রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় - রাতে ঘুম না হলে করনীয়

আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য আমরা ঘুমাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন হয় তাড়াহুড়ো করে ঘুমাতে গিয়ে ঘুম আসে না অনেক টেনশন হয়ে যায় তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে টেনশন মুক্ত করে ঘুমোতে যেতে হবে তাই আমরা জানবো রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় সম্পর্কে যেমন হাতে ফোন থাকলে তা অফ করে ফেলুন নয়তো ঘুম আসবে না এবং রাতে ঘুম না হলে করণীয় বই পড়তে পারেন।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়
অনেকে অফিস আদালত থেকে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসে ঘুমোতে যায় কিন্তু শরীরে একটি আলতি থাকে এই সকল আল্টিম নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার ফলে ঠিক মত যদি ঘুম না হয় তাহলে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক তাই টেনশনমুক্ত হয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।

ভূমিকা

জীবনে ক্লান্তি দূর করার জন্যই আমাদের ঠিকমতো ঘুমানো উচিত ঠিকমতো এবং সময় মত না ঘুম হলে শরীর মিছমিচে হয়ে যায় যে কোন কাজ করতে ভালো লাগে না মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় তাই আমাদেরকে নিয়মিত যতটুকু টাইম ঘুমানো উচিত ততটুকু টাইম ঘুমিয়ে নেওয়া উত্তম নয়তো আবার শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমিয়ে নেওয়া উচিত এতে শরীর স্বাস্থ্য এবং মন দুটোই ভালো থাকে।

তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা

এখনকার এই ডিজিটাল যুগে আগেকার চাইতে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে এর একটি মাধ্যম হলো ডিজিটাল ডিভাইস গুলনের কারণে ঘুম আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অন্যতম একটি মাত্র ঘুমের মাধ্যমে চিন্তা দূর হয়ে যায় শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ঘুম রাতে পরিমাণ


মতো ঘুমাতে পারলে শরীর স্বাস্থ্য একেবারে সুস্থ থাকে এবং রাতের ঘুম আমাদের কম ক্যালরি গ্রহণ করতে সাহায্য করে থাকে ঘুমের কারনে ক্ষুধা বেশি থাকে এবং ক্যালোরি খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে আমরা জানতে চলেছি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক তাড়াতাড়ি ঘুমালে কি কি উপকার হয় আমাদের শরীরের পক্ষে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হলে তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে এবং ঠিকমতো ঘুম না হলে ঘুমের ঘাটতি থেকে গেলে আপনার শরীর দুর্বল করে দিতে পারে এবং অন্যান্য রোগ হতে পারে গবেষণায় দেখা যায় যারা নিয়মিত ঘুম না পারে তাদের সর্দি লাগার সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়।

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে সাহায্য করে: প্রতিনিয়ত পরিমান মত ঘুমলে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং নিয়মিত ঘুমের কারণে অনেক উপকার হয়ে থাকে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এবং সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে রক্তে শর্করাকে প্রভাবিত করে তোলে গবেষণায় দেখা গেছে কয়েক রাত্রি জেগে কাটানোর কারণে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা গেছে।

মানসিক চাপ কমায়: ঘুমের উপর নির্ভর করে মানসিক চাপ যত ভালো ঘুম হবে তত মানসিক চাপ কমে যাবে আর ঘুম না হলে মানসিক চাপ বেড়ে যাবে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রোগ দেখা দিতে পারে তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজন।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলা: পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হলে তা মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অনেকে ব্রেন স্টোক করে মারা যায় রাতের ঘুম কম হলে মস্তিষ্কের চাপে ব্রেন স্টক হতে পারে তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং নিয়মিত রাত্রে ঘুমান।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: অনেকে আছে শরীর নিয়ে অনেক চিন্তিত ওজন বেড়ে যাচ্ছে তাই আবার অনেকেই আছে শরীরের জন্য ডায়েট কন্ট্রোল করে এবং শরীর কমানোর জন্য বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করে থাকে তারপরে অনেকে ওজন কমাতে পারেন না পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং ঘুম না হলে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

সৌন্দর্য এবং বয়সের ছাপ: চেহারার সুন্দর বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম পারতে হবে তাহলে চেহারাও সুন্দর থাকবে এবং বয়সের ছাপ থাকবে না আর যদি নিয়মিত ঘুম না হয় কয়েক রাত জেগে থাকেন তাহলে চেহারাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে চেহারাতে গুটিগুটি কিছু বের হতে পারে এবং চেহারাতে বলি রাইক্ষা চোখের গোড়ায় কালো দাগ


হয়ে যেতে পারে দেখে মনে হবে বয়স্ক বয়স্ক কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুমানোর কারণে এ সকল সমস্যা থেকে আপনি সমাধান পাবেন ১০০% তাই চেষ্টা করুন যাতে নিয়মিত ঘুমানোর এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের যেন ঘুম হয় তাই পুষ্টিকর কিছু খাবার খেতে পারে যেমন বাদাম খাবেন সবজির ভিতরে ব্রাকলি খাবেন এগুলো খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

মানুষের দেহে বেশিরভাগ রোগ বাসা বাঁধে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হলে আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় চেহারা বলে রাখা দেখা দিতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমালে যে সকল উপকার পাওয়া যায় তা হলো চেহারা অত্যন্ত সুন্দর হয়ে যায় চেহারাতে বয়েস্কের কোন ছাপ দেখা যায় না পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পারলে রোগ প্রতিরোধ

ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে আরো অন্যান্য উপকার আছে যেগুলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে ভালো উপকার পাওয়া যায় রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম না হলে বই পড়তে পারেন বেশি বেশি কারণ খেয়াল করবেন যখন বই পড়তে বসেন তখন ঘুম আসে বেশি তাই বেশি বেশি বই পড়ুন তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে এবং ঘুম আসার


আরো নিয়ম কানুন জেনে নেই খুব সহজে আর ঘুম যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যায় শরীরে তাই আমাদের এগুলো জানা দরকার কিভাবে এবং কি করলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো কিভাবে সম্ভব তা বিস্তারিত জেনে নিন।

ইলেকট্রনিক্স বা ফোন: শুতে যাবার পূর্বে আমাদেরকে ইলেক্ট্রনিক্স জাতীয় সম্পূর্ণ জিনিসগুলো অফ করে দিতে হবে নয়তো লাইট বা কোন কিছু চললে তা আমাদের চোখে আলো আসতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে তাই এগুলো অফ রাখতে হবে এবং মোবাইল ফোন মোবাইল ফোন পাশে থাকলে আমাদের মনে হবে শুধু ফোনের ভিতরে

ঢুকে থাকার জন্য আর ফোনে ঢুকে থাকলে সহজে ঘুম আসে না এবং ফোন অফ করে পাশেও রাখা যাবে না ফোন অফ করে পাশে রাখলেও মেলাটোনিন লেভেল কমিয়ে দিয়ে থাকে তাই ফোন যেখানে শুবেন সেই স্থান থেকে অন্যস্থানে রাখার চেষ্টা করেন এর মাধ্যম গুলো মেনে চলুন তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।

গান শোনার মাধ্যমে: শুতে যাওয়ার আগে একটু গান শুনে নিতে পারে এবং হালকা গরম জল দিয়ে গোসল করতে পারেন এতে ক্লান্তি ধুয়ে দূর হয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অন্যতম মাধ্যম হলো মোবাইলে গান শোনা গান শোনার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে।

টেনশন করা যাবে না: ঘুমোতে যাওয়ার আগে টেনশন মুক্ত হয়ে যায় কারণ যত চিন্তা ভাবনা করবেন তত চোখ থেকে ঘুম হারিয়ে যাবে টেনশন দূর করার জন্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও দেখুন গান দেখতে পারেন এতে টেনশন মুক্ত হয়ে যাবে এবং আপনার যা যা করতে ভালো লাগে সে সকল কাজ আপনি করতে পারেন এবং কে কি বলল একদম ভাবার দরকার নেই।

দিনের বেলায় ঘুমানো যাবে না: কারণ দিনের বেলায় ঘুমোতে গেলে সেই ঘুমটা রাতে আর হবে না আর দিনে না ঘুমালেও চলবে কিন্তু রাতে আমাদেরকে ঘুমানো লাগবে। তাই চেষ্টা করবেন দিনে না ঘুমানোর তাহলে রাতে ঠিকমতো ঘুম হবে এবং দ্রুত ঘুম আসবে।

বইপাড়া: ঘুম না আসলে বই পড়া একটি অন্যতম মাধ্যম ফলো করে দেখবেন বই পড়ার সময় ঘুম চলে আসে সেই সময় বই থুয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন এতে আপনার পড়াও হবে এবং পড়ার মাধ্যমে ঘুমও আসবে এটা দু দিক থেকেই উপকারে আসে তাই বেশি বেশি বই পড়ুন রাতের বেলায় বই পড়লে ঘুম আসে বেশি তাই ঘুমানোর সময় হলে বই পড়তে বসুন।


উপরে যে সকল নিয়ম কানুন গুলো দেখানো হলো এইসব নিয়মকানুন গুলো মেনে চললে নিশ্চিত সোয়া মাত্র রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে কারণ ঘুমানোর বা ঘুম আসার যতগুলো উপায় আছে সবগুলো এখানে দেওয়া আছে। তাই এগুলো কন্টিনিউ করে যান ১০০% ঘুম চলে আসবে।

রাতে ঘুম না হলে করনীয়

আমাদের দৈনিক জীবনের সুস্থ থাকার জন্য ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ ঘুমের মাধ্যমে আমরা প্রশান্তি লাভ করি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাতে পারলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং মন মেজাজ অনেক ভালো থাকে আর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হয় তাহলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে এবং চেহারা খারাপ হয়ে পড়ে তাই আমাদের প্রতিনিয়ত

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পারা অত্যন্ত প্রয়োজন অনেকে ফোনটিতে গিয়ে সারারাত পার করে দেয় তাদের দেখা যায় ব্রেনের সমস্যা হতে পারে চেহারায় সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই রাতে নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত ঘুমানো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্য করে রাতে ঘুম না এলে কি করবো চলুন জেনে নেই কি করলে দ্রুত ঘুম চলে আসে।

চা এবং কফি: সঠিক মাত্রায় ঘুমোনোর জন্য এগুলো কখনোই খাওয়া যাবেনা এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় এগুলো খেলে সঠিক মাত্রায় ঘুম হবে না তাই চা এবং কফিকে দিনে খেতে পারেন রাতে এটা বিরত রাখাই ভালো নয়তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে:

স্থান নির্বাচন: যে স্থানে শুবেন আপনি সেই স্থানটি একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং গরমের সময় ঠান্ডা স্থান হতে হবে এবং ঠান্ডা সময় গরমে স্থান হতে হবে তাহলে দ্রুত ঘুম আসবে আর ঘুম না আসলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ ধ দেখা দিতে পারে তাই প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো সকলের জন্যই উচিত।


সূর্যের আলোয় কয়েক মিনিট থাকা: দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে কয়েক মিনিট থাকলে আপনার ব্রেন বা মস্তিষ্ক বুঝতে পারবে দিন এবং রাত্রের ব্যবধান তাই প্রতিদিন কয়েক মিনিট রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে থাকুন তাহলে রাত্রিবেলায় ঘুম হবে ভালো কারণ মস্তিষ্ক বুঝতে পারবে রাত এবং দিনের ব্যবধান এবং রাতে তা প্রয়োগ করবে ঘুমের প্রতি।

গরম পানি দেব গোসল: রাতে ঘুম না আসলে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন গরম পানি দেব গোসলের কারনে শরীরের আলতুগুলো ধুয়ে মুছে চলে যায় এবং রাতে ঘুম হয় অনেক ভালো অনেকে ভাবে যে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে হয়তোবা ঘুম হয় ভালো কিন্তু তা নয় গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমে ঘুম হয় সবচাইতে ভালো।

বইপাড়া: ঘুম না আসলে বই পড়া একটি অন্যতম মাধ্যম ফলো করে দেখবেন বই পড়ার সময় ঘুম চলে আসে সেই সময় বই থুয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন এতে আপনার পড়াও হবে এবং পড়ার মাধ্যমে ঘুমও আসবে এটা দু দিক থেকেই উপকারে আসে এটা আমি নিজে প্রমাণিত তাই বেশি বেশি বই পড়ুন রাতের বেলায় বই পড়লে ঘুম আসে বেশি তাই ঘুমানোর সময় হলে বই পড়তে বসুন।

উপরে যে সকল নিয়ম কানুন দেওয়া হল এগুলো মেনে চললে আপনার লাইফটি অনেক সহজ এবং সুন্দর হয়ে উঠবে এবং এই সকল নিয়ম কানুন মেনে চললে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হবে এবং অন্যান্য রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবেন এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠবেন তাই এই নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

যে সব খাবার খেলে ঘুম আসে না

আপনারা অনেকেই থাকেন যারা ঘুম না আসাকে একটি রোগ মনে করে থাকেন কিন্তু অনেক অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় বিভিন্ন শাক-সবচেয়ে খাওয়ার ফলে আপনাদের ঘুম আসে না আর আপনারা মনে করেন যে কোন রোগ হয়তো বা হয়েছে তাই ঘুম আসে না বা ঘুমের কোন রোগ ভেবে থাকেন এমন কিছু সব জীব আছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী


কিন্তু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে এই শাকসবজিগুলো দিনের বেলায় খেতে পারেন এগুলো রাতের খাদ্য তালিকা থেকে তুলে দিতে হবে নয়তো এগুলো খেলে রাতে ঘুম হবে না বিশেষজ্ঞরা এই সকল খাদ্যগুলো স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসেবে গণ্য করে থাকে এবং রাতের বেলায় এ সকল খাদ্যগুলো খেতে মানা করে খাদ্যগুলো কি চলুন জেনে নেওয়া যায়।

টমেটো: রাতের বেলায় টমেটো খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এটি হওয়ার কারণ হলো ডায়রামিনের কারণে ভয় থাকে বেশিরভাগ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং ঘুম আসতে বাধাগ্রস্ত করে এতে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন সি থাকে এবং রাতের বেলায় খেলে এটি হজম হতে দেরি হয়ে যায় তাই ঘুম আসতে বাধা দেই।

শসা: বেশি বেশি শসা খাওয়ার ফলে পেট সবসময় ভরা থাকে সেই জন্য এটি রাতে খাওয়া যাবেনা কারণ পেট যত ভরা থাকবে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে তত বেশি কারণ রাতে খাওয়ার মাধ্যমে পেট ফুলে যেতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে তাই রাতের খাবার এটিকে এড়িয়ে চলুন।

ব্রকলি: এ সকল খাদ্যগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু ঘুমের জন্য ব্যাঘাতকারী একটি মাধ্যম এটি দিনের বেলায় খেতে পারেন কিন্তু রাতের বেলায় একে এড়িয়ে চলুন নয়তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটালে সকালবেলায় গ্যাস এবং এসিডের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এটিকে রাতে খাওয়ার জন্য বারণ করে থাকে বিশেষজ্ঞরা।

দই: বিশেষজ্ঞরা বলে স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি দ্রব্য তবে রাতে এটা বিরত রাখতে হবে খাওয়া থেকে এটি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের গরম থাকে এবং হজম শক্তি হতে অনেক দেরি হয়ে যায় সারারাত অস্থির বোধ হয় তাই এটিকে পরিত্যাগ করাই ভালো রাতের জন্য দিনে খেতে পারেন তবে রাতে এটি খাওয়া যাবেনা নয়তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দেবে।

ক্যাফেইন: কেফেন জাতীয় পদার্থ খাওয়া যাবেনা বিশেষ করে রাত্রিবেলা চা কফি এই সকল খাদ্যগুলো ঘুম চাপলেও ঘুম কাটিয়ে দিতে সাহায্য করে তাই সন্ধ্যার পরে সকল খাদ্যগুলো না খাওয়াই ভালো নয়তো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে এবং শরীর স্বাস্থ্য খারাপ করে দিতে পারে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে তাই এগুলোকে রাত্রিবেলায় না খাওয়াই ভালো।

ঝাল এবং চিনি জাতীয়: অতিরিক্ত ঝাল খাবার ফলে হজম শক্তিতে অসুবিধা হতে পারে তাই ঝাল মুক্ত খাদ্য রাতের বেলায় অতিরিক্ত খাবেন না এবং অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাদ্য রাতের বেলায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিতে পারে এবং শোয়ার টাইমে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে তাই এগুলো থেকে বিরত থাকুন বিশেষ করে রাত্রে বেলায় এগুলো খাবেন না।

ভারী জাতীয় খাবার: যেকোনো ভারী জাতীয় খাবার রাতের বেলায় খাওয়া যাবে না কারণ পেট ভারী থাকলে ঘুমোতে অসুবিধা হবে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে সারাদিন ভারী খাবার খেতে পারেন কিন্তু রাতের বেলায় একটু হালকা খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে ঘুম ভালো হবে এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার নিয়ম

দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী যা শরীরকে চাঙ্গা এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে যারা অন্যান্য রোগে ভুগে থাকেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অত্যন্ত উপকারী বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন অনেকে ঘুম না আসার কারণে অতিরিক্ত ওষুধ খেয়ে ফেলে এই ওষুধ খাওয়া যাবে না এতে শরীরের অনেক সমস্যা দেখা

দিতে পারে তাই এই ওষুধগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন এবং কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসানোর চেষ্টা করুন এবং ঘুম আসানোর জন্য রোজ পুষ্টিকর কিছু খাদ্যখান কারণ রাতে ঘুম ভালো না হলে শরীর সুস্থ থাকে না তাই প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো সকলের জন্যই অত্যন্ত কার্যকরী চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার নিয়ম কানুন সম্পর্কে।

পারিশ্রমিক শরীর: শরীরে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসতেছে সাহায্য করে এবং এটি একটি ওষুধের কাজ করে থাকে প্রাকৃতিক ওষুধ বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যাদের শরীর প্রচুর পরিমাণ এর পরিশ্রম করে থাকে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হয় তাই প্রতিনিয়ত শরীরের ব্যায়াম এবং পরিশ্রম করে যান এতে ঘুম ভালো হবে।

ঘর: পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হতে পারে যদি ঘর আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এবং ঘুমানোর জন্য উপযোগী হয়ে থাকে নয়তো ঘরজুতি অগোছালো এবং যেমন তেমন হয়ে থাকে বা ঘরের আশেপাশে কোন শব্দ হয় সেই ক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যাবে তাই সর্বপ্রথম আপনার সবার ঘরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন এবং ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত করে তুলবেন।

দিনের বেলায় ঘুমানো যাবে না: কারণ দিনের বেলায় ঘুমোতে গেলে সেই ঘুমটা রাতে আর হবে না আর দিনে না ঘুমালেও চলবে কিন্তু রাতে আমাদেরকে ঘুমানো লাগবে। তাই চেষ্টা করবেন দিনে না ঘুমানোর তাহলে রাতে ঠিকমতো ঘুম হবে এবং দ্রুত ঘুম আসবে।

বইপাড়া: ঘুম না আসলে বই পড়া একটি অন্যতম মাধ্যম ফলো করে দেখবেন বই পড়ার সময় ঘুম চলে আসে সেই সময় বই থুয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন এতে আপনার পড়াও হবে এবং পড়ার মাধ্যমে ঘুমও আসবে এটা দু দিক থেকেই উপকারে আসে তাই বেশি বেশি বই পড়ুন রাতের বেলায় বই পড়লে ঘুম আসে বেশি তাই ঘুমানোর সময় হলে বই পড়তে বসুন।


রাত্রে বেলায় গোসলের মাধ্যমে: গরম পানি দিয়ে গোসলের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ঘুম আসতে সাহায্য করে থাকে রাত্রে বেলায় ঘুম না আসলে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এই পানি দিয়ে গোসল করলে শরীর থেকে আলতি ধুয়ে যায় এবং ঘুম আসতে সাহায্য করে থাকে।

ঘুম না আসলে এমন কিছু করুন: যেমন বিছান থেকে উঠে যেতে পারেন অনেকে থাকে এপাশ ওপাশ হয়ে ঘুম আসানোর চেষ্টা করে কিন্তু এভাবে করেও ঘুম আসে না তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমি ঘুম না আসলে উঠে পড়ুন বিছান থেকে এবং এমন কিছু করুন যাতে ঘুম আসতে সাহায্য করে এবং হাঁটাচলা করে আসতে পারেন যতক্ষণ না ঘুম আসে ততক্ষণ বিছানায় আসবেন না।

ঘুম বৃদ্ধির খাবার

ঘুম না আসার অনেক কারণ হয়ে থাকে যেমন প্রচুর গরমে ঘুম আসতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দেয় এবং প্রচুর শীতেও ঘুমাতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে তাই সহজে ঘুমানোর জন্য কিছু টিপস আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছে যার মাধ্যমে খাবারের হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে এবং রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাতে সাহায্য করবে চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবার গুলো কি কি।

মাখানা: একগ্লাস দুধ এবং মাখানা একসঙ্গে ফুটিয়ে খেতে পারলে শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য এটি শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং ঘুম বৃদ্ধি পাবে এই খাবারটির মাধ্যমে স্নায়ুকে প্রচুর পরিমাণে আরাম দিয়ে থাকে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই খাবারটি খেতে পারলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হবে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

কাঠবাদাম বা আমন্ড: এই খাদ্যটি প্রতিদিন রাত্রে বেলায় তিন-চারটি করে ডানা খেলেও শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং রাতে ঘুম আসতে সাহায্য করে থাকে এ বাদামটি শুধু শরীর সুস্থ রাখতেই কার্যকরী নয় এটি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হতেও সাহায্য করে থাকে তাই এটি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণের অ্যামিনো এসিড থাকে এবং ট্রিপ ফ্যান থাকার কারণে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হয়ে থাকে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে বা রাত্রিবেলায় এক গ্রাস করে কুসুম কুসুম দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হয়ে থাকবে।

ডিম: মূলত ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে থাকে ডিম সেই ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এবং রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে মস্তিষ্কের জন্য ভালো কাজ করে থাকে ডিম এবং শরীর স্বাস্থ্য শক্ত এবং মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখার চেষ্টা করুন।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু ঘুমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য একটা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস যা শরীরকে শান্ত করে দিতে একেবারে একটি কার্যকরী মাধ্যম স্নায়ু এবং মাংসপেশীকে শান্ত করতে সাহায্য করে মিষ্টি আলো যার রাত্রিবেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হতে সাহায্য করে থাকে।

এ সকল খাদ্যগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ঘুম আসার জন্য এর কোন জুড়ি নেই এ খাদ্যগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি হলেও রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হবে এবং দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে থাকে অন্যান্য খাবারের তুলনায় তাই এর খাবার গুলো প্রতিদিন খাবার তালিকায় একটি হলেও রাখার চেষ্টা করুন।

সর্বশেষ কথা

ঘুম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেওয়া আছে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি কোন রকমের উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদেরকে ফলো দিয়ে যাবেন এবং সাথে থাকবেন নতুন নতুন আর্টিকেল পাওয়ার জন্য যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি না পড়ে থাকেন তাহলে সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ পোস্টটি প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ে আসুন এতে এ টু জেড তথ্য দেওয়া আছে ঘুম সম্পর্কে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url