সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে - ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে
আপনি যদি সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব সরকারি চাকরি সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য দেওয়ার জন্য আরো জানবো ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।
সরকারি চাকরি মূলত বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞপ্তি গুলোর মাধ্যমে জানানো যায় এবং বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া লিখিত পরীক্ষায় ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে হয়ে থাকে
ভূমিকা
আমরা আজ জানবো সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে এবং ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে এক কথায় বলা যায় সরকারি চাকরি এবং বেসরকারি চাকরিতে যে সকল কাগজপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য নিয়ে আর্টিকেলটি তৈরি করা হলো তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সরকারি চাকরিতে এবং বেসরকারি চাকরিতে যে সকল কাগজপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন।
সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে
যেকোনো সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আবেদন এর মাধ্যমে এর মাধ্যমে কোন প্রকার কাগজ পাতি জমা দেওয়া না লাগলেও কিছু কাগজপত্র নিজের কাছে রাখা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায় যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা মার্কসিট জন্ম নিবন্ধন বা এনআইডি কার্ড এবং রঙিন ছবি পাসপোর্ট সাইজের এগুলো প্রয়োজন হবে
ফরম পূরণ করার জন্য এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আপনার একটির সঙ্গে আরেকটি কাগজের যদি মিল না থাকে তাহলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে এবং ভুল থাকার কারণে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সেই জন্য জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র সব রকম শিক্ষা সনদ এবং ছবি
একত্রে নিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে এবং বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে তারপরেই সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন তো মূলত এগুলোই প্রয়োজন হয়ে থাকে সরকারি চাকরিতে আবেদন করার জন্য এবং এই কাগজগুলো সাথে নিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া
আমরা সাধারণত জানি যে সরকারি চাকরির সাধারণত কিছু কমন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে থাকে যেমন সাধারণভাবে কিছু কিছু নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে যেমন বিজ্ঞপ্তি গুলোতে দেয়া থাকে চাকরির এ টু জেড পদের বিবরণী গুলো যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা আবেদনের সময়সূচী পদ সংখ্যা এবং আবেদনের অন্যান্য আরো শর্ত উল্লেখ করা হয়ে থাকে
চাকরির আবেদন পত্র জমা দেওয়া বা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে উক্ত চাকরিতে আবেদন করতে হয় এবং এগুলো নিয়ম মেনে সময় মত পেশ করতে হয় নয়তো বাতিল হয়ে যেতে পারে আবেদন এবং সবকিছু হয়ে গেলে সিলেক্ট হয়ে গেলে তার থেকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়ে থাকে এবং নির্ধারিত সময়ে তাকে উপস্থিত হতে হয়
পরীক্ষা কেন্দ্রে এটা মূলত বাংলা ইংলিশ এবং গণিতের উপর এমসিকিউ পরীক্ষার নেয়া হয়ে থাকে এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হতে পারলে পরের দিন তাদেরকে এই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডেকে আনা হয় মৌখিক ভাইভাতে উত্তীর্ণ হতে পারলে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়
ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয় কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এভাবেই মূলত সব রকম চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে
আপনি যদি জানতে চান ভাইয়ের হাতে কি কি কাগজপত্র লাগে তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব ভাইভাতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে যেমন অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রেই অনলাইনে আবেদন করা লেগে থাকে তাই আমরা জানব মৌখিক বা ভাইভা পরীক্ষাতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা বিস্তারিত নিচে দেখুন।
সরকারি চাকরির আবেদন ফরম পূরণ
অনলাইনে সম্পূর্ণভাবে আবেদন ফরম পূরণ করার পর কিছু তথ্য দেওয়া লাগে যেমন আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য যেমন আপনার নাম পিতার নাম মাতার নাম ঠিকানা শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা আরও ইত্যাদি ইত্যাদি সম্বলিত যে অনলাইন ফর্মটি প্রিন্ট বের করেছেন সেটি জমা দিতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা সার্টিফিকেট
বিশেষ করে সরকারি চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার যত রকম সনদপত্র রয়েছে সব সনদপত্রের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তাদের দিয়ে সত্যতা করে নিতে হবে এরপরে তা মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভাতে তা জমা দিতে হবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র জমা
যখন কোন বিশেষ করে সরকারি চাকরি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তার আগে একটি প্রবেশপত্র দিয়ে থাকে শিক্ষার্থীদের কে তাই ভাইবা পরীক্ষা দেওয়ার সময় সেই প্রবেশপত্রটি নিয়ে যেতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে ওখানে এক্সামিনার যে থাকবে তার স্বাক্ষর নিতে ভুল করা যাবে না মনে করে তার স্বাক্ষর নিয়ে নিতে হবে।
নাগরিকত্ব সনদপত্র
সরকারি চাকরি বা যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রেই নাগরিকত্ব সনদপত্র লেগে থাকে তাই ভাইভা দেওয়ার সময় আপনি যে ইউনিয়ন বা পৌরসভার স্থায়ী একজন বাসিন্দা তা প্রমাণ দেওয়ার জন্য সেই ইউনিয়ন বা পরিষদের চেয়ারম্যানের বা পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে একটি নাগরিকত্বের সনদপত্র সংগ্রহ করে তা ভাইভা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র
জাতীয় পরিচয় পত্র এন আই ডি কার্ড এগুলো না থাকলে জন্ম সনদের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে তা ভাইভা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইলে রেজাল্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
পাসপোর্ট সাইজের ছবি মূলত যে কোন ভাইভা পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করার সময় নিয়ে প্রবেশ করতে হবে ছবিটি হতে হবে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এটাও প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সাত তৈরি করে নিতে হবে এবং তা জমা দিতে হবে ভাইভা বোর্ডে কোন কোন ক্ষেত্রে স্টাম্প জাতীয় ছবিও লাগতে পারে।
চারিত্রিক সনদ
চারিত্রিক সনদপত্র বলতে আপনি যেই পৌরসভা বা ইউনিয়নের বাসিন্দা তাদের কাছ থেকে একটি চারিত্রিক সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং তা প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে তা ভাইবা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
কোটার সনদ
আপনার যদি কোন কোটা থেকে থাকে যেমন প্রতিবন্ধী কোটা মুক্তিযোদ্ধা কোটা এরকম বিভিন্ন রকমের যদি কোটা থেকে থাকে তাহলে তার একটি ফটোকপি গেজেটেড কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
সর্বশেষ অনুমতি পত্র
যিনি চাকরি পেয়েছেন তিনি যদি কোন আধা সরকারি বা বেসরকারি বা সরকারি চাকরিরত থাকে এবং এখানে চান্স পেয়েছে এখানে চাকরি করতে চায় তাহলে এই নিয়োগের ভাইবার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পত্র প্রদান করতে হবে এছাড়াও অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা বিভিন্ন রকমের সার্টিফিকেট এর মত কাগজ জমা দিতে হতে পারে।
অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ আমরা সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব অনলাইনে যে কোন ধরনের চাকরির আবেদন করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানাতে তো কথা না বাড়িয়ে চলুন স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেওয়া যাক অনলাইনে চাকরির আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে।
১) যে চাকরির জন্য আবেদন করবেন সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে।
২) এর আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অথবা পরীক্ষার অফিসিয়াল নোটিশ বোর্ড বা নোটিশের লিংকে ভিজিট করে নিতে হবে।
৩) সবচাইতে ভালো হবে নোটিশটি ডাউনলোড করে নিয়ে তা মনোযোগ সহকারে পড়া এবং সেই উক্ত নোটিশ বোর্ড থেকে এপ্লিকেশন করার সঠিক লিংকটি খুঁজে বের করে নেওয়া।
৪) এবং অ্যাপ্লিকেশন লিংক ভিজিট করার আগে একটি অপশন থাকবে এপ্লাই অনলাইন অপশন সেখানে ক্লিক করতে হবে।
৫) সেখানে একটি লিস্ট অনুযায়ী আপনার কাছে ইনফরমেশন চাইবে সেই ইনফরমেশন গুলো দিয়ে সঠিকভাবে ফ্রম ফিলাপ করতে হবে।
৬) এবং সর্বশেষ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রিভিউ দিয়ে সেটা সাবমিট করে দিতে হবে এ কয়টি ধাপ অনুযায়ী কাজ করলেই আপনি ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
বেসরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে
বেসরকারি এ চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে সে সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক বেসরকারি চাকরিতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে কাগজটি লাগে তা হল একটি সিভি তারপরে শিক্ষাগত যোগ্যতার একটি সনদ আপনার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি
এন আই ডি কার্ড না থাকলে জন্ম সনদের ফটোকপি চেয়ারম্যান বা পৌরসভার সার্টিফিকেট এর পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে যেমন ব্যাংক চেক পিতা এবং মাতার এন আইডি কার্ড অভিজ্ঞতার সনদপত্র এবং বিদ্যুৎ বিল এই কয়টি কাগজের মাধ্যমেই বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে পারবেন।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি সরকারি চাকরি এতে কি কি কাগজ লাগে এবং ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে আরো জেনেছি অনলাইন এর মাধ্যমে যে কোন চাকরির নিয়োগ দেওয়া সম্পর্কে এবং অনলাইনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এটা আপনি অনেক উপকৃত হবেন আমরা চেষ্টা করি প্রতিটি আর্টিকেল যেন পাঠকের উপকারে আসে সেজন্য অল্প কথাতে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে থাকে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url