ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ - ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত

আমরা জানবো ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ এবং আরো জানবো ক্যালসিয়ামের অভাবে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে এবং ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত আপনি যদি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায় জানাবো আপনাদেরকে ক্যালসিয়াম সম্পর্কে।
ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ
ক্যালসিয়ামের ঘাটতে বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় না রাখার কারণে জেনেটিক কারণে অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে এবং হরমোনের পরিবর্তনে দেখা দিতে পারে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ।

ভূমিকা

আমরা জানবো ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ সম্পর্কে আরো জানবো ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত এক কথায় বলা যায় ক্যালসিয়াম সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আমরা জানবো আপনি যদি ক্যালসিয়াম সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানতে পারবেন তাই সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ

আমরা জানবো ক্যালসিয়াম ঘাটের লক্ষণ সমূহ আপনি যদি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক শরীরে আমাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটের বেশ কিছু প্রভাব থেকে থাকে যা প্রাথমিকভাবে লক্ষণ না দেখা দিতেও পারে তবে দীর্ঘ সময় ধরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি


থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ঘাটতে আক্রান্ত ব্যক্তি আহারের ঘনত্ব অনুভব করতে পারে যার মাধ্যমে ভঙ্গুর হাড় হতে পারে অস্টিওপেরোসিস কে নীরব রোগ বলা হয়ে থাকে সাধারণত কোন অপসর্গ থাকে না তবে এই রোগের পিঠে ব্যথা এবং একটি ভাঙ্গা বা ভেঙ্গে যাওয়া উচ্চতা হর্স এবং

নমনীয় ভঙ্গি এবং হার খুব সহজে ভেঙে যায় অস্টিওপোরোসিস লক্ষণগুলো শুরু হওয়ার আগে একটি ডিইএক্সএ হাড়ের খনিজ ঘনত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
  1. হার সহজেই ভেঙ্গে যায়
  2. পেশি আক্ষেপ
  3. পেশি বাধা
  4. স্মৃতিশক্তি হর্স
  5. ডিপ্রেশন
  6. বিশৃঙ্খলা
  7. ভঙ্গুর দুর্বল নক
  8. আহাদ বা মুখে অশরতা বা ঝাঁঝালো অনুভব
  9. অলীক
এগুলো বেশিরভাগ সমস্যা দেখা দিতে পারে ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণে তাই আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে ক্যালসিয়ামের যেন ঘাটতি না পারে নয়তো এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে এগুলো হলেই বুঝবেন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে।

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির উপায়

ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করতে হবে ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গুলো হল দুধ দুগ্ধ জাত খাদ্য দই পনির কমলার রস পালং শাক ব্রকলি সয়াবিন আরও ইত্যাদি এসব খাবার বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত

ক্যালসিয়ামের অভাবে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই কারণ সঠিক উপায়ে আমরা জানানোর চেষ্টা করব ক্যালসিয়ামের অভাবে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন অনেক খাবার রয়েছে যা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।


সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর যা যেকোনো ধরনের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে বিভিন্ন রকমের সবুজ শাকসবজিতে তার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখার চেষ্টা করুন।

টক জাতীয় ফল : টক জাতীয় ফল খেতে পারলে হার এর জন্য অনেক উপকারী হয়ে ওঠে যেমন পাতি লেবু কমলালেবু এই সকল লেবুতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড যা শরীরে দ্রুত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে তাই এই সকল টক জাতীয় খাদ্য বা ফল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

বীজ এবং সয়াবিন: যেকোনো তিলের বীজ এবং অন্যান্য বীজ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে তাই এটি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে অনেক সাহায্য করে এবং সয়াবিনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণের কিছু উপকারী উপাদান তাই এই দুটি উপাদান একত্রে খেতে পারলে অনেক উপকার হবে।

বিভিন্ন রকম বাদাম: যেমন কাঠ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আরো অন্যান্য বাদামেও রয়েছে ক্যালসিয়াম যা শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে দ্রুত কাজ করে থাকে তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

ক্যালসিয়ামের অভাবে কোন রোগ হয়

ক্যালসিয়ামের অভাবে যে সকল রোগগুলো বেশি হয়ে থাকে তার মধ্য একটি হলো হাইপো ক্যালসিয়ামিয়া সাধারণত একে ক্যালসিয়াম ঘাটতি বা ক্যালসিয়ামজনিত রোগ বলা হয় এছাড়া অনেক সময় ধরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে দাঁতের সমস্যা ছানি মস্তিষ্কের জটিলতা হতে পারে শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট হয়ে থাকে


এই রোগটি শিশুদের হলে হাড় দুর্বল এবং হালকা হয়ে পড়ে ফলে শিশুদের দুই পা ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে পড়ে এবং বড়দের যে সকল রোগ হয়ে থাকে তাহলো এস টি ও পড়শীষ এর ফলে হার ভঙ্গুর হয়ে পড়ে আর ক্ষয় হয়ে যেতে পারে পাহাড়ের ঘনত্বের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে পারে এবং ক্যালসিয়াম ও ফসফেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে যা খাবেন

এ সকল রোগ থেকে বাঁচার জন্য সবচাইতে ক্যালসিয়ামের উপযুক্ত খাদ্য হলো দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার এবং পানির দই ৪৫ খাদ্যশস্য সামুদ্রিক মাছ মটরশুঁটে ডুমুর ব্রকলি সায়াদুধ পালন শাক এমন আখরোট বাদাম এবং তিলের বীজ এই সকল খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থেকে থাকে এছাড়া আরো খাদ্য আছে যেমন সরিষা শাক সরিষা


কালো কচু শাক জিরা এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ সবচাইতে ছোট মাছের বেশি ক্যালসিয়াম থেকে থাকে তাই এই সকল খাদ্যের পাশাপাশি ছোট ছোট মাছ খাওয়ার চেষ্টা করবেন এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের অভাব একেবারে দূর হয়ে যাবে।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কাকে বলে

ক্যালসিয়াম কে আরেক নামে চেনা যায় যেমন হাইপো ক্যালসিয়াম এই নামেও পরিচিত হয়ে থাকে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগকে এমন একটি অবস্থা বলা হয় যেখানে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে দাঁতের পরিবর্তন এবং মস্তিষ্কের পরিবর্তন ছানাপাড়ার মত অবস্থা হতে পারে একেই মূলত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বলা হয়।

ক্যালসিয়ামের অভাব কেন হয়

আপনি যদি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য চলুন সহজেই জেনে নেয়া যাক ক্যালসিয়ামের অভাব কেন হয় তো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমন বিভিন্ন সময় ধরে ক্যালসিয়ামের দরিদ্রতা গ্রহণ এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য খাদ্য তালিকায় না রাখা জেনেটিক কারণ ওষুধ যা

ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দিতে হয় সাহায্য করে এবং হরমোনের পরিবর্তনে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে এগুলোর কারণেই মূলত ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে তাই উপরোক্ত তথ্যগুলো যাচাই করবেন এবং মেনে চলার চেষ্টা করবে তাহলে ক্যালসিয়ামের কোন ঘাটতি পরবে না।

মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবের লক্ষণ

মহিলাদের ক্ষেত্রেও ভঙ্গুর হাড় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি থেকে থাকে তবে হাড় সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তারা বুঝতে পারে না সাধারণত যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্য বা এর উর্ধ্বে তাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন উৎপন্নের হার কমে যায় স্ট্রোজেন ক্যালসিয়ামের বিপাক এবং শোষণে সাহায্য করে।

মহিলাদের ক্যালসিয়ামের লক্ষণ গুলি

যে সকল লক্ষণ গুলো হলেই বুঝতে পারবেন আপনাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তৎক্ষণিক উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের কিছু খাবার সম্পর্কে ে খাবারগুলো খোবেন এবং এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে অতি দ্রুত ডক্টরের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন তো চলুন জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণ গুলি কি।
  • কোমরে ব্যথা
  • পিঠে ব্যথা
  • হাঁটুতে ব্যথা
  • পেশিতে টান বা খিচুনি
  • এবং ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব
এই সকল সমস্যা বা লক্ষণগুলো দেখা দিলেই উপরোক্ত খাদ্যগুলো বেশি বেশি খাবেন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিবেন তাহলেই এর থেকে মুক্তি পাবেন।

পুরুষদের মধ্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত লক্ষণ

ক্যালসিয়ামের ঘাটতে হলেই পুরুষদের ক্ষেত্রেও কিছু লক্ষণ বোঝা যায় সে লক্ষণ গুলো হলো পেশি ব্যথা এবং খিচুনি আটা বা নড়াচড়া করার সময় বাহুতে এবং শরীরে ব্যথা হাত পা এবং পায়ের পাশাপাশি মুখের চারপাশে অসরতা এবং ঝাঁকুনি অনুভব করা এগুলোই মূলত পুরুষের মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে এই লক্ষণগুলো বোঝা যাবে।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ক্যালসিয়াম ঘাটতির লক্ষণ ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত এবং মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাব হলে লক্ষণসমূহ এবং পুরুষদের ক্যালসিয়ামের অভাব হলে লক্ষণ সমূহ এক কথায় বলা যায় ক্যালসিয়াম জনিত যেকোনো ধরনের সমস্যা এবং ক্যালসিয়াম ঘাটের পূরণ সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানতে পারলাম আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এতে আপনি ক্যালসিয়াম সম্পর্কে এটুজেট তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url