কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় - ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকা

আজকে আমরা জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় রোগ নানা রকমের হয়ে থাকে ভিটামিনের অভাবে সে সকল রোগবালাই গুলো কিসের জন্য হয় অনেকেই হয়তোবা জানিনা আজকে আমরা জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে কি কি রোগ হয়ে থাকে এবং কোন খাবার কোন ভিটামিন থাকে তা জানব।
কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়
ভিটামিন নানা রকমের হয়ে থাকে যেমন খাদ্য জরুরী কিছু ছোট জৈব অনু এগুলোর মধ্য দিয়ে বোঝায় আবার ভিটামিন কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন দ্রবণীয় ভিটামিন এবং কমপ্লেক্স ভিটামিন বি যেমন ফলিক এসিড ভিটামিন বি টু ভিটামিন বি ১২ এবং ভিটামিন সি আরও ইত্যাদি ইত্যাদি।

ভূমিকা

আজকে আমরা জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়ে থাকে এবং কোন খাবারে কোন ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে জানব এক কথায় বলা যায় ভিটামিন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য নিয়ে তৈরি হবে এই আর্টিকেলটি তাই সাজেস্ট করবো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করলে আপনাদের এই উপকারে আসবে নানা রকমের ভিটামিনের উপকার সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিত আরো জানতে নিচে দেখুন।

কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়

আমরা আজকে জানবো কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয় সে সম্পর্কে কিছু কিছু ভিটামিনের অভাবে বেশি রোগ দেখা দেয় যেমন ভিটামিন ডি ভিটামিন এ ভিটামিন ই ভিটামিন কে


এ সকল ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা দেয় যেমন অবসন্নতা ক্লান্ত ত্বক মাথা ঘোরা অনিয়ন্ত্রিত হাঁটবিট এই সকল রোগ গুলো ভিটামিনের অভাবে দেখা দেয় কিছু কিছু চিকিৎসা কেন্দ্র জানিয়েছে ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

রোগের সংকেত

বিভিন্ন রকমের ব্রণ দেখা দিতে পারে যেমন গাল হাত প্রভৃতি জায়গায় লাল অথবা সাদা ব্রণ হয়ে যেতে পারে এটা ভিটামিনের অভাবেই হয়ে থাকে এটা একটি রোগের লক্ষণ বা সংকেত বলে গণ্য করা যায়।

ভিটামিনের অভাব

এটি যে সকল ভিটামিনের অভাব তা হল ফ্যাটি এসিডের অভাব ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি এর অভাব এ সকল অভাব দেখা দিলে বেশিরভাগ উপরের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

এই সমস্যা গুলোর সমাধান

আমরা সাধারনতা জানি ভিটামিন ডি গ্রহণ করা যায় সূর্যের তাপের মাধ্যমে তবে জেনেশুনে রোদ পোহাতে হবে কারণ রোদের তাপে স্কিন কালো হয়ে যেতে পারে তাই সকাল ৯ টা থেকে দশটার মধ্যে রোদ পোহাতে হবে এছাড়া যে সকল খাবারগুলো খাবেন তাহলো মাছ টুনা মাছ সার্ড়িন মাছ ডিম দুধ মাখন সবুজ পাতা জাতীয় সবজি এগুলো খেলে


এই সমস্যা সমাধান মিলবে এর সাথে বিভিন্ন রকমের বাদাম এড করে নিতে পারেন এবং ভিটামিন এ পেতে খেতে পারেন পেঁপে রঙিন সবজি আলু মিষ্টি কুমড়া গাজর ক্যাপসিকাম আরো ইত্যাদি ইত্যাদি শাকসবজি খেতে পারেন এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এ সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিনযুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানতে হলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব ভিটামিনযুক্ত খাবারের তালিকা গুলো এ সকল ভিটামিন জাতীয় খাবার গুলো খেলে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং ভিটামিনের অভাব গুলো পূরণ হবে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারে কোন ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে।

সবুজ সবজি: সবুজ সবজির ভেতরে ধরা যায় পাতাকপি ফুলকপি বিভিন্ন রকমের শাক এ সকলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ এর পাশাপাশি রয়েছে আয়রন যার রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এটা দেহের পুষ্টির অভাব দূর করে থাকে।

বিভিন্ন রকমের ফল: বিভিন্ন রকমের ফল ফল বলতে যেমন টমেটো পেঁপে আম আরো ইত্যাদি ইত্যাদির ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন ভিটামিন এ আরো অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে যা দেহের জন্য অনেক উপকারী ফল ফুলারী হিসেবে গণ্য করা হয় এই ফলগুলোকে।

পনির এবং মাখন জাতীয় খাবার: পনির এবং মাখন জাতীয় খাবারেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রোটিনের চাহিদা এর পাশাপাশি পানির ওমাখন ভিটামিনের বিভিন্ন রকম চাহিদা ও পূরণ করে থাকে শরীরের রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে যেমন এক কাপ দুধের 14 শতাংশ ভিটামিন এ পূরণ করে থাকে।


তাই উপরে উল্লেখিত এ সকল খাদ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে এ সকল রোগ বালাই থেকে মুক্তি মিলবে এর পাশাপাশি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণের পানীয় পান করবেন পানিতে শরীরের রোগ ভালো করতে কাজ করে থাকে।

ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

তো আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে আপনি যদি এতগুলি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন কাকে বলে সে সম্পর্কে এবং কত প্রকার ও কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভিটামিন কাকে বলে

ভিটামিন হলো এক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা দেহের জন্য খুব স্বল্প পরিমাণ এর প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং তা আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন রকমের সাহায্য করে থাকে অন্যদিকে একে বলা হয় খাদ্য প্রাণ কারণ এটা রাসায়নিক দিক থেকে অক্সিজেন কার্বন ও হাইড্রোজেন এক ধরনের জৈব যৌগের একটি গ্রুপ


এগুলো মূলত নানা রকমের খাবার থেকে পেয়ে থাকে এই ভিটামিন আমাদের শরীরেই অল্প পরিমাণের তৈরি হয়ে থাকে এটা শরীরে ঘাটতি থাকলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিবে ভিটামিনের অভাবে।

ভিটামিন কত প্রকার

আমরা জানবো ভিটামিন কত প্রকার সেই সম্পর্কে ইতিমধ্য জেনেছি ভিটামিন কাকে বলে এবার জানবো ভিটামিন কত প্রকার এর পরে জানব ভিটামিন কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন কত প্রকার সে সম্পর্কে ভিটামিন মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে যথা ১)সলিউবলএবং ২) ওয়াটার সলিউবল।

ভিটামিনের কি কি ধরন

ভিটামিনের কিছু কিছু ধরন রয়েছে তো চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি ধরণ রয়েছে ভিটামিনের এবং কতটি ধরন রয়েছে সেই সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য জানবো ভিটামিন সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন এবং আমাদের সাথে থাকুন তাহলে ভিটামিন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিনের কি কি ধরনের রয়েছে।
  • ভিটামিন এ

  • ভিটামিন বি

  • টামিন সি

  • ভিটামিন ডি

  • ভিটামিন বি এক

  • ভিটামিন বি ২

  • ভিটামিন বি ৩

  • ভিটামিন বি ৫

  • ভিটামিন বি ৬

  • ভিটামিন বি ৭

  • ভিটামিন বি১২

  • ভিটামিন ই

  • ভিটামিন কে
আরও অন্যান্য স্তর রয়েছে ভিটামিনের এবং ধরন রয়েছে যা দেয়ার জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে এই সকল ভিটামিন গুলো এই ভিটামিন দেহে কমে গেলে নানা ধরনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে তাই এগুলো সব সময় শরীরে ভরপুর থাকার জন্য শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

ভিটামিনের উপকারিতা

ভিটামিনের ঘাটতি হলে বিভিন্ন রকমের রোগ বালাই দেখা দিতে পারে তাই আজ আমরা জানবো ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই তো কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে।
  1. সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর চুল ত্বক চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে
  2. সুস্থ নার্ভ ফাংশন বজায় রাখতে সাহায্য করে
  3. হার এবং দাঁত মজবুত করে
  4. এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে থাকে
  5. শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে
  6. কোষের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং বিভাজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
  7. রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে
  8. ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের শোষণকে সাহায্য করে
  9. এবং সর্বশেষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে
উপরোক্ত এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে জানতে পারলাম ভিটামিনের উপকারিতা সম্পর্কে যাদের একদমই ভিটামিন সম্পর্কের ধারণা নেই তারা এই আর্টিকেলটি পড়লেই ভিটামিন সম্পর্কে এটুজেট ধারণা পেয়ে যাবেন তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটা পড়ুন এবং সাথে থাকুন।

ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ

ভিটামিনের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ বিভিন্ন রকমের দেখা দিতে পারে এর মধ্যেও সবচাইতে বেশি সমস্যা যেগুলো ভিটামিনের অভাবে দেখা দেয় তা হল।

১)সর্বপ্রথম ত্বকের সমস্যা

২)হেমিওনের সমস্যা

৩)ক্লান্ত এবং দুর্বলতার সমস্যা

৪)দুর্বল হার এর সমস্যা এবং দাঁতের সমস্যা

৫)দুর্বল রক্ত জমাট বাঁধা এবং

৬)সর্বশেষ রোগ প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা

এগুলো মূলত ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ হিসেবে গণ্য করা যায় তাই এই সকল ভিটামিনের অভাব কখনোই ফেলা যাবে না দেহে নয়তো এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সবসময় ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

কোন খাবারে কোন ভিটামিন

আমরা জানবো কোন খাবারে কোন ভিটামিন থাকে সেই সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছে কারণ সঠিক উপায় জানানোর চেষ্টা করব কোন খাবারে কোন ভিটামিন থাকে সে সম্পর্কে কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত নিচে দেখুন সবচাইতে কিছু উপকারি ভিটামিন গুলো।

ভিটামিন কে: ভিটামিন কে পাওয়া যায় মূলত পুই শাক বাঁধাকপি সরিষা সয়াবিন তেল লেটুসপাতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

ভিটামিন এ: ভিটামিন এ পাওয়া যায় মূলত মিষ্টি আলু লাল শাক গাজর মিষ্টি কুমড়া আরো ইত্যাদি ইত্যাদি সবজিতে।

ভিটামিন ই: ভিটামিন ই পাওয়া যায় মূলত সবুজ শাকসবজি ডিমের কুসুম বাদাম শস্য দানা ইত্যাদি ইত্যাদি সবজিতে।

ভিটামিন বি: ভিটামিন বি পাওয়া যায় মূলত শস্য দানা সামুদ্রিক মাছ মাংস ডিম আরও ইত্যাদি ইত্যাদি মাছ-মাংসের থাকে।

ভিটামিন ডি; ভিটামিন ডি পাওয়া যায় মূলত এর দুধ মাছ ডিমের কুসুম এবং রোদ্দুরে আরো ইত্যাদি ইত্যাদি উপায়ে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ ভিটামিন সি: ভিটামিন সি পাওয়া যায় মূলত ফুলকপি পেঁপেঁ পেয়াজ ব্রকলি কলা আঙ্গুর জাম আনারস কমলা স্ট্রবেরি টমেটো কাঁচামরিচ লেবু আরও ইত্যাদি ইত্যাদি খাবারের ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

সর্বশেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কোন ভিটামিনের অভাবে কি রোগ হয়আরো জেনেছি ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে আরো জেনেছি কোন খাবারে কোন ভিটামিন থাকে সেই সম্পর্কেও এক কথায় বলা যায় ভিটামিন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পেরেছি আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য তাহলে ভিটামিন সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে জিনারা আছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url