিক হবে না তাই ফিল্টার করে তারপরেই ব্যবহার করবেন।

বৃষ্টির পানিতে কোন এসিড থাকে কি এসিড থাকে সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির পানিতে মূলত এসিড থাকে কিনা আমাদের অনেকেরই জানা নেই বৃষ্টির পানিতে অল্প পরিমাণ এসিড থাকে সেই এসিড হলো এসিডিক অ্যাসিড যা কোন ক্ষতিকর দিক

হয়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্যই পানি ফিল্টার করে সেবন করতে বলা হয়ে থাকে এবং বৃষ্টির পানিতে ভিজলে সাবান দিয়ে গোসল করতে বলা হয়ে থাকে মূলত এসিড থাকার কারণে এবং বিভিন্ন রকমের বায়ু দূষণে বৃষ্টির পানি দূষিত হতে পারে সেই কারণে ফিল্টার করে ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে।

বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন থাকে সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ বৃষ্টির পানিতে কি কি এবং কোন ভিটামিন রয়েছে তা সঠিক উপায়ে জানতে চোখ রাখুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে বৃষ্টির পানিতে মূলত ভিটামিন বি থেকে থাকে তবে অল্প পরিমাণের এবং কিছুটা অণুজীব থাকার কারণে

এই দুইটার মিশ্রনে তৈরি হয়ে থাকে ভিটামিন বি ১২ যা আমাদের মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী যা আপনি বৃষ্টির পানিতে ভেজার মাধ্যমেও গ্রহণ করতে পারেন এবং বৃষ্টির পানি ফিল্টার করে তা ব্যবহার করতে পারেন এবং বৃষ্টির পানিতে ভিটামিনের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে যা উপরে উল্লেখ করা আছে দেখে নিতে পারেন।

বৃষ্টির পানি কি বিশুদ্ধ সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আমরাই জানাবো বৃষ্টির পানি কি বিশুদ্ধ সে সম্পর্কে নির্ভুলভাবে তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক বৃষ্টির পানি আসলেই বিশুদ্ধ তবে যতক্ষণ আকাশের উপরে থাকে যখনই বৃষ্টির পানি আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে শুরু করে তখন বিভিন্ন কারণে পানি দূষিত হয়ে যেতে পারে

যেমন বায়ু দূষণের কারণে ধুলা ধোয়া রাসায়নিক পদার্থ যা বৃষ্টির পানি দূষিত করতে পারে এইরকম ভাবে বিভিন্ন কারণে বৃষ্টির পানি দূষিত হতে পারে তাই যতই ভালোভাবে সংগ্রহ করুন না কেন বৃষ্টির পানি ফিল্টার করে বিশুদ্ধভাবে খাওয়াটা উত্তম নয়তো দূষিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ফিল্টার করে ব্যবহার করুন।

আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি বৃষ্টির পানির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আরো জেনেছি বৃষ্টির পানির গুনাগুন সম্পর্কে বৃষ্টির পানি কি বিশুদ্ধ বৃষ্টির পানি কি খাওয়া যায় বৃষ্টির পানি কতদিন সংরক্ষিত করে রাখা যায় বৃষ্টির পানিতে কোন এসিড থাকে বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন থাকে এক কথায় বলা যায় বৃষ্টির পানি সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে

এই আর্টিকেলটি তৈরি হয়েছে তাই আপনি যদি বৃষ্টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য তাহলে বৃষ্টির পানি সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।