মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত - মদ খেলে কি নামাজ হয়
মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যেও বলা হয়েছে মাদক বা মদ গ্রহণ করাকে ইসলাম সম্পূর্ণ হারাম বলে গণ্য করেছে মদ পানকারীর জন্য দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোই ধ্বংসের পথ বলা যায় এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন মদ পান করা সকল অনাচারের চাবিকাঠি।
এটা সম্পূর্ণভাবে হারাম বলেনি সরাসরি এটাকে এইভাবে উপলব্ধি করা হয়েছে যেমন তোমরা খেজুর অথবা আঙ্গুর দিয়ে মাদক তৈরির পাশাপাশি উত্তম খাদ্য বস্তু ও তৈরি করতে পারো এর দ্বারা বোঝাচ্ছে তোমরা উত্তম খাদ্য তৈরি করে খেতে পারো এখানে সরাসরি হারাম বলা হয়নি।
ভূমিকা
আজকে আমরা জানতে চলেছি মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এবং আরও জানব মদ খেলে কি নামাজ হয় আরো জানবো ইসলামের মদ পান করা হারাম কেন এবং মদ খেলে কি ৪০ দিন নাপাক থাকে ইসলামে মদপানের শাস্তি কি এক কথায় বলা যায় মদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আমরা জানবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কারণ এখানে তুলে ধরা হলো
আরো পড়ুন: ধূমপান থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে
মদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য আপনি যদি মদের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচতে চান এবং মদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন তাহলেই জানতে পারবেন মদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।
ইসলামে মদ পানের শাস্তি
ইসলামে মদানের সবচাইতে কঠোর শাস্তি হলো খেজুর আঙ্গুর এবং কিসমিসের মদ হলে সে যদি সে মদ পান করে থাকে তবে তার জন্য আশিটি বেতের আঘাত বরাদ্দ করা হইবে এবং সে যদি এগুলোর বাইরে নেশাগ্রস্ত অন্যান্য জিনিস দিয়ে মদ তৈরি করে তা পান করে থাকে থাকে এবং নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাও তার জন্য আশিটি বেতের আঘাত ধার্য করা হইবে
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মাদক সেবনের অপরাধে তিনি খেজুরের ডাল অথবা জুতা দিয়ে আঘাত করতেন এবং আবু বক্কর রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু মুক্তি নিয়ে 40 টি বেতের আঘাত করে থাকতেন এরপরে স্বাস্থ্যের জন্য ৮০টি বেতের আঘাত ধার্য করা হইল তারপর থেকে এটাই চলে আসছে।
মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত অনেকেই জানিনা চলুন সেই আয়াতগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক হঠাৎ একদিন একটি আয়াত নাযিল হলো সে আয়াতে বলা হলো মদ এবং জুয়া সম্পর্কে অনেকেই জিজ্ঞাসা করে তাই দুইটির মধ্যে কোনটা ভালো সেই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হল এই আয়াতে উল্লেখ
আরও পড়ুন: প্রোটিন জাতীয় খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে
করা হয়েছে এই মদ পান যেমন খেলে অনেক উপকার রয়েছে তেমনভাবেই ক্ষতির চেয়ে এটা পান করা অনেক খারাপ বলেও কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে এর উপকারের চাইতে ক্ষতির পাল্লা বেশি ভারী তাই মদ পান না করাটাই উত্তম বলে গণ্য করা হয়েছে।
মদ খেলে কি ৪০ দিন নাপাক থাকে
মদ খেলে কি ৪০ দিন নাপাক থাকে শরীর এইরকম যাদের প্রশ্ন তাদের প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজভাবে তুলে ধরলাম যথা অনেকেই বলে থাকে যে মদ পান করলে ৪০ দিন শরীর নাপাক থাকে এটা মোটেও সঠিক নয় মদ পান করলে কখনোই ৪০ দিন নাপাক থাকবে না শরীর তবে মদপান না করাই উত্তম বলে গণ্য করা হয়েছে।
মদ খেলে কি নামাজ হয়
অনেকের প্রশ্ন থেকে থাকে যে মদ খেলে কি নামাজ হয় আসলে একদিন যদি আপনি মদ পান করে থাকেন তাহলে ৪০ দিন ধরে কোন ধরনের এবাদত আপনার কবুল হবে না সো তার মানে দাঁড়ালো মদ খেলে নামাজ কবুল হবে না তবে তার জন্য নামাজ বাদ দেওয়া যাবে না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ম অনুযায়ী পড়তে হবে এবং মদ পান বাদ দিতে হবে।
মদ খেলে কতদিন নামাজ কবুল হয় না
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি মদ খেলে চল্লিশ দিন শরীর নাপাক থাকে কিনা এবার জানবো মদ খেলে নামাজ কবুল হয় কিনা কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক এটাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে মদ পানকারীর 40 দিন যাবত কোন এবাদত বা নামাজ কবুল হবে না তবে এর জন্য যে নামাজ বাদ দিয়ে
আরো পড়ুন: পুষ্টিকর ফলের তালিকা সম্পর্কে জানতে
দিবেন তাও করা যাবে না আপনাকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং এই মদ পান থেকে বিরত থাকতে হবে তবেই আপনার নামাজ কবুল হবে এবং যেসব হারাম জাতীয় খাদ্য আছে তা থেকে বিরত থাকতে হবে তবেই নামাজ কবুল হবে।
ইসলামে মদ পান হারাম কেন
ইসলামে মদ পান হারাম করার অনেকগুলো রিজন রয়েছে তা চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কারণগুলো কি কি সর্বপ্রথম হলো মদ পান করলে বা নেশাগ্রস্ত হলে বাড়িতে গিয়ে নানা রকম ভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করে সমাজে ঝামেলা সৃষ্টি করে এবং নেশার জগতে যাওয়ার কারণে মানুষ অল্প অল্প করে একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় এ কারণগুলোর সাথে
আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে এর কারণে মূলত মদ বা যেকোনো নেশা জাতীয় খাদ্যকে হারাম বলে গণ্য করা হয়েছে রাসূল সাঃ নিজে বলেছেন তোমরা মদ পান করো না কারণ মদ পান হল সব অকল্যাণ এবং অঘটনের চাবিকাঠি তাই নেশা জাতীয় খাদ্য থেকে আমরা দূরে থাকার চেষ্টা করব।
ইসলামের মধ্যে মদ্যপানের শাস্তি সর্বপ্রথম কাকে দেওয়া হয়েছিল
আলি ইবনা আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি একবার আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ফ একবার দাওয়াত করেছিলেন তিনি আহারের অনেক রকম আইটেম করেছিলেন সেখানে তিনি মদেরও আয়োজন করেছিলেন সেই মদ পান করার পর তারা একটু মাতলামো শুরু করেছিল তখন ইসলামের মদ পান করা হারাম বলা হয়েছিল না
কিন্তু মদপানের পর আলি ইবনে আবু তালিব রাযিআল্লাহু আনহু নেশার ঘরে চলে গেছিল সেই সময় আযানের ধনী বেজে ওঠে তিনি নামাজ পড়াতে গিয়েছিল তারপরেই আল্লাহ তরফ থেকে মদ নিয়ে আয়াত নাযিল হয় এবং মদকে তখন থেকেই হারাম করা হয়েছে।
সাহাবীরা কি মদ খেতেন
অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে সাহাবীরা কি তাহলে মদ খেতেন ওপরে উল্লেখ করা হলো যে তখন মদ পান করা হারাম ছিল না তাই অনেকেই হয়তো বা খেয়েছে তবে উল্লেখিত তথ্য থেকে এটা বোঝা যায় যে মদ খেয়ে হারাম করার পর থেকে কোন সাহাবী আর পান করে নাই যখন হারাম ছিল না তখন এক দাওয়াতে
আলী ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ পান করেছিলেন তারপরেই কোরআন থেকে একটি আয়াত নাজিল করেছেন আল্লাহ তা'আলা নিজে যে সাহাবীরা মদ খেয়ে নামাজ পড়েছে বা পড়াইছে তাদেরকে সতর্ক করছে এবং মতকে হারাম করে দিয়েছে।
মদ খাওয়ার বিষয় নিয়ে বাইবেল কি বলে
বাইবেলে প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছে যারা মদ পানকারী তাদের সঙ্গে কখনোই ঘোরা যাবে না বা তাদের সঙ্গী হওয়া যাবে না অতিরিক্ত মদ খাওয়া এবং মাতলামি করা মাতাল হওয়া এগুলো করা যাবে না এবং যেকোনো খাদ্যই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না যেমন অতিরিক্ত মদ পান করার কারণে চিন্তা করতে পারবেন না যেকোনো বিষয় নিয়ে যেকোনো
কাজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন না আমরা যদি নিজের উপর কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারে তাহলে বাইবেল বলে থাকে মদ খাওয়া যাবেনা কারণ নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারলে মদ হারাম বলে গণ্য করা যায় মদ হারাম করার কারণগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছুই জেনেছি যেমন মদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত আরও জেনেছি মদ খেলে কি নামাজ হয় মদ খেলে 40 দিন শরীর নাপাক থাকে মদ খেলে কি ৪০ দিনে ইবাদত কবুল হয় না মদ খাওয়ার বিষয় নিয়ে বাইবেল কি বলে এক কথায় বলা যায় যে মদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তুলে ধরা
হয়েছে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য তাহলেই মদ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url