আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম - আকিকা দেওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই আকিকা দিয়ে থাকি কিন্তু আকিকা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা তেমনটা নাই তো চলুন জেনে নেয়া যাক যাদের ধারণা একেবারে কম তাদের জন্য শিশুর জন্মের ৭ দিনের মাথায় এবং 14 তম দিনে অথবা ২১তম দিনে এই আকিকা দেওয়া উত্তম এবং আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম হ্যালো কাঁচা গোশত অথবা রান্না করা গোস্ত বন্টন করতে হয়।
আকিকার গোস্ত মূলত গরিব দুখী থেকে নিজের আত্মীয়-স্বজন সকলেই খেতে পারবে একটি শিশু জন্মের ৭ দিন পরে তার নামকরণের জন্য আকিকা দেয়া হয়ে থাকে আকিকা দেওয়ার কারণ হলো সে সুস্থ থাকবে এবং তার নামকরণ করা হবে এই আকিকার মাধ্যমে।
ভূমিকা
আজকে আমরা আকিকা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানবো যেমন আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম আকিকা দেওয়ার নিয়ম ঈদের দিন আকিকা দেওয়া যাবে কি আকিকার মাংস কারা খেতে পারবে না কোরবানি না করে আকিকা করা যাবে কি এক কথায় বলা যায় আকিকা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এই পোস্টটির মাধ্যমে
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা কোরবানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য তাহলেই আকিকা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন অনেকেই এখনো আছে যারা আকিকা সম্পর্কে তেমনটা ধারণা রাখেনা বা থাকেনা তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক মূল্যবান তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন সহজেই জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ঈদের দিন আকিকা দেওয়া যাবে কি
অনেকেরই এমন ধারনা আছে যে ঈদের দিন শুধু কোরবানি হবে আশিকা হবে না এ ধারণাটা মোটেও ঠিক নয় এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট আকিকা মূলত যে কোন দিনেই দেয়া যায় সেই হিসেবে করে কোরবানির জন্য আকিকা দেয়া যাবে তবে আকিকার মূল সময় হলো সাত দিনের মাথায় ১৪ দিনের মাথায় এবং 21 দিনের মাথায় এই তিনটি সময় আকিকা দেওয়া হলো উত্তম
আরো পড়ুন: গরু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
যৌবন থাকা কালীন এই আকিকা দিতে পারবেন তবে আপনার জন্মের ডেট অনুযায়ী সাত দিন এবং 14 দিন এবং 21 দিনের মাথায় হিসেব করে আকিকার দেওয়াটা উত্তম তাই এখানে যদি সাত দিনের মাথায় কোরবানি ঈদ পড়ে যায় কোন ফ্যাট নয় আপনি কোরবানি দিতে পারবেন এবং আকিকা দিতে পারবেন এটা নিয়ে কোন হাদিসে মানা নেই তাই আপনি আকিকা দিতে পারবেন।
আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম
আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম অনেকেই বন্টন করে থাকেন তবে এটা কারো কারো ধারণার বাইরে কারণ বন্টন করার আগে জানতে হবে তারপরে গোস্ত বন্টন করতে হবে নয়তো আপনি যেমন তেমনভাবে গোশত বন্টন করলেন আপনার আকিকা নাও হতে পারে যেমন আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম হলো তিনটি ভাগ একটি ভাগ গরিব মিসকিনদের জন্য
আরো পড়ুন: মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত বিস্তারিত জেনে নিন
দ্বিতীয়তম ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের জন্য এবং তৃতীয়তম ভাগ নিজেদের জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এভাবেই ভাগ করতেন একটি গরিব মিসকিন আরেকভাগ আত্মীয়-স্বজন এবং আরেকভাগ নিজেদের জন্য এভাবেই ভাগ করতে বলা হয়েছে আর যদি সমাজ থাকে সেখানে অনেকেই মাংস দিয়ে থাকে কিন্তু সমাজে না দিলেও চলবে।
আকিকার পশু কার জন্য কয়টি প্রযোজ্য
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি আফ্রিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম এবং ঈদের দিন আকিকা দেওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে এখন জানবো কার জন্য কয়টি প্রযোজ্য আকিকার পশু মূলত ছেলেদের জন্য দুইটি করে ছাগল দিতে হবে এবং মেয়েদের জন্য একটি করে ছাগল আকিকা দিলেই হবে সো এখানে একটি কথা উল্লেখ করা হলো সেটি হল ছেলেদের জন্য দুইটি প্রযোজ্য এবং মেয়েদের জন্য একটি।
আকিকা দেওয়ার নিয়ম
আপনি আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব আকিকা দেওয়ার এ টু জেড তথ্য আকিকা অর্থ হল আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা নিজের জানের সদকা দেওয়া আল্লাহর নিয়ামতের মোকাবেলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
আপনি যদি জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন তাহলেই আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন যেমন জানতে পারবেন ঈদের দিন আকিকা দেওয়া যাবে কি আকিকার পশু কার জন্য কয়টি প্রযোজ্য আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম এক কথায় বলা যায় আকিকা দেওয়ার এ টু জেড নিয়ম জানতে পারবেন আরো জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
আকিকার গোস্ত কি নিজে খেতে পারবে
অনেকে বলে থাকে যে আকিকার গোস্ত যার নামে আকিকা আছে নাকি খেতে পারবেনা কিন্তু এ ধারণাটা একদম ঠিক নয় সম্পূর্ণ ভুল কারণ এমন কোন হাদিস নাই যেখানে আকিকার মাংস খেতে মানা করা হয়েছে তাই এটা সকলেই মিলেমিশে আহার করতে পারবেন যেমন গরিব মিসকিনদেরকে দান করতে পারবেন নিজে খেতে পারবেন এবং
আত্মীয়-স্বজন কে খাওয়াতে পারবেন এমন কোন হাদিস নাই যেখানে আকিকার গোশত খেতে মানা করা হয়েছে সো সকলেই এই আকিকার মাংস খেতে পারেন এতে কোন মানা নেই অনেকেই বলে থাকতো নিজের নিজের আকিকার নিজে মাংস খেতে হয় না কিন্তু এটার কোন হাদিস নাই তাই নিজের আকিকার গোস্ত নিজে খাওয়া যাবে এতে কোন বাধা নেই।
আকিকার গোস্ত কতদিন খাওয়া যাবে
আগে অনেকের মুখে শুনতাম আমরা আকিকার মাংস নাকি তিনদিনের বেশি খাওয়া যাবে না আবার কিছু কিছু সময় শুনেছে আগেকার মাংস সাতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায় কিন্তু আকিকার মাংস এবং কোরবানির মাংস দুটোই একই রকম তাই কোরবানির মাংস যেমন যতদিন ইচ্ছা রেখে খাওয়া যায় তেমন ভাবেই আকিকার মাংস যতদিন ইচ্ছা রেখে খেতে পারেন
আরো পড়ুন: ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে
এতে কোন বাধা বা এটার কোন মানা নেই সো আকিকার গোস্ত কত দিন খাওয়া যাবে এরকম যাদের প্রশ্ন ছিল নিশ্চয়ই উত্তর পেয়েছেন এর একটি উত্তর হল এটা হল কোরবানির ন্যায় আকিকা তাই কোরবানি যতদিন ইচ্ছা রেখে খাওয়া যায় যেমন তেমনভাবেই আকিকার মাংস ইচ্ছামত খেতে পারেন যতদিন ইচ্ছা এর কোন বাধা নেই।
আকিকার গোশত মা বাবা খেতে পারবে কি না
অনেকেই এরকম প্রশ্ন করে থাকে যে আকিকার গোস্তের মা-বাবা খেতে পারবে কিনা এই প্রশ্নটা আসে কোথা থেকে এরকম কোন বিধান নাই যেখানে আকিকার গোস্ত খেতে মানা করা হয়েছে তাই আকিকার গোস্ত সকলেই খেতে পারবে যার নামে আকিকা এবং তার পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজন এবং গরীব দুঃখীদের কে মাংস বিতরণ করতে পারবে এবং রান্না করে খাওয়াতে পারবে।
কুরবানী না করে আকিকা করা যাবে কি
অনেকেই বলে থাকে যে কোরবানি না করে আকিকা করা যাবে না এ ধারণাটি কতটুকু সত্য চলুন জেনে নেয়া যাক একজন ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব না হওয়া পর্যন্ত সে আকিকা দিতে পারবে এবং যার উপরে কোরবানির ওয়াজিব তাকে কোরবানি করতে হবে তাই এখানে কোরবানি এবং আকিকার মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই আকিকা হলো
এক রকমের আমল এবং কোরবানি হলো আরেক রকমের আমল আকিকা যা সারা বছর করা যায় কিন্তু কোরবানি শুধু কোরবানি ঈদে করতে হয় তাই কোরবানি এবং আকিকার কোন সম্পর্ক নেই তাই যে কোন দিন এই আকিকা দিতে পারবেন আর কোরবানি মূলত তিন দিন 10 -11 -12 জিলহাজ মাসের এই তিনদিন কোরবানি দিতে পারবেন।
কি পরিমান সম্পদ এবং টাকা থাকলে কোরবানি করতে হয়
অনেকেই জানিনা যে কি পরিমান সম্পদ এবং টাকা-পয়সা থাকলে আমাদেরকে বা আমাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব হয় তো চলুন জেনে নেয়া যাক যে ব্যক্তির কাছে সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সমমূল্য পরিমাণের সম্পদ থাকবে তার জন্য কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে এ পরিমাণে স্বর্ণ এবং টাকা-পয়সা থাকলে কোরবানি দিতে হবে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম এবং আকিকা দেওয়ার নিয়ম কোরবানি না করে আকিকা করা যাবে কি সে সম্পর্কেও আমরা জেনেছি আরো জেনেছি আকিকার গোস্ত কতদিন খাওয়া যাবে এক কথায় বলা যায় আকিকা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তাই আমি সাজেস্ট করবো
আপনিও যদি আকিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি আকিকা সম্পর্কিত যত রকমের ভুল ধারণা রয়েছে তা কিলিয়ার হয়ে যাবে আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদেরকে উৎসাহিত করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url