বিষ খাওয়া রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা - বিষ খাওয়া রোগীর খাবার
অনেকে থাকে ফ্যামিলির কাজ শেষে নিজের জীবন দিয়ে দেওয়ার জন্য বিষপান করে থাকে এবং আরো অনেক আছে যারা বিভিন্ন রকমের টেনশন দূর করতে গিয়ে বিষ খেয়ে মারা যায় এবং কিছু কিছু অসতর্কতার কারণে কিছু শিশু বিষ খেয়ে ফেলে তা আমরা জানবো বিষ খাওয়ার রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে এবং বিষ খাওয়া রোগীর খাবার সম্পর্কে।
আবার কেউ কেউ আছে যারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের না রাখতে পেরে জীবন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিষ পান করে এখন বেশিরভাগ দেখা যায় প্রেমিকাকে হারিয়ে কেউ বিষ পান করে থাকে কেউ প্রেমে ছেকা খেয়ে নেশা ভান করে থাকে কেউ বিষ পান করে থাকে।
ভূমিকা
আমরা জানবো বিষ খাওয়ার রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে এবং বিষ খাওয়া রোগীর খাবার সম্পর্কে এক কথায় বিষ খাওয়া রোগীর এ টু জেড সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো কারন একটি বিষ খাওয়ার রোগী তৎক্ষণিকভাবে মারা যায় না বিষক্রিয়া শুরু হতে কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘন্টা লেগে যেতে পারে
তাই বিষ খাওয়া রোগী বোঝা যায় না সে বিষ খেয়েছে কিনা যতক্ষণ না সে বলবে তবে বিষ খাওয়ার আরেকটি লক্ষণ বোঝা যায় তার মুখ দিয়ে ফেনা তৈরি হবে আরো বিভিন্ন উপায়ে বোঝা যায় তৎক্ষণিক কি কি চিকিৎসা করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিষ খেলে করণীয়
আমরা জানবো বিষ খেলে কি কি করণীয় করা উচিত তার আগে জেনে নেওয়া যাক কি কি কারণে এখনকার সমাজে বেশিরভাগ বিষ পান করে থাকে তো চলুন জেনে নেওয়া যায় কেউ কেউ হতাশায় ভুগে থাকেন যার হতাশা দূর হয় না তারা কখনো কখনো বিষ পান করে থাকে এবং অনেকেই বিভিন্ন রকমের চাপ সহ্য না করতে পেরে
আরো পড়ুন: সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে জানতে
আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকে তো যত দ্রুত পারা যায় তাদেরকে কাছের কোন মেডিকেলে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে বিষপানের এক ঘন্টার মধ্যে মেডিকেলে নেওয়ার জন্য নয়তো এর থেকে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বিষপানের এক ঘন্টার মধ্যে যদি মেডিকেলে নেওয়া যায় তাহলে চিকিৎসা করতে অনেক সুবিধা হয় তবে যদি দেরি হয়ে যায়
তাহলে পাকস্থলী ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয় না সময়ের ভেতরে এলে যে পরিমাণ পরিষ্কার হয় পাকস্থলী সময় পার হয়ে গেলে সেই রকম পরিস্কার করা যায় না এবং সব রকমের বিষ পান করলে বা ওষুধ সেবন করলে পাকস্থলী ওয়াস করা লাগেনা এবং কোন কোন বিষ পান করলে পাকস্থলী ওয়াশ করা লাগে তা একজন ডক্টরী বলতে পারবেন এখনকার যুগে
বেশিরভাগ মানুষ আত্মহত্যার জন্য বেছে নিয়েছে কীটনাশক জাতীয় বিষ এই বিশ টি এত মারাত্মক যে যদি আপনার কাপড়চোপড়ে পড়ে তাহলে এটা ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করে যায় আর এই বেশ যদি পান করে থাকেন তাহলে তৎক্ষণিকভাবে জামা কাপড় খুলে তাকে পরিষ্কার করে দিতে হবে পানিতে এবং অনেকে কি করে বিষ খাওয়া রোগীকে বমি
করানোর জন্য অনেক কিছু খাইয়ে থাকে কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ সে সচেতন থাকে না এবং বমি করতে গিয়ে তা ফুসফুসে আঘাত আনতে পারে এবং এর থেকে মারাত্মক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এগুলো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে কেউ কেউ আছে যারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে
যান তাদের ক্ষেত্রে রোগী এবং যে ওষুধ সেবন করেছে সে ওষুধ একত্রে নিয়ে তৎক্ষণিকভাবে মেডিকেলে যাওয়া উচিত তাহলে ডক্টরের চিকিৎসা দিতে সুবিধা হয় এবং যারা শিশু অবস্থায় আছে তাদের নাগাল থেকে বীস জাতীয় এবং মারাত্মক ওষুধ দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
বিষ খাওয়া রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা
মানুষ যখন প্রচুর পরিমাণে টেনশন এবং বিপদে পড়ে যায় সকল তারা নিজে নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে থাকে যেমন মানসিকভাবে আঘাত পেলেও সে বিষ খেতে চায় এবং বাচ্চারা ভুল ভবিষ্যতে বেশ খেয়ে নিতে পারে তাই শিশুদের নাগাল থেকে এই সকল বিষ জাতীয় দ্রব্য দূরে রাখাই ভালো এবং বিষ খাওয়া রোগীদের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।
আরও পড়ুন: প্রোটিন জাতীয় খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে
রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া: খেয়াল রাখতে হবে রোগী ঠিকমতো শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছে কিনা তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে এবং জ্ঞান থাকলে তাকে এক গ্লাস পানি দুধ খেতে দেওয়া উচিত এতে বিষ পাতলা হয়ে যায় এবং বিষের ক্ষতিকর প্রভাব গুলি কমে যায় এবং শিশুর ভবিষ্যতে বিষ পান করে ফেললে তাদেরকে আধা গ্লাস পানি এবং দুধ
খাওয়ানো উচিত এবং যে রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়বে তাকে যত ভালো স্থানে পারেন শুইয়ে রাখুন তাহলে তার বিষক্রিয়া অনেকটা কমে যাবে এবং সে সুস্থ থাকতে পারবে আর যদি রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষণিক কোন কাছের মেডিকেলে তোলার চেষ্টা করুন নয়তো রোগের মৃত্যু হতে পারে।
রোগীর বিষপানের নাম চিহ্নিত করা: সর্বপ্রথম রোগী কোন বিষ পান করেছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে নয়তো বড় সমস্যা হবে এবং ডক্টরে সেই অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করতে পারবে না এটা তখনই সম্ভব যখন চেকআপ করা হবে যেমন মুখ গহবর ও শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করলে অনুমান করা যায় সে কোন বেশ পান করেছে যেমন পোড়া ও ক্ষত সৃষ্টি করা
বিষ পান করলে মুখ গহ্বর ক্ষত হয়ে যায় এবং পোড়ার ছাপ থাকে তাই খুব সহজেই বোঝা যায় সে কোন বিষ পান করেছে এবং কেরোসিন জাতীয় বিষ পান করলে শ্বাসে দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে এবং যে বিষ পান করবে সে বিষের বোতল নিয়ে তৎখানিক রোগীর সঙ্গে মেডিকেলে নেওয়া উচিত এতে ডক্টরদের ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা হবে।
রোগীকে বমি করানো: রোগীকে বমি করানো ভালো তবে সব রোগের ক্ষেত্রে বাস যে কোন বিষ খেলে বমি করানোর দরকার নাই বা বমি করালে এর থেকে ক্ষতি হতে পারে যেমন বিষ খাওয়ার রোগের যদি খিচুনি রোগ থেকে থাকে তাহলে তাকে কখনোই বমি করানো যাবে না এবং আরো যাদেরকে বমি
করানো যাবে না তারা হলো এমন একটি বিষপান করেছে যা ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণের সৃষ্টিকর্ত পারে এ সকল রোগীকে কখনোই বমি করানো যাবে না নয়তো এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিষের বিরুদ্ধে কার্যকরী ঔষধ সেবন করানো
এমন কিছু ঔষধ আছে যা সেবন করার মাধ্যমে বা প্রয়োগ করার মাধ্যমে বিষ একেবারে নির্মূল হয়ে যায় কোন বিষক্রিয়া কাজ করে না তবে তার আগে আমাদেরকে জানতে হবে সে কোন বিষ খেয়েছে এবং সে বিষ অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তবেই সেই বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কেরোসিনের বিষক্রিয়া বোঝার উপায় এটা মূলত
আরো পড়ুন: ঔষধি গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
শিশুরা যখন না বুঝে খেয়ে ফেলে তখন দেখা দিতে পারে কেরোসিন বিষক্রিয়া যেমন এ সকল রোগীর দেখা দিবে বমি বমি ভাব মুখ শ্বাস প্রশ্বাস কাপড়-চোপড় থেকে কেরোসনের গন্ধ পাওয়া যাবে গলাতে ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হবে পাতলা পায়খানা এবং পেটে ব্যথা শুরু হতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন ঘন হবে বুকের মধ্য ঘরঘর শব্দ হতে পারে জ্বর
হবে এবং নারী দুর্বল হয়ে পড়বে এ সকল সমস্যা দেখা দিলে তাকে তৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া উচিত এই রোগীকে কখনোই বমি করানোর চেষ্টা করবেন না নয়তো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং এর জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন এতে নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসে অন্য কোন সংক্রমণ হবে না এসিড এবং খড়ের বিষক্রিয়ার
ক্ষেত্রে বমি করানো যাবে না এদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ক্ষতের উপর প্রলেপ সৃষ্টি করা কিছু খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে যেমন দুধ ডিমের সাদা অংশ এই সকল খাদ্যগুলো খাওয়ানো যেতে পারে এবং খেয়াল রাখতে হবে শরীরে কোন জায়গায় এসিড বা ক্ষার জাতীয় কিছু করলে তা
তথ্যানিকভাবে ধুয়ে ফেলার জন্য এবং এসিড খেলে এন্টাসিড সাসপেন্স দিতে হবে এবং যত দ্রুত পারেন রোগীকে হাসপাতালে তোলার চেষ্টা করুন এবং যদি ঘুমের ঔষধ খেয়ে বিষক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলে বমি করানোর চেষ্টা করুন এতে অনেক উপকার মিলবে এবং ঠিকমত বমি না করাতে পারলে
ইস্টমাক ওয়াজ করাতে হবে এটা করাতে নিকটস্থ কোন হাসপাতালে তুলতে হবে রোগীকে যত দ্রুত পারা যায় এগুলোই মূলত বিশ্বের বিরুদ্ধে কার্যকরী ঔষধ হিসেবে কাজ করে যায়।
বিষ খাওয়ার কতক্ষণ পর মানুষ মারা যায়
আপনাদের যদি প্রশ্ন থাকে বিষ খাওয়ার কতক্ষণ পর মানুষ মারা যায় এবং কতক্ষণ পর বিষের কার্যকর শুরু হয় তো এটার উত্তরে হবে ২০ কতক্ষণ কাজ করবে তা বিষের মাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে কারণ সব বিষয়ই একই নয় এবং সব বিষয়েই একই রকম ধারণ ক্ষমতা নেই তাই বিষয়ের উপর নির্ভর করেই বলা যাবে কে কতখন বাঁচবে এখন পর্যন্ত
আরো পড়ুন: শরীর দুর্বল হলে কি করবেন সে সম্পর্কে জানতে
কোন প্রমান হয়নি যে বিষক্রিয়ার পরিমাণ না জেনেই কেউ বলতে পারবে সে কতক্ষণ বাঁচবে বা বিষক্রিয়া কতক্ষণে হবে কারণ কতক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে তা নির্ভর করে বিষক্রিয়ার উপরে এটা নির্দিষ্ট কোন টাইম কেউ বলতে পারবে না কেউ কেউ ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে গণ্য করে বিষ খাওয়া রোগীকে বমি করানোর জন্য তবে খেয়াল রাখতে হবে
পেট্রোল কেরোসিন এসিড বা ক্ষার জাতীয় কোন বিষ পান করলে তাকে কখনোই বমি করানো যাবে না বমি করাতে গেলে তার অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং যদি ঘুমের বড়ি এসপিরিন কুইনাইন এ সকল ঔষধ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে তাহলে এদেরকে বমি করানো যেতে পারে যেমন গলাতে আঙ্গুল ঢোকানোর মাধ্যমে বা চামচ দিয়ে ঘোতা দেওয়ার মাধ্যমে
এবং যত দ্রুত পারেন তাকে হাসপাতালে তোলার চেষ্টা করতে হবে এবং যদি রোগের জ্ঞান থাকে তাহলে তথ্যানিক এক গ্লাস পানি বা এক গ্লাস দুধ খাওয়ানো উচিত সে যদি শিশু হয় তাহলে তাকে হাত গ্লাস দুধ বা হাফ গ্লাস পানি খাওয়ানো উচিত এই পানি বা দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বিষের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দিতে সাহায্য করে এবং রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে পড়ে
তাহলে যত দ্রুত পারেন তাকে হাসপাতালে নিতে হবে কারণ আজ পর্যন্ত কোন প্রমাণস্বরূপ পাওয়া যায়নি যে বিষ খাওয়ার পর কতক্ষণ পর মানুষ মারা যায় এবং কতক্ষণ পর বিষক্রিয়া শুরু হয় তাই উপরে উল্লেখিত এই তথ্যগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন এবং যত দ্রুত পারেন হাসপাতালে তোলার চেষ্টা করবেন।
বিষ খাওয়া রোগীর খাবার
বিষ খাওয়ার রোগের খাবার কি কি হবে সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক কথা না বাড়িয়ে প্রথমে আপনাকে যেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো বিষের ধরন জানতে হবে কোন বিষ পান করেছে এবং সে বিষ অনুযায়ী আপনাকে তাকে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং জানতে হবে
বিষের পরিমাণ কতটুকু খেয়েছে সে বিষ বিষের পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে তৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে তোলা জ্যান্ত জরুরী হয়ে উঠবে এবং রোগের শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করেই খাওয়ার নির্বাচন করতে হবে এবং বিষ খাওয়া রোগীকে হালকা পুষ্টিকর এবং হজম যজ্ঞ খাবার খাওয়াতে হবে যেমন।
তরল জাতীয় খাবার: যে কোন তরল জাতীয় খাবার হজম করতে অত্যন্ত সহজ হয়ে ওঠে তাই বিষ খাওয়া রোগীকে সবসময় তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ানো উচিত যে সকল খাদ্যগুলা বিষ খাওয়ার রোগীকে খাওয়ানো উচিত তা হল তরল জাতীয় খাবার পানি দুধ ডাবের পানি ফলের রস ইত্যাদি ইত্যাদি তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত।
পুষ্টিকর খাদ্য: বিষ খাওয়ার রোগীকে সবসময় পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি দেওয়া উচিত এতে বিষক্রিয়া কমে যাবে এবং শরীর চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করবে সেসকল খাবার গুলো হল রুটি মাছ মাংস ভাত ডিম এবং বিভিন্ন রকমের শাকসবজি এগুলো অনেক পুষ্টিকর খাদ্য তাই বিষ খাওয়া রোগীকে এগুলো খাওয়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
কিছু কিছু ঔষধি গাছ: বিষক্রিয়া দূর করতে গাছপালা অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোন ধরনের বিশ দূর করার জন্য গাছ অত্যন্ত কার্যকরী সেই গাছগুলো হলো তুলসী গাছ পুদিনা গাছ আদা লেবু আমলকি আরও ইত্যাদি ইত্যাদি গাছ আছে যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে ভালো কার্যকরী হিসেবে গণ্য করা যায় এবং বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
এবং কিছু দিকনির্দেশনা অনুযায়ী রোগীকে খাবার খাওয়াতে হবে যেমন যে কোন খাবার খাওয়ানোর আগে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে যে পাথরে রাখবেন এবং যে খাবারটি খাওয়াবেন দুটোই পরিষ্কার থাকতে হবে এবং খাবারটি হালকা গরম হতে হবে কুসুম কুসুম গরম বেশি গরম হওয়া যাবে না আবার বেশি ঠান্ডাও হওয়া যাবে না খাবারটি অল্প অল্প করে
খেতে হবে এবং নিয়মিত তা খেয়ে যেতে হবে এবং বিষ খাওয়া রোগীকে বেশি বেশি পানি খাওয়াতে হবে কারণ পানি শূন্যতা হয়ে গেলে বিষক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে এবং পানি শূন্যতা হয়ে গেলে ইলেকট্রোলাইট এর সমাধান দেওয়া যেতে পারে এগুলোই মূলত বিষ খাওয়ার রোগীর খাবার সমূহ।
কোন বিষ খেলে মানুষ দ্রুত মারা যায়
অনেকেই বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনার কারণে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বিভিন্ন রকমের বিষ খেয়ে ট্যাবলেট খেয়ে কিন্তু সেই সকল দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ওষুধ আছে সে ওষুধ সেবন করে দুশ্চিন্তা দূর না করে এমন কিছু সেবন করে যা তা চিরজীবনের জন্য দূর হয়ে যায় নিজেও তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিষ খেলে মানুষ দ্রুত মারা যায় সেই সম্পর্কে।
যেমন আর্সেনিক বিশ খাওয়ার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে রক্ত বমির মতো সমস্যা ডায়রিয়া ও মারাত্মক পেট ব্যথা ও সৃষ্টি করতে পারে এবং সায়ানাইড বিষ খাওয়ার ফলে দেখা যাবে দেহকোষের শোষণ বন্ধ করে দিতে পারে এবং কিছু কিছু বিষ আছে যা স্নায়বিক ক্রিয়া বন্ধ করে দিতে সাহায্য করে তাই মস্তিষ্ক থেকে শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে
আবার কিছু কিছু বিষ আছে যা মানুষের বেশি কোষ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে থাকে এবং রক্তকণিকা ধ্বংস করে দিতে সাহায্য করে থাকে সাথে সাথে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং অক্সিজেন চলাচলের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত দেখা দিতে পারে তাই এই সকল ২০ থেকে দূরে থাকাই ভালো কারণ এগুলো মারাত্মক বিষ যা খেলে দ্রুত মারা যাবেন।
কয়টা ঘুমের ওষুধ খেলে মানুষ মারা যায়
ঔষধ যেমন মানুষের বাঁচার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তেমনই মরণের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে যেমন ঘুমের ওষুধ দুইটি করে খেলে 12 ঘন্টা সতেজ ঘুম হবে এবং চারটি খেলে তার দ্বিগুণ ২৪ ঘন্টা ঘুম হবে এবং 10 টার বেশি খেয়ে ফেললে কোমায় চলে যেতে পারে এবং ১৫ থেকে ৪০ পর্যন্ত যদি ওষুধ সেবন করে ফেলেন তাহলে তৎক্ষণিকভাবে ডক্টরের
পরামর্শ নিয়ে থাকেন নয়তো এর থেকে মৃত্যু ঘটতে পারে কারণ ঘুমের ওষুধ খেলে সাধারণত স্বাস্থ্য অন্তরের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শ্বাস নেয়ার সংকেত পাঠাতে পারেনা এবং নার্ভাস সিস্টেম যত বেশি সক্রিয় মৃত্যু তত বেশি হতে পারে তবে বাঁচা মরা সম্পন্ন আল্লাহর হাতে তাই কেউ যদি 100 ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলে
তবুও দেখা যাচ্ছে তার কোন কিছু হতেও পারে নাও হতে পারে সম্পূর্ণ ডিপেন্ড করছে ওই উপরওয়ালার হাতে তবে ঘুমের ওষুধ শরীরের জন্য মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাতে পারে তাই এই সকল ঔষধ না খাওয়াই ভালো কারণ ঘুমের জন্য কিছু ব্যায়াম করার মাধ্যমে ঘুম হয় খুব সুন্দর তাই এই সকল ঔষধ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন
শেষ কথা
বিষ খাওয়ার রোগীর সম্পর্কে আমরা এ টু জেড তথ্য জানলাম এবং আরো জানলাম বিষ খাওয়ার রোগীর কি কি খাবার খাওয়ানো উচিত সেই সম্পর্কে আপনি যদি আমার কথা শুনতে পান তাহলে আমি বলব প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আসুন তাহলে আপনি এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন বিষ খাওয়ার রোগীর সম্পর্কে সম্পূর্ণটি এজন্য পড়তে বলছি আপনার এখন দরকার না হলেও দেখা যাচ্ছে কোন সময় দরকার পড়তে পারে তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং আমাদের সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url