সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় - দ্রুত কাশি দূর করার উপায়
যে কোন মৌসুমে দেখা দিতে পারে সর্দি কাশি এই সকল সমস্যা গুলো তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু কিছু মৌসুম আছে যা আমাদের শরীরে এ সকল সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায় যেমন গ্রীষ্ম বর্ষা এবং শীত এই তিনটি মাসে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায় আমরা জানবো সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং আরো জানবো দ্রুত কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে।
দ্রুত সর্দি কাশি দূর করার উপায় সমূহ গুলো হল লেবু মধুর মিশ্রণের মাধ্যমে দ্রুত সর্দি কাশি ভালো করা যায় এবং আদা চা তুলসী পাতার উপকারিতা অনেক সর্দি কাশি দূর করার জন্য এবং আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে যা সর্দি কাশি ভালো করতে সাহায্য করে।
ভূমিকা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি সর্দি কাশি দ্রুত ভালো করার উপায় সমূহ এবং কোন কোন মৌসুমে সকল সমস্যা বেশি দেখা দেয় সে সকল মৌসুম সমূহ সম্পর্কে আমাদেরকে এই সকল মৌসুমে ভালোভাবে সতর্ক হয়ে চলতে হবে এবং এগুলো বেশি বেশি ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে তাহলে সুস্থ এবং সবল থাকা সম্ভব হবে নয়তো খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং দেখা দিতে পারে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় এবং মানসিক সমস্যা তাই সবকিছু মেন্টেন করে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে
সর্দি কাশি কিছু কিছু সময় আমাদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে আবার কিছু কিছু সময় দেখা যায় এটি কোন রোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেও সাহায্য করে তাই সব সময় হেলায় ছেড়ে দেওয়া যাবে না সর্দি কাশি হলে নিয়মিত পরীক্ষা বা চেকআপ করে নিতে হবে সর্দি কাশি হলে যে সকল কাজগুলো করা লাগবে তা নিম্নে দেওয়া হলো।
আরো পড়ুন: সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে
অতিরিক্ত কাশিতে আদার উপকারিতা: অতিরিক্ত কাশি হলে আদা অনেক উপকারে আসে যেমন কুচি কুচি করে আদা অল্প কিছু পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে এবার কোন ছেলের মাধ্যমে তা ছেঁকে নিতে পারেন এবং সে পানি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় তা পান করে নিন এতে অতিরিক্ত কাশি থাকলে তা সহজেই ছেড়ে দিতে সাহায্য করে আদা জল।
মধুর উপকারিতা: যেকোন খুশখুশে কাশি ভালো করার জন্য মধু অনেক উপকারে আসে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাইক্রোবিয়াল এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি যা গলাতে জমে থাকা স্ল্যাম না নামক ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং লেবু চায়ের মাধ্যমে মধু খেলে যে কোন ধরনের কাশি ভালো করতে সাহায্য করে মধু।
এলাচের উপকারিতা কাশির জন্য: এলাচের উপকার শুধু কাশির জন্যই নয় এটি শরীরের বা মুখের জড়তা কাটাতেও সাহায্য করে এলাচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে এবং খুশখুশি কাশি দূর করতে অন্যতম মাধ্যম হলো এলাজ এলাচ খোসা ছাড়িয়ে মুখে নিয়ে চুষার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের খুসখুসে কাশি ভালো করতে সাহায্য করে এলাচ।
তুলসী পাতার উপকারিতা: এটা হয়তোবা অনেকেই জানে যে তুলসী পাতাতে যে কোন ধরনের কাশি ভালো করতে সাহায্য করে সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসির কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত যেকোনো ধরনের কাশি ভালো করতে সাহায্য করে এবং তুলসির পাতা সেবনে যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ি তুলতে সাহায্য করে।
দুধ এবং হলুদ: যে কোন কাশি ভালো করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো উষ্ণ গরম দুধ এবং হলুদের গুঁড়া পরিমাণ মতো নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে তাপান করার মাধ্যমে খুশখুসে কাশি হোক এবং যে কোন কাশি নিরাময় করতে সাহায্য করে দুধ এবং হলুদ তাই অতিরিক্ত কাশি হলে এ মিশ্রণটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার যে কোন কাশি দূর হয়ে যাবে।
চিকিৎসা: অনেকে আছে যে কোন কাশিতে যেকোন ওষুধ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এটা একদম সঠিক নয় কারণ সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে কোন ধরনের কাশি হয়েছে এবং কিসের জন্য হয়েছে তার পরেও সৎ সেবন করতে হবে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চেকআপ করে নিতে হবে কিসের জন্য কাশি হয়েছে এবং কি কাশি হয়েছে বিভিন্ন
আরো পড়ুন: ঔষধি গাছ সম্পর্কে
ধরনের কাছের মাধ্যমে হতে পারে এজমা রোগ তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যনালী ও পাকস্থলী রিফ্লাক্স স্লিপ অপিনিয় কাশির অজানা একটি কারণ এতে অনেক কষ্ট হয়ে থাকে পরীক্ষাতে যে দেখা যায় অনেক লোকের কাশি কোন কারণে হয় তা জানা যায় না তাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিয়ে তারপরে এই ওষুধ সেবন করা উচিত।
সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনেক সময় দেখা যায় সর্দি কাশি শরীর দুর্বল হলে হতে পারে বা জ্বর হলে হতে পারে কিন্তু কোন কোন সময় হতে পারে সময়ের পরিবর্তনে বা মৌসুম চেঞ্জ এর মাধ্যমে সর্দি কাশি হতে পারে সর্দি কাশি হলে বেশিরভাগ দেখা যায় বুকে ব্যথা বুকে কফ জমে থাকা শ্বাসকষ্ট কাশি এবং শরীর দুর্বল এ সকল সমস্যা বেশিরভাগ দেখা যায় এবং ঠান্ডা সময় ঠান্ডা লাগা এবং
এলার্জি থাকলে এলার্জির সমস্যা এই সকল সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিতে পারে এ সকল সমস্যা ছোট ভেবে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক না নানা ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে এই সকল সমস্যায় কেউ কেউ ওষুধ সেবন করে থাকেন কিন্তু এগুলো ঘরোয়া উপায়েও ভালো করা যায় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে সর্দি কাশি ভালো করার নিয়ম সম্পর্কে।
রসুনের উপকারিতা: সর্দি কাশি ভালো করতে রসুনের অনেক অবদান রয়েছে যেমন রোশনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সর্দি কাশির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদেরকে সর্দি কাশি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে আরও এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিভাইরাস এবং এন্টিফাঙ্গাল যা সংক্রমণ রাখতে পারে দুই থেকে তিন কুয়া রসুন খেলেই এর থেকে
আরো পড়ুন: প্রোটিন জাতীয় খাবার সম্পর্কে
মুক্তি পাবেন যেমন খেতে পারেন ঘি এর সাথে গরম করে আবার খেতে পারেন সুপের সাথে আরে অন্যান্য খাবারের সাথে উষ্ণ গরম অবস্থায় খেতে পারেন রসুন শুধু সর্দি কাশির জন্যই নয় এটি মুখে ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে তাই প্রতিদিন ২ করে রসুন খেলে এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন তাই এগুলো খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
মসলা জাতীয় চায়ের মাধ্যমে: এই সকল উপাদান গুলো যেকোনো রান্না ঘরেই থেকে থাকে সেই সকল মসলা জাতীয় উপাদান গুলো হলো গোলমরিচ লবঙ্গ এলাচ আদা দারচিনি তুলসী পাতা এবং মধু এ সকল উপাদান গুলো কয়েক মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন এ সকল উপাদানগুলোতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল যা
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং যেকোনো ধরনের সর্দি কাশি ভালো করতে অবদান রেখে থাকে তাই চেষ্টা করুন প্রতিনিয়ত বা সর্দি কাশি হলে এই সকল মসলা জাতীয় উপাদান গুলো পানিতে ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য এতে অনেক উপকারে আসবে এবং দ্রুত সর্দি কাশি ভালো হবে।
খাবার ও ঘুম: প্রতিনিয়ত সঠিক খাবার এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার ভিটামিনযুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খাবার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং অসুস্থ বোধ করলে তা ঘুমানোর মাধ্যমে ভাবিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় যে কোন ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা বা সর্দি কাশি ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানোর মাধ্যমে তার নিরাময় করা
সম্ভব হয় সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত খেয়ে যেতে হবে সঠিক পরিমাণের খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার গুলো এবং যাতে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ সকল খাদ্যগুলো বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে সর্দি কাশি এবং অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচা যাবে তাই প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমোবেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ফলের রস এবং পানি: সময়ের পরিবর্তনে বা মৌসুম চেঞ্জ এর মাধ্যমে ফলের রস এবং পানি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন এতে শরীরের যেকোনো পানি শূন্য তার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং যেকোন সর্দি কাশি ভালো করতে এটি অনেক অবদান রেখে থাকে তাই নিয়মিত পানি পান করবেন এবং পুষ্টিকর ফল গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কফ দূর করার উপায়
সর্দি কাশি হতে পারে যে কোন মৌসুমে তবে বেশিরভাগ দেখা দেয় শীতকালে দেখা যায় ঠান্ডা লেগে গেলে সর্দি কাশি হতে পারে এবং শরীরের যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেও হতে পারে সর্দি কাশি এবং জ্বরের মতো সমস্যা হতে পারে এর থেকে জমাট বাঁধে কফ সর্দি কাশি বেশি হলে বুকের ভেতরে জমাট বাঁধে এর থেকে দেখা যায় বুকে ব্যথা গলা ব্যথা আরো
আরো পড়ুন: শীতে যত্নে করণীয় সম্পর্কে
অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে এটাকে অনেকেই সাধারণভাবে নিয়ে থাকে তবে এটি অতি সাধারণ ভাবলে হবে না এটা থেকে হতে পারে শ্বাস যন্ত্রের ক্ষতি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং দ্রুত কফদ দূর করার উপায় জেনে নিন বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
উষ্ণ গরম জল এবং লবণ: সর্দি কাশি এবং কফ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হলো উষ্ণ গরম জলে লবণ একত্রে মিশিয়ে তাপান করার মাধ্যমে শ্বাসযন্ত্র থেকে কতদূর করতে সাহায্য করে এটি একটি সবচাইতে সস্তা উপায় এবং খুব সহজেই এটি সকলেই করতে পারবে তাই এটি দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করার মাধ্যমে সর্দি কাশি এবং কফ দূর করে দেবে।
কয়েকটি উপাদান একত্রে: কতদূর করতে কয়েকটি উপাদান একত্রে মিশিয়ে তা পান করার মাধ্যমে কফদ দূর করা সম্ভব সে সকল উপাদান গুলো হল পেঁয়াজের রস মধু লেবু এবং পানি একত্রে মিশিয়ে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন এবং উষ্ণ অবস্থায় তা পান করুন এটি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের কফ দূর করে দিতে সাহায্য করবে।
কফ দূর করতে আদার উপকারিতা: অতিরিক্ত কফ জমলে আদা অনেক উপকারে আসে যেমন কুচি কুচি করে আদা অল্প কিছু পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে এবার কোন ছেকনার মাধ্যমে তা ছেঁকে নিতে পারেন এবং সে পানি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় তা পান করে নিন এতে অতিরিক্ত কফ জমে থাকলে তা সহজেই দূর করতে সাহায্য করে আদা জল।
ফল এবং পানি: সময়ের পরিবর্তনে বা মৌসুম চেঞ্জ এর মাধ্যমে ফলের রস এবং পানি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন এতে শরীরের যেকোনো পানি শূন্য তার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং যেকোন সর্দি কাশি এবং কফ জমে থাকলে তা ভালো করতে এটি অনেক অবদান রেখে থাকে তাই নিয়মিত উষ্ণ পানি পান করবেন এবং ভিনেগার যুক্ত পুষ্টিকর ফল গুলো
বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে দ্রুত কফ জমে থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে এ সকল খাদ্যগুলো যেমন ভিনেগার যুক্ত আপেল খাওয়ার মাধ্যমে বুকে কফ জমে থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে এবং উষ্ণ পানি পান করার মাধ্যমে স্ল্যাম বা পাতলা হবে গবেষণায় দেখা যায় গরম পানি খাওয়ার ফলে বুকের সিলেম বা দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্য করে উপায়।
কফ কিভাবে তৈরি হয়
আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে কফ তৈরি হয় তাই কিনা তো আমরা জানতে চলেছি কিভাবে কফ তৈরি হয় সাধারণত হয়ে থাকে সর্দি কাশি জ্বর হলে বুকে জমে থাকতে পারে কফ সাধারণত এটাই জানে আসছি আমরা যে অতিরিক্ত সর্দি কাশি হলে কবজমার সম্ভাবনা বেশি হয়ে থাকে বা সর্দি কাশির মাধ্যমে কফ জমে থাকে আমরা জানবো আরো কি কি উপায়ে
আরো পড়ুন: চোখ ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে
কফ জমে থাকে কফকে এক কথায় বলা যায় স্লাম্মা যাকে আমরা অনেকেই চিনি কফ নামে স্লেমবা স্বাসতন্ত্রকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে তবে অতিমাত্রায় হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এটি নিয়ন্ত্রণে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের দেহের কফ কিভাবে তৈরি হয়ে থাকে সে সম্পর্কে।
এলার্জির কারণে: এলার্জির কারণে শুধু কফ তৈরি হতে সাহায্য করে না এইটা ব্যতীত দেখা দিতে পারে হাঁচি কাশি চোখ চুলকানো বুক আট শার্ট এবং বুকে কফ জমা এ সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে এলার্জি এলার্জি যদি হয়ে থাকে ফুলের বা ধূলাবালুর মাধ্যমে তাহলে এর থেকে তৈরি হয় প্রচুর পরিমাণের সিম্বা যা অতিরিক্ত কফ জমা হতে সাহায্য করে।
ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত: ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা ও দেখা দিলে ফ্লু এ কিউট ব্রানকাইটিস এবং নিউমেনিয়া সংক্রমণ দেখা দিতে পারে যা শাসনালীতে কফ জমতে সাহায্য করে এবং বেশিরভাগ দেখা যায় কাশির মাধ্যমে কফ বের হয়ে যেতে এ সকল সমস্যা দেখা দিলে সলেম বা প্রচুর পরিমাণের বেড়ে যায় এবং তা থেকেই কফ তৈরি হয়।
এসিড রিফ্লাক্স: এসিডি রিফ্লাক্সের মূল উদ্দেশ্য হলো পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে বা গলাতে চলে আসবে এতে অত্যন্ত উত্ত্যক্ত করে তোলে এবং অতিরিক্ত শেমবা তৈরি হয় যা বুকে কফ জমা করতে সাহায্য করে স্লেম বা থাকা ভালো কিন্তু অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা কফ জমা করতে সাহায্য করে তাই স্ল্যাম বা অতিরিক্ত হতে দেওয়া যাবে না।
হাঁপানির মাধ্যমে: হাঁপানের মাধ্যমে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট ও বুকে আটা সাটি অনুভূতি এবং অতিরিক্ত বুকে কফ জমে যেতে পারে এগুলো শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয় বলে অতিরিক্ত শ্লেম্না তৈরি হয় তবে এটি যদি অল্প হয় তাহলে কোন সমস্যা নাই তবে বেশি হলে দেখা দিতে পারে বুকে কফ জমা এবং বুক ব্যথা বা গলা ব্যথা হতে পারে।
জ্বরের মাধ্যমে: জ্বর হলে দেখা দিতে পারে সর্দি কাশি মাথা ব্যথা ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং জ্বর কাজ শেষ অব্দি হলে এর থেকেই জন্মায় কফ অতিরিক্ত সর্দি হলে বুকে কফ জমতে সাহায্য করে এবং কাশির মাধ্যমে তা বের হতে সাহায্য করে তাই শরীরের জন্য জ্বর অত্যন্ত উপকার এবং সর্দি কাশি দুটোই আমাদের জন্য উপকার তবে
বেশি হলে তা একটি দুশ্চিন্তার উপায় হয়ে দাঁড়াতে পারে যেমন জ্বরের মাধ্যমে শরীর থেকে মুছে নিয়ে চলে যায় তেমনি যদি বেশি হয় তাহলে এটি অনেক বড় ধরনের রোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে তাই এ সকল সমস্যা বেশি হতে দেওয়া যাবে না ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন এবং যার সর্দি কাশি ভালো করার চেষ্টা করুন।
দ্রুত কাশি দূর করার উপায়
দ্রুত কাশি দূর করতে কেনা চাই কিন্তু দ্রুত কাশি ভালো করতে গিয়ে অনেকেই নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে বসে থাকেন এবং তার থেকে দেখা যেতে পারে আরো বেশি বিপদে পড়তে পারেন দ্রুত কাশি দূর করতে গিয়ে এই সকল সমস্যা যেন প্রেস না করতে হয় তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করার চেষ্টা করুন তাহলে যে কোন সমস্যার
সমাধান পাবেন বা এ সকল সমস্যা পেশ করতে হবে না আপনাকে আসলেই দেখা যায় বেশিরভাগ সর্দি কাশি এবং জ্বরের মতো সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ডক্টরের পরামর্শ নিতে পারেন এবং কিছু ঘরোয়া ট্রিকস অবলম্বন করে চলতে পারে সেই ঘরোয়া উপায় গুলো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।
আদার উপকারিতা: অতিরিক্ত কাশি হলে আদা অনেক উপকারে আসে যেমন কুচি কুচি করে আদা অল্প কিছু পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে এবার কোন ছেক্ষণার মাধ্যমে তা ছেঁকে নিতে পারেন এবং সে পানি কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় তা পান করে নিন এতে অতিরিক্ত কাশি থাকলে বা দ্রুত কাশি ভালো করতে সাহায্য করে ।
মধুর উপকারিতা: যেকোন খুশখুশে কাশি ভালো করার জন্য মধু অনেক উপকারে আসে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাইক্রোবিয়াল এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি যা গলাতে জমে থাকা স্ল্যাম না নামক ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং লেবু চায়ের মাধ্যমে মধু খেলে যে কোন ধরনের কাশি দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে মধু।
এলাচের উপকারিতা কাশির জন্য: এলাচের উপকার শুধু কাশির জন্যই নয় এটি শরীরের বা মুখের জড়তা কাটাতেও সাহায্য করে এলাচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে এবং খুশখুশি কাশি দূর করতে অন্যতম মাধ্যম হলো এলাজ এলাচ খোসা ছাড়িয়ে মুখে নিয়ে চুষার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের খুসখুসে কাশি দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে এলাচ।
তুলসী পাতার উপকারিতা: এটা হয়তোবা অনেকেই জানে যে তুলসী পাতাতে যে কোন ধরনের কাশি ভালো করতে সাহায্য করে সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসির কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত যেকোনো ধরনের কাশি ভালো করতে সাহায্য করে এবং তুলসির পাতা সেবনে যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
দুধ এবং হলুদ: যে কোন কাশি ভালো করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো উষ্ণ গরম দুধ এবং হলুদের গুঁড়া পরিমাণ মতো নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে তা পান করার মাধ্যমে খুশখুসে কাশি হোক এবং যে কোন কাশি দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে দুধ এবং হলুদ তাই অতিরিক্ত কাশি হলে এ মিশ্রণটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার যে কোন কাশি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি খেতে হবে
মানুষের সবচাইতে বিরক্ত কর সমস্যা হল কাশি কাশি হলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় এবং এর প্রতিকারের জন্য অনেকেই অনেক কিছু খেয়ে থাকে তাদের জন্য আমি সাজেস্ট করব ঘরোয়া উপায়ে কিছু ট্রিক্স মেনে চললে তা দ্রুত সেরে ফেলা সম্ভব এবং অতিরিক্ত কাশি হলে যে সকল খাদ্যগুলো খাওয়া উচিত তা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
রসুনের উপকারিতা: সর্দি কাশি ভালো করতে রসুনের অনেক অবদান রয়েছে যেমন রোশনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সর্দি কাশির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদেরকে সর্দি কাশি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে আরও এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিভাইরাস এবং এন্টিফাঙ্গাল যা সংক্রমণ রাখতে পারে দুই থেকে তিন কুয়া রসুন খেলেই এর থেকে
মুক্তি পাবেন যেমন খেতে পারেন ঘি এর সাথে গরম করে আবার খেতে পারেন সুপের সাথে আরে অন্যান্য খাবারের সাথে উষ্ণ গরম অবস্থায় খেতে পারেন রসুন শুধু সর্দি কাশির জন্যই নয় এটি মুখে ব্রণ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে তাই প্রতিদিন ২ করে রসুন খেলে এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন তাই এগুলো খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
মসলা জাতীয় চায়ের মাধ্যমে: এই সকল উপাদান গুলো যেকোনো রান্না ঘরেই থেকে থাকে সেই সকল মসলা জাতীয় উপাদান গুলো হলো গোলমরিচ লবঙ্গ এলাচ আদা দারচিনি তুলসী পাতা এবং মধু এ সকল উপাদান গুলো কয়েক মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন এ সকল উপাদানগুলোতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল যা
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং যেকোনো ধরনের সর্দি কাশি ভালো করতে অবদান রেখে থাকে তাই চেষ্টা করুন প্রতিনিয়ত বা সর্দি কাশি হলে এই সকল মসলা জাতীয় উপাদান গুলো পানিতে ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য এতে অনেক উপকারে আসবে এবং দ্রুত সর্দি কাশি ভালো হবে।
খাবার ও ঘুম: প্রতিনিয়ত সঠিক খাবার এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার ভিটামিনযুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খাবার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং অসুস্থ বোধ করলে তা ঘুমানোর মাধ্যমে ভাবিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায় যে কোন ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা বা সর্দি কাশি ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানোর মাধ্যমে তার নিরাময় করা
সম্ভব হয় সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত খেয়ে যেতে হবে সঠিক পরিমাণের খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার গুলো এবং যাতে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ সকল খাদ্যগুলো বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে সর্দি কাশি এবং অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচা যাবে তাই প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমোবেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ফলের রস এবং পানি: সময়ের পরিবর্তনে বা মৌসুম চেঞ্জ এর মাধ্যমে ফলের রস এবং পানি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন এতে শরীরের যেকোনো পানি শূন্য তার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং যেকোন সর্দি কাশি ভালো করতে এটি অনেক অবদান রেখে থাকে তাই নিয়মিত পানি পান করবেন এবং পুষ্টিকর ফল গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সর্বশেষ কথা
প্রত্যেকটা মানুষের সুস্থভাবে চলার জন্য বিভিন্ন রকমের পথ অবলম্বন করে চলে থাকে তাদের জন্য আমরা একটি আর্টিকেল লিখেছি যা সর্দি কাশি এবং কফ জমলে যা ঘরোয়া উপায়ে ছাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে সে সকল খাদ্য উপাদান গুলো সম্পর্কে আমরা উল্লেখ করে তুলে ধরেছি আপনি যদি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে পড়ে আসেন তাহলেই সব ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url