প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম - গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম
আজকে আমরা জানবো প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এবং আরো জানবো গর্ভবতী ভাতা আবেদন করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে আমরা জানানোর চেষ্টা করে থাকি।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন করার জন্য এবং গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার মাধ্যমে আপনি এই সকল এটুজেট তথ্য জানতে পারবেন।
ভূমিকা
আজকে আমরা যে সকল তথ্যগুলো আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরব তার মধ্য সবচাইতে বেশি উপকারী হিসেবে গণ্য করা যায় প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম টিকে এরপরে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম এর পরে আছে বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম এবং বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম এক কথায় এই সকল আবেদন গুলোর এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আমরা জানব আর এগুলো জানার জন্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকতে হবে এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে সর্বপ্রথম একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে যেমন https;//mis.bhata.gov.bd/onlineapplication এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এরপরে
একটি আপনার সামনে লিস্ট আকারে ফর্ম চলে আসবে সেই ফর্মটি ফিলাপ করে সাবমিট করে দিতে হবে এরপরে আবেদনটি প্রিন্ট আকারে বের করে নিতে হবে এরপরে চেয়ারম্যান অথবা মেয়রের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিয়ে দিতে হবে সর্বপ্রথম ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর কিছু অপশন দেখতে পাবেন যেমন
প্রতিবন্ধী ভাতা বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা এর ভিতর আমরা এখন জানবো প্রতিবন্ধী ভাতা তাই ওখানে ক্লিক করতে হবে এভাবেই মূলত প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করা হয়ে থাকে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে কি কি কাগজ প্রয়োজন
আজকে আমরা জানবো প্রতিবন্ধী আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে প্রয়োজন হবে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এরপরে প্রয়োজন হবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পরিচয় পত্র বা নাগরিক কার্ড এরপর আর প্রয়োজন হবে মোবাইল নাম্বার যাতে নগদ এবং
আরো পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
বিকাশ খোলা থাকতে হবে কারণ টাকা এখন বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন সর্বপ্রথম এ কাগজগুলো সংগ্রহ করতে হবে তারপরে প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে পারবেন প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে আরও এ টু জেড তথ্য জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম
গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে যদি জানতে চান একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সঠিক উপায় গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি মূলত কয়েক ধরনের সবচাইতে অন্যতম হলো অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম টি আরও দুইটি মাধ্যম আছে যেমন
ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল পোর্টালের মাধ্যমে এবং অন্যটি হলো তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে এখানে যে তিনটি উল্লেখ করা হলো এই তিনটি মাধ্যমে গর্ভবতী ভাতার আবেদন করা হয়ে থাকে এবার জানবো গর্ভবতী ভাতার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে তাহলে আবেদন করা যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিজে দেখুন।
গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন
১)গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য চার থেকে ছয় মাসের গর্ভবতী মেয়েদের আবেদন করার প্রক্রিয়াটি চালু আছে এর বাইরে হবে না।
২)এবং যিনি আবেদন করবেন গর্ব অবস্থায় তার বয়স হতে হবে ২০ থেকে ৩৫ বছরের ভেতরে।
আরো পড়ুন: ভর্তি ফরম পূরণ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
৩) এ ভাতাটি পাওয়া যাবে মূলত প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে এই ভাতাটি পাওয়া যাবে দুটি সন্তানের বেশি হলে এই ভাতাটি পাওয়া যাবে না।
৪) এবং এক থেকে 20 তারিখের মধ্যে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে মূলত এগুলোই হল গর্ভবতী ভাতা আবেদনের জন্য যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো আগে সংরক্ষণ করে নিতে হবে নয়তো আবেদন করতে গিয়ে নানা ধরনের ঝামেলা হতে পারে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা সেই জন্যই অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়ে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- গর্ভবতী টিকা কার্ড
- রোমান স্বরূপ কিছু ডাক্তারের যেকোনো ধরনের একটি স্লিপ রাখতে হবে
- এবং মোবাইল ব্যাংকিং থাকা লাগবে যেমন বিকাশ নগদ এবং অন্যান্য মাধ্যম
এই চারটি কাগজ এবং ডকুমেন্ট থাকলেই আবেদন করতে পারবেন গর্ভবতী ভাতার জন্য এই সকল কাগজপত্র মাস্ট বি লাগবেই তাই সর্বপ্রথমে কাগজগুলো সংরক্ষণ করতে হবে তারপরেই গর্ভবতী ভাতার আবেদন করতে হবে।
গর্ভবতী ভাতার কত টাকা দিয়ে থাকে
অনেকেই হয়তোবা জেনে নিয়েছেন গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে তবে অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন যে গর্ভবতী ভাতা আর কত টাকা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কত টাকা দিয়ে থাকে সেই সম্পর্কে প্রতিমাসে মূলত ৮০০ টাকা করে দিয়ে থাকে টোটালের ছয় মাস পর পর দিয়ে থাকে
হিসাব করে আসে 4800 টাকা এই ৪ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করে থাকে ছয় মাস পর পর আবেদন সম্পূর্ণ হলে কাগজপত্র ডকুমেন্ট সব ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাস পর পর চার হাজার ৮০০ টাকা পেয়ে যাবেন খুব সহজেই এই নিয়মগুলো মেনে চলার মাধ্যমে।
বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনের মাধ্যমে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সঠিকভাবে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে সর্বপ্রথম যেটি প্রয়োজন হবে তাহলে একটি স্মার্টফোন তাতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার হলেও হবে এরপরে
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর পরিবর্তে হবে এরপরে একটি অপশন থাকবে বিধবা ভাতা সেখানে ক্লিক করতে হবে এরপরে একটি অপশন আসবে সেখানে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে এরপরে কিছু তথ্য চাইবে সেই তথ্যগুলো দিয়ে দিতে হবে এরপরে আরো কিছু ডকুমেন্ট চাইতে পারে সেখানে ডকুমেন্টগুলো দিতে হবে
এরপরে নিচের দিকে যেতে হবে একবার মোবাইল নাম্বার দিয়ে তারপরে আরেকবার ভেরিফিকেশন এর জন্য দিতে হবে এবং মোবাইল নাম্বারটি এমন দিতে হবে যাতে বিকাশ এবং নগদ আর অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে সব তথ্যগুলো পেশ করার পরে সাবমিট করে দিতে হবে এবং তথ্যগুলো প্রিন্ট করে নিতে হবে
এগুলো করার কারণ হলো এই ডকুমেন্টটি সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর থাকতে হবে এইভাবেই বিধবা ভাতা আবেদন করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে
বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে সে সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করব এ সকল এটুজেট তথ্য তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১) যিনি আবেদন করবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য তথ্য প্রয়োজন হবে
২) তার স্বামীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং মৃত্যুর সনদপত্র প্রয়োজন হবে
৩) একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে যেটি সবসময় চালু অবস্থায় থাকে
৪) মোবাইল ব্যাংকিং
৫) এবং আরো অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হবে যা আবেদন করার সময় জেনে নিতে পারবেন।
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন কারণ সঠিক উপায়ে জানানোর চেষ্টা করে থাকে আমরা সঠিক তথ্যগুলো তো চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
- সর্বপ্রথম একটি মোবাইল অথবা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে
- এরপরে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে প্রবেশ করার পর কিছু অপশন থাকবে সেখানে সিলেক্ট করতে হবে বয়স্ক ভাতা অপশনটি
- পরবর্তী ধাপে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সে অনুযায়ী জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য সঠিক থাকলে সব ঠিক হয়ে যাবে
- এরপরে আরো কিছু তথ্য দেওয়া প্রয়োজন হবে যেমন বৈবাহিক অবস্থা শিক্ষাগত যোগ্যতা পেশা বার্ষিক আয় সার্থকতা তথ্য বাসস্থান ভূমি পরিমাণ আরো ইত্যাদি তথ্য প্রয়োজন হতে পারে
- এর পরে সফলভাবে আবেদনটি সম্পূর্ণ হলে একটি প্রিন্ট বের করে নিতে হবে কারণ এই প্রিন্টে জমা দেওয়া লাগবে সমাজসেবা অধিদপ্তরে এটি একটি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর নিয়ে নিতে হবে দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।
বয়স্ক ভাতার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়
বয়স্ক ভাতার আবেদনের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো যার বয়স্ক ভাতা জন্য আবেদন করা হবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে অথবা প্রয়োজন হবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এবং প্রয়োজন হবে চেয়ারম্যান বা স্থানীয় পৌরসভা এবং কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে এগুলো মূলত বয়স্ক ভাতার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি প্রতিবন্ধী অনলাইন আবেদন করার নিয়ম গর্ভবতী ভাতার আবেদন করার নিয়ম বয়স্ক ভাতার আবেদন করার নিয়ম গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন পত্র এক কথায় এ টু জেড ড তথ্য জানতে পারলাম আমরা বিভিন্ন রকমের অনলাইন আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য একেবারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে এই সকল এ টু জেড তথ্যগুলো জানতে পারবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url