রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয় - রমজান মাসে দানের ফজিলত

 রমজান মাসে যেগুলো করবেন সেগুলো হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ৩০ টি রোজা সহিসালামতে পরিপূর্ণ করা আমরা আরো জানবো রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে কি করলে রমজান মাসকে আমরা আঁকড়ে ধরতে পারবো এবং আরো জানবো রমজান মাসে দানের ফজিলত আমরা জানি রমজান মাসে দান করলে অনেক সুয়াব পাওয়া যায়।

রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয়
আমরা জানি এগারোটি মাস পর আমাদের এই রমজান মাস আসে এই মাসটিতে আমরা আনন্দের সহি ৩০ টি রোজা পালন করে থাকি এবং আমরা জানি রমজান মাসের ফজিলত সব মাসের চাইতে অনেক বেশি সেজন্য রমজান মাসে এত মূল্যায়ন দেওয়া হয়।

ভূমিকা

আমরা জানি রমজান মাস আমাদের জন্য একটি ফজিলতের মাস এই রমজান মাসের ৩০ টি রোজা আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন আল্লাহ তা'আলা নিজে এবং ত্রিশটি রোজা পার করিয়ে আমরা একটি ঈদ পাই সেটি হলাম ঈদুল ফিতর সবই আল্লাহতালার নেয়ামত স্বরূপ আল্লাহ চাইলে সবই পারে তো আমরা জানবো রমজান মাস সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

আল্লাহ তাআলা রমজান মাস নিয়ে নিজেই বলেছেন এই মাসটি তোমাদের জন্য একটি ফজিলত এর মাস এই মাসটিতে আল্লাহর কাছে যা চাওয়া যায় তাই দেওয়ার জন্য আল্লাহতালা নিজে সপ্তম আসমানে বসে থাকে রমজান মাসের রাতগুলি হয় এবাদতের রাত এই এবাদতের রাতে যদি সরল এবং ফ্রেশ মনে আল্লাহকে আকুতি মিনতি করে


ডেকে আল্লাহকে মনের কথা যদি বলা যায় আল্লাহ তা কবুল করে নেয় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন এই মাছটি আমি আর তোমাদের প্রতি রহমতের একটি মাস হিসেবে গণ্য করেছি এই মাসটিতে যে যা চাইবে তাকে তাই দেওয়া হবে তবে খারাপ কাজ থেকে তাদেরকে বিরত থাকতে হবে যেমন এই মাসটি আমাদের এবাদতের জন্য

শুধু এই মাসটিই না সারা জীবনই আমাদেরকে এবাদত করে যেতে হবে আল্লাহ রমজান মাসের রাতগুলো দিয়েছে এবাদতের জন্য এবং ত্রিশটি রোজা আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছে কোরআনের আয়াত অনুযায়ী রমজান মাসে যে রোজা রাখে সে সম্পূর্ণ আল্লাহর হেফাজতে থাকে এবং নিরাপদ থাকে এবং তার সাথে মহান আল্লাহ তা আলার যোগাযোগ থাকে

আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন তোমরা এই রমজান মাসে এবাদতের রাতগুলোতে বেশি বেশি এবাদত করার জন্য এবং সালাত আদায় করার জন্য এবং আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করার মাধ্যমে তোমরা যা চাও তাই পাবে মুমিনদের সম্পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা পরিবর্তনের একটি মাস হলো রমজান মাস এবং কিছু


কিছু হাদিসে এসেছে রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে মুসলমানদের আগে যা গুনা করেছে সে গুনাহ সমূহ মাফ করে দেওয়া হয় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্ল্লাম এর বানি রমজান মাসে জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়

রমজান মাসে করণীয় ও বর্জনীয়

রমজান মাস সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা সঠিক উপায়ে জানার চেষ্টা করব রমজান মাসে কি কি করা উচিত এবং কি কি করা উচিত নয় কি কি করনীয় এবং কি কি বর্জনীয় সে সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য নিয়ে রমজান সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হলো বিস্তারিত নিচে দেখুন।

রমজান মাসে আমাদের করণীয়

হলো বেশি বেশি ইবাদত করা সালাত আদায় করা ইবাদতের রাতগুলিতে রাত জেগে সালাত আদায় করা আল কোরআন পাঠ করা এবং মাসের ৩০ টি রোজা সঠিকভাবে পালন করা কারণ রমজান মাসে মুসলমানদের জন্য একটি ফজিলতের মাস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে অন্যান্য মাসের চাইতে।

রমজান মাসের ইবাদতের সবচাইতে মূল্য বেশি যেমন অন্যান্য মাসের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সোয়াব এই রমজান মাসে এক ওয়াক্ত নামাজের সমান কারণ রমজান মাস থেকে আল্লাহ তাআলা নিজে মুসলমানদের জন্য একটি উপহারকৃত মাস হিসেবে গণ্য করেছে তাই এ মাসে যত এবাদত করা যাবে আর অন্যান্য মাসের চাইতে অনেক মূল্যবান।

এই মাসে এবাদত করা আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সহি শুদ্ধ ভাবে কোরআন তেলাওয়াত করা এবং এবাদতের রাতগুলিতে বেশি বেশি সালাত আদায় করা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এগুলি হল রমজান মাসের করণীয় এবাদত সমূহ।

রমজান মাসের বর্জনীয় কাজ

রমজান মাসের বর্জনীয় কাজ বলতে আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি যে সকল কাজগুলো আমাদের করা উচিত নয় সে সকল কাজকে বলা হয় বর্জনীয় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বর্জনীয় কাজ গুলো কি কি রমজান মাসকে মুসলমানদের জন্য একটা ফজিলতের মাস হিসেবে তৈরি করেছে


আর এই মাসে যদি আমরা খারাপ কাজ করে বেড়ায় তাহলে আল্লাহ তাআলা নিজে নারাজ হয়ে যাবে আর আল্লাহকে নারাজ করলে কেউ কখনো সুখী হতে পারবেনা তার সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকবে যে কোন খারাপ কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে যেমন মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে

এবং আশেপাশে যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে তাদেরকেও এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিতে হবে এবং অশ্লীল জাতীয় ভিডিও দেখাদেখি এগুলো পরিহার করতে হবে নাপাক হয়ে যাওয়ার মত কাজ থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে পলকে বর্জন করতে পারলে আমরা মুসলমান হিসেবে গণ্য হবে এবং আল্লাহর চোখে ভালো হওয়া যাবে।

ইফতার করার সঠিক নিয়ম

ইফতার করার সঠিক নিয়ম হলো সূর্য ডোবার পরেও না সূর্য ডোবার আগেও না সূর্য ডোবার মাঝামাঝি পয়েন্টে কিংবা আযান একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও না এবং আজান শুরু হওয়ার আগেও না আজান শুরু হবে তখন ইফতার করা উত্তম কাজ কারণ ইফতারের সময় পার হয়ে গেলে ইফতার করলে সেই রোজাটা ঢিলে হয়ে যায় সারাদিন না খেয়ে থেকে

রোজা ঢিলে হয়ে গেলে রোজার কোন মূল্য থাকে না আবার যদি আযানের আগে খেয়ে নেন তাহলেও রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে সারাদিন না খেয়ে থেকে যদি কিছুটা সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে ইফতার করে ফেলায় তাহলে সারাদিনের উপস্থাকা গোটাটাই বৃথা চলে যাবে তাই সেই দিকে খেয়াল রেখে আমাদেরকে সঠিক নিয়মে ইফতার করতে হবে


তো ইফতারের সঠিক নিয়ম কখন চলুন জেনে নেওয়া যায় ইফতারের সঠিক নিয়ম হল যখন সূর্য অস্ত নেওয়া ভাব বা মসজিদের মাইকে যখন আজান দেবে তার পূর্বে ইফতারি নিয়ে সুন্দরভাবে বসে থেকে দোয়া পাঠ করা এবং ইফতারি নাড়াচাড়া করা এটি হলো সুন্নত এবং যখন আজান দেবে তখন ইফতারের দোয়া পাঠ করে ইফতার করা উত্তম এটাই হলো

ইফতারের সঠিক নিয়ম এবং আযান দেওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা শুরু করতে হবে কারণ এই সময়টাই হলো সঠিক সময় কেউ কেউ আছে আজান শেষ না হলে ইফতারি করে না এটা করা ঠিক নয় রোজাটি ঢিলে হয়ে যেতে পারে এবং আগেও খাওয়া যাবে না রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে তো ইফতার করার সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া হল।

রমজান মাসে দানের ফজিলত

আমরা সকলেই জানি রমজান মাসের দান করার ফজিলত সব মাসের চাইতে অনেক বেশি তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বেশি এবং কেন রমজান মাসের দান করা বেশি ফজিল অন্যান্য মাসের চাইতে রমজান মাসের দান করা ফজিলত বেশি কারণ রমজান মাসে বরকত রহমত এবং ফজিলত সবগুলোই বেশি বেশি থাকে।

সেই কারণে রমজান মাসে দানের ফজিলত এতটা বেশি দানের ফজিলত কেমন বেশি চলুন জেনে নেই রমজান মাসে এক টাকা দান করলে অন্যান্য মাসের ৭০ টাকার সমান নেকি পাওয়া যায় মানে এক টাকার দ্বারা ৭০ টাকা বোঝানো হয়েছে এই কারণে যে অন্যান্য মাসের চাইতে রমজান মাস সবচাইতে সেরা একটি মাস টাকার মাধ্যমে এটা বোঝায়


অন্যান্য মাসে ৭০ টাকা দান করলে এবং রমজান মাসে এক টাকা দান করলেন অন্যান্য মাসে ৭০ টাকা ধানের সমান নাকি রমজান মাসে একটা হাতে পাওয়া যায় এটাই হল রমজান মাসের দানের ফজিলত এবং গরিব মিসকীনদের কে ইফতারির ব্যবস্থা করে দেওয়া এটা উত্তম একটি কাজ একটি রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারের ব্যবস্থা করে দেওয়া মানে তার

আমলনামায় যতটা নেকি লেখা হবে আপনারও ততটা নেকি লেখা হয় তাই আমরা চেষ্টা করব রমজান মাসে ফকির মিসকিনদের ইফতারের ব্যবস্থা করা এবং গরিব-দুঃখীদের পাশে থাকা এবং আল্লাহর পথে দান সদকা বেশি বেশি করে করা বর্তমানে রমজান মাসে কারণ রমজান মাসে সবদিক দিয়েই ফজিলত বেশি তাই আমরা চেষ্টা করব দান করা বেশি বেশি।

রোজা রাখার সঠিক নিয়ম কানুন জেনে নিন

রোজা রাখার সঠিক নিয়ম হল ভোরবেলা আযানের আগে সেহেরী করা এবং সারা দিন এক ফোঁটা জলও স্পর্শ না করা মানে না খাওয়া এবং সন্ধ্যার সময় মাগরিবের আজান দিলে আযানের সময় ইফতারি করা এবং এর ভিতরে কিছু সময় আছে সারাদিন পড়ে আছে এর মধ্যে রোজা ভেঙে যেতে পারে যেমন রোজা ভাঙ্গার কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো।

চোখের মাধ্যমে: চোখের মাধ্যমে রোজা ভেঙে যেতে পারে যেমন রোজা রেখে আপনি যদি অশ্লীল ভিডিও দেখে তাহলে আপনার চোখের রোজা ভেঙে যেতে পারে এবং রোজা অবস্থায় যদি কুদৃষ্টিতে কারো দিকে তাকান তাহলেও আপনার রোজা ভেঙে যেতে পারে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে চোখ দুটোকে হেফাজতে রাখর।

কানের মাধ্যমে: কানের মাধ্যমে রোজা ভেঙে যেতে পারে যেমন কেউ গালিগালাজ করছে ওখানে দাঁড়িয়ে থেকে আপনি গালিগালাজ শুনছেন সেই ক্ষেত্রে তারও তো পাপ হচ্ছে আপনারও হবে সো যেখানে খারাপ কাজ হবে খারাপ কথাবার্তা হবে সেখানে থাকা যাবে না রোজা অবস্থায় কানদুটোকেও হেফাজতে রাখতে হবে।

এবং হাত দুটো: হাতের মাধ্যমে ও রোজা ভেঙে যেতে পারে এই হাতে খারাপ কাজ করা যাবে না যেমন চুরি ডাকাতের লোকের সঙ্গে গন্ডগোল মারামারি রোজা অবস্থায় এগুলো করা যাবে না শুধু রোজা অবস্থায় না কখনোই করা যাবে না তবে রোজা অবস্থায় করলে রোজা ভেঙে যেতে পারে আর রোজা ভেঙ্গে গেলে সারাদিন উপোস থাকাই হবে রোজা আর হবে না সেজন্য হাত দুটোকে হেফাজতে রাখতে হবে।

এবং মুখের মাধ্যমে: এটা তো সকলেই জানেন যে মুখের মাধ্যমে অনেকভাবে রোজা ভেঙে যেতে পারে তার মধ্যে কিছু কারণ হলো মুখের কিছু কোন কিছু সেবন করা যাবে না মানে খাওয়া যাবেনা এই মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলা যাবে না এই মুখ দিয়ে কারো নামে গেল্লা করা যাবে না কারণ আমি খারাপ কথাও বলা যাবে না মানে মুখকেও আমাদেরকে হেফাজতে রাখতে হবে।

রোজার প্রয়োজনীয় মাসয়ালা

রমজান মাস প্রতিটা মুসলমানের জন্য ত্রিশটা রোজা ফরজ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তা'আলা নিজে তাই সকলকেই চেষ্টা করা উচিত এবং চেষ্টা করলেই হবে না ত্রিশটা রোজা মাস্ট বি করাই লাগবে তবে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করা যাবে এবং আল্লাহ তায়ালার দেখানো পথে যিনি চলতে পারবেন তিনি নির্দ্বিধায় জান্নাতি তাই আমরা সকলেই 

চেষ্টা করব ত্রিশটা রোজা একেবারে নিয়ম কানুন মেনে পালন করার জন্য এবং আল্লাহ খুশি এবং সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহর পথে চলার চেষ্টা করব আমরা জানতে চলেছে রোজার প্রয়োজনীয় কিছু মাসালা সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজার মাসআলা সম্পর্কে কিছু তথ্য অজানা তথ্য জেনে নিন খুব সহজেই চলুন জেনে নেওয়া যাক।

যে সকল কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে: অজু করার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি ওযুর পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং রোজা খোলার কিছুক্ষণ আগে বা সূর্যাস্তের আগে ভুল করে কিছু খেয়ে নিলে এবং তা মনে করার পরেও খেলে রোজা ভেঙে যাবে এবং বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে কান অথবা নাকে কোন কিছু

 প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে দাঁতের ফাঁকে কিছু ঢুকে থাকলে জিহ্বার মাধ্যমে তা বের করে খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে ইচ্ছাকৃতভাবে এক কথাতেই যাই খান না কেন তাতেই রোজা ভেঙ্গে যাবে তাই ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া যাবেনা এবং সারাদিন উপোস থাকলেই হবে না আল্লাহর এবাদত করে যেতে হবে তবেই রোজা সম্পন্ন হবে তাই এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

যেসব কারণে খেয়ে ফেলার পরেও রোজা ভাঙ্গে না: যেমন অনিচ্ছাকৃত ভুলে কিছু খেয়ে ফেললে এবং তা মনে করার পর তা মুখ থেকে বের করে ফেললে মুখ ধুয়ে ফেললে রোজা ভাঙ্গে না বৃষ্টির পানি হঠাৎ মুখে পড়লে এবং তা খেয়ে নিলেন অনিচ্ছাকৃতভাবে তাহলে রোজা ভাঙবে না এক কথায় ইচ্ছাকৃতভাবে খেলে রোজা ভেঙে যায় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে খেলে রোজা ভাঙ্গে না।

যে সকল কারণে রোজা ভাঙ্গা যায়: হঠাৎ কোনো সমস্যা দেখা দিলে যেমন পেট ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা যা ওষুধ না খেলে ভালো হবে না সেই ক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে ওষুধ সেবন করা যাবে এবং আরো যে সকল কারণে রোজা ভাঙ্গা যাবে তা হল কোন বিষাক্ত প্রাণী কামড় দিলে মারাত্মক অবস্থা হলে রোজা ভাঙ্গা যাবে এবং ওষুধ সেবন করা যাবে বা চিকিৎসা নেওয়া

 যাবে এবং রোগা দুর্বল অনুভব করলে রোজা রাখার মত অবস্থায় না থাকলে রোজা ভাঙ্গা যাবে গর্ভবতী অবস্থায় শিশুর প্রাণহানি এর আশঙ্কা থাকলে রোজা ভাঙ্গা যাবে এক কথায় রোজা করতে গিয়ে প্রাণহানির কোন আশঙ্কা বা শরীরের যেকোনো রোগ বালাইয়ের জন্য রোজা ভাঙ্গা যেতে পারে আর যদি মারাত্মক অবস্থা না থাকে তাহলে রোজা ভাঙ্গা যাবে না।

শেষ কথা

আমরা সকলেই জানি রমজান মাস হল মুসলমানদের জন্য একটি বরকতময় রহমত মাস তাই এই মাসটিতে বরকত এবং রহমত করিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে বেশি বেশি দান করতে হবে বেশি বেশি আমল করতে হবে এবং বেশি বেশি এবাদত করতে হবে আল্লাহ তাআলার তাহলেই আমরা সঠিক দেশাই চলতে পারব ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url