পেয়ারার উপকারিতা - পেয়ারার পুষ্টিগুণ
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার যা আমাদের শরীরের যে কোন হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং কষ্টকাঠিন্যর মত রোগ কে ভালো করতে সাহায্য করে থাকে এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অনেকের পেয়ারার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা আছে এবং অনেকের নাই আমরা জানবো পেয়ারার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও থেকে থাকে।
হাজার হাজার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে পেয়ারা পেয়ারা বর্তমানে সারা বছর পাওয়া যায় এবং পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শরীরের হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে তাই প্রতিনিয়ত পেয়ারা খাওয়া উচিত।
ভূমিকা
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা রাখতে পারলে আপনার শরীর পরিবর্তন হয়ে যাবে কারণ পেয়ারা অনেক পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ একটি ফল এতে প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন ও রয়েছে এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে থাকে যেমন ডায়াবেটিকস এর মত রোগের সাথে যুদ্ধ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে আমরা জানতে চলেছে পেয়ারা সম্পর্কে পেয়ারার কি উপকারিতা এবং কেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে জেনে নিন।
পেয়ারার উপকারিতা
পেয়ারা খেতে অনেকেই ভালোবাসে এখন যদি বলেন মৌসুমী ফল তাহলে বলবে একদম ভুল কারণ পেয়ারা এখন সব সময় পাওয়া যায় যার চাহিদাও যেমন তা উৎপাদনও হয় তেমন যেমন পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয় এটি বারোমাসি পাওয়া যায় এর পুষ্টিগুণ অতুলনীয় যা বলে ফোড়ানো যাবে না তবু কিছু না বললেই নয় যেমন পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে
আরো পড়ুন: সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে
ভিটামিন সি থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের হাট ভালো রাখতেও সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে থাকে পেয়ারা এবং এতে আর রয়েছে আইরন ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত আরও ভিটামিন প্রোটিন যুক্ত এই পেয়ারা তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি হলেও পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন।
চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে: যে ভিটামিনের অভাবে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই ভিটামিন টির অভাব পূরণ করে পেয়ারাতে পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করে পেয়ারাতে এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে পেয়ারা তাই এটি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ফাইবারে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ কে বাধা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে পেয়ারা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারনে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে পেয়ারা।
হার্ট এবং রক্তের শর্করা: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে এবং যে কোন ডাইবেটিস রোগীদের জন্য এটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম হাটের জন্য উপকারী কারণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই হৃদরোগের হাত থেকে বাঁচা এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।
আরো পড়ুন: ঔষধ গাছ-গাছড়া সম্পর্কে
ভিটামিন বি থ্রি এবং বি সিক্স: প্যারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থ্রি এবং বি সিক্স থাকে এ সকল উপাদান গুলো মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল করাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সরবরাহ করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ভিটামিন যুক্ত ফল তাই বেশি বেশি ফলটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
বৈজ্ঞানিকরা বলে থাকে পেয়ারা এবং পেয়ারার পাতায় সমান পরিমাণের পুষ্টিগুণ থেকে থাকে এবং পেয়ারা খেলে ত্বকের এবং মুখের পাকস্থলী এবং ফুসফুসের ক্যান্সার ভালো করতে সাহায্য করে পেয়ারা পেয়ারা দৈনিক একটি করে খেলেই যথেষ্ট এ সকল রোগ ভালো করার জন্য যেকোন ক্যান্সারের মহা ঔষধ হলো পেয়ারা অনেকে ভাবতে পারেন
যে সামান্য পেয়ারাতে এত পুষ্টিগুণ থাকে এটিই হলো চমকানোর কথা যে একটি পেয়ারাতে এত পুষ্টিগুণ থাকে যে ক্যান্সারের মতো রোগের সাথে যুদ্ধ করতে পারে একটি পেয়ারা এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন পেটের যে কোনো সমস্যা সারতেও পেয়ারা অবদান রেখে থাকে এবং ডাইবেটিস রোগীদের জন্য
পেয়ারা অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে পেয়ারা কে সুপার ফুল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ক্যারোটিন এবং খনিজ যার শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান এবং পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন সি তবে অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া যাবে না এতে শরীর
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত চুল পড়ার সমাধান সম্পর্কে
ম্যাচ ম্যাচে হয়ে যেতে পারে এবং পেট ভারী হয়ে যেতে পারে পেট ফুলেও যেতে পারে তাই প্রতিদিন একটি পেয়ারা খেলেই যথেষ্ট এবং পেয়ারাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা যে কোন কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ কে হারিয়ে তুলতে সাহায্য করে থাকে এটি ডায়েট কন্ট্রোল এর জন্য রাখতে পারেন ফলটি তবে খেয়াল রাখতে হবে রক্তে যেন সরকার আর পর্যাপ্ত
পরিমাণে থাকে নয়তো সমস্যা দিতে পারে ফলটিতে ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে ৯ গ্রাম চিনির পরিমাণ থেকে থাকে যার রক্তের শর্করা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে তাই বেশি পেয়ারা খাওয়া যাবে না দিন একটি খেলে যথেষ্ট যাদের পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে তাদের জন্য পেয়ারা খাওয়া উচিত নয় বেশি পেয়ারা এর জন্য খাওয়া যাবেনা কারণ পেয়ারা একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল
যা খেলে সর্দি কাশি হতে পারে তাই দৈনিক একটি পেয়ারা খেলেই যথেষ্ট বেশি খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো বা সময় হলো যে কোন একটি ভারী খাবার খাওয়ার পর একটি পেয়ারা খেয়ে নিন এবং তারপরে আবার ভারি খাবার খাবেন এটি হলো সঠিক সময়।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ
যদি পুষ্টিকর ফলের তালিকা বলা যায় তাহলে পেয়ারা একটি অন্যতম ফলের তালিকায় ধরা হয় কারণ পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পটাশিয়াম খাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল এবং দেহের যে কোন অঙ্গের জন্য উপকারী একটি ফল হল পেয়ারা একটি পেয়ারাতে কমলা চাইতে তিন থেকে
আরো পড়ুন: পুষ্টিকর ফলের তালিকা সম্পর্কে
চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থেকে থাকে এবং একটি আপেলের চাইতে পেয়ারাতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে পেয়ারাতে থাকে ৪২১ পয়েন্ট পুষ্টি এবং পেয়ারাতে পানির পরিমাণ থাকে 86.10 গ্রাম এবং প্রোটিন থাকে ০.৮২ গ্রাম এবং ভিটামিন এ থাকে ৭৯২ আই ইউ এবং ভিটামিন বি থাকে প্রচুর পরিমাণে পেয়ারার
পাতাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা ক্যান্সারের মতো রোগের সাথে লড়াই করতে পারে এবং জোয়ার ব্যথা আমাশয় ভালো করতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা এবং ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে রয়েছে 76 কিলো ক্যালরি এত পুষ্টি এবং ভিটামিন থাকার কারণে যেকোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য
করে থাকে এই ফলটি এবং যেকোন রোগের সাথে যুদ্ধ করতে একটি মাধ্যম সেটি হল দৈনিক একটি পেয়ারা খাওয়া এবং প্রতিনিয়ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আলতি দূর করা: ক্যারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার কারণে পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং যেকোনো চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং যেকোনো ধরনের আলটি দূর করতে সাহায্য করে থাকে একটি পেয়ারা।
শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ ঠান্ডা লাগা সর্দি লাগা কাশি হওয়া এ সকল সমস্যার সমাধান পেয়ারা ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকাতে এ সকল সমস্যা গুলো ছাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে একটি পেয়ারা প্রতিদিন একটি পেয়ারা খেলে এগুলো সেরে যাবে।
ত্বক এবং চুলের উপকারিতা: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণের পানি থাকে তাই চুল এবং ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে যেমন ত্বকের ওপর কোন সমস্যা দেখা দিলে যেমন রুক্ষ খুশকো হয়ে গেলে একটি পেয়ারাতে তা ভালো করার জন্য যথেষ্ট পুষ্টিগুণ থাকে এবং মানুষের তরুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে পেয়ারা খেলে প্রচুর উপকারিতা আছে কিন্তু অনেকে তা জানে না মনে করে খালি পেটে পেয়ারা খেলে হয়তোবা সমস্যা হতে পারে কিন্তু তা একদম ভুল পেয়ারাতে যে সকল ভিটামিন রয়েছে তা খালি পেটে খেলে অনেক গুনে দেয় এবং এর উপকারিতা আরো বৃদ্ধি পায় কারণ একটি পেয়ারা খেলে প্রচুর পরিমাণে তৃপ্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
আরো পড়ুন: পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
রোগের সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে পেয়ারা এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রেডিকেলের কারনে কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি থেকে এবং হাত থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে পেয়ারা।
রোগ প্রতিরোধ: পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এর মধ্যে আরো উপকার রয়েছে যার নিচে পেশ করা হলো।
ওজন কমানো: প্রতিদিন কাঁচাপেয়ার চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে বা পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে পেটের সমস্যা ও সারে এবং ওজন কমাতে অনেক কার্য করে ফল এবং পাতা এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কার্বোহাইড্রেট শোষণে বাধা দেয় তাই ওজন বাড়তে বাধাগ্রস্ত করে এবং ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে তাই খালি পেটে একটি করে পেয়ারা খাবার চেষ্টা করুন।
হজম শক্তি: একটি পেয়ারাতে এমন কিছু গুনাগুন রয়েছে যা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে বা কাঁচা খাওয়ার মাধ্যমে বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য গ্যাস এসিডিটির সমাধান করে থাকে এবং প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলে এ সকল সমস্যা এবং আরও অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে তাই প্রতিদিন সকালে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খান।
কোলেস্টেরল: পেয়ারা পাতায় রয়েছে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো উপাদান প্রতিদিন পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খাবার মাধ্যমে খারাপ কোলেস্টেরল ভালো করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যগুণ: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণের পুষ্টি রয়েছে এবং রয়েছে পটাশিয়াম কার্বোহাইড্রেট এবং রয়েছে ড্যারেটরি ফাইবার এবং প্রোটিন ভিটামিন যা শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি মাধ্যম তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন।
গ্যাস এবং এসিডিটি: গবেষণায় দেখা যায় পেয়ারাতে এক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকা তে হৃদপিণ্ডকে রেডিক্যাল সৃষ্টি ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে পেয়ারা এবং রোজ বাসি পেটে পেয়ারা খাওয়ার ফলে গ্যাস এবং এসিডিটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা রাখার চেষ্টা করুন তাতে আপনারই উপকার হবে।
পেয়ারা খাওয়ার খতিকর দিক
পেয়ারা অনেকের কাছেই একটি পছন্দের খাদ্য হয়ে থাকে এবং বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে পেয়ারা খাওয়ার জন্য তবে লিমিটের ভেতরে খেতে হবে আনলিমিটেড হয়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ হতে পারে পেয়ারাতে প্রচুর গুনাগুন রয়েছে তবে এটা বেশি খেয়ে ফেললে তা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে।
পেয়ারাতে রয়েছে ফাইবার যা হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই পেয়ারা যদি বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে পানিও বেশি খেতে হবে তাহলে হজমে আর সমস্যা দেখাবে না চলুন জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডায়রিয়া আমাশয়: এ সকল সমস্যা দেখা দিলে পেয়ারা থেকে দূরে থাকুন এতে প্রচুর পরিমাণের রায় পটাশিয়াম এবং ফাইবার তাই এটি খাওয়ার আগে চেক করে নিতে হবে ডায়রিয়া বা আমাশয় থাকলে এই ফলটি খাওয়া যাবেনা আর খেয়ে ফেললেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে চলতে হবে তবে কোন সমস্যা হলে তার নিস্তার পাবে।
মাথা বা কিডনির সমস্যা: পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতায় সমান পুষ্টিগুণ থাকায় পেয়ারার পাতার রস যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায় তাহলে দেখা দিতে পারে কিডনের সমস্যা বা মাথা ব্যথার সমস্যা আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যে কোন খাবারই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।
পেট ফাঁপা: পেয়ারা অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে দেখা দিতে পারে পেট ফাফার রোগ পেয়ারাতে হে প্রচুর পরিমাণে চিনিও থাকে যা ফুকটোজ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এর ফলে প্যাট ফাঁপা হয়ে যেতে পারে এবং ফোলা ফোলা ভাব গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে তাই একটি বেশি পেয়ারা খাওয়া যাবে না এতে ক্ষতিগুলো হতে পারে।
দাঁতে ব্যথা: পাকা পেয়ারা সুস্বাদু বলে অনেকে বেশি বেশি খেয়ে ফেলে ফলে দেখা যায় দাঁত ব্যথা দাদাত শিরসের এবং দাঁতজনিত আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে
ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য: এই রোগীদের খাওয়া এটি অত্যন্ত উপকার তবে চেক করে নিতে হবে রক্তের চিনির পরিমাণ বেশি থাকলে এটি খাওয়া যাবেনা আর যদি চিনির পরিমাণ কম থাকে তাহলে দৈনিক একটি করে পেয়ারা খেলে অনেক উপকারে আসবে তাই আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে রক্তে চিনি আছে কিনা থাকলে এটি খাওয়া যাবে না।
একজিমার ঝুঁকি: পেয়ারা পাতার রসের কারণে অ্যাকজিমা হতে পারে পেয়ারা পাতায় ত্বকের জ্বালা ভাব সৃষ্টি করতে পারে যদি এক জিমা আপনার গুরুতর থেকে থাকে তাহলে তা সাবধানে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন নয়তো একজিমার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে যে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য মানুষের আশেপাশের প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু ঔষধি গাছ আছে যার মাধ্যমে মানুষ সুস্থ থাকতে পারে এবং সবল থাকতে পারে যদি তারা সেই উপায়ে জানে তাহলেই তা সম্ভব পেয়ারা পাতার গুণগত মান কতর কেউ জানে না তাই এটি ব্যবহার হয় না তবে যদি জানত তাহলে এটির ব্যবহার অনেক আগ
থেকেই হত যেমন আগের যুগের মানুষ গাছ-গাছালি সম্পর্কে সব জানত কিন্তু যত উন্নতি হচ্ছে দেশের তত গাছ গাছলা হিসাবে লোকের জ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছে বেড়াতে যেমন অনেক গুণগতমান বেশি তেমনভাবে তার পাতাতেও রয়েছে ভেষজ গুণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক পেয়ারা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে এবং গুণগত মান সম্পর্কে।
হাজমশক্তি: অনেকের পেটে দেখা দিতে পারে ব্যথা গ্যাস এসিডিটি এই সকল সমস্যার সমাধান হলো পেয়ারা পাতা পেয়ারা পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন এবং চায়ের সাথেও খেতে পারেন এতে অনেক উপকারে আসবে।
পেট পরিষ্কার: এটি শুধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে না পেট পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে থাকে বিভিন্ন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সহজে সমাধান হতে চাই না তাদের জন্য পেয়ারা পাতা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী এতে রয়েছে লেকসিটিভ যা পেট পরিষ্কার করতে অনেক উপকারে আসে তাই প্রতিদিন পেয়ারা পাতা খেলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ওজন কমানো: ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেয়ারা পাতায় যথেষ্ট অনেকে অনেক রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাদের জন্য সাজেস্ট করব পেয়ারা পাতার রস বা পেয়ারা পাতা দিয়ে চা করে খেলে এই সমস্যা সমাধান মিলবে তাই এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা: পেয়ারা পাতা দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এবং চুলে কয়েক মিনিট মাসাজ করুন পেয়ারা পাতার মিশ্রণকৃত পেস্ট দিয়ে পুরো মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন মাসেজের ফলে রক্তচাপ উন্নত রাখে এবং বিভিন্ন রকমের পুষ্টি পেতে সাহায্য করে শুকানো পর্যন্ত রেখে দিতে পারেন এবং তা শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে
তা ধুয়ে ফেলুন এর ফলে মাথার চুলকে শুষ্ক করে দেয় এবং ত্বক শুষ্ক রাখে এই নিয়মটি সপ্তাহে একদিন করে করুন আপনার চুল থাকবে ভালো এবং চুলের বৃদ্ধি পেতে থাকবে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন করার ফলে এ সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে আশা করা যায় সমস্ত সমস্যাগুলো সেরে যাবে ১০০%।
পেয়ারা গাছের পরিচর্যা
পেয়ারা তো অনেকেই পছন্দ করে থাকেন তবে পেয়ারা শুধু পছন্দ করলেই হবে না পেয়ারা যেন ভালো মানের হয় এবং পেয়ারা খেতে সুস্বাদু লাগে তাই পেয়ারা গাছের যত্ন নিতে হবে এবং পেয়ারা গাছে যেন ভালো ফল আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে পেয়ারা গাছ থেকে সারা বছর ফল নিতে চাইলে এর যত্ন বেশি বেশি নেওয়া লাগবে তাহলে সারা বছর ফল দেবে।
গাছ লাগানোর পদ্ধতি: যেকোনো গাছের দূরত্ব বজায় রেখে গাছটি লাগাতে হবে দূরত্ব আড়াই থেকে তিন ফুট হওয়া উচিত এবং লাগানোর পূর্বে মাটি প্রস্তুত রাখতে হবে জৈব সারের সাথে ডিএপি সার মিশ্রিত করুন এবং তা গাছে দিন ছয় মাস পরে ফল পাওয়া শুরু হবে এবং ফল পাওয়ার সময় গাছের আর একটু যত্ন বেশি নিতে হবে তাহলে ফল বেশি পাবেন।
পরিচর্যা: কয়েক মাস পর পর গাছের সার দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং পোকা দমনের জন্য কিছু বিষ ব্যবহার করতে হবে এবং বাগানের যত রকমের অযথা আগাছা গুলো আছে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে তাহলে বেশি ফলনের আশা করা যাবে নয়তো আগাছা বেশি হয়ে গেলে গাছ দুর্বল করে ফেলে এবং ফল বেশি হয় না তাই এগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
রোগের লক্ষণ: ফল এবং পাতার উপরে দাগ পড়ে গেলে বুঝতে পারবেন ফলের সমস্যা হয়েছে বা পোকাতে এগুলো করে থাকে এবং কালো হয়ে তা শুকিয়ে যেতে পারে এই লক্ষণ গুলো দেখলেই সার এবং বিষ দেওয়ার চেষ্টা করুন নয়তো গাছ এবং ফল দুটোই মারা যেতে পারে।
পেয়ারা গাছের জাত: সর্বপ্রথম পেয়ারা গাছের জাত দেখে নিতে হবে কারণ কিছু কিছু জাতের ফল বেশি ধরে আবার কিছু কিছু যাতে ফল ধরে না তাই জাত বাছাই করে নিতে হবে যে জাতের ফল বেশি ধরে সেই জাতটি চাষ করার চেষ্টা করতে হবে তাহলেই ফলন বেশি পাওয়া যাবে এবং বীজ কেনার সময় ভালোভাবে বাজারজাত করে নিতে হবে যেন কোন সমস্যা না থাকে।
সর্বশেষ কথা
সব চাইতে আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ পেয়ারা চাষ হয়ে থাকে এবং সবরকম মৌসুমে পেয়ারা পাওয়া যায় পেয়ারার প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকায় প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করুন পেয়ারা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আমার আর্টিকেলটি প্রথম থেকে পড়ে আসুন আশা করা যায় সম্পূর্ণ ধারণা চলে আসবে এবং প্রথম থেকে পড়ে আসার কারণে আপনার অনেক উপকারে আসবে তাই সাজেস্ট করব সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url