কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় - ক্ষত শুকানোর খাবার

 আমাদের অসাবধানতার কারণে অনেক সময় কেটেছিলে যেতে পারে এতে আমাদেরকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয় যেমন কাটা ঘাস শুকাতে না চাইলে তার মাধ্যমে ইনফেকশন হয়ে পৌচে যেতে পারে তাই আজ আমরা জানবো কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং যেকোনো ক্ষত শুকানোর খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায়
কাটা ছেঁড়া অনেক রকমের হতে পারে যেমন কোন কিছু কাটতে গিয়ে হাত পা কেটে যেতে পারে বা কোন কিছুতে ঘ্রিস্টন লেগে ছিলে যেতে পারে এ সকল স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে নয়তো দেখা দিতে পারে ইনফেকশনের মত সমস্যা

ভূমিকা

মানুষ সুস্থ থাকার জন্য কতইনা কি করে থাকে কিন্তু তাও দেখা দিতে পারে নানা ধরনের দুর্ঘটনা জানতে চলেছি কাটা ঘা বাজে কোন ধরনের ক্ষত শুকানোর খাবার সম্পর্কে এবং যেকোনো কাটা ছেঁড়া দ্রুত শুকানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চলেছি যদি আপনারা কাটাছেড়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে একেবারে ঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা আপনাদেরকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করুন আশা করি উপকৃত হবেন।

কাটা জায়গায় ইনফেকশন হলে করণীয়

যেকোনো দুর্ঘটনায় কাটাছেড়া হতে পারে তবে সেই কাঁটা ছাড়া যদি ছোটখাটো হয়ে থাকে তাহলে কোন টেনশনের কারণ নেই তবে সেইটা যদি বড় কোন দুর্ঘটনা বা বড় কাটাছেঁড়া হয়ে থাকে তাহলে দেখা দিতে পারে অনেক রকম সমস্যা যেমন ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এবং সেই কাটা ছেঁড়া যদি যত্ন বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখার চেষ্টা করেন


তাহলে এর থেকে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের জীবাণু আক্রমণ করে ইনফেকশন ফেলিয়ে দিতে পারে এবং যে সকল সমস্যা আরো বেশি দেখাতে পারে তা হল ক্ষতস্থানে বেশি বেশি ব্যথা করা ফোলা এবং লালটা বাড়তে দেখা গেলে বুঝতে হবে ইনফেকশন হয়েছে এবং কাটাছেঁড়া দিয়ে বুঝ বের হলে পুজের রং সবুজ কালার ধারণ করলে এর

থেকে বোঝা যায় ইনফেকশন হয়েছে ইনফেকশন হলে আরো যে সকল মাধ্যমে বোঝা যায় তাহলে বমি বমি ভাব হতে পারে হঠাৎ জ্বর হতে পারে এবং শীত শীত অনুভব হতে পারে এগুলো সম্পূর্ণ ইনফেকশন হওয়ার লক্ষণসমূহ এবার আমরা জানবো কাটা জায়গায় যেন ইনফেকশন না হয় সেজন্য কি কি করা উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

সাবানের ব্যবহার: ক্ষতস্থান টি পরিষ্কার করার জন্য কখনোই সাবান ব্যবহার করা যাবে না আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে সাবান ময়লা মাটি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু সাবান দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে ইনফেকশন বাড়তি হয়ে যেতে পারে গবেষণায় দেখা গেছে হাত ধোয়া সাবান

মুখে দিলে মুখের সমস্যা দেখা দিতে পারে আর যদি ক্ষতস্থানে দেন তাহলে ইনফেকশনের মত সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে সাবান অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে ভালো অবদান থেকে থাকে তবে কাঁটা ছেড়ার ব্যাপারে সাবান নিয়ে না ভাবাটাই উচিত ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করতে গিয়ে করা কিছু ব্যবহার করা উচিত নয় ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করতে পারেন

সেটাফিলের মত জেন্টাল ক্লিনজার ব্যবহার করে এবং ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন ক্ষত শুকানোর কিছু মলম বা পাউডার সম্পর্কে জানার পরে তা ব্যবহার করে নয়তো দেখা দিতে পারে ইনফেকশনের মত আরো সমস্যা তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ব্যবহার করুন।

নিজে ময়লা বের করার মাধ্যমে: ছোটখাটো কাটা ছাড়া হলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু বড়সড়াও কাটাছেঁড়া হলে নিজে নিজে ময়লা বের করার সময় দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা কারণ কাটা ছেঁড়ার ভেতর দিয়ে ছোট ছোট ময়লা মাটির কনা জমে থাকতে পারে সেগুলো যদি নিজে নিজে পরিষ্কার করতে যান তাহলে দেখা দিতে পারে

ইনফেকশন যেকোনো কাটা ছেড়ার ভেতরে থাকতে পারে ময়লা কনা সেই ময়লাখানা বের করানো অনেক দরকার হয়ে পড়ে তবে সেটা বের করতে গিয়ে ঘোঁচাঘুচি করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে ইনফেকশন তাহলে এটি নিজে নিজে করা থেকে বিরত থাকুন তৎখানেক ডক্টরের কাছে যেতে পারে কখনোই ভাববেন না যে আমি নিজে নিজে

বের করতে পারবো এবং কোন সমস্যা হবে না এটা না ভেবে ডক্টরের পরামর্শ নেন এবং ডক্টরের কাছে গিয়ে ময়লা মাটি বের করে নিন নয়তো নিজে নিজে বের করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে ইনফেকশন এমনটা অনেকেরই হয়ে থাকে।

ক্ষতস্থানটি খোলা রাখা: যে কোন জায়গা ক্ষত হয়ে গেলে বা কাটা ছাড়া থাকলে সে জায়গাটি কখনোই খোলা রাখা যাবে না কারণ খোলা রাখলে দেখা দিতে পারে পোকা মাছি বুঝতে পারে এবং সেই থেকে দেখা দিতে পারে ইনফেকশনের সমস্যা অনেকেই ভেবে থাকে কাটা ছেঁড়া ক্ষতস্থান ঠিক হলে রাখলে তাড়াতাড়ি বা দ্রুততম উপায় শুকিয়ে থাকে


কিন্তু এটা একটি বিশেষজ্ঞের মতে ভুল ধারণা বলে বর্ণিত হয়েছে যেকোনো ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য আদ্রতা প্রয়োজন সেই আদ্রতা তৈরি হয় ক্ষতস্থানটি ঢেকে রাখার কারণে এবং ক্ষতস্থান আরো দ্রুত ভাবে ভালো করতে হলে ডক্টরের পরামর্শ নিন এবং পাউডার বা উন্নত মানের কৃম বা জেল ব্যবহার করতে পারেন এতে দ্রুত ক্ষতস্থানটি শুকাবে।

জং ধরা কোন লৌহজাতীয়: লোহা জাতীয় জং ধরা কোন কিছু দিয়ে যদি কেটে যায় তাহলে ইনফেকশন এর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে কারণ জং ধরা জিনিস যদি ভেতরে ঢুকে থাকে তাহলে সেই থেকে তৈরি হতে পারে ইনফেকশন এই সকল সমস্যা দেখা দিলে সর্বপ্রথম মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া উচিত নয়তো দেখা দিতে পারে বড় বড়

ইনফেকশনের মত সমস্যার এ সকল সমস্যা সমাধান নিজে নিজে কখনোই করতে যাবেন না নয়তো বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এ সকল সমস্যায় ব্যাকটেরিয়াতে বাসা বেধে ফেলে এর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম ডক্টরের শরণাপন্ন হতে হবে তাহলে এর থেকে মুক্তি মিলবে খুব সহজেই।

কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায়

শরীরের যে কোন জায়গা কেটে গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় যে কিভাবে কি করা যায় তবে এটা কোন টেনশনের কারণ নেই যদি ছোটখাটো কাটা ছাড়া হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে তা সমাধান করতে পারবেন এবং যদি বড়সড়ও কাটা ছাড়া হয়ে থাকে তাহলে ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন এবং তা শুকানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে


যথেষ্ট কারণ আমাদের ঘরেই এমন কোন জিনিস থাকে যার মাধ্যমে যে কোন ঘাস ওকাতে অত্যন্ত কার্যকরী উপায় বলে গণ্য করা যায় তাই আমরা এর বাইরে কোন কিছু করার আগে ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করতে পারি কাটা ঘা শুকানোর উপায় গুলা চলুন জেনে নেওয়া যাক কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

অ্যালোভেরার উপকারিতা: যেকোনো কাটা জায়গা বা ক্ষতস্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে তা ব্যান্ডেজ করে রাখার মাধ্যমে খুব দ্রুত সেই ক্ষতস্থানটি শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে এটি অত্যন্ত উপকারী একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই এটি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।

মধুর উপকারিতা: মধু যে কোনো ক্ষত শুকানোর জন্য অত্যন্ত উপকার হিসেবে কাজ করে থাকে যেমন যে জায়গাটির ক্ষত আপনার সে জায়গাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের মধু দিয়ে তা ব্যান্ডেজ করে রেখে দিন এবং কয়েক ঘন্টা পর তা পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন এভাবে কয়েকদিন করার মাধ্যমে দ্রুত উপকার মিলবে।

রসুনের উপকারিতা: যেকোনো কাটা ছেঁড়া ক্ষতস্থান শুকাতে অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে রসুন কয়েক টুকরো রসুন থেতলে তার ভেতরে কিছুটা মধু দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং সে পেস্টটি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখার পর ব্যান্ডেজ করে ফেলুন এবং কয়েক মিনিট পার্ক টা খুলে পরিষ্কার করে ফেলুন দিনে কয়েকবার পরিষ্কার করার ফলে দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

ভিনেগার: পরিমান মত পানি নিয়ে তার ভেতরে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সেম মিশ্রণটিতে তোলা ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করার মাধ্যমে দ্রুত শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে থাকে এই ভিনেগার ব্যবহারের ফলে তাই এই নিয়মটি অত্যন্ত কার্যকরী যেকোনো কাটা ঘা শুকানোর ক্ষেত্রে।

এবং যেকোনো কাটা ছেড়ার ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ হলে প্রচুর পরিমাণে তার দ্রুত বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কিছুটা দুবড়া ঘাস নিয়ে চিবিয়ে সেই ক্ষতখানি দিয়ে দিলে রক্ত তৎক্ষণিক বন্ধ হয়ে যায় এবং পেঁয়াজ থেতলিয়ে সেই ক্ষতস্থানটিতে দেওয়ার মাধ্যমে রক্ত বন্ধ হয়ে যায় এবং গাঁদা ফুলের পাপড়ি বা পাতা পি সে ক্ষতস্থানটিতে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

কেটে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসা

আমাদের নানা সময় কর্মজীবনে কাজকর্ম করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে কাটা ছেড়ার মত সমস্যা যেমন বাড়ির যে কোন রান্নাবান্না করতে গিয়ে দেখা দিতে পারে কাটা ছেড়ার মত সমস্যা বা বাইরে কাজে গিয়ে কোন কিছুতে ঘৃষ্টান খেয়ে দেখা দিতে পারে ছিলে যেতে পারে তাই আমরা জানবো কেটে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসার সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেখুন।


আমাদের অনেক সময় কেটে যায় সে সময় কিসের কাটলো সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে কতখানি কাটল সে দেখে পরে খেয়াল রাখে এবং এর পরে কথা হানি কাটল সে দিকে খেয়াল রাখুন যদি অল্প কাটে তাহলে টেনশন নেওয়ার কোন দরকার নেই যদি বড় কোন কাটা ছেঁড়া হয়ে থাকে তাহলে সংক্রমণ রোধে ইনজেকশন নিয়ে নিন নয়তো দেখা দিতে পারে

ইনফেকশনের মত সমস্যা কেটে গেলে সর্বপ্রথম ওই জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিও যদি বড় ধরনের কাঁটা ছাড়া হয় তাহলে কখনোই নিজে নিজে পরিষ্কার করতে যাবেন না তৎখানেক ডক্টরের কাছে গিয়ে পরিষ্কার করে নিন আর যদি ছোটখাটো কোন কাটা ছাড়া হয়ে থাকে তাহলে নিজে নিজে করতে পারেন পরিষ্কার ক্ষতস্থানটি ধুয়ে

পরিষ্কার করে নিয়ে তার উপরে পরিষ্কার একটি কাপড় দিয়ে বা গজ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন এতে রক্তক্ষরণ অতিরিক্ত হলে তা স্বল্প হয়ে যাবে এবং কিছুটা রক্তক্ষরণ কমলে সে ক্ষতস্থানটির মুখে চিনি দানা দিতে পারে চিনি দানা দেওয়ার ফলে রক্ত গাড় হয়ে যাবে এবং রক্ত আর বের হবে না এবং হাতের কাছে কোন রক্তক্ষরণ বন্ধ করার মলম

থেকে থাকলে তা সেই ক্ষতস্থানটিতে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে রেখে দিন অনেকেই তুলা দিয়ে চেপে ধরেন কাটা স্থানটি তবে এটা সঠিক নয় কারণ তুলার আঁশগুলো ঢুকে যেতে পারে ক্ষতস্থানটির ভেতরে তাই কখনোই তুলা ব্যবহার করবেন না গজ কাপড় ব্যবহার করতে পারেন গজ কাপড় দিয়ে সুন্দরভাবে ঢেকে বেঁধে ফেলে কাটা জায়গাটি এবং

কাটাছেঁড়া অবস্থায় যদি বাইরে বের হতে চান তাহলে ব্যান্ডেজ করে তারপরে বের হন আর যদি বাড়িতে থাকেন তাহলে কিছুটা সময় মলম বা ওষুধ লাগিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন এবং অতিরিক্ত যদি রক্ত বের হতেই থাকে তাহলে দুবড়া ঘাসের রস সেই জায়গাতে লাগাতে পারেন কারণ দুবড়া ঘাস রক্তক্ষরণ

কমাতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে এবং ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজ তেলিয়ে বা গাদা ফুলের পাপড়ি গরম পানিতে ভিজিয়ে একত্রে মিশিয়ে কাটা স্টানটিতে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখার মাধ্যমে দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে।

অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধ করার উপায়

আমাদের যে কোন কাজকর্মে দেখা দিতে পারে দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনার কারণে কাঁটা ছেড়া হয়ে থাকতে পারে অনেকটা কাটা ছেঁড়া হয়ে গেলে দেখা দিতে পারে ব্লিডিং বের হতেই থাকে অতিরিক্ত সেই ক্ষেত্রে দ্রুত মেডিকেলে যাওয়া সম্ভব হয়ে দাঁড়ায় না তার আগে যে করণীয় গুলো করা দরকার নয়তো রক্ত পড়ে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে তাই অতিরিক্ত


ব্লিডিং বন্ধ করতে যা যা করা লাগবে সেই সমস্ত উপায় সমূহ আগে আমাদেরকে জানতে হবে নয়তো বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে যেমন মেডিকেলে যেতে যেতে রক্তক্ষরণ হয়ে মানুষ মারা যেতে পারে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে আগে জানতে হবে রক্তক্ষরণ কম করার উপায় সমূহ তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত দেখুন।

ক্ষতস্থানটি উঁচু রাখা: যে জায়গাটি কেটে যাবে সেই জায়গাটি হৃদপিণ্ডের চাইতে উঁচুতে ধরে রাখা যত বেশি উঁচুতে ধরে রাখবেন তত ব্লাডিং কম হবে এবং কাটার স্থানটি বিশ্রামে রাখার চেষ্টা করুন তবে কোন কোন জায়গা আছে তা উঁচু করে ধরে রাখা যাবে না সে জায়গাটি নড়াচড়া করা বন্ধ করে দিতে হবে তবে রক্তক্ষরণ অনেকটা কমবে।

পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে: কাটাবা ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার কাপড় বা রুমাল দিয়ে চেপে ধরার রাখার চেষ্টা করুন তৎক্ষণিক সময় হাতের গড়ায় কিছু না থাকলে হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখতে পারেন এতে রক্ত পড়া অনেকটাই কমে যাবে কারণ চেপে রাখার মাধ্যমে মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং রক্ত পড়া অনেকটা কমে যায়।

নিকটস্থ হসপিটাল: সর্বপ্রথম কাছের কোন হসপিটাল থাকলে সেখানে নেওয়ার চেষ্টা করুন হসপিটাল নেওয়ার আগে ভালোভাবে বেঁধে নিন নয়তো রক্তক্ষরণ হয়ে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং খেয়াল রাখুন দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলে কাঁটা স্থানে শক্ত করে বেঁধে রাখার কারণে সেই জায়গার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং সেই স্থানটি অকাজে হয়ে যেতে

পারে তাই বেশিক্ষণ শক্ত করে বেঁধে রাখাও যাবে না এবং হসপিটাল যদি দূরে হয়ে থাকে তবে চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে শিরায় স্যালাইন শুরু করে দেওয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে এই নিয়মটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ক্ষতস্থানটি শক্ত করে বেঁধে রাখার চেষ্টা করুন এবং দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

রক্ত বন্ধের আরো কিছু উপায়: যেমন চিনি ব্যবহার করতে পারেন অতিরিক্ত রক্ত বন্ধ করার জন্য চিনি অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনি ব্যবহার করার মাধ্যমে দ্রুত রক্ত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং কফি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রক্ত বন্ধ করার কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে হলুদের গুড়া ব্যবহার করতে পারেন হলুদ ব্যবহার

করার কারণে সংক্রমণ জীবাণু মেরে ফেলতে সাহায্য করে এবং যে কোন জীবানুর সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং কাটাস্থানটিতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট ব্যবহার করার কারণে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত ক্ষতস্থান ভালো করতে সাহায্য করে থাকে তাই উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

ক্ষত শুকানোর খাবার

যেকোনো কাজকর্ম করতে গিয়ে শরীরের যে কোন জায়গা কেটে গেলে এবং যেকোনো সার্জারি করতে গিয়ে কাটাছেড়া হলে সে সকল ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতে পারে তাই সে ক্ষতস্থানটি শুকানোর উপায় সমূহ নিয়ে আমরা আর্টিকেলটি লিখেছি যদি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন তো চলুন জেনে নেওয়া যায় ক্ষতস্থান শুকানোর উপায় সম্পর্কে।

সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন থেকে থাকে যা যেকোনো ধরনের ক্ষত শুকাতে অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে সবুজ স্বাগগুলো হলো পালং শাক পাতাকপি ব্রকলে আরো অন্যান্য সবুজ শাকসবজি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে

এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন কে যা রক্তক্ষরণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং ক্ষতস্থান শুকাতে খুব দ্রুততমী একটি উপায় সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখার চেষ্টা করুন।

মুরগির মাংস: মুরগির মাংস খাবার ফলে যে কোন ক্ষত শুকাতে অনেক কার্যকরী একটি উপায় হিসেবে গণ্য করা যায় এবং রোগ তন্ত্রের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে মুরগির মাংস এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটামিন এবং আরজি নিন এমাইনো এসিড থেকে থাকে যা শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে মুরগির মাংস এবং ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।

ডিমের উপকারিতা: যে কোন সার্জারির ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে থাকে ডিম যে কোন ক্ষতসুকাতে অত্যন্ত প্রোটিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে যে প্রোটিন শরীরে ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে ডিম প্রোটিনের আরো ভালো কিছু উৎস হলো ডিম দুধ মাছ মাংস এ সকল খাদ্য খাবার মাধ্যমে প্রোটিনের যেকোনো ঘাট করতে সাহায্য করে এবং যেকোনো ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।

চর্বি জাতীয় খাদ্য: চর্বি জাতীয় খাদ্য বেশি বেশি খাবার ফলে যে কোন সার্জারি করার মত ক্ষত শুকাতে অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাবার মাধ্যমে শোষণ সহায়তা করতে ভালো হয় স্বাস্থ্যকর চড়বে শক্তির দীর্ঘমেয়াদি উৎস হিসেবেও কাজ করে থাকে চর্বি জাতীয় খাদ্যে ভিটামিন ই থাকে বেশি পরিমাণে যা দূরত্ব কত ভালো করতে সাহায্য করে।

প্রোটিন এবং ভিটামিন: ভিটামিন এ ভিটামিন সিটামিন ডি ভিটামিন ই ভিটামিন কে এই সকল ভিটামিন থাকে যা অতিরিক্ত খাবার ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে এবং নতুন টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে থাকে এ সকল প্রোটিন এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্যগুলা এবং যেকোনো ধরনের ক্ষত শুকাতে কার্যকরী একটি মাধ্যম।

কেটে গেলে কি খাওয়া যাবে না

অনেকেই এখনো ভুল ধারণায় থেকে গেছে যে কেটে গেলে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলে টক জাতীয় খাদ্য খাওয়া যাবে না এমন ভুল ভ্রান্তিতে অনেকেই থেকে গেছে তবে এটাই এখনকার কথা না আদিম যুগ থেকে প্রচলন চলে আসছে যে যে কোন কাঁটা স্থানের জন্য টপ জাতীয় খাদ্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কি বলছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অনেকেই ডাক্তারের কথা ও বিশ্বাস করতে চায় না কারণ তারা ওই যে শুনে এসেছে যে টক জাতীয় খাদ্য খেলে শরীরে যে কোন কাটায় স্থান পেকে যেতে পারে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এই ভেবে অনেকেই এই পর্যন্ত টক জাতীয় খাদ্য খায় না তবে বড় বড় বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখেছে যত রকমের টক জাতীয় ফল আছে সবকিছুই আমাদের শরীরের

জন্য অত্যন্ত উপকারী এর কোন অপকার নেই সবকিছুতেই উপকার আছে যেমন যেকোনো কাটা ছেঁড়া ভালো করতে অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে কাজ করে থাকে টক জাতীয় ফল এবং সহজেই শুকাতে সাহায্য করে থাকে টক জাতীয় ফল কারণ টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা দেহের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে

সাহায্য করে এবং যেকোনো কাটাছেঁড়া ভালো করতে অত্যান্ত কাজ করে থাকে এ সকল ভিটামিন সি যুক্ত খাদ্যগুলো হলো ফলের তালিকায় রয়েছে কমলালেবু লেবু কামরাঙ্গা আমলকি আরো ইত্যাদি ইত্যাদি টক জাতীয় ফলগুলো খাওয়ার ফলে হাইড্রোক্সিপ্লোরিন তৈরি করতে সাহায্য করে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানকে ভালো করতে সাহায্য করে মাংসপেশির

তন্ত্র সম্পূর্ণ ভরাট করে দিতে সাহায্য করে এবং টক জাতীয় ফল যেকোনো ধরনের কাটাছেড়া ভালো করতে সাহায্য করে এবং কাটা ছেড়ার ক্ষতস্থান টি শুকাতে অত্যন্ত সাহায্য করে থাকে এবং এটি কার্যকরী একটি মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায় অনেকেই ভাবে যে টক জাতীয় ফল খেলে কাটার স্থানটি পেকে যেতে পারে এটি একেবারে সম্পূর্ণ ভুল বলে প্রমাণিত হয়।

শেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এবং যেকোনো ধরনের ক্ষতস্থান শুকাতে যে সকল খাবার খাওয়া উচিত এবং যে সকল খাবার খাওয়া অনুচিত সে সম্পর্কেও আমরা বিস্তারিত জেনেছি আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়ে থাকেন আমি সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আসার জন্য তাহলে কাটা এবং ক্ষত স্থানের যেকোনো সমস্যার এ টু জেড তথ্য জানতে পারবেন তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন এবং আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url