তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত - তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া

আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত আরো জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া এক কথায় বলা যায় তাহাজ্জুদ নামাজের এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আমরা জানবো আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই খুব সহজেই তা সম্পূর্ণ জানতে পারবেন তার জন্য আমাদের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত
মসজিদ নামাজের মর্যাদা ও ফজিলতের দিক দিয়ে ফরজ নামাজের পরেই তাহাজ্জুদ নামাজের স্থান ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতের নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ এবং এটার ফজিলত সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

আজকে আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আরো জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া সম্পর্কে আরো জানবো তাহাজ্জুদ পড়ার সময় সম্পর্কে এবং তাহাজ্জুদের রাকাত সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় তাহাজ্জুদ নামাজের এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আমরা জানবো এই

 আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনিও যদি তাহাজ্জুদ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে তাহাজ্জুদ সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানতে পারবেন তো চলুন তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত এবং এ টু জেড তথ্য জেনে নেয়া যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য নফল ইবাদত তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজ রাতে পড়া হয়ে থাকে তবে তাহাজ্জুদের মর্যাদা এবং ফজিলত ফরজ নামাজের পরেই তাহাজ্জুদ নামাজের অবস্থান নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ফরজ নামাজের পরেই সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের নামাজের তাহাজ্জুদের ঘোষক স্বয়ং আল্লাহ


রাতের শেষ অংশে মহান আল্লাহতালা দুনিয়ার আকাশে নেমে নামাজের জন্য ডেকে থাকে এবং ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আহবান করে থাকে নবীজি (সাঃ) ইরশাদ করেছেন প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তাআলার দুনিয়ার আকাশে নেমে আসে এবং তিনি বলেন যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকেই সাড়া দেব যে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে

তার প্রার্থনা আমি কবুল করব যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে তাকে আমি ক্ষমা করে দেবো (বুখারী মুসলিম) মহান আল্লাহ রাতের নামাজের গুরুত্ব কোরআনুল কারিমে এভাবেই উল্লেখ করেছে আর রহমান এর বান্দা তারাই যারা জমিনে অত্যন্ত সৎ এবং সরল ভাবে চলাফেরা করে এবং জাহিল ব্যাক্তিরা তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় সম্বোধন করে তখনও তারা বলে সালাম

এবং তারা রাত অতিবাহিত করে রবকে খুশি করার উদ্দেশ্যে সিজদারত হয়ে এবং দাঁড়িয়ে থেকে (সূরা ফুরকান আয়াত ৬৩ থেকে ৬৪) তাহাজ্জুদ রাতের নামাজ ফরজের পর আল্লাহ তায়ালা রাতের তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব রোপ করেছে তাই মুসলমান এবং মুমিনের রাতের তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত অনেক বেশি।

তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া

আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া সম্পর্কে কারণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সেজদার দোয়া একই হয়ে থাকে কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া আলাদা হয়ে থাকে সেজন্য অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের সেজদার দোয়া সম্পর্কে জানেন না বা ধারণা নেই তাদের জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া বিস্তারিত নিচে দেখুন।

সিজদার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

আউজু বিরিজাকা মিন সাখাতিকা ওয়া দিমুআফাতিকা মিন উকুবাতিকা লাউহসি ছানা আনা আলাইকা আনতা কামা আছনাইতা আলা নাফসিকা।

এর অর্থ

হে আল্লাহ আমি তোমার ও খুশি থেকে তোমার খুশির আশ্রয় চাই তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আশ্রয় চাই তোমার পূর্ণ প্রশংসা করা আমার সাধ্যিতীত তুমি তেমন গুনেই গুণান্বিত যেভাবে তুমি নিজের গুণ উল্লেখ করেছো।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য সেই রকম কোন নির্দিষ্ট নিয়ম বা সূরা নেই অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজের মতই সুরা ফাতেহার সঙ্গে যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়লেই হবে তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো লম্বা কেরাত বা সূরা পাঠ করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়াটা উত্তম কারণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড় বড় সূরা এবং


কেরাত পড়তেন তাই আমাদের জন্যও বড় বড় সূরা মুখস্ত করে তাহাজ্জুদ পড়া উত্তম হবে তাই যাদের বড় বড় সূরা মুখস্ত নেই তাদের উচিত হবে বড় বড় সূরা গুলো মুখস্ত করে নেয়া কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর নিয়ম মেনে চললে আল্লাহতালা নিজে খুশি হবেন তাই এই নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময়

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয় এশার পর থেকে ভোর হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ফজরের আগ পর্যন্ত পরতে হয় তবে তাহাজ্জুদ নামাজ অর্ধ বা দ্বিপ্রহরে পড়া সবচাইতে উত্তম এবং এর চাইতে উত্তম হলো শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া সবচাইতে এই সময়টি হল উত্তম বলে গণ্য করা যায়।

তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সমূহ

তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত এটা অনেকেরই জানা নেই সেই কারণে হয়তো বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চাই না তবে এটা জানাটা প্রত্যেকটা মোমেন এবং মুসলমানের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সমূহ ইসলামিক স্কলারদের মতে তাহাজ্জুদ সর্বনিম্ন দুই


রাকাত এবং সর্বোচ্চ আট রাকাত এর চাইতে বেশিও পড়তে পারবেন কারণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চার রাকাত পড়তেন কখনো আট রাকাত পড়তেন এবং কখনো কখনো ১২ রাকাতও পড়তেন তবে ইশার পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে যদি দুই রাকাত নামাজ

আদায় করে তাহলে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেছেন যে ব্যক্তি এশার পর দুই বা তার বেশি রাকাত নামাজ আদায় করবে সে হবে তাহাজ্জুদের ফজিলতের অধিকারী।

তাহাজ্জত নামাজের নিয়ত

যেকোনো নামাজের নিয়তের সম্পর্ক হচ্ছে মনের সাথে আল্লাহ সামনে দাঁড়িয়ে মনে মনে নামাজের ভাবনা স্থাপন করা এভাবে ভাবনা স্থাপনের মাধ্যমেই নিয়ত করা হয়ে যায় তবে এর একটি অন্যরকম নিয়ত আছে যেমন আরবি নিয়ত সম্পর্কে জানতে নিজে দেখুন।

তাহাজ্জুদ নামাজের আরবি নিয়ত

নাওয়াইতুয়ান ওসওয়ালিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাতাই সালাতুল তাহাজ্জুদি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামুখী হয়ে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করিলাম অথবা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করছে।

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজের সেরকম কোন এক্সট্রা সূরা পাঠ করতে হয় না বা এক্সট্রা কোন সূরা নেই অন্যান্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতই সুরা ফাতেহার সঙ্গে যে কোন সূরা মিলিয়ে পাঠ করলেই হবে তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজে বড় বড় কেরাত পাঠ করতেন তাই বড় বড় কেরাত পাঠ করা আমাদের জন্যও উত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা

ইসলামের প্রথম রুকন হল ঈমান বিশ্বাস এরপরে সালাত নামাজ এবং সালাতের একমাত্র শারীরিক এবাদত গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত এবং উপকারিতা আল্লাহর নির্দেশ পালনের সূচনা এবং হাশরের মাঠে সকলের কাছে নামাজের হিসাব নেয়া হবে এবং সালাত হলো বেহেস্তের চাবি এবং সালাতের মাধ্যমে বান্দা তার রবের সবচাইতে কাছে পৌঁছাতে পারে কারণ যখন বান্দা

আল্লাহকে সেজদা দেয় তখন আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে কোন পর্দা বা কোন দেয়াল থাকে না সালাতের মাধ্যমে বান্দা তারা আল্লাহর কাছে মাথা নত করে এবং অনুগত প্রকাশ করে তাই সালাত হলো ফরজ প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য এবং কোরআনে ৮২ বার বলা হয়েছে সালাত সালাত এবং সালাত সালাত আদায়ের সময় শারীরিক যে উপকার হয় তাই বিজ্ঞান উল্লেখ করেছে।

শেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি তার জন্য আমাদের নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আরো জেনেছি তাহাজ্জুদ নামাজের সিজদার দোয়া সম্পর্কে আরো জেনেছি তাহাজ্জুদ নামাজের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সম্পর্কে এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা সমূহ সম্পর্কে এক কথায় বলা যায় তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফজিলত এবং তাহাজ্জুদ সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছে আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এতে তাহাজ্জুদ সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং ইসলামের পথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url