টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত - টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
আজকে আমরা জানবো টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং আরো জানবো টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ কি কি হয়ে থাকে যেমন টাইফয়েড জ্বর সাল মনে লা টাই ফি নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই ব্যাকটেরিয়া গুলোর কারণে রক্তস্বল্পতার মত অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে থাকে।
তাই আমরা টাইফয়েড জ্বর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখবো আপনি যদি টাইফয়েড সম্পর্কে আরো জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ভূমিকা
প্রত্যেকটা মানুষের মানুষের সবচাইতে উষ্ণ মন থাকে তখন যখন সে সুস্থ থাকে তাইতো আমরা টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ কি এবং টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে টাইফয়েড জ্বর কিছু আছে এইরকম যত প্রশ্ন আছে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে উত্তর দিয়ে যাব
আশা করি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন তবেই তো জানতে পারবেন টাইফয়েড সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক টাইফয়েড জ্বরের সঙ্গে কিভাবে ফাইট করে তা ভালো করা যায় এক কথায় টাইফয়েড সম্পর্কিত ভালো থেকে অনেক ভালো পর্যন্ত কিভাবে টিকে থাকা যায় তা জানিয়ে দেবো বিস্তারিত নিচে দেখুন।
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
অনেকেই এরকম প্রশ্ন করে থাকেন যে টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি কারণ সঠিক উপায় এবং সঠিক তথ্য দিয়ে আমরাই আপনাদের সাহায্য করবো তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক টাইপের কতদিন থাকে এই রোগটি মূলত এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়তে থাকে এটি মূলত ভালো হতো
তিন থেকে চার সপ্তাহ লেগে যেতে পারে তবে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনার জ্বর ভালো হয়ে গেলেও ডক্টর যে ওষুধ দেবে তাদের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে এটা মূলত ঔষধ সেবন করলে ১৪দিনের ডেট দিয়ে থাকে এবং ইনজেকশন এর মাধ্যমে ভালো করতে চাইলে এর চাইতে কম সময়ে ভালো করা সম্ভব তবে ইনজেকশন
একটু খরচ বেশি এবং ওষুধের মাধ্যমটি একটু খরচ কম এটাই দুটা পার্থক্য রয়েছে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ১৪ দিনের আগে জ্বর ভালো হয়ে গেলেও যে অ্যান্টিবায়োটিক দিবে তা ১৪ দিনে খাওয়া বাধ্যতামূলক নয়তো আবা হয়ে যেতে পারে টাইফয়েড জ্বর।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত
টাইফয়েড জ্বর হলে যে সকল খাদ্য বেশি বেশি খাওয়া উচিত তার ভেতরে সবচাইতে ভালো হলো বেশি বেশি পানি খাওয়া বা পানি জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে কারণ টাইফয়েড জ্বর হলে পানি শূন্যতা দেখা দেয় সবচাইতে বেশি শরীরে তাই ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদের নিয়ম মেনে ওষুধ সেবন করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খাওয়ার
আরো পড়ুন: পুষ্টিকর ফলের তালিকা সম্পর্কে জানতে
চেষ্টা করতে হবে যেমন বেশি বেশি পানি পান করা ডাবের পানি পান করা এবং বিভিন্ন রকম ফলের জুস পান করা এবং ঘি মাখন মিষ্টি আলুর দই খেজুর এরকম পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খেতে হবে তাহলেই দ্রুত টাইফয়েড জ্বর থেকে রেহাই পাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সেবন করাও আপনাদের জন্য জরুরী।
টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে
আপনার প্রশ্ন কি টাইফয়েড জ্বর কিছু আছে এরকম তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই কারণ আমরা জানাবো সঠিক উপায়ে যে টাইফয়েড জ্বর কি ছোয়া আছে নাকি ছো আছে না তা বিস্তারিত জানতে পারবেন কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক টাইফয়েড জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগের মত টাইফয়েড জ্বর সংক্রমনের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে
আরও পড়ুন: শরীর দুর্বল হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে জানতে
যেমন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন টাইফয়েড জ্বর সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য এর জন্য আপনাকে প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরে পড়তে হবে টাইফয়েড জ্বর কি ছু আছে এটার উত্তর হল হ্যাঁ ছোঁয়াচে রোগ হলো টাইফয়েড জ্বর তাই বি কেয়ারফুল।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
টাইফয়েড জ্বর নিয়ে কখনো অবহেলা করবেন না কারন এটি কোন সাধারণ জ্বর না তাই একটু সতর্কতা অবলম্বন করবেন টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ কি কি অনেকেরই হয়তো বা জানা নেই তো চলুন খুব সহজেই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- কিছুক্ষণ পর পর জ্বর আসবে এবং জ্বর ভালো হয়ে যাবে
- মাথাব্যথা করবে
- ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে
- পেট ব্যথা দেখা দিতে পারে
- প্রচন্ড দুর্বলতা এবং ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব হবে
- বুক অথবা পেট গোলাপি গোলাপি ভাব হবে
- এবং খোদা মন্দা সমস্যা দেখা দেবে
আপনার মধ্যে যদি এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষণিক ডক্টরের পরামর্শ নিন এবং ডক্টরের কাছে যান কারণ এই সমস্যাগুলো শুধুমাত্র টাইফয়েড জ্বরের ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ হয়ে থাকে তাই কখনো অবহেলা করবেন না এবং ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া কোন রকম ঔষধ সেবন করবেন না তাই দ্রুত নিকটস্থ ডক্টরের কাছে পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা করুন।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়
টাইফয়েড জ্বরকে কখনো হেলায় ফেলাবেন না কারণ এটি যেমন তেমন জ্বর নয় তাই একটু সতর্কভাবে চলার চেষ্টা করবেন যেমন টাইফয়েড হলে রেগুলার গোসল করা যাবে না মাঝেমধ্যে করতে পারেন এবং জ্বর কমানোর জন্য হালকা হাতে পানি দিয়ে হালকা করে গায়ে দিতে পারেন এবং চুলটা হাতের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিতে পারে এবং মাঝেমধ্যে
জলপট্টি ব্যবহার করে জ্বর কমাতে পারেন তবে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভেজানো ন্যাকড়া দিয়ে শরীর মুছলে জ্বর ভালো হয়ে যেতে পারে অতি দ্রুত এবং খেয়াল রাখবেন ডক্টরের অনুমতি ছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে কখনোই গোসল করা যাবেনা তাই সর্বপ্রথম ডক্টরের পরামর্শ নিবেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী স্টেপ বাই স্টেপ চলার চেষ্টা করবেন।
টাইফয়েড প্রতিরোধে কি কি করা উচিত
সর্বপ্রথম পানির মাধ্যমেই যেহেতু এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে এবং পানির মাধ্যমেই তা ভালো হয় যেমন টাইপ হয়ে রোগীদের বেশি বেশি করে পানি পান করতে বলা হয় তবে প্রাণীটি হতে হবে বিশুদ্ধ পানি ফুটিয়ে পান করলে তার বিশুদ্ধতা বজায় থাকবে এবং সব সময় চেষ্টা করতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকার জন্য খাবার আগে ভালো করে
হাত মুখ ধুয়ে নিতে হবে এক কথায় ব্যবহারকৃত যাবতীয় জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে খাবার সঠিকভাবে রান্না করতে হবে এবং ভালো করে গরম করে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে কাঁচা দুধ জাতীয় খাবার না খাওয়া এবং যেকোনো বাইরের খাবার খাওয়ার আগে যাচাই করে নিতে হবে তা বিশুদ্ধ আছে কিনা এবং যেকোন খাবার যেমন
ফল জাতীয় খাবার ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তারপরে খেতে হবে এবং অনেকে আছে যারা টাইফয়েড জ্বর হলে যে কোন ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে সেবন করেন এটা একেবারেই ঠিক নয় সর্বপ্রথম ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে এবং তারপরে ওষুধ সেবন করতে হবে এটাই পারফেক্ট নিয়ম এই নিয়মগুলো মেনে চললে টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার কয়দিন পর টাইফয়েড জ্বর ভালো হয়
টাইফয়েড জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা শুরুর পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এ রোগটি ভালো হয়ে যায় তবে এটা নির্দিষ্ট কোন অ্যান্টিবায়োটি ক সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে থাকে তবে এটি সম্পূর্ণ ভালো করতে হলে 14 দিনের ঔষধ শেষ করতে হবে সাত দিনে ভালো হয়ে গেলে আপনি ওষুধ সেবন বন্ধ করে দিলে
এ সমস্যাটি আবার দেখা দিতে পারে যেমন টাইফয়েড জ্বর আবার হতে পারে তাই সম্পূর্ণ ঔষধ সেবন করতে হবে ১৪দিনের এর ভেতরে যদি না ভালো হয়ে থাকে তাহলে যে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেছেন তার কাছে গিয়ে আবার যোগাযোগ করতে হবে তাহলে খুব শীঘ্রই আশা করা যায় টাইফয়েড জ্বর ভালো হয়ে যাবে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয়
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয় এরকম অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে তো চলুন খুব সহজেই জেনে নেয়া যাক তারপর জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয় সেই সম্পর্কে টাইফয়েড জীবাণু থাকে যে সকল সে সফল জীবাণুগুলা বিভিন্ন গ্লান্ডে যেমন বিশেষ করে মস্তিষ্কে আক্রমণ করে থাকে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গের বিকলাঙ্গ হয়ে যায় যা আর কখনো সেরে ওঠেনা
এবং চুলের সমস্যা দেখা দিতে পারে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া চুল ওঠার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতি হলে স্মৃতি শক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা মস্তিষ্কে প্রদাহ পিত্তথলিতে সংক্রমণ নিউমোনিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে করার মতো কিছু হওয়া স্নায়বিক সমস্যা এছাড়াও কেড়ে নিতে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টাইফয়েড জ্বর থেকে বাচার উপায়
আমরা অনেকেই জানি না টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি করা উচিত তাদেরকেই সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলে টাইফয়েড সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করুন কারণ টাইফয়েড জ্বর কে কখনও অবহেলা করবেন না টাইফয়েড জ্বর থেকে বাঁচতে
সর্বপ্রথম নিকটস্থ কোন ডক্টরের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে ওষুধ সেবনের এ টু জেড তথ্য উপরে উল্লেখ করা হয়েছে উপরে আপনারা দেখে নিতে পারেন খুব সহজেই তাহলে টাইফয়েড জ্বর থেকে বাঁচার উপায় জানতে পারবেন।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত এবং টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ এবং টাইফয়েড জ্বর থেকে বাঁচার উপায় টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে এবং এন্টিবায়োটিক সেবন করার কয়দিন পর ভালো হয় এক কথায় বলা যায় টাইফয়েড সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে
আপনি যদি টাইফয়েড রোগী হয়ে থাকেন বা টাইফয়েড সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্যই তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়ার জন্য তাহলে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন টাইফয়েড জ্বর সম্পর্কিত এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url