অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম - জমি খারিজ করার পদ্ধতি
এখন বর্তমানে জমির সমস্যা প্রায় লোকেরই হয়ে থাকে এবং এই জমি নিয়ে বেশিরভাগ দেখা যায় গন্ডগোল তাই আজ আমরা জানবো অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম এবং আরো জানবো জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে যেন এই সকল সমস্যা আমাদেরকে না ভোগ করতে হয় তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের এই জমির কাগজের জন্য জমির দলিলের জন্য বিভিন্ন রকমের বাধা বিব্রতায় পড়তে হয় তাই এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনাদের অনেক উপকার হবে এবং দলিল সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমিকা
আপনার যদি নিজস্ব কোন জমি থেকে থাকে তাহলে জমির কাগজপত্র বা দলিল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন কেননা নিজের জমিকে নিজের বলে আপনি বুক ফুলিয়ে চলতে পারবেন দেখা যায় অনেক সময় এই দলিল বা কাগজ হারিয়ে যায় অথবা কোথাও রেখে মনে থাকে না অথবা কেউ চুরি করে নিল ইত্যাদি ইত্যাদি হতে পারে সেই জমি কখনোই আপনি নিজের বলে দাবি করতে
পারবেন না সেজন্য এই জমির কাগজপত্র কথাখানি প্রয়োজন সেটা আপনি হয়তোবা বুঝতে পারলেন তবে হারিয়ে যাওয়া দলিল বর্তমানে বাংলাদেশের জমির দলিল ডিজিটাল পদ্ধতিতে বের করা সম্ভব তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম এবং আরো জানতে পারবেন জমি খারিজ করার পদ্ধতি।
জমির খতিয়ান সম্পর্কে
আমরা অনেকেই জমির খতিয়ান সম্পর্কে অনেক শুনেছি যারা বুঝে তারা অনেকেই জানে এবং যারা বোঝে না তারা খতিয়ান কি সে সম্পর্কে ধারণা নেই জমির খতিয়ান মূলত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতকৃত জমির মালিকানা এবং ওই দাগের বর্ণনা সমূহ প্রস্তুতকৃত নথিচিত্র এগুলো দ্বারা মূলত খাজনা
নেওয়ার জন্য এই খতিয়ান কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তো চলুন জেনে নেয়া যাক খতিয়ান গুলো কয়েকটি ভাগে কি কি বিভক্ত হয়েছে এটা জানা অত্যন্ত জরুরী তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যায় বিস্তারিত নিচে দেখুন।
১)সি এস খতিয়ান
২) এস এ খতিয়ান
৩) আরএস খতিয়ান
৪) বিএস খতিয়ান
৫) পেটি খতিয়ান
৬) মাঠ পর্চা
এখানে যেগুলো উল্লেখ করা হলো এগুলো হলো জমির কিছু খতিয়ান যে কোন খাজনা আদান-প্রদানের জন্য এই যাবতীয় খাজনা গুলো এবং এই যাবতীয় খতিয়ান গুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম
আজকে আমরা জানবো অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে সেজন্য আমাদেরকে কিছু স্টেপ বাই স্টেপ রুলস মেনে চলতে হবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই রুলস গুলো কি এবং কতটা সহজ না কঠিন বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- প্রথমত যেকোনো মাধ্যমে ক্রম বাউজার ওপেন করে নিতে হবে
- ব্রাউজারটি ওপেন হয়ে গেলে ওপরে থ্রি ডট থাকবে সেখান থেকে ডেক্সটপ ভার্সন করে নিতে হবে
- এরপরে সার্চ করতে হবে wb registration এটা লিখে
- সার্চ করার পর ব্রাউজারে প্রথম পেজে গিয়ে ডব্লিউবি রেজিস্ট্রেশন এই অপশনে গিয়ে ক্লিক করতে হবে এরপরে দেখতে পারবেন আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে একটু নিচে দেখতে পারবেন e-services এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে
- এরপরে আপনাকে আরেকটি অপশনে নিয়ে যাবে সেটি হল searching of deep এখানে ক্লিক করতে হবে
- এরপরে আপনি আরেকটা অপশন পাবেন সার্চ অফ রেজিস্ট্রেশন মেড এই অপশনে থাকা প্রথম লিস্ট বাই সিলার বাই এয়ার পার্টি এই অপশন গুলোতে ক্লিক করতে হবে
- এর পরে আসবে মূল তথ্য যেমন ভোটার আইডি কার্ড জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আপনার নামের প্রথম অংশ শেষ অংশ রেজিস্ট্রেশন সাল এবং যে জেলায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই জেলার নাম তথ্যগুলো সঠিকভাবে লিখা হলে সাবমিট করে দিন
- এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন তথ্য দেখতে পাবেন এবং ভিউ অপশন থাকবে সেখানে ক্লিক করলে আরো অনেক তথ্য জানতে পারবেন এটাই মূলত অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম।
জমির খারিজ করতে কত টাকা লাগে
আজকে আমরা জানবো জমির খারিজ করতে কত টাকা প্রয়োজন হয়ে থাকে দালাল অনেক টাকা চেয়ে থাকে কিন্তু নাম জারি বা মিউটেশন করতে তেমন টাকা প্রয়োজন হয় না তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক জমির খারিজ করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- সর্বপ্রথম কোট ফ্রী বিশ টাকা
- নোটিশ জারি ফি 50 টাকা
- এর রেকর্ড সংশোধন ১ হাজার টাকা
- খতিয়ান ফি একশো টাকা
- এ দিয়ে দাঁড়ালো সর্বমোট ১১৭০ টাকা
এ খরচ টি মূলত হয়ে থাকে জমির খারিজ করতে গেলে তাই যারা জমির খারিজ সম্পর্কে না জানেন তাদের জন্যই মূলত আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং সাথে থাকুন।
জমি খারিজ করার পদ্ধতি
জমি খারিজ করার পদ্ধতি খুব সহজ যদি না জানা থাকে তাহলে অনেক কঠিন আর যদি জানা থাকে তাহলে অনেক সহজ এটা আপনি নিজেই করতে পারেন আর যদি না পারেন তাহলে যে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে নামজারি আবেদন করতে পারবেন এবং যেকোনো স্থানীয় ভূমি অফিসে বা উপজেলায় যে কোন সরকারের কাছে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলে আপনার আবেদন করে দেবে, বিনিময়ে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিলেই হবে তাদেরকে এভাবে মূলত আপনি তাদের মাধ্যমে আবেদনটি করতে পারবেন আর আপনি যদি ঘরে বসে থেকে করতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটারে নেট সংযোগ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করার মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন।
খারিজের জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজ প্রয়োজন
আজকে আমরা জানতে চলেছে ক্ষারের জন্য আবেদন করতে কি কি কাগজ প্রয়োজন হয়ে থাকে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই তাই তাদের জন্য আমরা এ টু জেড তথ্য তুলে ধরলাম এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কথা অনেক হয়ে যাচ্ছে চলুন শুরু করা যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- জমির মালিকানার দলিল
- আবেদনকারের পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি
- ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হলে ওয়ারিশান সনদ
- আবেদনকারীর স্বাক্ষর
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- এবং সর্বশেষ খতিয়ান আরএস বিএস সিটি জরিপ খতিয়ান
আপনার অনলাইনের মাধ্যমে যদি খারিজের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে উপরোক্ত এই কাগজগুলো সর্বপ্রথম একত্রে নিয়ে আসতে হবে তারপরেই আপনি খারিজের জন্য আবেদন করতে সক্ষমতা আলাপ করবেন।
অনলাইনে জমির দলিল চেক
অনলাইনে জমির দলিল চেক করার নিয়ম এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি এটার জন্য মূলত নিকটস্থ যেকোনো উপজেলা গিয়ে চেক করতে হবে এটা নিয়ে অনেকেই ভুয়া ভুয়া ইনফরমেশন দিয়ে থাকে তবে তাদের কথায় বিশ্বাস না করে চলে যেতে পারেন ভূমি অফিসে বা উপজেলায় সেখানে গিয়ে সকল তথ্য জানতে পারবেন তাই সতর্ক করছে
অনলাইনে জমির দলিল চেক করার পদ্ধতি এ পর্যন্ত বের হয়নি তাই সকলেই সতর্ক থাকবেন এবং কোন দালালের হাতে বা দালালের চক্রে পড়বেন না নয়তো আপনার অনেক টাকা মেরে দিতে পারে এবং আপনার জমি আপনার হাত থেকে বের হয়ে যেতে পারে তাই বি কেয়ারফুল thanks।
দলিলের নকল তোলার খরচ কত হয়ে থাকে
জমির দলিলের নকল তুলতে তেমন খরচ হয়ে থাকে না তবে এটি যে এলাকার জমি সেই সেই এলাকার উপর ডিপেন্ড করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে যেমন দুই থেকে চার হাজারের ভেতরে দলিলের নকল তোলা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে একদম অল্প টাকাতেই দলিলের নকল খুব সহজেই তুলে নিতে পারবেন।
নিজের নাম দিয়ে জমির দলিল তল্লাশি করার নিয়ম
নিজের নাম দিয়ে জমির দলিল তল্লাশি করার নিয়ম সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায় আমরাই জানানোর চেষ্টা করব তা চলুন শুরু করা যাক জমির দলিল তল্লাশি করতেও পারবেন আপনি এর জন্য আপনাকে যেতে হবে একটি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে একটি
সচিবৈ তৈরি করা হয়েছে সেই দলিল উল্লেখিত জমির দাতা বিক্রেতা গ্রহীতা ক্রেতা বাজে কোন পক্ষের নাম দিয়ে এবং আরো একটি সূচি তৈরি করা যাবে মৌজার নাম দিয়ে। এবং আপনার কাছে যদি কোন দলিলের কোন তথ্য না থেকে থাকে তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত দলিলটি খুঁজে বের করতে হবে এবং প্রতি
দলিলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম বা অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তির বিবরণ সংক্রান্ত তল্লাশীর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য ২০ টাকা এবং অতিরিক্ত প্রতিবছরের জন্য ১৫ টাকা করে ফ্রি দিতে হবে এটাই মূলত নিজের নাম দিয়ে জমির দলিল তল্লাশি করার নিয়ম ।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আরো জেনেছি জমি খারিজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্য তুলে ধরা হয়েছে উপরে আপনি যদি জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এতে আপনি জানতে পারবেন দলিল এবং খারিজ সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এর জন্য আপনাকে
প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হয়েছে জমি সংক্রান্ত এবং দলিল সংক্রান্ত এ টু জেড তথ্য টাই রিকুয়েস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এবং আমাদের সাথে এতক্ষণ যারা আছে তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url