লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায় - কিডনি পরিষ্কার করার উপায়

শরীরের সবচাইতে মূল্যবান অঙ্গ হলো কিডনি বা লিভার কিডনি বালিভারের সমস্যা হলে সমস্ত শরীর ও অকাজে করে দেয় তাই সুস্থ থাকার জন্য লিভার ও কিডনির খেয়াল এবং যত্ন নিতে হবে আমরা জানবো লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে এবং কিডনি পরিষ্কার করার উপায় সম্পর্কে কিছু বদ অভ্যাস ছাড়লেই এগুলো সম্ভব চলুন জেনে নেওয়া যাক।
লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায়
সর্বপ্রথম আমাদেরকে বদ অভ্যাস ছাড়তে হবে এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর প্রোটিন যুক্ত এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য রাখতে হবে যেমন শাকসবজি বেশি বেশি শাকসবজি খেলে চুল পড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং লিভার কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

ভূমিকা

আমরা জানি লিভার বা কিডনি আমাদের শরীরের সবচাইতে মূল্যবান একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে বোঝা যায় শরীর সুস্থ আছে না অসুস্থ কিডনির কারণ লিভার বা কিডনের কোন সমস্যা হলে শরীরে আসর পরে ব্যথাও দেখায় আরো ইত্যাদি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয় বদ অভ্যাস বলতে যে কোন মসলা জাতীয় বা ভাজা পড়া জাতীয় খাদ্য খাওয়া যাবেনা এবং ভালো অভ্যাস বলতে পুষ্টিকর শাক সবজি বেশি বেশি খেতে হবে।

কিডনি ভালো রাখার খাবার

শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে কিডনি বালিভার সুস্থ রাখতে হবে তাহলেই শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখা যাবে কারণ কিডনি হল শরীরের সবচাইতে মূল্যবান একটি অঙ্গ যা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে কিডনি ভালো রাখার জন্য কিছু উপায় সমূহ জেনে নিন এবং খাদ্য সম্পর্কে জেনে নিন খাদ্যভ্যাস এর অভাবে কিডনি বা


লিভার জনিত রোগগুলো হয়ে থাকে বেশি এবং এর রোগে ভুগতে হয় বেশি খাদ্য অভ্যাস এর কারণে তাই শরীর ভালো রাখতে আমাদেরকে কিডনি ভালো রাখতে হবে আগে এবং কিডনি ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি খেতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি খেলে কিডনি ভালো রাখা যায় বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

পরিমাণ মতো পানি পান করা: কিডনি ভালো রাখার জন্য দৈনিক পরিমাণ মতো আমাদেরকে পানি পান করতে হবে পরিমাণ মতো পানি পান করলে যে সকল সমস্যার সমাধান করে তা হলো শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এটি কিডনির জন্য অত্যন্ত উপকারী পরিমাণ মতো দৈনিক পানি পান করতে পারলে অনেক উপকার হবে।

পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য: পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খেলে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব হবে কারণ পুষ্টিহীন এবং ভিটামিন হীন তেল মসলাযুক্ত খাদ্য খেলে কিডনি তা সহ্য করতে পারে না এতে কিডনি র অন্যান্য রোগ হতে পারে তাই নিয়মিত পুষ্টিকর এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্যগুলো বেশি বেশি খাবেন সে সকল খাদ্যগুলো হলো সবুজ শাক

পালং শাক ফুলকপি পাতা কপি আরো অন্যান্য শাকসবজি আছে এবং ফল যেমন কলা কমলা লেবু এ সকল ভিটামিন যুক্ত এবং পুষ্টিকর খাদ্যগুলো প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি হলেও রাখার চেষ্টা করবেন এতে আপনার অত্যন্ত উপকারে আসবে এ সকল খাদ্য শুধু কিডনি ভালো করার জন্যই না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম করা: ব্যায়াম করার ফলে শরীরের যেকোনো ব্যাধি বা রোগ ভালো করতে সাহায্য করে থাকে যে কোন ধরনের ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি করলে হার্টের সমস্যা ভালো হয়ে যায় তেমনভাবেই বিভিন্ন বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের রোগ বালাই ভালো করতে সাহায্য করে ব্যায়াম তাই নিয়মিত ২৫ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

খারাপ নেশা: যেকোনো খারাপ নেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন কারণ খারাপ নেশাই আপনার কিডনি বালিভারের অনেক ক্ষতি করে থাকে যেমন ধূমপানের জন্য কিডনি একটি মারাত্মক মাধ্যম তাই ধূমপান না করাই ভালো এবং মদ্যপান এবং অন্যান্য নেশার মাধ্যম গুলো কিডনি এবং লিভারের অনেক ক্ষতি করে থাকে তাই নেশা বান থেকে বিরত থাকায় উত্তম।


অতিরিক্ত ওষুধ না খাওয়া: অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে কিডনির অত্যন্ত ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তা যে কোন ওষুধই হোক না কেন যেমন ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনির অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই যেকোনো ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে এবং যেকোন ওষুধ খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওষুধ সেবন করতে পারবেন এবং অতিরিক্ত ওষুধ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

লিভার ও কিডনি ভালো রাখার উপায়

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে কে না চায় কিন্তু শরীর স্বাস্থ্যের কেউ কেউ যত্ন নিতে পারে এবং কেউ কেউ যত্ন নিতে পারে না তাই যারা যত্ন নিতে পারে এবং যারা পারেনা সকলের জন্যই দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে সুষম খাদ্য মানে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া ফলমূল খাওয়া প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকল খাদ্য রাখলে অনেকটাই রোগ প্রতিরোধ

ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং জীবন যাপনের একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠবে তাই শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আগে ভালো রাখতে হবে লিভার এবং কিডনিকে কারণ শরীলের অন্যতম অঙ্গ হলো কিডনি বা লিভার এগুলো সুস্থের মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক লিভার ওকে নিয়ে ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।

শরীরে এনার্জি না থাকলে: শরীরে এনার্জি না থাকলে কোন কিছু খাওয়া যাবেনা অনেকে এনার্জি বাড়ানোর জন্য খাওয়ার চেষ্টা করেন বা খেতে থাকেন এতে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে কারণ এনার্জি হীনতা থাকলে বা অনেক পরিশ্রমের পরে এনার্জি হারিয়ে যাওয়ার পর সে সময়টা খাবার হজম করতে পারে না ঠিকমতো তাই ওই সময় খাবার খেলে


কিডনির অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যখন স্ট্রেস বা এনার্জি হীন থাকবেন তখন কোন খাদ্য বা অন্যান্য জিনিস খাবেন না সে সময় জল খেতে পারেন এতে দ্রুত এনার্জি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে দৈনিক পরিমাণ মতো পানি পান করতে পারলে।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো: উচ্চ রক্তচাপের কারণে বা উচ্চ শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে তাই রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং নিয়মিত ডায়াবেটিক্স থাকলে বা না থাকুক চেকআপ করে নিতে হবে এবং থাকলে তা নিয়মিত পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে নিয়মিত।

স্বাস্থ্যের জন্য উপকৃত খাদ্য গ্রহণ করুন: যে সকল খাদ্যে বেশি বেশি পুষ্টি এবং বেশি বেশি ভিটামিন থাকে সে সকল খাদ্য বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন যেমন শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন শাকসবজি গুলো হলো পালং শাক সবুজ শাক ব্রকলি আরো অন্যান্য শাকসবজি আছে সকল শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে

যেমন ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং ভিটামিন বি ভিটামিন এ ভিটামিন কে আরও অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে এই সকল শাকসবজিতে এবং বেশি বেশি কাঁচা ফল খেতে পারে ফলেও প্রচুর ভিটামিন থাকে যেমন কলা আপেল আঙ্গুর বেদনা কমলা লেবু লেবু এ সকল ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে

সাহায্য করে এবং পুষ্টিকর খাদ্য হলো বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে এবং মাংসতে পুষ্টি থাকে এবং বিভিন্ন রকমের ডাল জাতীয় খাদ্যে পুষ্টি থাকে যেমন মসুর ডালে। গরুর মাংসের মত পুষ্টি পাওয়া যায় তাই এ সকল খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় না রাখতে পারলেও সপ্তাহে একদিন হলেও খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে অনেক উপকারে আসবে।

নিয়মিত পানি পান করা এবং ব্যায়াম করা: আমিতো পানি পান করলে কিডনির জন্য অনেক উপকারে আসে প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার আগে বাসি পেটে যদি পানি খাওয়া যায় তাহলে শুধু লিভারের জন্যই নয় হার্টের জন্য অনেক উপকারে আসে এবং শরীরের যেকোনো ব্যাধি থেকে মুক্তি পাতে সাহায্য করে বাসি পেটে পানি খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

এবং ব্যায়াম নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ফিট থাকে এবং সুস্থ থাকে এবং যেকোনো সমস্যা হলে ব্যায়ামের মাধ্যমে তা স্বার্থের সাহায্য করে যেমন হাটের সমস্যায় হাটাহাটির ব্যায়াম করলে অনেক উপকারে আসে এবং চোখের সমস্যায় চোখের ব্যায়াম করা হয় চোখ ডানে বামে উপরে নিচে ঘোরালে তা অনেক উপকার দেখা দেয় তেমনভাবে


লিভারের জন্য ব্যায়াম করলে তা লিভারের জন্য বাকি দিনের জন্য অনেক উপকারে আসে তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং নিয়ম অনুযায়ী পরিমাণ মতো পানি পান করো এতে কিডনিও লিভার দুটোই ভালো থাকবে নিয়ম মেনে তা প্রয়োগ করলে ইনশাআল্লাহ।

কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার

শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদেরকে কিডনি ভালো রাখতে হবে আগে সো কিডনি ভালো রাখতে গিয়ে আমরা অনেকে অনেক রকম খাদ্য খেয়ে থাকি তা খাওয়া সঠিক কিনা না জেনে খাওয়া যাবেনা না জেনে খাবার ফলে কিডনির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে তা কাজ করতে পারে তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে সঠিক খাদ্য বেছে নিয়ে

কিডনির জন্য তার শোষণ করা তাহলেই কিডনি সুস্থ থাকবে নয়তো কিডনির কোন ক্ষতি হয়ে গেলে তা আমাদের শরীরকে নষ্ট করে দেবে একেবারে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনির জন্য ক্ষতিকর খাবার কোনগুলা এবং কোন খাদ্যগুলো না খাওয়াই আমাদের জন্য উত্তম এ টু জেড তথ্য নিচে দেওয়া হল।

প্রক্রিয়াজাত মাংস: যেমন হট ডগ এবং বার্গার পিৎজা এবং অন্যান্য কি মা এ সকল খাদ্যগুলো আমাদেরকে বাদ দিতে হবে এ সকল খাদ্য অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্তে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং কিডনির উপরে চাপ আসতে পারে এবং কিডনির অন্যান্য রোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে তাই এ সকল খাদ্য না খাওয়াই আমাদের জন্য উপকার।

সোডা জাতীয় খাদ্য: সোডাতে তেমন কোন পুষ্টি থাকে না এবং চিনির পরিমাণ এতে বেশি থাকে তাই বেশি বেশি সোডা খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে গবেষণায় দেখা গেছে বেশি বেশি সোডা খাওয়ার রোগীগুলোর হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কিডনির অন্যান্য রোগ হতে পারে এবং দাঁতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে আরো অন্যান্য সমস্যার সাথে সোডা জড়িত থাকে।

বিভিন্ন রকম ভাজাপোড়া: বিভিন্ন রকম ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে আপনার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ভাজাপোড়া গুলো হতে পারে বিভিন্ন রকমের আলু ভাজা বেগুন ভাজা এ সকল ভাজা জাতীয় দ্রব্যগুলোতে তেলের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি যেমন বেগুন দিয়ে বেগুনি ভাজা হয় এবং এ বেগুনি খেলে তেলের পরিমাণ থাকে তা পেতে চলে যায়


এবং পেটে জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে এবং কিডনিরও সমস্যা হতে পারে তেমনভাবে আলুর ও আলু ভাজা খাওয়ার মাধ্যমে কিডনিরের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এই সকল ভাজাপোড়া ত্যাগ করায় আমাদের জন্য উত্তম ভাজাপোড়া যেমন কিডনির জন্য ক্ষতিকারক তেমনি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

কিডনি পরিষ্কার করার উপায়

কিডনি হলে আমাদের শরীরের একটি মূল্যবান অঙ্গ যা মূত্রনালীর সঙ্গে জড়িত এবং রক্ত ফিল্টার করতে তা সাহায্য করে থাকে কিডনির মাধ্যমে রক্তের যে কোন জিনিস ছাকা হয় তাই। একে ছাকনির মাধ্যম বলা হয়। কিডনির কাজ যা তা হলো অতিরিক্ত পানি বিষাক্ত জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করে এবং অনেক রকমের জীবাণুর যুক্ত পদার্থগুলো

আমাদের কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এ সকল সমস্যা সমাধান নিয়ে এসেছে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া উপায়ে তার নিরাময় করা যায় এবং কিডনি সুস্থ এবং পরিষ্কার রাখার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে বা ঘরোয়া উপায়ে কিডনি পরিষ্কার করার ট্রিক্স জেনে নিন এ টু জেড বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

কিডনি পরিষ্কার রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো কিডনিতে যেন রক্ত চলাচল করার জন্য সফলভাবে কাজ করতে পারে তাই আমাদেরকে কিডনি পরিষ্কার রাখতে হবে কিডনি পরিষ্কার থাকলে এই শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে কারণ শরীরের অন্যতম অঙ্গ হলো কিডনি বালিভার তাই কিডনি বালিভার ভালো থাকলেই শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কিডনি পরিষ্কারের উপায় সমূহ।

লেবু: লেবু আমাদের শরীরের জন্য একটি অন্যতম উপাদান এবং এটি কিডনি পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে থাকে লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড তাই রক্তে জীবাণু থাকলে লেবুর রসের মাধ্যমে তা ছেঁকে ফেলতে সাহায্য করে এবং যত রকমের জীবাণু বা দূষিত পদার্থ থাকে তা দূর করতে সাহায্য করে বা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লেবুর রস


লেবুর রসে রয়েছে আরো কিছু উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম অক্সলেট যা কিডনি বা লিভার পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে তাই প্রতিনিয়ত লেবুর রস খাওয়ার চেষ্টা করুন বা খাদ্য তালিকায় প্রতিনিয়ত লেবুর রস রাখুন এতে আপনার শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপকারে আসবে।

ধনিয়া পাতা: ধনিয়া পাতা কিডনি পরিষ্কার করতে অনেক উপকারে আসে বেশি বেশি ধনিয়া পাতা খাওয়ার মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ গুলো যা থাকে কিডনির ভিতর বা শরীরের ভিতরে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে সক্ষমতা লাভ করে তাই ধনিয়া পাতা কে অনেক প্রাধান্য দেওয়া হয় ধনিয়া পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে ভিটামিন এ।

তুলসী পাতা: তুলসী পাতা গ্রাম সাইডে কম বেশি প্রতিটা বাড়িতেই পাওয়া যায় তুলসী পাতা বেটে রস খেলে এবং কিডনি পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে তুলসী পাতার রস খেলে কাশি ভালো হয় এবং তুলসী পাতা ফুটিয়েও খেতে পারে এবং চায়ের মাধ্যমেও খেতে পারেন এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি।

তরমুজ বা বেদেনা: তরমুজ বা বেদানা খাওয়ার ফলে কিডনি পরিষ্কার রাখা যায় এখন পুরো মাসে বা সারা বছরেই তরমুজ বা বেদনা পাওয়া যায় তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে জাকির না পরিষ্কার করতে সাহায্য করে থাকে তরমুজে থাকে লাইক অপেন এবং পটাশিয়াম যা কিডনি পরিষ্কার করতে অনেক সাহায্য করে প্রস্রাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে

সাহায্য করে বেদানা এতেও পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকে এবং এক্সট্রিঞ্জেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকায় কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে এ সকল ফলগুলো শুধু কিডনির জন্য উপকারী না শরীরের জন্য অনেক উপকারী এ সকল ফলপ্রতিদিন খাদ্য তালিকায় একটি হলেও রাখার চেষ্টা করুন তাহলে অনেক উপকারে আসবে যে কোন রোগ বালাই ভালো করার জন্য।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার উপায় অনেকেই জানেনা এটি নিরবে নিরবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে বা কিডনির ক্ষতি করে থাকে অনেকেই তা বুঝতে পারে না যে তার কিডনি ভালো আছে না ক্ষতি হচ্ছে একবার ক্ষতি হয়ে গেলে তার চিকিৎসকের মাধ্যমে ও সাড়া সম্ভব হবে না তাই গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো কিডনির ক্ষতি সম্পর্কে আমাদেরকে

জানতে হবে এবং কি কি হলে কিডনির সমস্যা হতে পারে বা কিভাবে বুঝব আমরা কিডনি আমাদের ভালো আছে কিনাসেই সম্পর্কে বিস্তারিত এ টু জেড তথ্য আমরা জানতে চলেছে তো চলুন জেনে নাও মজা যাক কেমনে ভালো আছে কি না বোঝার উপায় সমূহ এবং এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়।

প্রস্রাবের সমস্যা: কিডনি প্রসবের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের করে দেয় যদি কিডনির কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রসবেরও সমস্যা হতে পারে যেমন প্রচুর জ্বালাপোড়াও হতে পারে এবং মুত্র নালীর মাধ্যমে রক্ত বের হতে পারে এবং প্রশ্রবে প্রচুর পরিমাণে ফেনা সৃষ্টি হতে পারে বা ফেনা বের হতে পারে এইদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।

পিঠের নিচের অংশে ব্যথা: বিশেষজ্ঞরা বলেন কিডনির সমস্যা দেখা দিলে সর্বপ্রথম পিঠে ব্যথা শুরু হয় তা উপরেও না আবার মিডেলেও না একেবারে পিঠের নিচের দিকে ব্যথা শুরু হয় এ ব্যথাকে যেমন তেমন ব্যথা না ভেবে গুরুত্ব দিন এবং ডক্টরের পরামর্শ নিন তৎক্ষণিকভাবে তাহলেই এর থেকে বাঁচতে পারবেন।

ফোলা ফোলা ভাব বা শ্বাসকষ্ট: কিডনির সমস্যা হলে রক্ত চলাচল করতে বাধা সৃষ্টি করে এতে রক্ত দূষিত হয়ে যেতে পারে বা কিডনির সমস্যা বেশি হয়ে যেতে পারে এটির লক্ষণ হল মুখ চোখের চারপাশে এবং পায়ের গোড়ালির দিকে হঠাৎ ফুলে যেতে পারে বিশেষজ্ঞরা বলেন কিডনিতে কোন সমস্যা দেখা দিলে ফুসফুসের তরল জমা হতে পারে এবং শ্বাসকষ্টেও সমস্যা হতে পারে।

ত্বকের সমস্যা বা শীত শীত অনুভব হওয়া: বেশি খাটাখাটনি না করলেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে বা দুর্বল মনে হবে বিশেষজ্ঞরা বলেন কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্ত পরিশুদ্ধ হতে পারে না কারণ রক্ত পরিশুদ্ধ করতে একমাত্র মাধ্যম হলো কিডনি তাই রক্তের বিষাক্ত কিছু তৈরি হতে পারে যা তোকে চুলকানি বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে


এবং গরম আবহাওয়াতেও অনুভব হতে পারে এগুলো হলে ভেবে নিতে পারেন আপনি কিডনির সমস্যা হয়েছে এবং তৎক্ষণিকভাবে তা ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়ে এবং যত দ্রুত পারেন ডক্টরের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে নিন এতে আপনার কিডনির সমস্যা দ্রুত সেরে যেতে পারে নয়তো বড় কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘুমের সমস্যা: অনেক সময় ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে কিডনির সমস্যা হলে কিডনের সমস্যা হলে শরীর থেকে পানি নিষ্করন করতে পারেনা কিছু পানি ফুসফুসে জমে যেতে পারে সেই কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে তাড়ানো অবস্থায় শ্বাস নিতে কোন বাধাগ্রস্ত হয় না কিন্তু শুয়ে থেকে শ্বাস নিতে গেলে অনেক সময় বাধাগ্রস্ত হতে হয় এটি

বেশিরভাগ পানি জমে যায় সেই কারণে হয়ে থাকে এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঘুমের সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হয়ে থাকে এবং সেই কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে যায় ঘুম ভালো মতো হয় না তাই একে বলা হয় কিডনির সমস্যা হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো একটি লক্ষণ।

শেষ কথা

এ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যদি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়ে এখানে চলে আসেন তাহলে আমরা সাজেস্ট করব আপনি প্রথম থেকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আসুন এতে আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং লেবার ওকে নিয়ে ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে এ টু জেড তথ্য দেওয়া আছে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url