ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা - গাছের ভালো দিক

প্রাচীন যুগ থেকেই ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক বেশি বলে গণ্য হয়ে আসছে এ যুগ পর্যন্ত আগে তেমন কোন ঔষধের ফার্মেসি ছিল না না ছিল ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল সে যুগ থেকে গাছের প্রচলন হয়ে আসছে আমরা জানবো ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে এবং গাছের ভালো দিক গাছের খারাপ দিক সবকিছু এ টু জেড জানবো।
ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
বাংলাদেশে গবেষকরা বলেছে আমাদের আশেপাশে যে সকল গাছপালা থেকে থাকে সে সকল গাছপালার ভেতরে কিছু কিছু ঔষধি গাছ থাকে সে সকল ঔষধি গাছের গবেষণায় দেখা গেছে এগুলোর অন্যতম গুণাগুণ রয়েছে।

ভূমিকা

আমাদের দেশে যে সকল গাছপালা রয়েছে তার ভিতরে বেশিরভাগই হল ঔষধি গাছ এবং ঔষধি গাছ বাদে যেগুলো রয়েছে তাও আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী গাছপালা যেমন গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করে আগেকার তুলনায় এখন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না কারণ এখন গাছাময় ওষুধের চাইতে এলাপতি হেমাপতি এগুলা চলে বেশি তাই ধীরে ধীরে গাছ সম্পর্কে সকলের ধারণা কমে যাচ্ছে চলুন গাছ সম্পর্কে আরো জেনে নেওয়া যায়।
  • ঔষধি গাছের নাম ও ছবি
  • গাছের ভালো দিক
  • ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
  • গাছের খারাপ দিক
  • বিভিন্ন গাছ ও ফলের নাম

ঔষধি গাছের নাম ও ছবি

অনেক বছর থেকেই মানুষ ঔষধ হিসাবে বেছে নিয়েছে গাছপালা গাছ পালার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া উপায়ে অসুখ-বিসুখ ভালো করাকে বলা হয় গাছামো ওষুধ কিছু কিছু ঔষধি গাছ আছে যার মাধ্যমে যেকোনো রোগ ভালো করা যায় সে সকল ঔষধি গাছের নাম ও ছবির নিচে উল্লেখ করা হলো বিস্তারিত আরও জেনে নিন।

নিম গাছ


পাথোর কুচির গাছ

তুলসির গাছ

সাজিনা গাছ

দূর্বা ঘাস

লজ্জাবতির গাছ

উপরে যে গাছগুলো দেখছেন এগুলো ঔষধি ভেষজ গাছ এগুলোর উপকারিতা অনেক বেশি এই গাছগুলোর দ্বারা প্রাচীন যুগ থেকে ওষুধ তৈরি করে আসছে প্রাচীন যুগের লোকেরা তাই গাছগুলো অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ নামে পরিচিত নাম এবং ছবি লিস্ট অনুযায়ী দেওয়া হলো

গাছের ভালো দিক

গাছের কথা বলে পুরানো যাবে না আর যদি বলা হয় গাছের ভালো দিক তাহলে তো কথাই নাই কারণ প্রত্যেকটা গাছই মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি দিকনির্দেশনা কারণ গাছের কাছেও শিক্ষা নেওয়া উচিত গাছে আল্লাহর কথা ছাড়া একটি পাতা বা ডাল নড়ায় না আর মানুষ যতই তাদেরকে বারণ করা হোক সেটা অনেক বেশি ।

বেশি করে তারা কিন্তু গাছ তা করে না তাকে যেখানে পতাকা হয় সেখান থেকে এক চুলও লড়েনা গাছের উপকারের কথা যদি বলা হয় তাহলে প্রথমেই বলি যে কোন গাছ একটি ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আপনি যদি ভাল না করেন তাহলে সে বড় হয়ে যাবে শুধু যখন লাগাবেন তখন একটু পানি ব্যবহার করবেন তাহলে সে জিন্দা হয়ে যাবে।

এবং সেই গাছটি যখন বড় হবে তখন এটা থেকে আপনার আর্থিক একটা ইনকাম আসবে যেমন কিছু কিছু গাছ আছে অনেক দামি বাংলাদেশের বেশিরভাগ চাষ করে থাকে যেমন মেহগনি গাছ এই গাছটি ধরেন পাঁচ বছর আগে লাগাইছেন এবং পাঁচ বছর পরে কেটে তা যদি বাজারজাত করতে চান তাহলে তার দাম নিম্নে ২০-২৫ হাজার তো আসবেই।


তাহলে আপনার ইনভেস্ট ছাড়াই ২০-২৫ হাজার টাকা বা পঞ্চাশ এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন আরো অন্যান্য গাছ আছে যেগুলো লাগানোর মাধ্যমে আপনি আরো লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং সে সকল গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি এবং রোড থেকে ছেমা দেয় আমাদেরকে গাছপালা তেই ।

এবং সে সকল গাছ দিয়ে আপনি সখের জিনিস বানাতে পারেন যেমন বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র আসবাবপত্রগুলো হতে পারে ঘাট কিংবা সুকেশ কিংবা আলমারি এবং গাছপালা থেকে খড়ি করে আপনি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং বাড়ির আশেপাশে বেশি বেশি গাছ লাগানো

আপনার বুদ্ধিমানের কাজ হবে কারণ বুঝতেই তো পারছেন গাছের কত উপকারিতা আছে যা আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং মন ভালো রাখতে পারে এবং আপনার আর্থিক ইনকাম হিসেবেও কাজ করতে পারে গাছ।

ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা

ঔষধি গাছের উপকারীতের কথা বলে শেষ করা যাবে না কেননা প্রাচীন যুগ থেকে ঔষধি গাছের প্রচলন চলে আসছে আগেকার যুগে যেমন ওষুধের কোন ব্যবস্থা ছিল না গাছপালা দিয়েই ঔষধ তৈরি করে অসুখ সারতো না ছিল ফার্মেসী না ছিল মেডিকেল এবং হাসপাতাল তখন তারা কোন গাছের কি উপকার সব জানত তাই তারা সে সকল গাছের জরিবুটি দিয়ে।

ওষুধ তৈরি করতো আর এখন ডিজিটাল যুগ হওয়াতে ওই গাছপালা তৈরি হলেও এখন তৈরি হয় ট্যাবলেট হেমাপতি এলাপতি এবং ফাইল সিরাপ অন্যান্য ঔষধ তৈরি করে আর আগের যুগে তৈরি হতো জড়িবুটি দিয়ে রস করে তা খাওয়াতো রোগীকে এবং তার সেরেও যেত চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুধে গাছের কিছু নাম এবং উপকারিতা।
  1. নিম গাছ
  2. তুলসী গাছ
  3. পাথরকুচির গাছ
  4. সাজনা গাছ
  5. লজ্জাবতীর গাছ
  6. দুবড়া ঘাস
নিম গাছ: নিম গাছের পাতা দিয়ে ডাইবেটিস রোগের নিরাময় করা যায় যেমন নিম গাছের পাতা সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে এবং তা গুড়া করে ছোট ছোট ট্যাবলেট এর মত করে গোল গোল করে তা খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ ভালো হয় এবং শরীরে ফুসকুড়ি বা আচ্ছা আমরা অ্যালার্জি ভালো করতে নিম পাতা গরম

জলে ভিজিয়ে তা দিয়ে গোসল করলে এর অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং যেকোনো পোকামাকরার কামড়ের জায়গাটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে হলুদ অথবা নিম পাতা গুড়া করে তার রস সেখানে দিয়ে দিলে তা ভালো হয়ে যায় এবং ব্যথা মরে যায় এবং নিয়মের ডাল দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।

তুলসী গাছ: তুলসী গাছ পাইলোকি চীনে তুলসী পাতা কাশি রোগের অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান এটা বেশিরভাগ গ্রাম সাইডে প্রত্যেকটা হিন্দুদের বাসায় ভাষায় পাওয়া যায় এবং গ্রাম সাইডে অন্যান্য লোকের ভাষাতেও পাওয়া যায় তুলসী গাছ তুলসী গাছের পাতা কেউ কেউ চায়ের সাথে ভিজিয়ে খায় তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বেড়ে যায়।

পাথরকুচির গাছ: অনেকে বলে যে পাথরকুচির গাছের পাতা খেলে পারে পেটের ব্যথা মরে যায় যদি লবণ দিয়ে পাথরকুচির পাতা চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে পেটে ব্যথা হলে তা তৎক্ষণিক কমে যায় বা ভালো হয়ে যায় এবং এটি পেট ফাঁপা বা জ্বর ভালো করতেও সাহায্য করে এবং যাদের পেটে পাথর হয় বা মূত্রনালীতে পাথর হয় তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

সাজনা গাছ: সাজনা গাছের ফল ও কাজে লাগে তার পাতাও কাজে লাগে পাতা এবং সাজনা দুটোই অত্যন্ত উপকারী একটি দ্রব্য উচ্চ রক্তচাপ ও লিভারের অত্যন্ত উপকারে আসে সাজনা বা সাজনা সাক সাজনা শাক মুখের রুচি তৈরি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এটি প্রতিটা অঞ্চলেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

লজ্জাবতীর গাছ: লজ্জাবতী গাছের শিকড় বেটে খাওয়ার মাধ্যমে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায় এবং লজ্জাবতী গাছের পাতা ব্যবহারের ফলে ঘা-প্রচড়া ভালো হয়ে থাকে এবং যে কোন ক্ষতের তার ফুল বেটে লাগালে তা সেরে যায় এছাড়া আমাশায় হাত-পা জ্বালাপোড়া লজ্জাবতীর সমস্ত গাছের মূল পাতা ফুল দিয়ে মিশ্রণ করে লাগালে উপকার হয়।

দুর্বা ঘাস: যেকোনো চর্ম রোগে এই ঘাসের অনেক উপকার হয়ে থাকে এবং আঘাত প্রাপ্ত জায়গা কাটাকাটি জায়গা দূর্বা ঘাসের রস দিলে তা অতি দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে এবং কাটা জায়গার রক্ত তৎক্ষণিক থামিয়ে দিতে সাহায্য করে দূর্বা ঘাস চিবিয়ে সেখানে লাগালে।

গাছের খারাপ দিক

বাংলাদেশের সবচাইতে খারাপ দিক হলো গাছের একটি নাম হল ইউক্যালিপটাশ এই গাছটি পরিবেশের ভারসাম্যহীন করে দেয় এই গাছটি যে মাটিতে রোপণ করা হয় সে মাটির সমস্ত পানি শোষণ করে নেয় এবং এই গাছের পাশে যে গাছ থাকে তা মেরে ফেলে থাকে তাই যে কোন কার্যকরী গাছের পাশে এই গাছটি না লাগানোই ভালো

এ গাছটি এতটা খারাপ হওয়ার পরও এই গাছটি অনেক জনা রোপন করে থাকে যেমন গাছটি রোপন করাতে অনেক উপকার হয়ে থাকে তার দাম অনেক বেশি তায় এখনো থেমে নাই এই গাছটি অনেকেই লাগিয়ে থাকে এর গুণগত মান এবং এর দামের কারণে অনেক লাভবান হয় এই গাছটির রোপন করাতে ইউক্যালিপটাসকে অনেকে বলে থাকে


পরিবেশ বিরোধী গাছ এবং গাছটি রোপন করার কিছুদিন পরে দ্রুতগতিতে হাতে টাকা আছে বলে এই গাছটি রোপণ করতে সকলেই সক্ষম বা আগ্রহী হয়ে থাকে বন বিভাগে ইউক্যালিপটাসকে রোপন করা একেবারে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তবুও কিছু কিছু নার্সারিতে এখনো ইউক্যালি পটাশকে দেখা যায় ইউক্যালিপটাসের চাহিদা থাকাতে

একে অন্যান্য নার্সারিতে ব্যাপকভাবে রোপণ করে যাচ্ছে এখনো ইউক্যালিপটাস বেশিরভাগ রোডের ধারে বা যে কোন রাস্তার আশেপাশে অনেক পরিমাণে দেখা যায় মানুষের লোভের কারণে এই গাছটি দিন দিন বাড়তেই আছে এবং ঔষধি গাছের ক্ষতি করেই যাচ্ছে ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাসের খারাপ দিক জানতে পারাতে এর ছাড়া বিপণন করতে নিষিদ্ধ করে

দেওয়া হয়েছিল কিন্তু নিষেধাজ্ঞা না মেনে চুপেচাপে এর যারা এখনো রোপন করেই যাচ্ছে ফলো করে দেখবেন ইউক্যালিপটা শের গাছ যেখানে থাকবে সেখানকার ঔষধি গাছগুলো এবং জমির ফলন গুলা বিপর্যয় পড়ে যাবে তাই চেষ্টা করবেন এই গাজীপুর ও আশেপাশে না থাকতে দেওয়া এবং ভালো ভালো ওষুধের গাছ রোপন করেন বাড়ির আশেপাশে।

বিভিন্ন গাছ ও ফলের নাম

আমরা জানি বাংলাদেশে কিছু ফলের গাছ আছে যা বেশিরভাগ বাংলাদেশে জন্মায় এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু জেলা আছে সেই সকল জেলাতে যে সকল ফলের গাছ বেশিরভাগ চাষ হয় সেই সকল জেলা গুলো হল রাজশাহী চাপায় নাটোর কানসাট আরো ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গা আছে যেগুলোতে অনেক ফলের গাছ চাষ হয়ে থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক গাছ ও ফলের নাম

উপকূলীয় অঞ্চলের ফল ও ফলের গাছ: আম পেয়ারা কাঁঠাল কলা লিচু তরমুজ তেতুলতাল পানি ফল আমলকি আর তোকে বয়রা জাম গাব জামরুল চালতা বেল নারিকেল বাতাবি লেবু কমলা লেবু সফেদা আরো অন্যান্য ফলের গাছে ফল ধরে থাকে এগুলো উপকূলীয় অঞ্চলের ফল।

মধ্য ও পশ্চিম অঞ্চলের ফল: কামরাঙ্গা করমচা জলপাই পানি ফল চালতা খেজুর তাল আমলকি বয়রা হরতকি কুল বেল আনারস কলা আম জাম জামরুল কাঠাল লিচু পেয়ারা এবং পূর্বাঞ্চলে যেগুলো জন্মায় তাহলে আনারস লেবু মালটা পেয়ারা কামরাঙ্গা আমরা ইত্যাদি ইত্যাদি জন্মে থাকে

এবং ১২ মাসের কিছু ফলের নাম: পেয়ারা পেয়ারা এখন সারা বছরই পাওয়া যায় যে কোন মৌসুমে পেয়ারা পাওয়া যায় পেঁপে পেপেও বারো মাস পাওয়া যায় পেঁপেতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ পেঁপে কাঁচাতেও খাওয়া যায় এবং পাকলেও খাওয়া যায় আনারস আনারস বারো মাস পাওয়া যায় কারণে সকল ফলগুলো এখন বারোমাস চাষ করা হয়

এক কথায় ভালো ফল পেতে হলে বা বারো মাস ফল পেতে হলে গাছ লাগাতে হবে যে কোন পরিকল্পনা করে ফলের গাছ লাগাতে হবে এবং যে সকল চাষিরা চাষ করে তাদের চাষাবাদ অনুযায়ী আমাদেরকে চাষ করতে হবে ফলের গাছগুলি এবং রাসায়নিক সার বিশ এগুলো সকল গাছের ব্যবহার করতে হবে যেন পোকামাকড় না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সর্বশেষ কথা

আমরা বিভিন্ন গাছের উপকারিতা ও ভালো দিক খারাপ দিক সম্পূর্ণ লিখেছে আর্টিকেলটির মাধ্যমে এবং জেনেছি বিভিন্ন গাছ ও ফলের নাম এবং ওর সাথে গাছের নাম ও উপকারিতা এবং ছবি আকারে নিম্নে দেওয়া হয়েছে উপরে আপনারা যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়ে থাকেন আমি সাজেস্ট করব প্রথম থেকে পড়ে আসুন কাজে দেবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url