কাচা হলুদ এর উপকারিতা - রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
কাঁচা হলুদ প্রতিটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা জাতীয় উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন এটা হয়তোবা অনেকেই জানেনা যে কাঁচা হলুদের উপকারিতা কি কি এবং আপনি কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার এবং বিভিন্ন উপাদানের সাথে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
কাঁচা হলুদ যেমন আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে তেমন ভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁচা হলুদ অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে কাঁচা হলুদ ব্যবহারে।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানতে চলেছি কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে এবং আরো জানবো রূপচর্চা দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার কাঁচা হলুদ মুখে লাগানোর উপকারিতা এবং কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় এক কথায় বলা যায়, কাঁচা হলুদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা হলো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
আরো পড়ুন: ওসুধি গাছ গাছড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
আপনি যদি কাঁচা হল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক মূল্যবান এবং কাঁচা হলুদের উপকার জানলে আপনার আরো উপকার হবে তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পরার জন্য বিস্তারিত নিচে দেখুন।
কাঁচা হলুদ মুখে লাগানোর নিয়ম
হলুদ প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনী একটি উপাদান এটি যেমনভাবে তরকারিতে ব্যবহার করা যায় তেমনভাবে রূপচর্চার জন্য এটা অতুলনীয় কাঁচা হলুদের রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টি ফাঙ্গাস এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং রান্নাতে সাধ নিয়ে আসে তাই হলুদের কোন তুলনা নেই
আরো পড়ুন: ফেসিয়াল করার এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে জানতে
রূপচর্চা এবং তরকারিতে দেয়ার ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে গরমে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হলুদ লাগালে তার রোদ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায় আমরা অনেকেই জানি যে হলুদ শুধুমাত্র ভালো ভালো মেনুর রান্না তৈরি করতে ব্যবহৃত করে থাকে কিন্তু কাঁচা হলুদ মুখে লাগানোর অনেকগুলো ভালো দিক রয়েছে যেমন যাদের মুখে
ব্রণ থাকে বা ফুসকুড়ির মত কিছু বের হয় তাদের জন্য কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী যেমন ব্রণ দূর করতে পাতিলেবুর রসের সাথে শসার রস এবং হলুদ বাটা মিশিয়ে নিতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দিলে ব্রণ দ্রুত শুকিয়ে যাবে এবং ব্রণের দাগ দূর করতে এই ফ্যাটের সঙ্গে নারিকেল তেল বা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।
কাচা হলুদ এর উপকারিতা
আজকে আমরা জানবো কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে এতদিন আমরা শুধু জানতাম কাঁচা হলুদ বা হলুদ ব্যবহার হয় শুধুমাত্র তরকারির ক্ষেত্রে কিন্তু দেহের জন্য কতটা উপকারী এবং রূপচর্চার জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে আমরা জানবো রূপচর্চা সম্পর্কে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে এখন আমরা
জানবো কাঁচা হলুদের শরীরের জন্য উপকারিতা কি কি সেই সম্পর্কে যেমন কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না বলে দেখার মত ছাপ পরতে দেয় না হজমের সমস্যা থাকলে তা দূর করে দেয় এবং আরো রয়েছে কাঁচা হলুদের উপকারিতা তা বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ভাঙ্গাহার জোড়া লাগাতে সাহায্য করে হারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ হারের ক্ষয় প্রতিরোধ করে মেনো পজের সময় হারে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় সেগুলো থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব হয় কাঁচা হলুদের মাধ্যমে মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের খারাপ স্মৃতি জমা থাকলে মস্তিষ্কের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে থাকে কাঁচা হলুদ
ফুড ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা থাকলে কাঁচা হলুদের মাধ্যমে সেই সকল ব্যাকটেরিয়া গুলো মারতে সাহায্য করে বিভিন্ন রকমের খাবারের ভেজাল থাকার কারণে বিভিন্ন রকমের সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে কাঁচা হলুদ তাই কাঁচা হলুদের কোন তুলনা নেই অতুলনীয় একটি মসলা জাতীয় দ্রব্য।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা হলুদ খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে তবে কেউ কেউ কাঁচা হলুদ খেতে পারে না বা খেতে সমস্যা হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম হলো চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে চা খেতে পারে যখন যখন চা খাবেন তখন তখন এক চা চামচ হলুদের রশ মিশিয়ে খেতে পারেন তবে সবচাইতে উপকার হবে চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে তাই
আরও পড়ুন: ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে
যারা চিবিয়ে খেতে পারবেন তারা চেষ্টা করবেন চিবিয়ে খাওয়ার জন্য এবং এটি খেতে হবে সকালে খালি পেটে সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচাইতে ভালো হবে এবং বাসি পেটের খাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে আর কিছু খাবেন না এভাবে কয়েক দিন খেলে নিজেই তফাতটা বুঝতে পারবেন তাই এই নিয়মগুলো অবলম্বন করে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ কারন হলুদের রয়েছে অ্যান্টিইন ফ্লেমেটরি সহ অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে তাই কাঁচা হলুদের সাথে কাচা দুধ একত্রে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন এবং পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এতে করে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে এবং ব্রণের সমস্যা থাকলে তা দূর করবে দুধ সুষম খাদ্য বলে গণ্য করা যায়
দুধেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম প্রোটিন এবং ল্যাকটিন অ্যাসিড যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং কাঁচা হলুদের সাথে ব্যবহার করলে আরো উপকারী ত্বকের জন্য ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায় তাই রূপচর্চায় দুধ এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন:
কাঁচা হলুদের রস কতটুকু খাওয়া উচিত
কাঁচা হলুদের রসের বা কাঁচা হলুদের অনেক গুনাগুন রয়েছে সেটা ভেবে যদি আপনি অনেক খেয়ে ফেলেন তাহলে ভালো হওয়ার চাইতে খারাপ হবে বেশি তাই যে কোন জিনিসই অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ঠিক নয় সবকিছুই লিমিটেডের মধ্য খেতে হবে কাঁচা হলুদের রস মূলত ২৫০ মিলিগ্রাম এর বেশি খাওয়া যাবেনা এর চাইতে বেশি খেলে
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ২৫০ মিলিগ্রাম কাঁচা হলুদের রস রাখতে পারেন প্রতিটা নির্দেশ এবং নিয়ম-কানুন মেনে চলার মাধ্যমে সোহেল স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে পারবেন উপকার বলে বেশি খেতে যাইয়েন না নয়তো অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই এই নিয়মগুলো মেনে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত
কাঁচা হলুদ মূলত সবচাইতে খাওয়া উত্তম হলো সকাল বেলা সকালবেলায় খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে বিভিন্ন রকমের উপকার পাওয়া যায় যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ইতিমধ্যে উপরের চ্যাপ্টার গুলো দেখে নিতে পারেন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা কাঁচা হলুদ সকালবেলায় বাসে পেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকে এই সকল সমস্যা এবং এ সকল উপকারের কারণে যত রকমের সমস্যা আছে সমাধান মিলবে কাঁচা হলুদ সকাল বেলায় খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে তাই এই টেকনিকগুলো অবলম্বন করে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়
কাঁচা হলুদ খেলে যে সকল ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলো স্বাস্থ্যের উপকারী সব খনিজ লবণ দেহের শোষণ করে নেয় কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত কিডনিতে স্টোন সমস্যা দেখা দিতে পারে বেশি কাঁচা হলুদ খেয়ে ফেললে পেটের গোলমাল বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সব সময় যে কোন জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ঠিক নয়।
ছোটদেরকে কাঁচা হলুদ খাওয়ানোর উপকারিতা
কাঁচা হলুদের উপকারিতা সকলের জন্যই একই রকম তবে যে কোন জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ালে তা সকলের জন্যই হতে পার হয়ে দাঁড়াবে তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ছোট শিশুদের যদি সর্দি কাশি হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে খাওয়ালে তা ভালো হয়ে যায় তবে কাঁচা হলুদ খাওয়াতে হবে পরিমাণমতো অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিবে
যেমন উপরে উল্লেখ করা আছে বড়দের যেমন সমস্যা হবে ছোটদেরও তেমনি সমস্যা হবে অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খাওয়ার মাধ্যমে কাঁচা হলুদের বিভিন্ন রকমের উপকার রয়েছে যেমন ত্বক উজ্জ্বল করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে পোকামাকড়ের কামড়ে ঘা এর মতো হলে কাঁচা হলুদ এবং মধু দিলে তা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ মুখে দিলে চেহারা হয় উজ্জ্বল এবং লাবণ্যমান এবং নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ একসঙ্গে ফ্যাট তৈরি করে খাওয়ার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে নিয়ম এবং হলুদ একত্রে মিশিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শক্তি বৃদ্ধি করবে ক্যান্সারের মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করবে নিম এবং হলুদ একত্রে মিশিয়ে
খেলে ঠান্ডা এবং সর্দি লাগলে নিম গোলমরিচ মধু এবং কাঁচা হলুদ একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন অনেক উপকারী একটি উপাদান নিয়মিত নিম পাতা এবং হলুদ বাটা একত্রে মিশিয়ে মুখে দেওয়ার মাধ্যমে চেহারা যেমন লাবণ্যময় হবে তেমনি চেহারাতে যদি ব্রণ থাকে তা দূর করতে সাহায্য করবে এবং ব্রণের দাগ থাকলেও তা দূর করতে সাহায্য করবে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আরও জেনেছে রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার আরো যেন সে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় সে সম্পর্কে কাঁচা হলুদ কখন খাওয়া উচিত এবং কাঁচা হলুদের রস কতটুকু খাওয়া উচিত এক কথায় বলা যায়, কাঁচা হলুদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রূপচর্চা থেকে শরীরের উপকার পর্যন্ত এ টু জেড তথ্য তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য তাহলে কাঁচা হলুদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারে এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url