হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায় - হার্টের জন্য উপকারী খাবার
হার্টের রোগে রোগ হলে কিছু লক্ষণ বোঝা যায় যেমন হার্ট থাকে মানুষের বুকের বা পাশে হার্টের কোন সমস্যা হলে ওই জায়গাটা প্রচন্ড ব্যথা করে এবং বোঝা যায় যে হার্টের কোন সমস্যা হয়েছে আমরা আজ জানব হাটের সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ এবং হাটের ক্ষতিকর খাবার এবং জানবো হাটের জন্য উপকারী খাবার কোনগুলো a to z তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা হার্টের জন্য কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে বলেছেন যেমন বেশি বেশি ব্যায়াম করলে হার্ট ভালো থাকে ব্যায়ামগুলো হতে পারে বেশি বেশি হাঁটাচলা করা প্রতিদিন সকালে বেশি বেশি করে হাঁটবেন বা দৌড়াবেন এতে হাট অত্যন্ত ভালো থাকে।
ভূমিকা
বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ অনুযায়ী চলতে পারলে আপনার উপকারে আসবে কারণ যত হাঁটাহাঁটি করবেন আপনার শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমন হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে বেশি বেশি হাঁটা চলার মাধ্যমে বা বেশি বেশি দৌড়াদৌড়ির মাধ্যমে সকলে তো দৌড়াতে পারবেনা তাই সবার জন্য বেশি বেশি হাঁটাচলা করাটাই উত্তম হাঁটা চলার মাধ্যমে হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে তাই চেষ্টা করবেন বেশি বেশি হাঁটাচলা করার।
- হার্টের রোগ ভালো করার উপায়
- হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়
- হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়
- হার্টের জন্য উপকারী খাবার
- হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
হার্টের রোগ ভালো করার উপায়
আমাদের দেহের সবচাইতে মূল্যবান একটি অংশ সেটি হলো হার্ট কারণ হার্টের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অক্সিজেন ঢুকতে এবং বেরুতে সাহায্য করে থাকে হার্ট এবং প্রতিটা কোষে এবং শিরায় শিরায় রক্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করে হার্ট এখন অল্প বয়সে হাটের সমস্যা হতে পারে তাই জেনে নিন হাটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
শাকসবজি: প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখাই লাগবে শাকসবজি শুধু হৃদরোগ ভালো করেনা এটি দেহের যেকোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে কোন শাকসবজি হাটকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন বেশি বেশি শাক খেতে হবে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন মিনারেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এগুলোর ফলে যে কোন সমস্যাকে
আরো পড়ুন: পুষ্টিকর ফলের তালিকা সম্পর্কে
সমাধান করে দিতে পারে সাক এবং শাকসবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন এই ভিটামিন যুক্ত খাদ্যগুলো প্রতিদিন খেতে পারলে এক কথায় বলা যায় হার্টের রোগ থাকবে না এবং এই ভিটামিন গুলো রক্তনালীর সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী বেশি বেশি শাকসবজি খান এবং তার উপকার আপনি নিজেই দেখুন।
শস্য দানা জাতীয় খাবার: ডানা জাতীয় খাবার প্রতিদিন খেতে পারলে যে কোন রোগই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন শস্যদানা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন তাহলে হার্টের রোগ থেকে বাঁচার ঝুঁকি বেড়ে যাবে কারণ শস্য দানা জাতীয় খাবার হল হাটের বন্ধু শস্যদানের যে সকল ভিটামিনযুক্ত
উপাদান গুলো থাকে হাটকে সুস্থ রাখতে সেই সবগুলো অনেক অবদান রাখে গবেষকরা গবেষণায় জেনেছে শস্য দানা জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচা যায় তাই খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যেকোনো দানার ময়দা বা রাইসের মতো গোটা শস্য দানা তাহলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
তেল জাতীয় মাছ: সমুদ্রের তেল জাতীয় মাছ খাওয়ার ফলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি মেলতে পারে এবং কিছু দেশি মাছ তেল যুক্ত খেলে হাটের রোগ থেকে বাঁচা যায় মাছের চর্বিতে বা তেলে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাট বা অ্যাসিড যুক্ত থাকে এতে হাটের রোগ ভালো করতে অনেকটাই সাহায্য করে তাই সাজেস্ট করব কিছু টাকা খরচ হলেও ভালো ভালো দেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফল জাতীয় খাদ্য: ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন বি এর সকল ভিটামিন থাকে ফলে এর ফলে যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে কোন ফল তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি হলেও ফল রাখার এতে হার্ট এটাক থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে আপনাকে অনেকটাই ।
হার্টের সমস্যা বোঝার উপায়
দেশ যত উন্নতি লাভ করছে তত ক্ষতির দিকেও পড়ছে। যেমন আগে বয়স্ক লোকেদের হাটে সমস্যা হতো কিন্তু এখন অল্প বয়সেও হাটের সমস্যা হয়ে থাকে তাই এই রোগগুলোকে সর্বপ্রথম চিহ্নিত করতে হবে এবং জানতে হবে কি হলে হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য-অনুযায়ী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে দেড় কোটিরও উপরে মানুষ।
তাই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদেরকে জানতে হবে হার্টের সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় বা কিভাবে বুঝব হার্টের সমস্যা হয়েছে তা এ টু জেড তথ্য নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।
বুকে ব্যথা; হার্টের সমস্যা হলে দেখা দিতে পারে বুকে ব্যথা প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হলে মনে করবেন হাটের সমস্যা হতে পারে এবং এমনিতেও হতে পারে তাও যদি ব্যথা বেশি হয় হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল করতে পারে না এবং হৃদপিন্ডের রক্তনালী গুলো জমাট বাধা সৃষ্টি করে এর ফলে বুকে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে এরকম হলে
আরো পড়ুন: এই শীতে ত্বকের যত্নে করণীয়
অবহেলা না করে ডক্টরের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন কারণ অবহেলা করলে এটি অত্যন্ত বড় আকার ধারণ করতে পারে এতে আপনার বড় পরিমানের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই সর্বপ্রথম যে কাজটি করবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা করুন।
পেট ফাঁপা: অনেক সময় এমনটা হয় বুক ব্যথা করার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পেট ফাঁপা মেয়েদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি বেশি হতে পারে যেমন পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব এবং বুকে ব্যথা হলে তৎখানিক উপায়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে নিন নয়তো বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে এই সমস্যা গুলো শুধু হার্ট এটাকের ক্ষেত্রেই না অন্য কোন সমস্যা হলেও হতে পারে।
ক্লান্ত হয়ে পড়লে: সঠিকভাবে রক্ত চলাচল না করলে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে এ সমস্যাটা যদি অনেকদিন ধরে হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ভয় পাওয়ার দরকার নাই কারণ সমস্যা হলে সমাধান আছে এটির হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে তাই সচেতন থাকুন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিন।
অন্যান্য অঙ্গের ব্যথা: হৃদরোগে শুধু বুকে ব্যথা হবে এমনটা নয় আপনার শরীরের অঙ্গে পতঙ্গে যেকোনো জায়গায় ব্যথা হতে পারে এ সকল সমস্যা হলে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে নিন তবেই আপনার সমস্যা বা রোগ গুলো ধরা পড়তে পারে এবং আপনার সন্দেহ দূর হয়ে যাবে সব সময় হার্টের জন্য হয় এমনটা নয় অন্য কারনেও হতে পারে।
পা অবশ হয়ে যাওয়া: হার্টের সমস্যার লক্ষণ একটি হল পা অবশ হয়ে যেতে পারে কারণ পায়ের আর্টারিতে প্লাক জমে ফলে রক্ত চলাচল করতে পারে না এ কারণে হৃদরোগের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে তাই এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দিলেই সচেতন হয়ে যান।
হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়
এখন কার প্রায় লোকেরে হার্টের সমস্যা দেখা যায় এবং বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ মারা যায় এই হৃদরোগের কারণে যেটাকে বলা হয় হার্ট এটাক বা স্টক হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন বেশি বেশি হাঁটাচলা করতে এতে হাটের প্রচুর উপকার হয়ে থাকে যত বেশি হাঁটাচলা করা যাবে এক কথায় শরীরকে যত ব্যস্ত রাখা যাবে
তত হার্টের পক্ষে উপকার যেমন সাইকেল চালানোর মাধ্যমেও ব্যায়াম করা যায় এবং অন্যান্য ব্যায়াম আছে এগুলো করার মাধ্যমেও হার্ট ভালো থাকে এবং পানিতে সাঁতার কাটার মাধ্যমেও হার্ট সুস্থ থাকে তাই চেষ্টা করবেন এ ধরনের ব্যায়াম বেশি বেশি করার তাহলে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- ব্যায়ামের মাধ্যম
- খারাপ নেশা বাদ দেওয়া
- মস্তিষ্কের চাপ কমানো
- খাদ্য তালিকার মাধ্যমে
ব্যায়ামের মাধ্যম: হার্টের সমস্যা সমাধানের একমাত্র মাধ্যম হল ব্যায়াম কারণ ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর সবসময় চাঙ্গা থাকে এবং মনোবল বৃদ্ধি পায় এবং হার্টকে সবল রাখতে সাহায্য করে যেকোনো ধরনের ব্যায়াম যেমন যত হাঁটাহাঁটি করবেন তত শরীরের পক্ষে যেমন ভাল তেমন হার্ট সুস্থ রাখতে ও সাহায্য করে এবং আরো অন্যান্য ব্যায়াম করতে পারেন।
খারাপ নেশা বাদ দেওয়া: যে কোন নেশাকে আগে বাদ দিতে হবে কারণ নেশাগ্রস্ত হলে হাটের সমস্যা বেশি দেখা যায় যেমন ধূমপানের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এবং ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে তাই যে কোন নেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন বেশি নেশাগ্রস্ত হলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে তাই যে কোন নেশা বাদ দিতে হবে আগে তবেই হার্ট ভালো থাকবে।
মস্তিষ্কের চাপ কমানো: আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে হার্ট এটাক থেকে বাঁচতে পারেন অনেক ক্ষেত্রে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে কারণে মস্তিষ্কে চাপ না নিতে পাওয়ার কারণে হৃদরোগের সম্মুখে পড়তে পারে মানুষের চাপ অনেকেরই হয়ে থাকে সে চাপ থেকে বের হতে বুদ্ধি করে কিছু সময় বাঁচিয়ে নিজের জন্য রেখে দিন
আরো পড়ুন: মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ
কিছু সময় কাটান বিনা চাপে এবং চেষ্টা করুন মানসিকভাবে সুস্থ থাকার মনের ভেতরে কোন কষ্ট থাকলে তা কারো সাথে শেয়ার করুন মানসিক চাপের কারণে যেমন শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে তেমনভাবেই হৃদরোগ বা হার্ট এটাক হয়ে থাকে মানুষের চাপের কারণে তাই চেষ্টা করবেন মস্তিষ্কের চাপ কমানোর।
খাদ্য তালিকার মাধ্যমে: সর্বপ্রথম সাজেস্ট করা যায় যে যে কোন খারাপ খাদ্য দুর্গন্ধ জনিত এবং ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য পরিহার করতে হবে খারাপ অভ্যাস এত সহজেই যায় না তাই ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন যে সকল খাদ্যে আপনার উপকার করতে অপকার বেশি করবে সে সকল খাদ্য থেকে বিরত থাকুন এবং খাদ্য তালিকায় রাখুন
সবজি জাতীয় খাদ্য এবং ফলমূল কারণ শাকসবজি খেলে শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে তেমন শরীরের অনেক উপকার করে থাকে একইভাবে ফলমূল শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী একটি উপাদান এগুলো খাওয়ার ফলে হৃদয় থেকে বাঁচার সুযোগ বেড়ে যায় তাই চেষ্টা করুন বেশি বেশি করে এবং পরিহার করুন
খারাপ অভ্যাস গুলো এবং খারাপ খাদ্যগুলো নয়তো বড় কোন রোগের সম্মুখীন হয়ে যেতে পারে এবং প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন ফলমূল ও শাকসবজি এতে গঠন ও সুন্দর হবে এবং যেকোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
হার্টের জন্য উপকারী খাবার
এখনকার যুগে হাটের রোগবাল দেখে আসেনা যে কোন বয়সেই হতে পারে হৃদরোগ তাই আমাদেরকে নজর রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় ভালো ভালো খাদ্য রাখার জন্য এবং হাটের উপকারী সম্পর্কে জানতে হবে এবং হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য প্রথম থেকেই আমাদেরকে নজর দিয়ে আসতে হবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্টের জন্য উপকারী খাবার কোনগুলো।
শাকসবজি: প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাকসবজি রাখাই লাগবে শাকসবজি শুধু হৃদরোগ ভালো করেনা এটি দেহের যেকোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে কোন শাকসবজি হাটকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন বেশি বেশি সবুজ শাক পালং শাক এগুলো বেশি বেশি খেতে হবে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানের ভিটামিন মিনারেল
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এগুলোর ফলে যে কোন সমস্যাকে খুব সহজেই ছেড়ে তোলে এবং শাকসবজি বেশি বেশি খেলে যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে সবচাইতে হৃদরোগের জন্য বেশি উপকারী হল সবুজ শাক বা পালং শাক।
শস্য দানা জাতীয় খাবার: ডানা জাতীয় খাবার প্রতিদিন খেতে পারলে যে কোন রোগই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন শস্যদানা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন তাহলে হার্টের রোগ থেকে বাঁচার ঝুঁকি বেড়ে যাবে কারণ শস্য দানা জাতীয় খাবার হল হাটের বন্ধু শস্যদানের যে সকল ভিটামিনযুক্ত
উপাদান গুলো থাকে হাটকে সুস্থ রাখতে সেই সবগুলো অনেক অবদান রাখে গবেষকরা গবেষণায় জেনেছে শস্য দানা জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন খেলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচা যায় তাই খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন যেকোনো দানার ময়দা বা রাইসের মতো গোটা শস্য দানা তাহলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
তেল জাতীয় মাছ: সমুদ্রের তেল জাতীয় মাছ খাওয়ার ফলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি মেলতে পারে এবং কিছু দেশি মাছ তেল যুক্ত খেলে হাটের রোগ থেকে বাঁচা যায় মাছের চর্বিতে বা তেলে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাট বা অ্যাসিড যুক্ত থাকে এতে হাটের রোগ ভালো করতে অনেকটাই সাহায্য করে তাই সাজেস্ট করব কিছু টাকা খরচ হলেও ভালো ভালো দেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ফল জাতীয় খাদ্য: ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন বি এর সকল ভিটামিন থাকে ফলে এর ফলে যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যে কোন ফল তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি হলেও ফল রাখার এতে হার্ট এটাক থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে আপনাকে অনেকটাই ।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
যারা হৃদরোগে ভুগেন তাদের জন্য কিছু কিছু খাদ্য আছে যা বর্জন করতে হবে নয়তো দেখা যাচ্ছে হাটের প্রবলেম আরও বেশি বেড়ে যাবে তাই সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে হার্ট ভালো রাখতে হলে যে সকল খাদ্য আমাদেরকে বর্জন করতে হবে তা কখনো খাওয়া যাবেনা হার্ট ভালো থাকলেও খাওয়া যাবে না এবং হার্টের রোগ থাকলেও খাওয়া যাবে না এ খাদ্যগুলো
খেলে রক্তের জমাট বেঁধে যায় রক্ত চলাচল করতে পারে না এর ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয় এবং এখন প্রায় লোকই দেড় কোটির বেশি মারা গেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাই আমাদেরকে সকল ক্ষতিকর খাদ্যগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং এগুলো খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্ষতিকর খাবার সম্পর্কে।
- কোলড্রিংস
- শুকনা পাউরুটি জাতীয় খাদ্য
- ফাস্টফুড
- খারাপ নেশা
কোল্ড ড্রিংকস: কোল্ড ড্রিংকস ব্যবহার হয় বেশিরভাগ গরমে গরম পড়তে না পড়তে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায় কোল্ড ড্রিংকস এক জাতীয় পানি ধরনের খাদ্য যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি উপাদান তাই এগুলো বর্জন করতে হবে এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলে হৃদরোগ থেকে বাঁচা যাবে।
শুকনা পাউরুটি জাতীয় খাদ্য: এ সকল শুকনা পাউরুটিতে সেই রকম শস্যদানার কোন উপাদান থাকে না তাই এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি শরীরের কিছু কিছু অংশ বেড়ে যায় যেমন ঘুরে বেড়ে যায় গবেষকরা গবেষণায় দেখেছে শুকনা জাতীয় খাবার বা পাউরুটি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায় তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ফাস্টফুড: অনেকে আছে ফাস্টফুড খাওয়ার মাধ্যমে তার দিন যায় ফাস্টফুড হলো বাইরের খাবার। যেমন সিঙ্গারা পুড়ি পিয়াজি রোল চাওমিন পিজ্জা ইত্যাদি ইত্যাদি এ সকল খাদ্য তে প্রচুর পরিমাণে তেল ও নুন থাকে তাই হৃদপিণ্ডের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে তাই এগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখুন তাহলেই রোগ থেকে বাঁচতে পারবেন।
খারাপ নেশা: খারাপ নেশা হতে পারে যেকোনো ধরনের ধূমপান বা যেকোনো ধরনের মধ্যপান এ সকল নেশা করলে শরীরের যেকোনো রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায় ধূমপান এবং মধ্যপ্রাণ বেশি বেশি করলে হার্টের অত্যন্ত সমস্যা হয়ে থাকে এবং এর নেশা করার কারণে হার্ট এটাক পর্যন্ত হতে পারে তাই এগুলোকে বর্জন করতে হবে তাহলে হৃদরোগ থেকে বাঁচা যাবে।
সর্বশেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি হাটের সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ এবং হার্টের জন্য উপকারী খাদ্যকুন গুলো সেই সম্পর্কে এবং আরো জেনেছে হার্টের এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে আপনি যদি না বুঝতে পারেন বা না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে পড়তে পারেন কারণ এই আর্টিকেলটিতে হার্টের সমস্যা নিয়ে সম্পূর্ণ কথা বলা আছে যা আপনার অনেক উপকারে আসবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url