ঈদুল আজহা কোরবানি কখন কোরতে হয় - ঈদুল আজহার নামাজের ফজিলত

আজকে আমরা জানবো এই দুলাল আযহা কোরবানি কখন করতে হয় এবং আরো জানবো ঈদ-উল-আজাহার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় কোরবানি ঈদ সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানবো ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যখন তার পুত্রের গলায় ছড়ি চালায় তখন একটি পশু কোরবানি হয়ে যায়।
ঈদুল আজহা কোরবানি কখন কোরতে হয়
তাই তখন থেকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণে প্রতিটি মানুষ এই দিনটিতে কোরবানির দিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে থাকে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণে একটি করে জান দিয়ে থাকে এটা মূলত ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের ভেতরে মানে তিন দিন পর্যন্ত কোরবানি চলে।

ভূমিকা

আল্লাহর সম্পর্কের কারণে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম যখন তার পুত্রকে আরাফাত পর্বতের উপরে যখন নিয়ে গিয়ে ছড়ি চালানোর চেষ্টা করেন তখনই একটি পশু কুরবানী হয়ে যায় এবং তার পুত্রের কোন ক্ষতি হয় না এবং আল্লাহ তা'আলা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের ওপর খুশি হয়ে যায় সেই থেকে আজ পর্যন্ত এর প্রচলন চলে আসছে আল্লাহর রাস্তায়


কোরবানি দেওয়ার প্রায় আজকে আমরা জানব ঈদুল আযহা কোরবানি কখন করতে হয় এবং আরো জানবো ঈদুল আযহার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ঈদুল আযহার দেওয়া সম্পর্কে ঈদুল আযহার নামাজ কয় রাকাত হয়ে থাকে সে সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় ঈদুল আযাহা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানবো বিস্তারিত নিচে দেখুন।

বাংলাদেশে ঈদুল আযহা কত তারিখে

বাংলাদেশে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হতে পারে এবার ১৭ তারিখের দিকে এটি মূলত ঈদুল আযাহা তিন দিন ধরে উদযাপন করা হয়ে থাকে এটাই ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার এর মধ্যখানে দুই মাস দশ দিনের ব্যবধান থেকে থাকে এটা হিজরি চন্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী এটা মূলত চাঁদ দেখার উপরে নির্ভর করে ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে


সাধারণত সৌদি কাতার ওমান আরব আমিরাত এই সকল দেশগুলোর ঈদ উদযাপিত হওয়ার পরের দিনে বাংলাদেশের উদযাপিত হয়ে থাকে তবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তারিখ চেঞ্জ হতে পারে তাই আমরা ভরসা রাখব চাঁদ দেখার উপরে এবং একদিন আগে যে সকল দেশে ঈদ উদযাপন হয় তাদেরকে অনুসরণ করে আমরা ঈদ উদযাপন করতে পারব।

ঈদুল আজহা কোরবানি কখন কোরতে হয়

ঈদুল আযহা কুরবানী কখন করতে হয় তার আগে জেনে নেই কোরবানির কিভাবে এসেছিল এটা মূলত যখন ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাত পর্বতে তার পুত্রকে নিয়ে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন সেই সময় কোরবানি দিতে গিয়ে একটি পশু কোরবানি হয়ে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা তার উপর খুশি হয়ে যায় সেই প্রশ্নটি কোরবানি হওয়ার কারণে


আল্লাহর উপর খুশি হয়ে সে থেকেই শুরু হয় এ কোরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির কারণে প্রতিবছর এই কোরবানি হয়ে থাকে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসেবে জিলহজ মাসের 10 থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত এই তিন দিন ঈদুল আযহার কোরবানি চলে হিজরী চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর থেকে ঈদুল আযহার মাঝে দুই মাস দশ দিনের ব্যবধান থেকে থাকে যা সর্বোচ্চ সত্তর দিন হয়ে থাকে।

ঈদুল আযহা অর্থ কি

আমরা অনেকেই ঈদুল আযহা সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনে থাকি কিন্তু অনেকেই জানিনা ঈদুল আযহা অর্থ কি ঈদুল আযহা কে অনেকে কোরবানি ঈদ বলে থাকেন এই উৎসবকে ইদুজ্জোহাও বলে থাকেন ঈদুল আযহা মূলত একটি আরবি বেকাংশ তার অর্থ হলো ত্যাগের উৎস ত্যাগের উৎস এ কারণে বলা হয় কারণ বিভিন্ন রকমের

পশুকে কোরবানি করা হয় সেজন্যই বলা হয় ত্যাগ এর উৎস এই উৎসে মুসলমানরা সকালবেলায় ঈদুল আযাহার নামাজ পড়ে এসে কোরবানির জন্য প্রস্তুতি নেয় এবং কোরবানি দেওয়ার পর গরিব-দুঃখীদের মাঝে মাংস বিতরণ করে থাকে কেউ গরু কেউ ছাগল কেউ ভেড়া কেউ মহিষ কেউ উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে থাকে।

ঈদুল আজহার নামাজের ফজিলত

ঈদুল আযহার নামাজের ফজিলত ঈদুল আযাহার সবচাইতে বড় ফজিলত হলো কোরবানি করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন কোরবানির দিনে কোন আদম সন্তানের কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা থেকে আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয় কোন আমল নেই কেয়ামতের দিনে প্রতিটি পশুর শৃং খুর লোম সবকিছু নিয়ে উপস্থিত হবে


এবং তার রক্ত জমিনে পড়ার আগেই নির্ধারিত মর্যাদার স্থানে পতিত হয় তাই তোমরা মন খুলে কোরবানি করতে পারো কোরবানিটা হতে হবে আল্লাহর রাস্তা এবং উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করতে করতে নামাজের দিকে যেতে হবে এবং এক রাস্তা দিয়ে যেতে হবে এবং অন্য রাস্তা দিয়ে আসতে হবে ঈদুল আযহার দিন না খেয়ে খালি পেটে ঈদের নামাজ আদায় করতে হবে

এটা হল নবীজির সুন্নত এবং কোরবানির সম্পূর্ণ করে সেই কোরবানির মাংস ঈদের দিনের খাবার শুরু করাটা হলো মুস্তাহাব কোরবানির মাংসটি তিনভাগ করতে হবে একটি ভাগ আত্মীয় স্বজন দ্বিতীয় ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য আর তৃতীয় ভাগটি হলো নিজের জন্য।

ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ম

ঈদের নামাজের জন্য কোন আজান বা ইকামত দেয়া প্রয়োজন হয় না তবে জুম্মার নামাজের মত জোরে জোরে কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয় ঈদের নামাজের পার্থক্য হল অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর দিতে হয় প্রথম রাকাতে আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিয়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হয়


এবং অন্য সূরা মিলাতে হয় তারপর অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিয়ে রুকুতে যেতে হবে নামাজটি পড়ার নিয়ম হল প্রথমে নিয়ত করতে হবে তারপরে তাকবীরে তাহরীমা পড়তে হবে তারপরে সানা পড়তে হবে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়া এবং সূরা ফাতেহা পড়তে হবে সূরা ফাতিহার সাথে একটি সূরা মিলাতে হবে

এবং দ্বিতীয় রাকাতে গিয়ে বিসমিল্লাহ পড়া সূরা ফাতিহা পড়া সূরা মিলাতে হবে সূরা মিলানোর হলে আবার অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিতে হবে তারপর রুকুর তাকবীর করতে যেতে হবে দিয়ে সিজদায় যেতে হবে এবং নামাজ শেষে খুতবা পড়া হবে সে খুতবা শেষ হলে দোয়া করা হবে এবং এটাই হলো ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম।

ঈদুল আজহার দোয়া

ঈদুল আযহার দোয়া এটি মূলত ঈদের নামাজের শেষে এবং কোরবানির সময় বিশেষ কিছু দোয়া করা হয়ে থাকে সে দোয়াগুলো হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা শুকরিয়া জ্ঞাপন করা কল্যাণ কামনা করা এ সকল যেমন আপনি এভাবে দোয়া চাইতে পারেন যেমন হে মহান আল্লাহ আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে আপনার কাছে দুটি হাত তুলেছে

আমরা অনেক অনেক কৃতজ্ঞ যে আপনি আমাদেরকে ঈদুল আযহার মত একটি ঈদ উদযাপন করার সুযোগ দিয়েছেন আমাদের কোরবানি গুলো কবুল করে নিয়েন ঈমান এবং আত্মত্যাগের শক্তি বৃদ্ধি করুন আমাদের দেশের জাতিকে এবং সারা বিশ্বের জাতিকে শান্তি বর্ষিত করেন এবং আমাদের দোয়া

গুলো কবুল করুন ইয়া রহমান ইয়া রাহিম আপনি তো সব পারেন সব কিছুরের মালিক আপনি অন্তর আমাদের সকল দোয়াগুলো কবুল করে নিন আমীন।

ঈদুল আজহা কোরবানির নিয়ম

ঈদুল আযহা কোরবানির নিয়ম হল সকাল বেলায় গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করেন না খেয়ে ঈদগাহে যেতে হবে এবং ঈদের নামাজ শেষ করে এসে কোরবানি উদযাপন করতে হবে কোরবানির শেষে সেই কোরবানির মাংস দিয়ে রান্না করে আহার করতে হবে যার যেমন উপার্জন তাকে তেমনভাবে আল্লাহর পথে কোরবানি দিতে হবে

যেমন যার সামর্থ্যের গরু আছে সে গরু দিতে পারে যার ছাগল যার ভেড়া যার মহিষ এবং যাহার উট এগুলোর মধ্যে যার সামর্থ্যের যেটা যেটা দিতে পারবে সেটা দিতে হবে আল্লাহর নামে কুরবানী এবং আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে এটাই মূলত ঈদুল আযহা কোরবানির নিয়ম বলে গণ্য করা হয়েছে।

ঈদুল আযহার নামাজ কয় রাকাত

অনেকেই ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতর নামাজ পড়ে থাকেন কিন্তু এক বছর পর ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা নামাজ পড়ার সময় অনেকেই ভুলে যায় কয় রাকাত নামাজ তাদের জন্যই এই পোস্টটি ঈদুল ফিতরের নামাজ দুই রাকাত হয়ে থাকে এবং ঈদুল আযাহারের নামাজ দুই রাকাত হয়ে থাকে ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঈদুল আযহা কোন মাসে পালিত হয়

ঈদুল আযহা মূলত প্রতিবছরেই হিজরী বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের 10 থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত তিন দিন ধরে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই তিন দিন আপনি কোরবানি দিতে পারবেন এটি মূলত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মাঝে দুই মাস দশ দিনের ব্যবধান থাকে এটা মূলত জিলহজ মাসেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ঈদুল আযহা।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ঈদুল আযহা কুরবানী কখন করতে হয় ঈদুল আযহার নামাজের ফজিলত সম্পর্কে রাকাত হয়ে থাকে ঈদুল আযহা কোন মাসে পালিত হয়ে থাকে ঈদুল আযহার দোয়া সম্পর্কে ঈদুল আযাহার নামাজের নিয়ম সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় ঈদুল আযাহা সম্পর্কে বা কোরবানি ঈদ সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য আমরা তুলে ধরেছি

আর্টিকালের মাধ্যমে আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আশা করা যায় কোরবানি ঈদ বা ঈদুল আযাহা সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url