বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে - বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়স

৫)এর পরে সফলভাবে আবেদনটি সম্পূর্ণ হলে একটি প্রিন্ট বের করে নিতে হবে কারণ এই প্রিন্টে জমা দেওয়া লাগবে সমাজসেবা অধিদপ্তরে এটি একটি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে নিতে হবে দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।

বয়স্ক ভাতার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়

বয়স্ক ভাতার আবেদনের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো যার বয়স্ক ভাতা জন্য আবেদন করা হবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে অথবা প্রয়োজন হবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এবং প্রয়োজন হবে চেয়ারম্যান বা স্থানীয় পৌরসভা এবং কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে এগুলো মূলত বয়স্ক ভাতার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: মোবাইলের মাধ্যমে চাকরির সিভি তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে

বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়স

আমরা জানব বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়সসীমা কত থাকলে সে আবেদন করতে পারবে বয়স্ক ভাতার জন্য এবং কত বয়সের নিচে হলে তার বয়স্ক ভাতা বাতিল হয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্ব নিম্ন বয়সীমা হতে হবে পুরুষের জন্য ৬৫ এবং মহিলাদের জন্য ৬২ এর নিচে হলে বয়স্ক ভাতা আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য যে সকল যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন

আমরা জানবো বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন যে সকল যোগ্যতা থাকলে শুধুমাত্র বয়স্ক ভাতা আবেদন করা সম্ভব সে সম্পর্কেই এ টু জেড তথ্য জানবো কারণ বয়স্ক ভাতা মূলত সকলকেই দিয়ে থাকে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা প্রত্যাখ্যান বা আবেদন বাতিল করে থাকে তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক বয়স্ক ভাতা আবেদন করার যোগ্যতা সম্পর্কে।

আরো পড়ুন: যেকোনো ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে জানতে

• স্থানীয় গ্রাম অথবা ওই গ্রামের বাসিন্দা হতে হবে
• জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নীবন্ধনের কার্ড থাকতে হবে
• এবং নারীদের জন্য ৬২ এবং পুরুষদের জন্য ৬৫ বয়স সীমা থাকতে হবে
• এবং প্রতি জনের মাথাপিছু আয় থাকতে হবে বার্ষিক দশ হাজারের নিচে
• এবং তার একটি বিকাশ আইডি খোলা থাকতে হবে এক কথায় বিকাশ একাউন্ট সচল থাকতে হবে

এই সকল তথ্যগুলো সঠিক থাকলে তবেই গ্রহণযোগ্য হবে বয়স্ক ভাতা আবেদন তাই সর্বপ্রথম এই তথ্যগুলো জেনে নেওয়া ভালো এবং আপনি যদি এগুলো না জেনে থাকেন নিকটস্থ কোনো ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এরপরে এই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারেন।

যাদের জন্য বয়স্ক ভাতা গ্রহণযোগ্য নয়

আমরা জানবো কাদের জন্য বয়স্ক ভাতা গ্রহণযোগ্য নয় তাদের সম্পর্কে কারণ অনেকেই হয়তোবা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করে থাকে কিন্তু আবেদন বাতিল হয়ে যায় তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি বয়স্ক ভাতা গ্রহণযোগ্য নয় কিসের জন্য সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন যাদের জন্য বয়স্ক ভাতার গ্রহণযোগ্য নয় তাদের লিস্ট।

1. এনআইডি অনুযায়ী তাদের বয়সসীমা যদি পূরণ না হয় সেই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
2. এবং সে যদি বাংলাদেশী নাগরিক না হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
3. সরকারি কোন ভাতা বা সুবিধা পেয়ে থাকলে তার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
4. শারীরিক এবং মানসিকভাবে সক্ষম থেকে থাকে তবে তার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
5. এবং সে যদি কোন দোষ করে থাকে এবং সরকারি খাতায় নাম থাকে দোষ করার সেই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়
6. এবং সে যদি কোন রকম ভুয়া তথ্য দিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে নয়

উপরে উল্লেখ করা হয় এই সকল তথ্যগুলো যদি তার মাঝে থেকে থাকে তাহলে আবেদন করলেও তার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এগুলোই মূলত আবেদন বাতিল হওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই এই সকল অভিজ্ঞতাগুলো থাকলে আবেদন করে কোন লাভ নেই এর জন্য উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে যোগ্যতা সে যোগ্যতা থাকা লাগবে।

বয়স্ক ভাতা মাসে কত টাকা

আমরা জানবো মূলত বয়স্ক ভাতা মাসে কত টাকা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক বয়স্ক ভাতা মাসে কত টাকা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে আগে দেওয়া হতো মাসিক ভাবে ৫০০ টাকা তাই এখন ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০০ টাকা যা ছয় মাস পর পর হয় ৩৬০০ টাকা ৩৬০০ টাকা ৬ মাস পর পর দিয়ে থাকে।

বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া

বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে আমরা জানানোর চেষ্টা করব বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার জন্য শুধুমাত্র আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া লাগবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাছাই পর্বে

বয়স্ক ভাতার জন্য বাছাইকৃত একটি কমিটি গঠন করে তারপরে বাছাই করে আবেদন সমূহ যাচাই-বাছাই করার পর যেসব বিষয়গুলো তারা বিবেচনা করে সেই বিষয়গুলো কি কি তার অনেকেরই জানা নেই তাই সেই বিষয়গুলো তুলে ধরলাম বিষয়গুলো বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিহীন ব্যক্তি: এক কথায় যাদের জমি জায়গা একেবারে অল্প তাদেরকে মূলত বয়স্ক ভাতার জন্য সিলেক্ট করা হয়ে থাকে

সামাজিক এবং আর্থিক অবস্থা: সামাজিক অবস্থা যারা বিধবা তালাকপ্রাপ্ত আরো অন্যান্য পরিবার বিচ্ছিন্ন তাদের ক্ষেত্রে সিলেক্টেড হয়ে থাকে এবং আর্থিক অবস্থা যাদের অত্যন্ত দারিদ্র্য তাদেরকে দেওয়া হয়ে থাকে বয়স্ক ভাতা এবং এগুলো যাদের মধ্যে নেই যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো এবং সামাজিক অবস্থা ভালো তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

স্থায়ী অবস্থান: বয়স্ক ভাতার জন্য অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে তবেই সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে

বয়সসীমা: বয়সসীমা পুরুষদের ৬৫ এবং মহিলাদের ৬২ হতে হবে এবং অক্ষম হলেই তা প্রযোজ্য হবে শারীরিক ভাবে অক্ষম হলেই আবেদন প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হবে।

বয়স্ক ভাতার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং খোলার নিয়ম

বয়স্ক ভাতার জন্য অবশ্যই অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকে খোলা রাখতে হবে কারণ আগে হাতে হাতে টাকা লেনদেন হতো কিন্তু এখন সবকিছুই মোবাইলের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাই মোবাইল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে বেশিরভাগ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যে সকল তথ্য জানা দরকার তাহলো নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র এটা মূলত

সমাজসেবা অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী করলে সবচাইতে বেটার হয় মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য সর্বপ্রথম খোলা প্রয়োজন হবে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্ট খুলতে হবে সর্বপ্রথম কারণ বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন খুব সহজেই এই দুইটি মাধ্যমের মধ্য সমাজসেবা অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী খোলাই ভালো।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি বয়স্ক ভাতা আবেদন করতে কি কি লাগে এবং অনলাইনে এর মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি আরো জেনেছি বয়স্ক ভাতা আবেদনের বয়সসীমা সম্পর্কে আরো জেনে এসে বয়স্ক ভাতার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং খোলার নিয়ম এবং বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া এক কথায় বয়স্ক ভাতা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে জেনেছি আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এতে আপনার অনেক উপকার হবে এবং বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবে এতক্ষন আমাদের সাথে জিনারা আছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।