কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে - বিয়ে পড়ানোর দোয়া

কাজী অফিসে বিয়ে করতে যা যা তথ্য জানা লাগে তা হলো প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধনের কার্ড নিয়ে গেলেই হবে এবং সর্বপ্রথম যেটি লাগবে তা হল সাক্ষী কারণ সাক্ষী ছাড়া কখনোই বিয়ে সম্পন্ন করা যায় না এবং দুইজনের দুইটি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিতে হবে তাহলেই এনাফ।
কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
এবং সাক্ষী হিসেবে দুইজন থাকা লাগবে কারণ কোন পক্ষ থেকে একজন সাক্ষী দেবে এবং বরপক্ষ থেকে একজন সাক্ষী দেবে এবং নির্ধারিত ফি ভিত্তি করে রেজিস্ট্রেশনের ওপরে তাই আরো নিয়ম কানুন জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন

ভূমিকা

আমরা জানবো কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এবং আরো জানবো বিয়ে করানোর দোয়া সম্পর্কে এবং বিয়ে পড়ানোর সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে এবং পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সেই সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে মূলত এই আর্টিকেলটি তাই আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এতে করে বিয়ে সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন খুব সহজে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে দেখুন।

বিয়ে পড়ানোর সঠিক নিয়ম

বিয়ে পড়ানোর সঠিক নিয়ম হলো একে অপরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং সারা জীবনের জন্য একে অপরের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে একসাথে থাকার নামই হলো বিয়ে তো বিয়ে পড়ানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য মূলত আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কিত চলুন জেনে নেওয়া যাক।


বিয়ে যাদের জন্য ফরজ তারাই শুধু বিয়ে করতে পারবে যেমন যারা কাফেরদের সাথে যুদ্ধরত ভাবে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বিয়ে করা হারাম কারণ কখন তাদের মৃত্যু হয়ে যাবে কেউ জানে না তাই এবং যারা সচল এবং বিয়ের উপযুক্ত তাদের জন্য বিয়ে করা সুন্নত এবং বিয়ে পড়ানোর সময় যে কথা বলে বিয়ে করানো হয় তাহলো কেউ বলে প্রস্তাবনা

বা কেউ বলে কবুল এই দুইটা বাদেও অন্যান্য উপায়ে বিয়ে পড়ানো হয়ে থাকে তাই যেকোনো একটি বললেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং বিবাহ করার জন্য সর্বপ্রথম মেয়েপক্ষকে প্রস্তাব দিয়ে রাজি করিয়ে তারপরে বিয়ে করা সুন্নত এবং যে মেয়ের সাথে আপনি বিয়ে করবেন সে মেয়ের গার্জেন্ট হয়ে থাকবে তাকে রাজি করে এবং প্রস্তাব দেওয়ার পরে

বিয়ে করতে পারবেন এবং কিছু রুলস রেগুলেশন মেনে চলতে হবে যেমন যার সঙ্গে বিয়ে হবে দুজনে একমত হতে হবে এবং দুজনকে নির্ধারিতভাবে মনঃস্থির করে নিতে হবে এবং উভয়পক্ষকে একমত থাকতে হবে এবং সকলকে জানিয়ে তারপরে বিয়ে সম্পন্ন করা উচিত এবং সাক্ষী হিসেবে দুজনকে দুই পক্ষ থেকে রাখা অনিবার্য কারণ সাক্ষী ছাড়া

কখনোই বিয়ের সম্পন্ন হবে না এবং যে সকল কারণে বিবাহ হারাম হিসেবে গণ্য করা যায় সে সকল বিষয় থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সর্বপ্রথম বর এবং কোণের মত একমত থাকতে হবে এরপরে মোহরানা নির্ধারিত করে কালেমা পড়ে বিয়ে সম্পন্ন করা হবে এবং সর্বপ্রথম দুটি সাক্ষী রাখা

বাধ্যতামূলক প্রস্তাব দেওয়া নেওয়া এবং খুতবা শুরু করা তারপরে কবুল বলা বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল এগুলোই মূলত বিয়ে করানোর সঠিক নিয়ম কানুন বলে বোঝানো হয়।

কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

অনেকের প্রশ্ন কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে জানতে যাদের প্রশ্ন অনেক থাকে তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্বপ্রথম যেটা জানা লাগবে তা হল নির্ধারিত বয়স বাংলাদেশের নির্ধারিত বয়স হিসেবে গণ্য করা হয়েছে


ছেলেদের একুশ এবং মেয়েদের ১৮ তাই এই বয়সসীমা উত্তীর্ণ না হলে এর চাইতে কম হলে কখনোই বেড়ে পড়ানো আইনগত হয়ে উঠবে না তাই আইনগতভাবে বিয়ে করার জন্য এই বয়সটি নির্ধারিত হতে হবে এবং আরো একটি জিনিস লাগবে তা হলো সাক্ষী কারণ সাক্ষী ছাড়া কখনো বিয়ে হবে না কমপক্ষে দুজনার দুটি সাক্ষী থাকা প্রয়োজন এবং আরো

যে কাগজপাতি থাকা লাগবে তা হল জাতীয় পরিচয় পত্র জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে সাথে নিয়ে যেতে হবে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এখন মূলত সকলেরই থাকার কথা জাতীয় পরিচয় পত্র যদি না থাকে তাহলে নিয়ে যেতে পারেন জন্ম নিবন্ধন এবং দুজনের দুইটি করে ছবি লাগবে পাসপোর্ট সাইজের এবং লাগবে রেজিস্ট্রেশন ফি রেজিস্ট্রেশন ফি

দেনমোহর অনুযায়ী নিয়ে থাকে যেমন প্রতি হাজারে রেজিস্ট্রেশন ফ্রি হয়ে থাকে দশ টাকা এবং সর্বনিম্ন রেজিস্ট্রেশন ফ্রি হয়ে থাকে ১০০ এবং সর্বোচ্চ হয়ে থাকে ৪০০০ হাজার এবং এটি চেঞ্জ হয়ে থাকে সরকারি প্রেক্ষাপটে এবং বিয়ে করার জন্য যেকোনো ধরনের কাজী অফিসে গিয়ে এই সকল কাগজপত্র এবং সাক্ষী নিয়ে গেলেই আপনার বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে খুব সহজেই।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে এটি জার ধারনা নেই তার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেল ঠিক করলে অনেক উপকার হবে কারণ এতে সম্পূর্ণ এ টু জেড তথ্য দেওয়া থাকবে বিয়ে সম্পর্কিত কোথায় কিভাবে করলে তা ভালো হয় সে সম্পর্কে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ম্যারেজ করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে


প্রথমত থাকা লাগবে বিয়ে করার জন্য দুইটি সাক্ষী কারণ দুই পক্ষ থেকে দুটি সাক্ষী থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং দুইজনার দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকা লাগবে এবং সর্বপ্রথম যেটি থাকা লাগবে তাহলো দুইজনেরই এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড যদি তা না থাকে তাহলে জন্ম

নিবন্ধনের কার্ড বা এসএসসি পাস এইচ এস সি পাস সনদ থাকলে যে কোন ধরনের কোর্ট ম্যারেজ করা সম্ভব হয় তাই এই সকল তথ্য এবং কাগজপত্র রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।

কোট ম্যারেজ করতে বয়স সীমা কত থাকা লাগে

যদি আপনি জানতে চান কোর্ট ম্যারেজ করতে বয়স সীমা কত থাকা লাগে তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছে তবে এটি ওপরে কাজী অফিসে বিয়ে করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ওই চ্যাপ্টারে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে জেনে নিতে পারেন তবুও বলে দেই বয়স সীমা ছেলেদের থাকা লাগবে 21 এবং


মেয়েদের থাকা লাগবে ১৮ তবে বিয়ে সম্পন্ন করা হবে আর যদি মেয়ের গার্জেন থেকে একটু কম হলেও কোর্ট ম্যারেজ করা সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পারলেন বয়সসীমা কত থাকলে কোর্ট ম্যারেজ করা সম্ভব হয়।

বিয়ে পড়ানোর দোয়া

বিয়ে পড়ানোর দোয়া: এটি আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া অলা্ইহিও সাল্লাম যে দোয়াটি শিখিয়েছেন তা হলো আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরাহা ওয়া খাইরি মা জাবালাতাহা আলাইহি ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালাতহা আলাইহি।


এর অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ এবং তাকে যে ভালো স্বভাব দিয়ে আপনি তৈরি করেছেন তা প্রার্থনা করছি আমি আপনার কাছে তার মন্দ এবং তাকে যে মন্দ স্বভাব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা থেকে আশ্রয় চাইছি।

পালিয়ে বিয়ে করতে কি কি কাগোজপত্র লাগে

ইতিমধ্যে মেয়ে সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য জেনে এসেছেন তবুও যারা পালিয়ে বিয়ে করতে পছন্দ করে তাদের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্বপ্রথম যেটি লাগবে তা হল ছেলে এবং মেয়ের উভয়ের সম্মতি থাকা একমত হলে তবেই বিয়ে সম্পন্ন করা হবে এবং বয়সসীমা থাকা লাগবে ছেলের একুশ এবং মেয়ের ১৮ এবং সাক্ষী থাকা লাগবে

দুই পক্ষের দুইটা এবং দুই থেকে তিনটি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকা লাগবে দুজনেরই এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আই ডি কার্ড যদি তা না থাকে তাহলে জন্ম নিবন্ধনের কার্ড হলেও চলবে এগুলোই মূলত যেকোনো ধরনের বিয়ে করতে গেলে এ সকল তথ্য জানা থাকা লাগবে এবং এই সকল কাগজপত্র থাকা লাগবে।

কাজী অফিসে বিয়ে কি বৈধ

যারা কাজী অফিসে বিয়ে বৈধ না অবৈধ সম্পর্কের জানতে এসেছেন তাদের জন্য বলছি কাজী অফিসে বিয়ে না করলে তার বিয়ে সম্পন্ন হয় না তাই কাজী অফিসে বিয়ে করাটা বাধ্যতামূলক বলা যায় এবং কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা একটি শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় এটি না করার কারণে দুই বছরের জেল হতে পারে

এবং ৩০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে তবে অন্যান্য মাধ্যমে বিয়ে করলে সে বিয়ে বাতিল হবে না কিন্তু এই সকল শাস্তির মুখ থেকে বাঁচতে হলে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করতে হবে বা কাজী ডেকে বাড়িতে বিয়ে করাতে হবে এটাই মূলত কাজী অফিসে বিয়ে করার বৈধতা বলে গণ্য করা যায়।

কোর্ট ম্যারেজ কি

কোট ম্যারেজ এ কথাটি আইনসম্মত নয় এটা লোকের মুখে প্রচলিত হয়েছে একুট ম্যারেজ সম্পর্কিত এই নামটি এবং কোট ম্যারেজ সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে একটি হলফনামার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর বিয়ের ঘোষণা নামক একটি শব্দ হলফনামাটি মূলত ২০০ টাকার হয়ে থাকে এর কোন মূল্য নাই বললেই চলে এই হালাতনামাটির মূল উদ্দেশ্য হলো আইন অনুযায়ী

একটি নারী এবং পুরুষের বিয়ে হয়েছে এই মর্মে ঘোষণা দিয়ে থাকে যতক্ষণ না কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হবে এবং কাজী দেখে বাসায় গিয়ে বিয়ে হবে ততক্ষণ তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে না এক কথায় কালেমা পড়ে যতক্ষণ না বিয়ে হবে ততক্ষণ কোর্ট ম্যারেজের কোন ভ্যালু নেই তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে কোন আইনসম্মত বিধান নেই।

বাংলাদেশ বিবাহের আইন সম্মত বয়স সীমা কত

যাদের বাংলাদেশের বিবাহ আইনসম্মত বয়সসীমা সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের ধারণা নিয়ে আসার জন্যই মূলত এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে জানতে পারবেন তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ বিবাহের আইন সম্মত বয়সসীমা কত থাকা উচিত এবং কত থাকলে বিবাহ সম্পন্ন করা সম্ভব সে সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

বাংলাদেশের বিবাহের আইনসম্মত বয়স সীমা মূলত মেয়েদের ১৮ এবং ছেলেদের ২১ যদি মেয়েদের গার্জেন্ট থাকে তাহলে তাদের বয়স সীমা একটু কম হলেও চলবে এটা শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রে নয় এটি ছেলেদের ক্ষেত্রেও কম হলেও গার্জিয়ান থাকলে তা সম্ভব তবে বাংলাদেশের আইনসম্মত বয়সসীমা ১৮ এবং ২১ এটাই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে সরকার।

শেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি বিয়ে সম্পর্কিত এ টু জেড তথ্য কি কি কাগজপত্র লাগে বিয়ে করতে এবং কোথায় যাওয়া লাগে সে সম্পর্কে এ টু জেড তথ্য আমরা জানতে পেরেছি আপনি এখনো জানেন নাই জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং প্রথম থেকে পড়ে আসুন শেষ পর্যন্ত তাহলে বিয়ে সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকবে না আশা করা যায় কারণ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রকমের বিয়ে সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url