অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় - কি খেলে টেনশন দূর হয়

অনেকে বলে থাকে চিন্তা করে কাজ না করলে কাজের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যে কোন কাজ চিন্তা ভাবনা করে করা আমাদের জন্য অনেক উপকার আবার সেই কাজ যদি চিন্তা করতে করতে অনেক চিন্তা করে ফেলেন তাহলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা আমরা জানবো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় এবং কি খেলে টেনশন দূর হয়।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মত যত দূর করতে চাইবেন তত আপনাকে চেপে ধরবে মস্তিষ্ক হল অলস একটি শয়তানের কারখানা সেই কারণে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন রকমের চিন্তাধারা তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে।

ভূমিকা

আমরা জানবো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় এবং আরো জানবো কি খেলে টেনশন দূর হয় এবং পাগল হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে এক কথায় মানুষের ব্রেনের যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আমরা এ টু জেড তথ্য জানবো আপনি যদি মাথা সম্পর্কিত তথ্য জানতে চান তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাতা সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায়

অনেক মানুষ আছে যারা মানুষের খারাপ বলবে বলে যে কোন কাজ করতে ভয় পায় এবং মানসিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পড়ে এবং যেকোনো কাজ করতে লজ্জা বোধ করে থাকে এখানে এটা করার মাধ্যমে এসে মানসিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পড়ে এর ভেতর থেকে নিজেকে শক্তভাবে তৈরি করা অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে এবং অনেকেই আছে যারা ব্যস্ততা দুশ্চিন্তা


হতাশায় ভুগে থাকেন তাই আমাদেরকে যে কোন সমস্যার সমাধানে মোকাবেলা করে যেতে হবে তবেই বেঁচে থাকতে পারবেন ভালোভাবে নয়তো কে কি ভাবলো এটা দেখতে গেলে আপনি মানসিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পড়বেন এবং কোন কাজে সাকসেস লাভ করতে পারবেন না তো চলুন জেনে নেওয়া যাক মানসিক দুর্বলতা দূর করার উপায় সম্পর্কে।

যেকোনো মনের কথা প্রকাশ করা: আপনি কাউকে কোন একটা কথা বলবেন কিন্তু বলতে পারছেন না এটা তৎক্ষণিক বলে ফেলতে হবে যে কোন কথা বলতে গিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে বেধে যাচ্ছে সেই কথা তৎক্ষণিক বলে ফেলতে হবে এবং যখন আপনার যা প্রয়োজন সে প্রয়োজন অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হবে এবং দ্বিধা কাটাতে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।

দুর্বলতা দূর করুন: অনেকে আছে নিজের দুর্বলতা জয় করে চলতে ভালোবাসে তারাই জীবনে সাকসেস হতে পারে এবং অনেকেই আছে দুর্বলতা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে এবং তারা সবসময় পিছিয়ে থাকে যে কোন কথা বলতে গিয়ে আটকে যান এখন এটা ঠিক করে ফেলুন সঠিকভাবে বলার চেষ্টা করুন যেকোন দুর্বলতাকে সামনে এগিয়ে চলার হাতিয়ার বানিয়ে ফেলুন।

নিজেকে নিচু মনে করুন: নিজেকে নিচু এজন্য মনে করতে হবে যখন আপনি নিজেকে উঁচু মনে করবেন তখন আপনি নিজেই হেরে যাবেন তাই জয় মানতে হলে কখনো কখনো হার মানতে হয় এটা মাথায় রাখতে হবে নিজেই সব জানেন এবং পারেন এমনটা কখনোই ভাববেন না নিজেকে কৌতুহলী ভাবে তৈরি করুন।

কিছু বাস্তবতা সম্পর্কে জেনে রাখুন: যেকোনো কর্ম ক্ষেত্রে গিয়ে কোন ভুল হয়ে গেলে আপনার মাধ্যমে কিছু টাকা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং আপনি চাকরিজীবী বা কর্মজীবী হলে আপনার চাকরি বাকর্ম শেষ হয়ে যেতে পারে তাই সর্বপ্রথম আপনাকে বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে হবে তবেই আপনি দায়িত্বশীল হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

সময় দিয়ে শুনুন এবং শিখুন: সর্বপ্রথম আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কে কি বলছে তা মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য এতে আপনার মনের স্থির হবে এবং যে কোন কাজে সক্ষমতা লাভ করবেন এবং সেই সোনার মাধ্যমে আপনি শিখতে পারবেন আপনার দুর্বলতা থাকতেই পারে কারণ অনেকের দুর্বলতা থেকে থাকে তাই যে কোন দুর্বলতা কাটাতে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করুন।

নিজের ভুল মেনে নিন: অনেকেই থাকে তারা নিজের ভুল কখনোই মেনে নিতে চায় না ভুল করেও তারা বলে ভুল করেনি এটা একদমই ঠিক নয় এমন কোন মানুষ নেই যার ভুল হয় না তাই নিজের ভুল সবসময় স্বীকার করে নেওয়া উত্তম এবং ভুল ছাড়া মানুষ এগিয়ে যেতে পারে না যে কোন ভুল ত্রুটি খুঁজে না বেরিয়ে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।


যে কারো মোকাবেলা করা: অনেকেই আছে কে কি বলল তা এড়িয়ে চলে নিজেকে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে এরকম করা যাবে না ততক্ষণিকভাবে তার মোকাবেলা করতে হবে বিপদ বা সমস্যা বা কারো কথার বিপরীতে মোকাবেলা করে চলতে হবে এরপর বিরুদ্ধে না গিয়ে যদি ভয়ে থাকেন তাহলে কোনদিনই জীবনে সাকসেস হতে পারবেন না তাই সর্বপ্রথম মোকাবেলা করা শিখুন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

অনেকেই বলে থাকে চিন্তা ছাড়া কাজ করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা তাই যেকোন কাজ চিন্তা করে করা উচিত আবার এই চিন্তায় হতে পারে মানুষের কাল যেমন বেশি চিন্তা করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা এবং অনেকেই চিন্তার কারণে সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং কথায় আছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা এটা


অনেক প্রচলিত একটি কথা বলে গণ্য করা যায় আপনি যত অলস হবেন আপনার মাথায় তত শয়তানের ঘর হবে এবং সে থেকে শুরু হবে টেনশন এবং দুশ্চিন্তা তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম অহেতুক চিন্তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় কিভাবে মিলবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

বেশি বেশি কথা বলা: মানুষ ততক্ষণ সুস্থ থাকে যতক্ষণ সে বেশি বেশি কথা বলতে সক্ষমতা লাভ করে থাকে কারণ মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার কথা আটকে যায় এবং কথা বলতে পারে না এবং বেশি বেশি কথা বললে শরীরের বিভিন্ন রকমের উন্নতি দেখা মেলে এবং বেশি সময় ধরে মনের ভেতরে জমে থাকা কথা থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন বা দুশ্চিন্তা

তাই যেকোন দুশ্চিন্তা বাসা বাধার আগেই কারো সঙ্গে কথা বলে নিজেকে হালকা করে নিতে হবে এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে কারণ যখন অনেক দুশ্চিন্তায় থাকবেন তখন কারো সঙ্গে কথা বলেন দেখবেন নিজের মনটা হালকা হালকা লাগে কারণ যে কোন অঘটন ঘটে গেলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন মানেই নাই তাই ঐসব ভেবেও লাভ নেই।

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা: অহেতুক চিন্তা করার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এর মাধ্যমে দেখা দিতে পারে মেজাজ খিটখিটে এবং রাগ বেড়ে যেতে পারে এবং সেই রাগ কোন নিরীহ মানুষের উপর করতে পারে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে না রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাই যে কোন রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন নয়তো এর থেকে দুশ্চিন্তা বেড়ে যেতে পারে।

নিজেকে সময় দেওয়া: আপনি যতই কাজের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন তত শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কিন্তু এর মাঝে মধ্যে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া লাগবে ফ্রি টাইম যেমন কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করতে কাটাতে পারেন কিছুটা সময় বন্ধু-বান্ধবের সাথে কাটাতে পারেন এতে মন থাকবে ফুরফুরা এবং চাঙ্গা এবং সব সময় প্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকুন।

যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে শিখুন: প্রতিটা মানুষেরই সমস্যা আছে সমস্যা ছাড়া মানুষ নেই এটা ভেবেই কাজ করে যাবেন যেকোনো সমস্যার সমাধান বের করতে হলে সে সমস্যা সমাধান চিহ্নিত করতে হবে সর্বপ্রথম যেকোনো কাজকর্ম নিয়ে একইভাবে দুশ্চিন্তা করা একেবারে ঠিক নয় এতে দুশ্চিন্তার লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং বারবার


একই সমস্যার সমাধান নিয়ে না ভেবে আপনি সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুঁজে চলুন কারণ যখন সমস্যার কথা ভাববেন তখন আপনার সমস্যার সমাধান মিলবে না যখন সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করবেন তখন সমাধান মিলবে তাই সমস্যা নিয়ে না ভেবে সমাধান নিয়ে ভাবুন তবেই সমাধান মিলবে।

টেনশন দূর করার দোয়া

আলেমরা বলে থাকেন যে একটি মানুষকে বিপথগামী হিসেবে গড়ে তুলতে শয়তানের প্রথম হাতিয়ার হিসেবে দুশ্চিন্তাকে ধরে থাকে মানুষের ভেতরে সর্বপ্রথম দুশ্চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় এবং সেই থেকে মানুষের পাপ শুরু হয়ে যায় শয়তান মূলত যা চায় মানুষ অজান্তে তাই করে ফেলে এবং দুশ্চিন্তা মানসিক যন্ত্রণার কারণে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে


এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে বেশ কয়েকটি দোয়া শেখানো হয়েছে রাসুলুল্লাহ সঃ নিজে আমাদের জন্য সেই দোয়াগুলো শিখিয়ে গিয়েছে যেন আমরা দুশ্চিন্তা এবং টেনশন থেকে মুক্তি পাই তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল দুয়া সম্পর্কে যে দোয়াটি পাঠ করলে আমরা টেনশন এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত হব।

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির দোয়া: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হামনি ওয়াল হুজনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজ্জি ওয়ালকাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি ওয়া আউযুবিকা মিন গালা বাতিদ দাইনি ওয়া তাহরীর রেজাল।

এর অর্থ: হে আল্লাহ নিশ্চয়ই আমি দুশ্চিন্তা এবং দুঃখ থেকে অপারগতা ও অসলতা থেকে কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে ঋণের ভার ও মানুষদের দমন পিরন থেকে আপনার আশ্রয় নিচ্ছি (বুখারি হাদিস ২৮৯৩)

কি খেলে টেনশন দূর হয়

দুশ্চিন্তা বা টেনশন এই কথাটা সকলেরই পরিচিত কারণ এমন কোন মানুষ নাই যার দুশ্চিন্তা টেনসনে ভুগে থাকেন না তাই তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন দুশ্চিন্তা টেনশন এসব থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে সেই সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য দেওয়া আছে তাই আমি সাজেস্ট করবো সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।


এবং মানসিক চাপ দেহে ফ্রী রেডিকেল তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে যার মাধ্যমে ক্যান্সার তৈরি হতে পারে তাই আমাদেরকে সবসময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে এবং থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং কিছু খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে টেনশন থেকে মুক্তি পাবেন এবং ডায়েটে কন্ট্রোল রাখার চেষ্টা করবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।

সবুজ শাকসবজি: বিভিন্ন রকম শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন সি যুক্ত থাকে এবং নানান ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে মানসিক চাপ এবং টেনশন কমাতে শাকসবজির ভেতরে সিলেক্ট করতে পারেন পালংশাক কারণ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ম্যাগনেসিয়াম যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।

বিভিন্ন রকমের পুষ্টিকর ফল: যেমন ব্লুবেরি ব্ল্যাকবেরি স্ট্রবেরি গাজর আরো ইত্যাদি ইত্যাদি ফল যা আমাদের টেনশন এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে কারণ জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে থাকে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সচল রাখতে সাহায্য করে থাকে এই ফলগুলো এবং গাজর ও আপেল

মানসিক চাপ কমাতে অত্যাধিক কাজ করে থাকে এবং এ সকল সমস্যার পাশাপাশি চোয়ালের সমস্যা ও সমাধানে কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে তাই এ সকল ফলগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি হলেও রাখার চেষ্টা করুন এতে মানসিক চাপ কমবে এবং দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মিলবে।

ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্য: যে খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং মানসিক টেনশন দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মিলে সে সকল খাদ্যগুলো হলো কমলালেবু গাজর আঙ্গুর পালং শাক বাঁধাকপি আরও ইত্যাদি ইত্যাদি শাকসবজি আছে যা স্নায়ুকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে।

মসলা জাতীয় খাদ্য: যেমন রসুন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে তাই প্রতিদিন এক থেকে দুই কোয়া রসুন খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাই প্রতিদিনই এক কুয়া হলেও রসুন খাবেন।

আরো ইত্যাদি ইত্যাদি খাবার: যেমন খেতে পারেন চা চা খাওয়ার কারণে শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে কারণ চাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জা স্নায়ুকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে ু এবং টক দই টক দই খাওয়ার কারণে সাময়িকভাবে মানসিক অশান্তির চাপ কমে যায় এবং বিভিন্ন রকমের ডার্ক চকলেট খেতে

পারেন এ চকলেট খাওয়ার মাধ্যমে মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে থাকে আরও খেতে পারেন বাদাম বেশি বেশি বাদাম খেলে মস্তিষ্কের কার্যকরী থাকে সচল রাখতে সাহায্য করে থাকে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ম্যাগনেসিয়াম তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঠবাদাম আখরোট চিনা বাদাম।

টেনশন দূর করার সহজ উপায়

মানুষ মানেই টেনশন এবং দুশ্চিন্তা এমন কোন মানুষ নাই যে বলতে পারবে তার টেনসন এবং দুশ্চিন্তা কোনটিই নয় কারণ প্রতিটা মানুষেরই দুশ্চিন্তা আছে যেমন কারো আছে টাকা পয়সা নেই কারো আছে গাড়ি বাড়ি কেউ আছে শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ নেই কেউ আছে মাথা নিয়ে কেউ আছে পানির কেউ আছে চোখ নিয়েবিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের

সমস্যা আছে এবং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের কারণে হৃদরোগের যন্ত্রণা বেড়ে যায় এবং হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যেকোনো দুশ্চিন্তা বা টেনশন দূর করার কিছু উপায় সমূহ নিয়ে আমাদের মূলত আর্টিকেলটি তো চলুন জেনে নেওয়া যায় টেনশন দূর করার সহজ উপায় গুলো কি কি সেই সম্পর্কে।

যেকোনো কাজে ব্যস্ততা: দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মিলতে আপনি সবসময় নিজেকে যেকোনো কাজে নিয়োজিত রাখুন যেমন কাজ না থাকলে কোন কিছু নিয়ে খেলাধুলা করুন বা বেশি বেশি বই পড়ার চেষ্টা করুন কিছু একটা করতেই হবে কারণ অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাক্স বা কারখানা এবং অলস ভাবে থাকলে বিভিন্ন রকমের টেনশন এবং

দুশ্চিন্তা আপনাকে চেপে ধরবে তাই নিজেকে যে কোন কাজে সবসময় এর জন্য নিয়োজিত রাখুন এবং কাজ না থাকলে আপনি ফোনের মাধ্যমে গেম খেলতে পারেন বা বেশি বেশি বই পড়তে পারেন অবসর টাইমে বিভিন্ন রকমের কাজ করতে পারে এতে ব্রেন এবং মস্তিষ্ক থাকবে সবসময় চাঙ্গা তাই এর নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

বেশি বেশি কথা বলা: মানুষ ততক্ষণ সুস্থ থাকে যতক্ষণ সে বেশি বেশি কথা বলতে সক্ষমতা লাভ করে থাকে কারণ মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার কথা আটকে যায় এবং কথা বলতে পারে না এবং বেশি বেশি কথা বললে শরীরের বিভিন্ন রকমের উন্নতি দেখা মেলে এবং বেশি সময় ধরে মনের ভেতরে জমে থাকা কথা থেকে সৃষ্টি হয় টেনশন বা দুশ্চিন্তা

তাই যেকোন দুশ্চিন্তা বাসা বাধার আগেই কারো সঙ্গে কথা বলে নিজেকে হালকা করে নিতে হবে এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে কারণ যখন অনেক দুশ্চিন্তায় থাকবেন তখন কারো সঙ্গে কথা বলেন দেখবেন নিজের মনটা হালকা হালকা লাগে কারণ যে কোন অঘটন ঘটে গেলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন মানেই নাই তাই ঐসব ভেবেও লাভ নেই।

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা: অহেতুক চিন্তা করার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এর মাধ্যমে দেখা দিতে পারে মেজাজ খিটখিটে এবং রাগ বেড়ে যেতে পারে এবং সেই রাগ কোন নিরীহ মানুষের উপর করতে পারে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে না রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তাই যে কোন রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন নয়তো এর থেকে দুশ্চিন্তা বেড়ে যেতে পারে।

নিজেকে সময় দেওয়া: আপনি যতই কাজের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন তত শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কিন্তু এর মাঝে মধ্যে নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া লাগবে ফ্রি টাইম যেমন কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করতে কাটাতে পারেন কিছুটা সময় বন্ধু-বান্ধবের সাথে কাটাতে পারেন এতে মন থাকবে ফুরফুরা এবং চাঙ্গা এবং সব সময় প্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকুন।

যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে শিখুন: প্রতিটা মানুষেরই সমস্যা আছে সমস্যা ছাড়া মানুষ নেই এটা ভেবেই কাজ করে যাবেন যেকোনো সমস্যার সমাধান বের করতে হলে সে সমস্যা সমাধান চিহ্নিত করতে হবে সর্বপ্রথম যেকোনো কাজকর্ম নিয়ে একইভাবে দুশ্চিন্তা করা একেবারে ঠিক নয় এতে দুশ্চিন্তার লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং বারবার

একই সমস্যার সমাধান নিয়ে না ভেবে আপনি সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুঁজে চলুন কারণ যখন সমস্যার কথা ভাববেন তখন আপনার সমস্যার সমাধান মিলবে না যখন সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করবেন তখন সমাধান মিলবে তাই সমস্যা নিয়ে না ভেবে সমাধান নিয়ে ভাবুন তবেই সমাধান মিলবে।

অতিরিক্ত চিন্তা করলে কি ক্ষতি হয়

যেকোনো একটি সামান্য বিষয় নিয়েই কখনো কখনো দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় অনেকেই কিন্তু এর থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে কারণ দুশ্চিন্তার কারণে আমাদের নানা রকমের অসুখ-বিসুখ হতে পারে তাই সব সময় আমাদেরকে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বিরত থাকতে হবে নয়তো এর থেকে নিজেই নিজের জন্য একটি ক্ষতিকর রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হবে।

বিশ্বাস কমে যাওয়া: কখনোই কোন কিছুর উপর বিশ্বাস হারানো যাবে না কারণ বিশ্বাস হারিয়ে গেলে চিন্তায় পড়ে যায় অনেকেই এবং বিশ্বাস হারিয়ে গেলে যে কোন কর্ম পরিকল্পনা পুরোটাই এক মুহূর্তে হয়ে যেতে পারে তাই সর্বপ্রথম মাথায় রাখতে হবে কি হবে এবং কি হবে না তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সঠিকভাবে কাজ করে যাওয়ার দিকে।

শারীরিক সমস্যা: অতিরিক্ত চিন্তা করলে যে সকল ক্ষতি হবে তাহলে বিভিন্ন রকম ক্ষুধামন্দা থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপ নিদ্রাহীনতা মাথাব্যথা বহুমুখী এমনকি হৃদরোগীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে অনেকের মাথা ব্যথা ঘা এবং চোখের ব্যথা হয়ে থাকতে পারে তাই আমাদেরকে এই সকল শারীরিক সমস্যা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মানসিক সমস্যা: অতিরিক্ত চিন্তা করলে যেমন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তেমনি মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে যেমন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে যে কোন অল্প কথাতেই রেগে যেতে পারে একটি কথা এখন বলা মাত্রই ভুলে যেতে পারেন বিভিন্ন রকম খারাপ আচরণ দেখা যাবে এগুলো পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রের দুটোই ক্ষতি ক্ষতিকর একটি মাধ্যম।

কাজে বাধা এবং অল্পতেই ভেঙে পড়া: যদি প্রথমে মনে করেন কাজটি আপনার দ্বারাই হবে না তাহলে কখনোই সে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না কারণ এই চিন্তা ধারাতেই আপনার সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনাটা কাজ করে না আর হারিয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন যাপন নষ্ট হয়ে যায় এবং যেকোনো কাজে আর মন বসে না বেঁচে থাকার জন্য

যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন সংগ্রাম করা উচিত অল্পতেই যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে সাহসের সঙ্গে বেঁচে থাকতে কোনোদিনই পারবেন না যা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতিকর দিক হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই এই সকল সমস্যার সমাধান আমাদেরকে নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমাদেরকে জীবন যাপন করতে হবে।

দুশ্চিন্তার থেকে পরিত্রাণের উপায়

খেয়াল রাখতে হবে যে কোন খারাপ কাজ থেকে আমাদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে নিজেকে এবং যে কোন খারাপ মানুষ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে এবং চলার পথে বিভিন্ন বিষয়ে শেখার দরকার আছে আমাদের এবং সেই থেকে শিখে আমাদেরকে সেই সকল কাজগুলো করতে হবে এ সকল ভাল মন্দ নিয়েই আমাদের জীবন

 পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে নানা রকম ভাবে অনেকেই এই সকল সমস্যা পেয়ে থাকেন তাই সর্বপ্রথম নিজের সমস্যা গুলো নিজেকেই চিহ্নিত করতে হবে এবং বুঝতে হবে সমাজের পরিবারের আচার-আচরণ গুলো সম্পর্কে এই সকল সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং যেকোনো সমস্যাকে হালকা ভাবে নিতে হবে তবেই দুশ্চিন্তা থেকে 

পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কিছুটা সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে এবং নিজের শখ অনুযায়ী কাজগুলো করে যেতে হবে যেকোনো আপনার শখের কাজ করতে পারেন এতে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হবে আপনার সবচাইতে দুশ্চিন্তার মূল কারণ হলো কারো প্রতি রাগ করে থাকা বা দোষ চাপিয়ে দেওয়া এতে দূরত্ব সৃষ্টি হবে আপনার সঙ্গে এবং আপনার

 দুশ্চিন্তা বেড়ে যাবে এ সকল সমস্যা সর্বপ্রথম সমাধান করতে হবে আপনাকে নিজেই এবং আপনাকে নির্ভরশীল হতে হবে কিছুটা সময় ব্যয় করতে হবে আপনার বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধানের জন্য চিহ্নিত করার জন্য এবং আরো যে সকল চিন্তাভাবনা মাথায় রাখতে হবে তা হলো নিয়মিত শরীর চর্চা আবেগের নিয়ন্ত্রণ করা এগুলো মাস্ট বি করাই

 লাগবে কারণ অতিরিক্ত আবেগ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন এবং বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর স্বাস্থ্য যেমন সুস্থ থাকবে তেমনই শারীরিক পরিশ্রমের ফলে বা ব্যায়াম করার ফলে দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ মিলবে তাই এই সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

শেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য আরো জেনেছি কি খেলে টেনশন দূর করা হয় এই সকল সমস্যার সমাধান মিলবে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে তাই আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করার জন্য এটা আপনার অনেক উপকার আসবে তাই এখানে আর না থেকে প্রথম থেকে পড়ে আসার চেষ্টা করুন এতে আপনারই অনেক উপকার হবে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url