গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম - গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

আজকে আমরা জানবো গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এবং আরো জানবো গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে আপনি যদি এই সকল এ টু জেড তথ্য জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।
গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম
গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার জন্য এখন অনলাইনের মাধ্যম টাই বেস্ট বলে গণ্য করা যায় কারণ কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে পারবেন এর জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা লাগবে সেই নিয়ম কানুন বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

আজকে আমরা জানবো গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আরো জানবো গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে আরো জানবো গর্ভবতী ভাতা কত টাকা পাওয়া যায় এক কথায় বলা যায় গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম থেকে টাকা উত্তোলন পর্যন্ত এ টু জেড তথ্য জানবো মূলত আর্টিকেলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে

 এই সকল এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন তাই আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য তো চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম থেকে টাকা উত্তোলন পর্যন্ত এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সঠিক উপায় গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি মূলত কয়েক ধরনের সবচাইতে অন্যতম হলো অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম টি আরও দুইটি মাধ্যম আছে যেমন


ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল পোর্টালের মাধ্যমে এবং অন্যটি হলো তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে এখানে যে তিনটি উল্লেখ করা হলো এই তিনটি মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করা হয়ে থাকে এবার জানবো গর্ভবতী ভাতার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে তাহলে আবেদন করা যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিজে দেখুন।

গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন

১)গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য চার থেকে ছয় মাসের গর্ভবতী মেয়েদের আবেদন করার প্রক্রিয়াটি চালু আছে এর বাইরে হবে না।

২)এবং যিনি আবেদন করবেন গর্ব অবস্থায় তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৩৫ বছরের ভেতরে।


৩) এ ভাতাটি পাওয়া যাবে মূলত প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এই ভাতাটি পাওয়া যাবে দুটি সন্তানের বেশি হলে এই ভাতাটি পাওয়া যাবে না।

৪) এবং এক থেকে 20 তারিখের মধ্যে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে মূলত এগুলোই হল গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে কি কি লাগে

আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো আগে সংরক্ষণ করে নিতে হবে নয়তো আবেদন করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝামেলা হতে পারে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা সেই জন্যই অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়ে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
  1. জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
  2. গর্ভবতী টিকা কার্ড
  3. রোমান স্বরূপ কিছু ডাক্তারের যেকোনো ধরনের একটি স্লিপ রাখতে হবে
  4. এবং মোবাইল ব্যাংকিং থাকা লাগবে যেমন বিকাশ নগদ এবং অন্যান্য মাধ্যম
এই চারটি কাগজ এবং ডকুমেন্ট থাকলেই আবেদন করতে পারবেন গর্ভবতী ভাতার জন্য এই সকল কাগজপত্র মাস্ট বি লাগবেই তাই সর্বপ্রথমে কাগজগুলো সংরক্ষণ করতে হবে তারপরেই গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতার কত টাকা দিয়ে থাকে

অনেকেই হয়তোবা জেনে নিয়েছেন গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে তবে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে গর্ভবতী ভাতা আর কত টাকা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কত টাকা দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে প্রতিমাসে মূলত ৮০০ টাকা করে দিয়ে থাকে টোটালের ছয় মাস পর পর দিয়ে থাকে


হিসাব করে আসে 4800 টাকা এই ৪ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করে থাকে ছয় মাস পর পর আবেদন সম্পূর্ণ হলে কাগজপত্র ডকুমেন্ট সব ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাস পর পর চার হাজার ৮০০ টাকা পেয়ে যাবেন খুব সহজেই এই নিয়মগুলো মেনে চলার মাধ্যমে।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

আমরা জানবো গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান গল্পটি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কারণ আমরা কথা না বাড়িয়ে মূল কথায় পছন্দ করে থাকি সকলে তাই বেশি না কথা বাড়িয়ে চলুন অল্প কথাতে জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভকালীন সনদ
  • নাগরিক সনদ বা এনআইডি কার্ড
  • ইউনিয়ন সহকারি ভূমিক কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ
  • এবং সর্বশেষ জন্ম নিবন্ধন সনদ
এগুলো দেয়ার পর আপনি সাবমিট করলেই গর্ভবতী কার্ড সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং আপনি হাতে পাবেন এটার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় যোগাযোগ করতে পারেন সবচাইতে বেটার হবে।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যদি গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্যতা কি কি লাগে সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায় জানানোর চেষ্টা করব গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যে সকল যোগ্যতা প্রয়োজন সেই যোগ্যতা কি কি সে সম্পর্কে জানব তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন।

১)প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভধারণ করলে একবার

২)বয়স কমপক্ষে ২০ এর উর্ধ্বে হতে হবে

৩)মাসিক আয় হতে হবে দেড় হাজার টাকার নিচে

৪)এবং এটা মূলত দরিদ্র প্রতিবন্ধী অগ্রাধিকার পাবেন

৫)এবং যাদের বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যর জায়গায় বাস করে

৬)এবং যাদের নিজস্ব কোন কৃষি জমি বা মাছ চাষের জন্য কোন জায়গা নেই তাদের ক্ষেত্রে

৭)এবং যিনি গর্ভবতী ভাতা নিতে চান তাকে গর্ভবতী হতে হবে

তো উপরোক্ত এই তথ্যগুলো বা এই উদ্দেশ্য গুলো যাদের মধ্যে আছে তারা মূলত এই গর্ভবতী ভাতার সুযোগটি পাবে এবং এখানে যেগুলো উল্লেখ করা হলো এরাই শুধুমাত্র গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি বলে বিবেচনা করা হবে।

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম

গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম আছে তা মেনে চলতে হবে তবেই পাওয়া যাবে গর্ভবতী ভাতা তো চলুন সেই নিয়ম এবং শর্ত গুলো কি তা জেনে নেয়া যাক এই শর্তগুলো পূরণ করতে যে সকল ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র লাগবে তা হল ছবি ভোটার আইডি কার্ড গর্ভকালীন সনদ এবং টিকা কার্ড এগুলো সব সংগ্রহ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

সর্বপ্রথম গর্ভবতী ভাতার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি চলুন দেখে নেয়া যাক http;//103.48.16.6;8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এর মধ্যেও কিছু তথ্য দেওয়া প্রয়োজন হবে

আরো পড়ুন: মোবাইলের মাধ্যমে সরকারি চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে

যেমন ব্যক্তিগত তথ্য তার মধ্যে পড়ে বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা অর্থ সামাজিক তথ্য এবং পেমেন্টের তথ্য এগুলো দিয়ে উপরোক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্য প্রবেশ করার পর একটি লিস্ট আকারে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে তা সম্পূর্ণ পূরণ করতে হবে এরপরে আরেকটি অপশন আসবে সেখানে চাইবে

বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সেটাও সম্পূর্ণ সঠিকভাবে দিতে হবে এরপরে তিন নম্বর ধাপ আসবে সামাজিক তথ্য এখানেও সব তথ্য দিয়ে এরপরে পেমেন্টের তথ্য চাইবে তা দিতে হবে এরপরে আরেকটি অপশন আসবে যেখানে প্রার্থীর ছবি এবং স্বাক্ষর চাইবে তা দিয়ে সাবমিট করলেই গর্ভবতীর ভাতার জন্য

অনলাইনে আবেদন করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তবে এটা সঠিকভাবে আরেকবার যাচাই করে না উচিত এটা যাচাই করার পর এটি সাবমিট করে দিতে পারেন সংগ্রহ করে রাখলে আরো ভালো হবে।

কখন গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে

যাদের প্রশ্ন কখন কখন গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করা হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আপনার জন্যই এই আর্টিকেলটি চলুন জেনে নেয়া যাক কথা না বাড়িয়ে প্রতিমাসের এক থেকে বিশ তারিখের মধ্যে গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন শুরু হয়ে যায় এটা মূলত ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর আবেদন করা যাবে এটা তার নির্ধারিত সময় ১ থেকে ২০ তারিখ।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম থেকে শুরু করে কখন গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করা যায় এবং গর্ভবতী কাজ করতে কি কি লাগে এ টু জেড তথ্য জেনেছি আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরার মাধ্যমে এই সকল এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন তাই যারা গর্ভবতী বা তার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্যই এত সুন্দর করে উল্লেখ করা হলো এ টু জেড তথ্য তাই আমাদের সাথে এতক্ষণ যারা আর্টিকেল পরলেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url