ব্রেন ভালো রাখার উপায় - মস্তিষ্ক ভালো রাখার খাবার
সম্পূর্ণ দেহের পরিচালক হলো আমাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক এককথায় আপনারা ফোনে যে মেমোরি ভরে থাকেন সেই মেমোরিতে সম্পূর্ণ ডিটেইলস জমা থাকে সেই ভাবেই আমাদের মাথার ভেতরে একটি মেমোরি থাকে তাকে বলা হয় ব্রেন বা মস্তিষ্ক আমরা জানবো ব্রেন ভালো রাখার উপায় সমূহ এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখার খাবার সমূহ বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।
ব্রেন বা মস্তিষ্ক এমন একটা জিনিস যা আমাদের সমস্ত বডিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই ব্রেন ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে অনেক সতর্ক অবলম্বন করতে হবে এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখতে আমাদেরকে পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে তবে মস্তিষ্ক ভালো রাখা সম্ভব।
ভূমিকা
ব্রেন এবং মস্তিষ্ক এটি হলো মানুষের অন্যতম একটি মানব দেহের অংশ ব্রেনের কোন সমস্যা দেখা দিলে গোটা বাড়িতে তা আসর দেয় ব্রেন বা মস্তিষ্কের কোন সমস্যা দেখালে মানুষ পাগল হয়ে যেতে পারে ব্রেন বা মস্তিষ্ক কি জিনিস তা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যা মাথার মধ্যে একটি ফোনে যেমন মেমোরি কাজ করে তেমনি মাথার ভেতরে মেমোরি হিসেবে কাজ করে আমাদের ব্রেন এটা অত্যন্ত প্রয়োজনিয় একটি মাথার ভেতরের অংশ যা আপনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার সবচাইতে ভালো উপায় হলো টেনশন মুক্ত থাকা এবং রাত্রিবেলায় বেশি বেশি ঘুমানো কারণ অনেকে থাকে অযথা রাত্রি কাটায় এবং দিনে ঘুমায় বা দিনে কাজের চাপে ঘুমোতে পারে না তবুও রাতেও ঘুমায় না সে সকল লোক সবসময় খিটখিটে হয়ে থাকে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানো উচিত এবং সব সময় টেনশন মুক্ত থাকা উচিত।
আরো পড়ুন: শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সমূহ
তাই আমরা জানতে চলেছি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় গুলো কি কি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম এবং চেষ্টা করা কথা কম বলার অযথা অতিরিক্ত চিন্তা করা যাবে না খাবারের সময় নিস্তব্ধ হয়ে খেতে হবে এবং দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং যেকোনো প্রবলেম আসতেই পারে স্বাভাবিকভাবে তা নিতে হবে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার আরো কিছু উপায় সমূহ নিচে দেওয়া হল।
পুষ্টিকর খাবার: আমাদেরকে খাবারের দিকটা বেশি দেখতে হবে কারণ মস্তিষ্ক ভালো রাখতে বা ঠান্ডা রাখতে আমাদেরকে পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খেতে হবে শুধু মাছ মাংস খেলেই হবে না আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে শাকসবজি ও বেশি বেশি খাবার কারণ যে কোন রোগের মহা ঔষধ হলো শাকসবজি তাই পুষ্টিকর খাদ্যগুলো আমাদেরকে বেশি বেশি খেতে হবে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে: ব্যায়াম শুধু আমাদেরকে শরীর স্বাস্থ্য ফিট রাখতে সাহায্য করে না আমাদেরকে দেহের যে কোন পাটের জন্য বা যে কোন অংশের জন্যই কার্যকরী হলো ব্যায়াম এবং মাথা সুন্দর সবল এবং ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে ব্যায়াম ব্যায়াম করার ফলে শরীরে এবং মাথাতে রক্ত চলাচল করে দ্রুত তাই ব্যায়াম ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি মাধ্যম।
সমস্যার সমাধান: মানুষের জীবনে অনেক রকমের সমস্যা দেখা যায় সেই সকল সমস্যার সমাধান করার জন্যই মানুষের ব্রেইনের প্রয়োজন পড়ে তাই সবসময় ব্রেনে চাপ সৃষ্টি করবেন না বা টেনশন মুক্ত থাকবেন কারণ টেনশন করলে মাথার সমস্যা দেখা দিতে পারে ব্রেন বা মস্তিষ্কে চোট পেতে পারে তাই
যে কোন সমস্যার সমাধান না করতে পারলে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই কারণ সমস্যা যেমন হবে তেমন সমস্যার সমাধান করা যাবে আস্তে আস্তে তা সমাধান হবে বেশি টেনশন করলে শুধু শুধু মাথার সমস্যা হতে পারে তাই চেষ্টা করবেন।
লক্ষ বা টার্গেট: যে কোন লক্ষ্য বা টার্গেট থাকা লাগবে তাহলে মস্তিষ্ক কাজ করবে বেশি বেশি ব্রেন কাজ করবে কারণ মানুষের কোন লক্ষ্য না থাকলে সে মৃত্যু হয়ে পড়ে কারণ যার লক্ষ বা টার্গেট নেই তার কোন কিছু ভালো লাগে না মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে তার ব্রেনেও কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে তাই মানুষের লক্ষ বা টার্গেট থাকা লাগবে যেমন যেকোনো
কাজে সাকসেস হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে লক্ষ্যর থাকতে হবে যে কোন কাজে আমরা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারব বা সাক্সেস হওয়ার জন্য সে কাজটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করা লাগবে এই টার্গেট পূরণ করার জন্য যে সময় ব্যয় করছে বা ব্রেনের কাজ চলছে এতে মস্তিষ্কের বা ব্রেনের অনেক উপকারে আসে তাই মানুষের লক্ষ্য বা টার্গেট থাকা উচিত।
ব্রেন ভালো রাখার উপায়
আমাদের শরীর স্বাস্থ্য এবং বডি পরিচালনা করে থাকে আমাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক তাই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে না ব্রেন বা মস্তিষ্ক তাই ব্রেন বা মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য সমস্ত শরীর সুস্থ রাখতে হবে এবং ব্রেন বা মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখতে সক্ষম হতে হবে তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রেন বা মস্তিষ্ক ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।
চিন্তাভাবনা: বেশি চিন্তা-ভাবনা করা বাদ দিতে হবে আমাদের যখন কোন বিষয়ে বেশি চিন্তা করা হয় তখন মস্তিষ্ক উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে এবং ওই চিন্তাভাবনার দিক দিয়ে মস্তিষ্ক স্থায়ী হয়ে যায় এবং সেই কারণেই অল্প বয়সেই স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে এবং ভালো ভালো চিন্তা ভাবনা করলে তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
পরিমাণ মতো ঘুম: নিয়মিত ঘুম না হলে মস্তিষ্কে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় তাই নিয়মিত ঘুম বা পরিমাণ মতো ঘুমানো উচিত কারণ ঘুমের সময়তেও ব্রেনের কিছু অংশ কাজ করে যেমন সারাদিন কি করেছেন না করেছেন সেটা ব্রেনে গোছানোর সুযোগ পায় কিন্তু নিয়মিত না ঘুমালে বা এক রাত না ঘুমালে আমাদের স্মৃতিশক্তি সেই গোছানো
আরো পড়ুন: হৃদরোগ বা হার্টের সমস্যার সমাধানের উপায়
টাইমটা পাইনা এবং ঘুমের অভাবে অগোছালো হয়ে পড়ে এবং ব্রেন বা মস্তিষ্কে চোট পেতে পারে তাই সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে নিয়মিত ঘুমানোর জন্য নিয়মিত না ঘুমালে শরীরও খারাপ করে শুধু মাথা নয় তাই ব্রেন ও মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য পরিমাণ মতো বা নিয়মিত ঘুমাতে হবে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে: ব্যায়াম শুধু আমাদেরকে শরীর স্বাস্থ্য ফিট রাখতে সাহায্য করে না আমাদেরকে দেহের যে কোন পাটের জন্য বা যে কোন অংশের জন্যই কার্যকরী হলো ব্যায়াম এবং মাথা সুন্দর সবল এবং ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে ব্যায়াম ব্যায়াম করার ফলে শরীরে এবং মাথাতে রক্ত চলাচল করে দ্রুত তাই ব্যায়াম ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি মাধ্যম।
একসঙ্গে অনেক কাজ: আমাদের সমাজে এরকম থাকে যারা একসঙ্গে অনেক রকম কাজ করে থাকে এবং মানুষের সামনে দেখাতে চাই সে নিজেকে অনেক বড় বা দক্ষতা সম্পন্ন কিন্তু সে নিজেও জানেনা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে গিয়ে বা নিজেকে দক্ষতা সম্পন্ন স্বরূপে পেশ করতে গিয়ে সে নিজের কত বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে তাই
গবেষকরা বলে দক্ষতা বা মাল্টিটাস্ক এগুলোর মাধ্যমে মানুষকে এগিয়ে দেওয়ার চাইতে ধীরগতি বা পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয় তাই চেষ্টা করবেন একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ বাদ দেওয়ার জন্য যেকোনো একটি কাজকে লক্ষ্য বানিয়ে কাজ করাটা উত্তম।
যেকোনো সমস্যার সমাধান: মানুষের জীবনে অনেক রকমের সমস্যা দেখা যায় সেই সকল সমস্যার সমাধান করার জন্যই মানুষের ব্রেইনের প্রয়োজন পড়ে তাই সবসময় ব্রেনে চাপ সৃষ্টি করবেন না বা টেনশন মুক্ত থাকবেন কারণ টেনশন করলে মাথার সমস্যা দেখা দিতে পারে ব্রেন বা মস্তিষ্কে চোট পেতে পারে তাই যে কোন সমস্যার সমাধান না
করতে পারলে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই কারণ সমস্যা যেমন হবে তেমন সমস্যার সমাধান করা যাবে আস্তে আস্তে তা সমাধান হবে বেশি টেনশন করলে শুধু শুধু মাথার সমস্যা হতে পারে তাই চেষ্টা করবেন যেকোনো সমস্যাকে আস্তে আস্তে সলভ করার জন্য এতে ব্রেনেও কমচট পাবে এবং মস্তিষ্ক সুস্থ থাকতে সক্ষম হবে।
মস্তিষ্ক রোগের লক্ষণ
মস্তিষ্কের সবচাইতে বড় একটি রোগ আছে তার নাম হলো পারকিনসন মরণব্যাধি রোগ গুলোর মধ্যে সবচাইতে বড় একটি রোগ হলো এই পারকিনসন অ্যালজেইম্রা এটি হলো এক নাম্বার রোড এবং দ্বিতীয়তে আছে পারকিনসন পৃথিবীতে প্রায় অনেক লোক এ রোগ গুলিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং অনেক লোক মারা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক পারকেনশন রোগ কি।
আরো পড়ুন: জীবনে সফল হওয়ার কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে
পারকিন সন: পারকিন সন হলো এক ধরনের নিউরো ডিজেনারেটিভ এবং একে আরো বলা হয় স্নায়ুর অধঃপতন জনিত রোগ বা ব্যাধি ডিজেনারেটিভ মানেনিউরনের অধঃপতন বা এক কথায় বলা হয় মৃত্যু এ রোগটি ভালো করার জন্য এ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকরা কোন সঠিক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে পারেনি এখনো গবেষণা চলছে এ রোগের লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নিন।
- খাবার খেতে গেলে তার সমস্যা দেখা দেই গলাতে
- এবং যৌনাঙ্গের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- কখনো কখনো বেশি ঘুমোতে পারে আবার কখনো কখনো ঘুম নাও হতে পারে
- যে কোন জিনিসের সুগন্ধ বা সেন্ড পাওয়া নাও যেতে পারে
- হাত-পা মাথা এবং মুখ কেঁপে বেড়ানো দেখা দিতে পারে
- শরীরের ভারসাম্য কমে যেতে পারে
- হাঁটা চলার শক্তি কমে যেতে পারে জোরে জোরে হাঁটতে পারে না
- গলার কন্ঠ চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে
- স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে যে কোন কথা মনে রাখতে পারে না
- এবং শরীরে যে কোন সমস্যা দেখা যায় আরো ইত্যাদি ইত্যাদি
এ সকল সমস্যা দেখা দিলে আপনাকে যে সকল কাজগুলো করা লাগবে তা হল নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং শরীর চর্চা করতে হবে বেশি বেশি এবং অন্যান্য যে ব্যায়ামগুলো আছে সেগুলো করার ট্রাই করুন এবং দিনে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি খেলে শরীরের অনেক উপকারে আসে এবং ভিটামিন ও প্রোটিন যুক্ত
খাদ্য গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন যুক্ত এবং প্রোটিন যুক্ত খাদ্যগুলো বেশি বেশি রাখুন ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্যগুলো বেশি বেশি খান এবং ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি ঔষধ খেতে পারেন এতে ওপরের যে সকল সমস্যাগুলো দেখা দিলে সমাধানের একমাত্র উপায় হল এ সকল ভিটামিনযুক্ত খাদ্যগুলো
এবং ওষুধগুলো এবং ব্যায়ামগুলো ব্যায়াম শুধু শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যই না বা শরীরের ফিট রাখার জন্যই না মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায় হল ব্যায়াম জীবনে সুষ্ঠুভাবে চলার জন্য এ সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী।
মস্তিষ্ক ভালো রাখার খাবার
মস্তিষ্কে ছোট থেকেই চাপ নিয়ে আসলে তা বয়সের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই প্রথম থেকেই মস্তিষ্কে চাপ কম দিয়ে আসবে এবং ব্র্যান্ড ফ্রেশ রাখার চেষ্টা করবেন চিন্তা মুক্ত থাকবে বয়স বাড়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিতেই পারে কারণ বয়সের ক্ষেত্রে এটি তেমন কোন বড় কিছু না এটা হয়ে থাকে তবে এর থেকে প্রতিকার পেতে কিছু
উপায় আছে যা করার মাধ্যমে এ সকল রোগ থেকে বাঁচাতে পারবেন এবং মস্তিষ্কের ক্ষয় রুখতে পারবেন সব দিক দিয়ে দেখতে গেলে মস্তিষ্কে ভালো রাখতে গেলে সবচাইতে উপকার দ্রব্য হল ঘুম দৈনিক পরিমাণ মতো ঘুম ঘুমালে শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে মস্তিষ্ক অনেক সমস্যা সমাধান করে
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করার উপায় সম্পর্কে
থাকে ঘুম পরিমাণ মতো ঘুমালে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্ক থাকবে ইয়ং জেনারেশনের মতো সকল সমস্যার সমাধানের জন্য যে সকল খাদ্য তালিকায় আমাদেরকে প্রতিদিন একটি হলে খাদ্যগুলো রাখা লাগবে সে সকল খাদ্যগুলো নিচে দেওয়া হল।
সবজি: সবজিকে সবচাইতে প্রাধান্য দেওয়া হয় এই কারণে যে বিভিন্ন সবজি খাওয়ার ফলে শরীর স্বাস্থ্য যেমন সুন্দর বা চাঙ্গা থাকে তেমনি যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে যেকোনো ধরনের সবজি সব চাইতে ভিটামিন যুক্ত সবজি যেগুলো হল সেগুলো সবুজ শাক পালং শাক ফুলকপি পাতা কপি ব্রকলি আরো অন্যান্য সবজি আছে
এ সকল সবজিতে সবচাইতে ভিটামিন বেশি থাকে সবচাইতে মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবজি হিসেবে গণ্য করা হয় এই সকল সবজিতে যে সকল পুষ্টি থাকে তা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভিটামিন মিনারেল এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ভিটামিন এ এ সকল ভিটামিনের ভরপুর তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সকল খাদ্য রাখার চেষ্টা করুন।
জাম ফল: এই জাম ফল এন্টি অক্সিডেন্ট এ ভরপুর তাই স্নায়ুকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং স্নায়ু কোষের মধ্যে যোগাযোগ সঠিক মাত্রায় থাকতে সাহায্য করে থাকে তাই প্রতিনিয়ত বা সপ্তাহে একদিন হলেও যান জাতীয় ফল খাদ্য তালিকায় রাখুন বা খাওয়ার চেষ্টা করুন এ সকল খাবার মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী।
বাদাম: অনেকেই ভাবে বাদাম এমনি খেতে ভালো লাগে তাই খায় কিন্তু বাদামে অনেক পুষ্টি থাকে এ পুষ্টিগুণ সবচাইতে কাজ করে মস্তিষ্কের জন্য বাদামে প্রচুর পরিমাণে থাকে ওমেগা থ্রি এবং এসিডজা মস্তিষ্কে অবকাঠামো ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচলের মাধ্যমকে সফল করতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে্
মাছ: মাছ শুধু সুসাদের জন্য খাওয়া হয় না মাছে প্রচুর পরিমাণ এর থাকে ওমেগা থ্রি ফেটে আসে যার রক্ত সচল থাকতে সাহায্য করে এবং এক ধরনের প্রোটিন মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং চর্বি জাতীয় মাছ খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের জ্ঞান ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে সপ্তায় কয়েকবার মাছ খেলেই হবে মাছগুলা হল বেশি চর্বি জাতীয় হতে হবে।
মাথায় রক্ত চলাচল কম হলে কি হয়
শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা শিরায় উপশিরায় রক্ত চলাচল করাটা অত্যন্ত উপযোগী একটি মাধ্যম কারণ রক্ত চলাচল না করলে শরীর স্বাস্থ্য কখনোই সুস্থ রাখা সম্ভব না মাথায় রক্ত চলাচল না করলে স্ট্রোকের মতো রোগ দেখা দেয় বা অনেকে আছে রক্ত চলাচল না করাতে বাধাগ্রস্ত হওয়াতে স্ট্রোক করে মারাও যায়।
এবং এই স্টক করে যারা না মারা যায় তাদের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে আঘাত আনে এ সকল সমস্যা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে সেই রোগীটা মারা যেতে পারে এবং এ সকল রোগের কিছু লক্ষণও রয়েছে যে সকল লক্ষণ দেখলেই বোঝা যাবে মাথায় রক্ত চলাচল কমে গেছে এবং সমস্যা দেখা দিচ্ছে মাথার বা মস্তিষ্কের চলুন এর মাধ্যম গুলো জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রাখতে চাপের কোন লক্ষণ বোঝা যায় না এটি ভেতরের সমস্যা তাই মাঝেমধ্যে প্রেসার মেপে নেওয়া উচিত পেশার মাপার মাধ্যমে এ সকল লক্ষণগুলো বোঝা যায় এ সকল অসুখগুলো বা রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে বা চিকিৎসাধীন থাকা উচিত তাহলেই এ সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কোলেস্টেরল: যে কোন খারাপ খাদ্য খাবার মাধ্যমে বা জীবনযাত্রায় বিপদগ্রস্তের কারণে দেখা দিতে পারে কোলেস্টেরল কোলেস্টেরল এক ধরনের মোম এবং শরীরের লিভার তৈরি করে এটি খাবারের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকতে পারে এটি দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী তবে রক্তে বেশি পরিমাণে থাকলে তার সমস্যার সৃষ্টি করে তাই এটি মস্তিষ্কের রক্তনালিতে
জমতে পারে এবং রক্তনালীতে রক্ত চলাচল করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং এর থেকেই জন্ম নেই stock তাই এ সকল সমস্যার সমাধানের দিকে আমাদেরকে ফলো রাখতে হবে এবং আমাদেরকে সচেতনতার সঙ্গে চলাফেরা এবং ভালো ভালো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
হৃদরোগ: হার্টের প্রবলেম হলে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে হাটের প্রবলেম যেন না হয় হার্ট যেন থাকে সুস্থ আরো কিছু সমস্যা রয়েছে এ সকল সমস্যা সমাধান করতে হবে তাহলে মস্তিষ্ক থাকবে সুস্থ এই সকল সমস্যা কখনোই অবহেলায় ফেলে রাখবেন না ডক্টরের পরামর্শ নিন যত তাড়াতাড়ি পারেন।
ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে বা রক্তে ট্রাইগ্লিসারইডস বা কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে তাই ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে বেশি ওজন যেন না বেড়ে যায় তাই নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর কমানোর চেষ্টা করুন যদি বাড়তে থাকে এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে শুধু ওজনই কমবে না শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং রক্ত চলাচল সচল থাকবে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম
মস্তিষ্কের কথা আমরা অনেকেই ভাবি না কিন্তু আমাদের দেহকে চলাচল করার সক্ষমতা দান করে থাকে আমাদের ব্রেন বা মস্তিষ্ক মস্তিষ্ক সচল না থাকলে মানুষ একটি পাগলের মত বিহেভ করে বেড়ায় তার সেন্স কোন কাজ করে না তাই মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে কিছু ব্যায়াম করতে হবে
মস্তিষ্কের ব্যায়াম করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়াতে পারে কিন্তু এ ব্যায়ামটি করাই লাগবে তাহলে ব্রেনশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্কের যেকোন সমস্যার সাথে সম্মুখীন করতে পারবে ব্যায়ামগুলো এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে মস্তিষ্কের ব্যায়াম করার মাধ্যমে এবং শরীরের জন্য ব্যায়াম করলেও
মস্তিষ্কের অনেক উপকারে আসে যেমন মানসিক চাপ কমাতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে সেই ব্যায়ামগুলো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল।
ব্রেনের ব্যায়াম: বিভিন্ন রকমের অংক বা বিজ্ঞানের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়ে থাকে এবং বেশি বেশি বই পড়ার মাধ্যমেও ব্রেনের ব্যায়াম হয়ে থাকে এক কথায় লেখাপড়া করার মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রকম ব্যায়াম হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন রকমের ব্রেনের খেলার মাধ্যমে ব্রেনের ব্যায়াম হয়ে থাকে এক কথায় বুদ্ধি খাটিয়ে যেকোনো কাজ করাকেই বলা হয় ব্রেনের ব্যায়াম।
শরীর ফিট: শরীর ফিট বলতে শুধু দৌড়ে বেড়ানোই না যে কোন কাজে গিয়ে যেমন লিফটে উঠা বাদ দিয়ে সিঁড়িতে উঠতে পারেন এবং রিক্সায় যাওয়া বাদ দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন এর মাধ্যমেও শরীর ফিট থাকবে এবং ব্যায়াম হবে এবং বিভিন্ন রকমের খেলাধুলার মাধ্যমে যা শরীর খাটিয়ে খেলাধুলা হয় যে খেলাধুলা গুলো তার মাধ্যমে ব্যায়াম করতে পারেন।
সাইকেল চালানো: প্রতিনিয়ত সাইকেল চালানোর কারণে ব্রেনের ভেতরে রক্ত সঞ্চালন করতে সক্ষমতা লাভ করে এবং ব্রেনের কার্যক্ষ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে সাইকেলিং এর মাধ্যমে এবং সাইকেল চালানোর পাশাপাশি দৌড়াতেও পারেন দৌড়ানোর মাধ্যমেও ব্রেনের রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে এবং ব্রেন অথবা মস্তিষ্ক দুটোই সুস্থ থাকতে সাহায্য
করে এই ব্যায়ামগুলো তাই প্রতিনিয়ত এর ব্যায়ামগুলো করার চেষ্টা করবেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং ব্রেন ও মস্তিষ্ক ভালো থাকবে নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করা এবং তার ওপরে ব্রেন প্রয়োগ করা এর মাধ্যমে এই সকল ব্যায়ামগুলো অত্যন্ত কার্যকরী ব্রেন এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য তাই প্রতিদিন ব্যায়াম গুলো করার চেষ্টা করুন।
শেষ কথা
আমরা জানলাম ব্রেন ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য কি কি খাবার খাওয়া লাগে এ টু জেড তথ্য জানতে পারলাম আপনি যদি না জেনে থাকেন প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আসুন তাহলেই জানতে পারবেন এবং আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক উপকারে আসবে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url