হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয় - কানের যত্ন নেওয়ার উপায়

কানের সমস্যায় শহরের চাইতে গ্রামের মানুষ বেশি ভোগে থাকে কারণ শহরে উন্নত মানের গোসলখানা আছে এবং গ্রামে তা নেই কুকুর এবং নদীতে নোংরা পানিতে গোসল করার মাধ্যমে কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে আমরা জানবো হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে এবং গ্রামহ শহরের পরিবর্তন সম্পর্কে এবং কানে ইনফেকশন হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয়
গ্রামের মানুষেরা পুকুরের এবং নদীর নোংরা পানিতে গোসল করে থাকে এতে তাদের খানের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে এবং শহরের মানুষেরা স্বচ্ছ ট্যাবের পানি বা মোটরের পানিতে গোসল করে থাকে এতে তাদের সমস্যা কম হয়ে থাকে বিস্তারিত নিচে দেখুন।

ভূমিকা

সুস্থ এবং সবল ভাবে বাঁচার জন্য আমাদেরকে দেহে রঙ্গে পতঙ্গের বেশি বেশি খেয়াল এবং যত্ন রাখা দরকার সর্বপ্রথম বেশি বেশি খেয়াল রাখা দরকার হলো আমাদের চোখের আমাদের মুখের জবানের এবং আমাদের কানের এই সকল অঙ্গ গুলো খুব নরম এবং মূল্যায়ন হয়ে থাকে যেমন কানের পর্দা

 ফেটে গেলে কিছু শুনতে পারবেন না এবং চোখ নষ্ট হয়ে গেলে কিছুই দেখতে পাবেন না তাই এই সকল অঙ্গগুলোর খেয়াল এবং যত্ন বেশি বেশি রাখা উচিত আপনারা যদি কান সম্পর্কে জানতে আসেন তাহলে একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন নিশ্চয়ই উপকারে আসবে।

কানের সমস্যা ও সমাধান

কানের সমস্যায় হয়তো বা অনেকেই ভুগে থাকে আবার অনেকেই বুঝতেই পারেন না যে তার কানের সমস্যা হয়েছে কিনা কানের সমস্যা গুলো হলে যেভাবে বুঝবেন এবং কানের যে সকল সমস্যা হয়ে থাকে তা হলো কানে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা কান দিয়ে রক্ত বা পুচপাড়া কানেক একেবারে কম শোনা আরো ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো হলো কানের সমস্যা


এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এই কানের সমস্যাগুলো কিসের মাধ্যমে দেখায় এবং কি কারনে কানের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক প্রথমত কারো যদি কানের কোন সমস্যা থেকে থাকে ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে দেখা দিতে পারে, কানের পর্দা ফাটার সমস্যা এর সাথে সাথে দেখা দিতে পারে নাকের সমস্যা এবং টনসিল হতে পারে

এবং তার সাথে যোগ হতে পারে এডেনইডের এই সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি কানের সমস্যা দূর না করতে পারেন আরো যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হলো কানে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা কান দিয়ে পুচ পাড়া এবং ধীরে ধীরে সে কম শুনতে পাবে এবং মাথাও ঘোরাতে পারে এই সকল সমস্যাগুলো

দেখা দিতে পারেকানের জন্য এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কানের সমস্যাগুলো কিসের জন্য হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রামের মানুষ বেশিরভাগ পুকুর এবং নদীতে গোসল করার মাধ্যমে তাদের কানের সমস্যাগুলো বেশিরভাগ দেখা যায় এবং যাদের কানের সমস্যা থেকে থাকে তাদের সমস্যা আরো

বেড়ে যায় পুকুর এবং নদীতে গোসল করার মাধ্যমে দূষিত পানিতে তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানিতে গোসল করা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং কানের বেশি বেশি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন নয়তো কানের মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে এর থেকে ব্রেনে আঘাত পেতে পারে এবং

মাথার যেকোনো সমস্যা হতে পারে তাই এ সকল সমস্যাকে বাড়তে দেওয়া যাবে না নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন এবং ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

কানের খোল: এটি অনেকেরই পরিচিত কারণ এটি মানুষের কানে থেকে থাকে বেশিরভাগ সেজন্য এটি মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম এই ফলটি অনেকের নিজে নিজে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন এটা মোটেও ঠিক নয় কারণ নিজে নিজে পরিষ্কার করার মাধ্যমে কানের অত্যন্ত ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এটি নিজে নিজে বের করার মাধ্যমে

এটি আরো ভিতরে চলে যেতে পারে এবং তার থেকে কানের আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এটি ভেতরে আটকে গেলে কানে ব্যথা শুরু হয়ে যায় এবং এর থেকে দেখা দিতে পারে কানে কম শোনা এ সকল সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ইএনটি স্পেশালিস্ট কান দেখে এটি পরিষ্কার করে দিতে পারেন এবং নিয়মিত কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল তেল


ব্যবহার করার মাধ্যমে কান পরিষ্কার করে নিতে পারেন কানের বড় কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কখনোই নিজে নিজে কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না আর করলেও এই তেলটি ব্যবহার করবেন এমনিতেই বের হয়ে যেতে সাহায্য করবে এই তেলটি।

হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয়

কানে হঠাৎ ব্যথা হওয়ার কারণগুলো হলো কানের ভাইরাস অ্যাটাক এর মাধ্যমে দেখা দিতে পারে কানের ব্যথা বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে কানের ব্যথা এবং কানের ভিতরে তরল জাতীয় কিছু জমা হলে দেখা দিতে পারে কানের ব্যথা অনেকেই আছে কানে অত্যন্ত ব্যথা হয় কিন্তু কি করা লাগবে তা ধারণা থাকে না এবং

তার ধারণার বাইরে চলে যায় তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি কিভাবে দ্রুত কানের ব্যথা সারতে পারেন সেই সম্পর্কেই সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হল এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এবং হঠাৎ কানে ব্যথা শুরু হয়ে গেলে আপনি যা যা করবেন সম্পূর্ণ ডিটেইলসের বলা হলো এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

আদার উপকারিতা: হঠাৎ কানে ব্যথা হলে আদার রস ব্যবহার করতে পারেন কানের জন্য তবে খেয়াল রাখতে হবে আদার রস যেন কানের ভেতরে না প্রবেশ করতে পারে এতে কানের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আদার সঙ্গে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন হালকা কুসুম গরম করে তা কানের চারপাশে দিলে দ্রুত উপকার পাবেন।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড: এর মাধ্যমটিতে ও কানের ব্যথা দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করে কানের আক্রান্ত স্থানটিতে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন ব্যবহার করার পর যেদিকে দিবেন ওই দিকটা উপর হয়ে কয়েক মিনিট শুয়ে থাকুন এবং নিজেই দেখতে পাবেন কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার ব্যথা সেরে যাবে এর মাধ্যমটিও অনেক উপকারের।

রসুনের উপকারিতা: রসুন কানের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে রসুনের প্রচুর পরিমাণে থাকে এলিসিন উপাদান যা কানের ব্যথা বা কানের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম এবং আরও রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা কানের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তবে যদি এন্টিবায়োটিক বা কোন ওষুধ সেবন করে


থাকেন তবে রসুন খাওয়ার আগে ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ দুটি একসঙ্গে খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যার দায়ভার আমরা নিতে পারবো না তাই ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক তবে রসুনের উপকারিতা অনেক বেশি অ্যান্টিবায়োটিকের থেকেও তাই কানের ব্যথায় রসুন একটি অন্যতম মাধ্যম বলে বিবেচিত করা যায়।

আরো কিছু করণীয়: যেমন কানে শেক দিতে পারেন কানে শেখ দেওয়ার মাধ্যমে কানের ব্যথা দ্রুত সেরে যেতে পারে এবং কানে পুঁজ থাকলে তা বের হতে সাহায্য করে কানে শেক দেওয়ার মাধ্যমে এবং খেয়াল রাখবেন কানে যেন পানি না ঢুকতে পারে নয়তো কানের আরো ব্যথা বেড়ে যাবে এবং চুইংগাম চিবানোর মাধ্যমে ব্যথা সারতে পারে বা বারবার

ঢোক গেলার মাধ্যমে নাক দিয়ে গরম পানির ভাব টানার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে কিছুটা আরাম তাই আমাদেরকে এই সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে বেশিরভাগ কানে ব্যথা হলে বা কানের সমস্যা দেখা দিলে এবং এগুলোতে কাজ না হলে ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়াবে আমাদের জন্য।

কানে ইনফেকশন হলে করণীয়

কানের সমস্যায় অনেকেই ভুলে থাকেন তবে কারো কারো ইনফেকশন হয়ে গেলে এর থেকে দেখা দিতে পারে আরো বড় কোন ক্ষতি দিক তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম সচেতন থাকতে হবে কানের এই সমস্যা বা ইনফেকশনটা বেশি হয়ে থাকে শীতের সময় শীতের সময় যেমনটা আরামদায়ক একটি সময় কিন্তু এই আরামদায়ক সময়ে শরীরের সমস্যা দেখা


দিতে পারে অনেক বেশি যেমন কানের সমস্যা বেশিরভাগ দেখা দেয় শীতে কানের ইনফেকশনের মাধ্যম হলো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস এই দুটির মাধ্যমে কানে ইনফেকশন ঘটায় বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে শীতে বেশিরভাগ দেখা দেয় কানের সমস্যা এর ফলে দেখা দিতে

পারে কানের ভেতরে ইনফেকশন এবং ইনফেকশন হওয়ার কারণে কানের ভেতরে একটি তরল জাতীয় কিছু জমা হয় এবং এই তরলটি অবস্থান করে কানের ড্রামের পিছনে আগে বেশিরভাগ শিশুদের মধ্যে সকল সমস্যা হয়ে থাকতো কিন্তু এখন সকলের মাঝেই হয়ে থাকে এই সমস্যাগুলো তাই

সকলকেই সতর্কভাবে থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং বেশি বেশি কানের যত্ন নিতে হবে কানের সংক্রমণ হওয়ার কিছু লক্ষণ সমূহ নিচে দেওয়া হল।
  1. কানে প্রচণ্ড ব্যথা
  2. কালো অতিরিক্ত চুলকানো
  3. মাথাও প্রচুর ব্যথা
  4. কান ফুলে যাওয়ার সমস্যা
  5. কান থাকে তরল জাতীয় কিছু বের হওয়া
  6. কান বন্ধ হয়ে যাওয়া
  7. এবং কানে কিছু শুনতে না পাওয়া
বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের অঙ্গে যেকোনো ব্যাথার চাইতে কানের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে এবং যত শীত পড়ে তত ঠান্ডা তীব্র হয়ে ওঠে তাই বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে শীতে বেশি সমস্যা দেখা দেয় তাই শীতকে অবজ্ঞা করা যাবে না সতর্কতা অবলম্বন করে আমাদেরকে চলতে হবে তবে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে ওখান থেকে ব্যথা সারানোর কিছু উপায় সমূহ নিচে দেওয়া হল।

কানে ব্যথা হলে কানে শেখ দেওয়ার চেষ্টা করুন এতে ব্যথা সেরে যাবে এবং কানের খেয়াল রাখতে হবে বেশি বেশি কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে সব সময় এবং খেয়াল রাখতে হবে কানে যেন পানির না ঢুকতে পারে এবং কানের কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডক্টরের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা নিন অবহেলা করা যাবে না এবং খেয়াল রাখতে হবে কানে যেন ঠান্ডা

না লাগে ঠান্ডা লাগলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকমের সমস্যা এবং শক্ত জিনিস বা কটন দিয়ে কান ঘুচরানো থেকে বিরত থাকুন এবং ধূমপানে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন ধূমপানের মাধ্যমেও কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং কানে হাত স্পর্শ করবেন না বা আঙ্গুল ঢোকাবেন না কারণ হাতের জীবাণু কানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে এর থেকে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

কানের যত্ন নেওয়ার উপায়

মানুষের বয়সের তুলনায় দেখা দিতে পারে কানের সমস্যা আবার অনেকের বয়স না হলেও দেখা যেতে পারে কানের সমস্যা সবচাইতে বিরক্ত কর হলো কানে কম শোনা যেখানে শুনতে একেবারে পায় না সেই জানে কানের সমস্যা কতটা কষ্টকর আর যার এই সমস্যাটি নেই সে কান সম্পর্কে তেমন কোন যত্ন বা খেয়াল রাখে না মানুষের কানের সমস্যা


বেশিরভাগ দেখা দেয় কানের খোলে এবং খোল বের করতে গিয়ে দেখা যায় আরো বেশি সমস্যা নিজে নিজে বের করার কারণে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে নিজে নিজে খোল বের করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে কানের ঘন ঘন আঙ্গুল না দেওয়া দিকে চলুন জেনে নেওয়া যাক কানের যত্নে কিছু উপায় সমূহ সম্পর্কে।

চিকিৎসকের পরামর্শ: আমাদের সকলেরই উচিত আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে বসলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কানের জন্য তাই সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আমাদের জন্য একটি

গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় কানের কোন সমস্যা দেখা দিলে যে ড্রপ ব্যবহার করবেন সেই ড্রপ ব্যবহার করার আগে কান ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে যেমন কানে তরল জাতীয় কিছু থাকলে তা কটন বাড়ির সাহায্যে বের করে নিতে হবে এবং তারপরে ড্রপ ব্যবহার করতে পারবেন নয়তো

পরিষ্কার না করে তার ওপরে দিলে শুধু ভেসে বেড়াবে কোন কাজ হবে না তাই পরিষ্কার করে তারপর ব্যবহার করুন।

কানে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা: অনেকে থাকে কান চুলকালে বা কানের কোন সমস্যা দেখার ঘন ঘন হাত দেয় কানে এ সকল অভ্যাসগুলো আমাদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে নয়তো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কানে হাত দেওয়া এবং কানকাটি দিয়ে কান ঘছিড়ানো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।

কানের উপকারে অলিভ অয়েল তেল: কানের খোল বা ময়লা বের করার জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম হলো অলিভ অয়েল তেল অনেকেই বিভিন্ন রকমের রসায়নে দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে যেমন করোশিদ কার্বোহাইড্রোজেন পার অক্সাইড পার ক্লোরাইড অব মার্কারি এবং আরো ইত্যাদি ইত্যাদি রসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার করে থাকে।

এবং কানের যত্নে আমাদেরকে বেশি বেশি খেয়াল রাখতে হবে কানের জন্য যেমন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না এবং কানে পানি যায় এমন কিছু থেকে আমরা বিরত থাকবো এবং কানে আঘাত জনিত কোন সমস্যা দেখা দিলে ডক্টরের পরামর্শ নেব এবং হর্ন বাজানো বা লাউড স্পিকারের কোন কিছু থেকে আমরা বিরত

থাকবো এই সকল প্রতিরোধে আমরা এগিয়ে যাব কখনো কিছু পা হবো না তাহলেই সুস্থভাবে চলতে পারবো বা কান ভালো রাখতে সক্ষমতা লাভ করব ওপরে যতগুলি নির্দেশ দেওয়া হল সবগুলো মেনে চলার মাধ্যমে কানের সম্পূর্ণ প্রবলেম পেশ করে সফল ভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।

কানের সমস্যা দুর করার খাবার

কানের সমস্যার ভেতরে সবচাইতে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কানে কম শোনা এই সমস্যাটা হতে পারে বয়স বৃদ্ধির কারণে বা কানে অন্যান্য সমস্যার কারণে হয়ে দাঁড়ায় এই সকল সমস্যা ঘরোয়া উপায় সমাধান করা সম্ভব যেমন কিছু পুষ্টিকর খাদ্যের মাধ্যমে মিলবে কানের সমস্যার সমাধান জেনে নেওয়া যাক কানের সমস্যা দূর করার কিছু খাবার সম্পর্কে।

শাকসবজি: শাকসবজির উপকারিতা সম্পর্কে বলে ফড়ানো যাবে না কারণ শাকসবজি বেশি বেশি খাবার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সাহায্য করে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে মিলতে পারে কানে শোনার সমস্যা থেকে সমাধান এতে যে পরিমাণের রয়েছে ভিটামিন সি ফলক এসিড এবং

পটাশিয়াম যা শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যাদের বয়স বৃদ্ধির কারণে কানে সোনার সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য কার্যকরী একটি উপায় হলো বিভিন্ন রকমের শাকসবজি শাকসবজি বেশি বেশি খাবার ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং বয়সের ছাপ দূর করার জন্য এই খাদ্যগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

মাছ মাংস: মাছ-মাংসে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা 3 যা কানের হাড়ের গঠন বৃদ্ধি এবং শক্ত করতে সাহায্য করে এবং স্নায়ুর উপকারে একমাত্র মাধ্যম এটি এবং শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মাছ এবং সোনার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই সকল উপাদানগুলো তাই প্রতিদিন না পারলেও সপ্তাহে একদিন হলেও খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডাল বা শস্যজাতীয় খাদ্য: ডাল ভেনিস কড়াইশুঁটি এই সকল খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে জিংক খনিজ আরো অনেক উপাদান রয়েছে এ সকল উপাদান থাকাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং কানের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে এবং নিয়মিত এই সকল খাদ্যগুলো খাবার মাধ্যমে কানের যে কোন

সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং সমস্যা থাকলে তা ভালো করতে সাহায্য করে এ সকল খাদ্যগুলো কানের জন্য আরো উপকারী খাদ্য হলো কাজুবাদাম মুরগির মাংস আমন্ড এগুলোতে প্রচুর জিংক থাকে যা কানের যত্নে অত্যন্ত উপকারী খাদ্য হিসেবে গণ্য করা যায়।

ফলের উপকারিতা:ফলে প্রচুর পরিমানের থাকে আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট যা নিয়োমিত খাওয়ার ফলে কানে সোনার খমতা বারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং শোনার ক্ষমতা ধোরে রাখতেও অনেক কার্যকরি হলো ফল তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি হলেও ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং কানের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে।

কানের পর্দা ফাটলে করণীয়

কানের পর্দা ফাটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যেতে পারে কারণ এটি এখনকার যুগে অত্যান্ত বড় একটি রোগ বলে ধরা যায় কারন কানের পর্দা ফেটে গেলে কানে শোনা যায় না পদ্মা বেশিরভাগ ফাটে দীর্ঘদিন সর্দি কাশি লেগে থাকার মাধ্যমে এবং কানে ইনফেকশনের মাধ্যমে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে কানের পর্দা ফাটা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ

 বিষয় ঠিক বা সঠিক মত চিকিৎসা নিলে কানের পর্দা ফাটা ঠিক করা সম্ভব হয় কানের পর্দা ফাটা বলতে কানের পর্দা একটু ছিদ্র হয়ে যাওয়াকে পদ্মা ফাটা বলা হয় কান নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বেশি তাহলে পর্দা ফাটা থেকে বিরত থাকতে পারবেন চলুন জেনে নেই কানের পর্দা ফাটলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

কানের পর্দা ফাটার কারণ: পানের চাপ সহ্য না করতে পেরে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং প্রচুর পরিমাণের বাতাসের চাপ সহ্য না করতে পারলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত শব্দের কারণে কানের পর্দায় ধাক্কা সহ্য না করতে পারলে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং কানে সরাসরি কিছুর আঘাত লাগলে কানের পর্দা ফেটে

 যেতে পারে এবং কানের ভেতরের হাড় ভেঙে যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে আঘাতের কারণে এবং শক্ত কিছু দিয়ে কান ঘোচরা ঘুচুরি করার মাধ্যমে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এবং অনেকে আছে আঙ্গুল ঢুকিয়ে কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন এর মাধ্যমে কানে চাপ সৃষ্টি হয় এবং কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে এই সকল সমস্যার মাধ্যমে

 দেখা দিতে পারে কানের রক্ত বের হতে পারে কানের ভেতরে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে এবং পদ্মা ফেটে যেতে পারে কানের এরকম হলে কয়েকদিন পর দেখা যাবে কান্দে রক্ত বা পুঁজ বের হচ্ছে তাই এ সকল সমস্যার সমাধানের মাধ্যম হলো ডক্টরের কাছে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

কান সুস্থ রাখতে করণীয়: কান ভেজা অবস্থায় মাথায় পানি ঢালা থেকে বিরত থাকুন এবং কানে আঙ্গুল ঢুকানো থেকে বিরত থাকুন কানে কটন বা শক্ত জাতীয় কিছু ঢুকানো থেকে বিরত থাকুন কান সব সময় শুকনো রাখতে সাহায্য করুন কানের তেল দিয়ে গোসল করতে পারেন এবং সর্বপ্রথম যেটি করা লাগবে সেটি হল ভালো একটি ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে 

সে পরামর্শ অনুযায়ী চলাটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে কারণ কান একটি মূল্যায়ন জায়গা এবং মূল্যহীন যার মূল্য কেউ দিতে পারবে না তাই এর যত্ন বেশি বেশি নেওয়া উচিত এবং যে সকল সমস্যা দেখাবে কানে তা সবার প্রথম ডক্টরের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়া এবং চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে কানের যত্ন নিতে পারেন তাহলে কান সুস্থ থাকবে।

শেষ কথা

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কান সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এটার মাধ্যমে যাদের কানের সমস্যা আছে তাদের তাদের অনেক উপকার হবে কিন্তু যাদের কানের কোন সমস্যা নেই তাদের জন্য অনেক উপকার হবে কারণ এটি জানা থাকা অনেক ভালো কোনদিন যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করবে এবং তার প্রবলেম সলভ হবে যদি আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়ে থাকেন দয়া করে প্রথম থেকে পরে আসুন আশা করি কাজে দেবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url